অরুণ কুমার
ধরা যাক, আপনি একটা রোগের ওষুধ আবিষ্কার করবেন। এ জন্য সবার আগে জানতে হবে রোগটার কারণ কী। রোগটা কি জীবাণুর কারণে হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে? জীবাণু হলে কী ধরনের জীবাণুর আক্রমণে হচ্ছে? ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়া? নাকি ছত্রাকের আক্রমণে? তেমনি এসব জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে কী করতে হবে, কী খেতে হবে- এসব জানাও জরুরি। ধরা যাক, আপনি একটা রোগের ওষুধ আবিষ্কার করবেন। এ জন্য সবার আগে জানতে হবে রোগটার কারণ কী। রোগটা কি জীবাণুর কারণে হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে? জীবাণু হলে কী ধরনের জীবাণুর আক্রমণে হচ্ছে? ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়া? নাকি ছত্রাকের আক্রমণে? তেমনি এসব জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে কী করতে হবে, কী