ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
মানবদেহে কিডনি এমন একটি অঙ্গ, যার গুরুত্ব আমরা অনেক সময় বুঝে উঠি না—যতক্ষণ না সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এই ছোট্ট, দুটো বিনের মতো দেখতে অঙ্গ প্রতিদিন আমাদের শরীরের ভেতর একটি বিশাল কাজ চালিয়ে যায়। রক্ত পরিষ্কার করা, শরীরের অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য বের করে দেওয়া, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, এমনকি ভিটামিন ডি সক্রিয় করা পর্যন্ত—সবই কিডনির কাজ। তাই কিডনি একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পুরো শরীরেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, কিডনি কেন বা কীভাবে নষ্ট হয়? আমাদের অনেকেরই ধারণা—কিডনি নষ্ট হওয়া হয়তো হঠাৎ করে ঘটে যায়, কিংবা শুধুই ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের জন্য হয়। বাস্তবতা অনেক জটিল এবং গভীর। আজকের ফিচারে সহজ ভাষায় বোঝার চেষ্টা করব—কোন অভ্যাস বা শারীরিক অবস্থার কারণে নষ্ট হতে পারে কিডনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক তথ্যে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কোনো না কোনো কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। আর কিডনি ফেলিওর বা সম্পূর্ণ কিডনি অকেজো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো দীর্ঘদিন ধরে অজান্তে চলা কিছু রোগ ও ভুল জীবনযাপন পদ্ধতি।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন-এর গবেষক ডঃ কেয়ারলিন টাং বলছেন, “কিডনি নষ্ট হওয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিকটি হলো, অনেক সময় এটি নিঃশব্দ ঘাতকের মতো কাজ করে। শরীরে যখন উপসর্গ দেখা দেয়, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।”
ডায়াবেটিস কিডনি নষ্ট হওয়ার প্রধান কারণগুলোর একটি। রক্তে গ্লুকোজ লেভেল যদি দীর্ঘদিন উচ্চ থাকে, তাহলে তা কিডনির রক্তনালীতে ক্ষতি করে। এর ফলে ধীরে ধীরে কিডনি তার স্বাভাবিক ছাঁকনির কাজ হারাতে থাকে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো হাই ব্লাড প্রেসার । উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ছোট ছোট রক্তনালীগুলোতে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে কিডনির কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ ফ্রেইবুর্গ-এর মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ ক্লাউস হফম্যান বলছেন, “ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড প্রেসার কেবল আলাদা নয়, এরা একসাথে মিলে কিডনির অবস্থা আরও খারাপ করে দেয়। তাই এই দুটি নিয়ন্ত্রণ করাই সবচেয়ে জরুরি।”
আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসও কিডনির ক্ষতির জন্য দায়ী। যেমন—প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া। পানি শরীরের টক্সিন বা বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে। পানি কম খেলে এই বর্জ্য শরীরে জমা হতে থাকে এবং কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।
অনেকেই মাথাব্যথা বা জ্বর হলে হুট করে ওভার-দ্য-কাউন্টার পেইনকিলার খেয়ে ফেলেন। বিশেষ করে নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস যেমন আইব্রুফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন দীর্ঘদিন ধরে গ্রহণ করলে কিডনির ভেতরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, এবং তা দীর্ঘমেয়াদে কিডনি অকেজো করে ফেলতে পারে।
একইভাবে কিছু হারবাল মেডিসিন বা হেলথ সাপ্লিমেন্ট-এ থাকা ভারী ধাতু কিডনির ক্ষতি করতে পারে। আমরা অনেক সময় ইন্টারনেট দেখে ভেষজ ওষুধ বা হেলথ ড্রিংক খাই, কিন্তু সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তা জানি না।
প্রতিদিন অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ, ধূমপান এবং নিয়মিত মদ্যপান কিডনির স্বাস্থ্য ধ্বংস করে দেয়। বিশেষ করে সিগারেট কিডনির রক্তনালীকে সংকুচিত করে এবং রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির গবেষক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডঃ এলেনা মার্টিনেজ বলছেন, “অতিরিক্ত প্রোটিন, যেমন প্রতিদিন বড় মাংস খাওয়া, যারা ওজন কমানোর নামে কিটো ডায়েট মেনে চলেন, তাঁদের কিডনির ওপর অনেক সময় অজান্তেই চাপ পড়ে। দীর্ঘমেয়াদে এটি বিপজ্জনক।”
কিডনি রোগের আরেকটি বড় কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ওজন ও স্থূলতা। শরীরে ফ্যাট জমা হলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়, যেখান থেকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তচাপ বাড়ে—সব মিলিয়ে কিডনির ওপর একসাথে একাধিক চাপ পড়ে।
অনেকেই প্রস্রাব আটকে রাখেন বা দীর্ঘক্ষণ টয়লেটের প্রয়োজন অনুভব করেও যান না। এ অভ্যাসটি কিডনির সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এমনকি ইনফেকশন ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে কিডনিতে পৌঁছাতে পারে এবং সেখানে প্রদাহ বা সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
কিন্তু আশার কথা হলো, কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে কিডনি সুস্থ রাখা যায়। পর্যাপ্ত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ—এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলোই কিডনির বড় বন্ধু।
কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য গবেষক ডঃ মায়া হেনরিক্স বলেন, “শুধু ওষুধ নয়, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই হচ্ছে কিডনি রক্ষা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কারণ একবার কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হলে সেটি আর ফিরে আসে না। ডায়ালাইসিস আর কিডনি ট্রান্সপ্লান্টই তখন শেষ ভরসা।”
এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি নষ্ট হওয়ার আগেই সচেতন হওয়া দরকার। যেকোনো ধরনের শরীরের পরিবর্তন যেমন—মুখ ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবে ফেনা, চোখের নিচে ফোলাভাব, ঘন ঘন প্রস্রাব অথবা প্রস্রাবের রঙে অস্বাভাবিকতা দেখলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথা, কিডনি একদিনে নষ্ট হয় না, এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া। তাই ধাপে ধাপে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা গড়ে তোলা গেলে অনেক বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। মনে রাখতে হবে—কিডনি নীরবে কাজ করে, আর যখন সে ‘চিৎকার’ করে ওঠে, তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যায়। সুতরাং যত্ন নিন আজ থেকেই।
মানবদেহে কিডনি এমন একটি অঙ্গ, যার গুরুত্ব আমরা অনেক সময় বুঝে উঠি না—যতক্ষণ না সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এই ছোট্ট, দুটো বিনের মতো দেখতে অঙ্গ প্রতিদিন আমাদের শরীরের ভেতর একটি বিশাল কাজ চালিয়ে যায়। রক্ত পরিষ্কার করা, শরীরের অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য বের করে দেওয়া, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, এমনকি ভিটামিন ডি সক্রিয় করা পর্যন্ত—সবই কিডনির কাজ। তাই কিডনি একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পুরো শরীরেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, কিডনি কেন বা কীভাবে নষ্ট হয়? আমাদের অনেকেরই ধারণা—কিডনি নষ্ট হওয়া হয়তো হঠাৎ করে ঘটে যায়, কিংবা শুধুই ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের জন্য হয়। বাস্তবতা অনেক জটিল এবং গভীর। আজকের ফিচারে সহজ ভাষায় বোঝার চেষ্টা করব—কোন অভ্যাস বা শারীরিক অবস্থার কারণে নষ্ট হতে পারে কিডনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক তথ্যে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কোনো না কোনো কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। আর কিডনি ফেলিওর বা সম্পূর্ণ কিডনি অকেজো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো দীর্ঘদিন ধরে অজান্তে চলা কিছু রোগ ও ভুল জীবনযাপন পদ্ধতি।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন-এর গবেষক ডঃ কেয়ারলিন টাং বলছেন, “কিডনি নষ্ট হওয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিকটি হলো, অনেক সময় এটি নিঃশব্দ ঘাতকের মতো কাজ করে। শরীরে যখন উপসর্গ দেখা দেয়, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।”
ডায়াবেটিস কিডনি নষ্ট হওয়ার প্রধান কারণগুলোর একটি। রক্তে গ্লুকোজ লেভেল যদি দীর্ঘদিন উচ্চ থাকে, তাহলে তা কিডনির রক্তনালীতে ক্ষতি করে। এর ফলে ধীরে ধীরে কিডনি তার স্বাভাবিক ছাঁকনির কাজ হারাতে থাকে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো হাই ব্লাড প্রেসার । উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ছোট ছোট রক্তনালীগুলোতে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে কিডনির কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ ফ্রেইবুর্গ-এর মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ ক্লাউস হফম্যান বলছেন, “ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড প্রেসার কেবল আলাদা নয়, এরা একসাথে মিলে কিডনির অবস্থা আরও খারাপ করে দেয়। তাই এই দুটি নিয়ন্ত্রণ করাই সবচেয়ে জরুরি।”
আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসও কিডনির ক্ষতির জন্য দায়ী। যেমন—প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া। পানি শরীরের টক্সিন বা বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে। পানি কম খেলে এই বর্জ্য শরীরে জমা হতে থাকে এবং কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।
অনেকেই মাথাব্যথা বা জ্বর হলে হুট করে ওভার-দ্য-কাউন্টার পেইনকিলার খেয়ে ফেলেন। বিশেষ করে নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস যেমন আইব্রুফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন দীর্ঘদিন ধরে গ্রহণ করলে কিডনির ভেতরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, এবং তা দীর্ঘমেয়াদে কিডনি অকেজো করে ফেলতে পারে।
একইভাবে কিছু হারবাল মেডিসিন বা হেলথ সাপ্লিমেন্ট-এ থাকা ভারী ধাতু কিডনির ক্ষতি করতে পারে। আমরা অনেক সময় ইন্টারনেট দেখে ভেষজ ওষুধ বা হেলথ ড্রিংক খাই, কিন্তু সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তা জানি না।
প্রতিদিন অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ, ধূমপান এবং নিয়মিত মদ্যপান কিডনির স্বাস্থ্য ধ্বংস করে দেয়। বিশেষ করে সিগারেট কিডনির রক্তনালীকে সংকুচিত করে এবং রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির গবেষক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডঃ এলেনা মার্টিনেজ বলছেন, “অতিরিক্ত প্রোটিন, যেমন প্রতিদিন বড় মাংস খাওয়া, যারা ওজন কমানোর নামে কিটো ডায়েট মেনে চলেন, তাঁদের কিডনির ওপর অনেক সময় অজান্তেই চাপ পড়ে। দীর্ঘমেয়াদে এটি বিপজ্জনক।”
কিডনি রোগের আরেকটি বড় কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ওজন ও স্থূলতা। শরীরে ফ্যাট জমা হলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়, যেখান থেকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তচাপ বাড়ে—সব মিলিয়ে কিডনির ওপর একসাথে একাধিক চাপ পড়ে।
অনেকেই প্রস্রাব আটকে রাখেন বা দীর্ঘক্ষণ টয়লেটের প্রয়োজন অনুভব করেও যান না। এ অভ্যাসটি কিডনির সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এমনকি ইনফেকশন ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে কিডনিতে পৌঁছাতে পারে এবং সেখানে প্রদাহ বা সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
কিন্তু আশার কথা হলো, কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে কিডনি সুস্থ রাখা যায়। পর্যাপ্ত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ—এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলোই কিডনির বড় বন্ধু।
কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য গবেষক ডঃ মায়া হেনরিক্স বলেন, “শুধু ওষুধ নয়, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই হচ্ছে কিডনি রক্ষা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কারণ একবার কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হলে সেটি আর ফিরে আসে না। ডায়ালাইসিস আর কিডনি ট্রান্সপ্লান্টই তখন শেষ ভরসা।”
এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি নষ্ট হওয়ার আগেই সচেতন হওয়া দরকার। যেকোনো ধরনের শরীরের পরিবর্তন যেমন—মুখ ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবে ফেনা, চোখের নিচে ফোলাভাব, ঘন ঘন প্রস্রাব অথবা প্রস্রাবের রঙে অস্বাভাবিকতা দেখলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথা, কিডনি একদিনে নষ্ট হয় না, এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া। তাই ধাপে ধাপে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা গড়ে তোলা গেলে অনেক বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। মনে রাখতে হবে—কিডনি নীরবে কাজ করে, আর যখন সে ‘চিৎকার’ করে ওঠে, তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যায়। সুতরাং যত্ন নিন আজ থেকেই।
পটুয়াখালীর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রাখাইন সম্প্রদায়ের শ্মশানের জমি ক্রমশ বেহাত হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা প্রভাব খাটিয়ে এসব জমি দখল করে বাড়ি-ঘর ও কৃষি জমি বানাচ্ছেন। অনেকে আবার শ্মশানের মাটি কেটে নিচ্ছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক আইনে এই ব্যক্তিদের ‘অ্যাকোম্প্লিস টার্নড প্রোসিকিউশন উইটনেস’ বলা হয়। ইংল্যান্ড, আমেরিকা বা ভারত—প্রায় সব আধুনিক বিচারব্যবস্থায়ই রাজসাক্ষীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
১ দিন আগেবেনাপোল সীমান্তে ভারতীয়দের অবাধ যাতায়াত ও চোরাচালানের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশিরা ভারতে ট্যুরিস্ট বা বিজনেস ভিসা পাচ্ছে না, অথচ কলকাতাস্থ বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে প্রতিদিন শত শত ভারতীয় বিজনেস ভিসা পেয়ে বেনাপোলে প্রবেশ করছেন।
২ দিন আগেহুতিদের প্রযুক্তিগত উত্থান শুরু হয় ২০১৫ সালের দিকে, যখন সৌদি আরব তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে। এই সময় থেকেই হুতিরা বুঝে যায়, শুধু ছোট অস্ত্র বা স্থানীয় হামলা দিয়ে টিকে থাকা যাবে না। দরকার প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরোধ। সেই থেকেই শুরু হয় তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, এবং স্যাটেলাইট-নির্ভর হামলা
২ দিন আগে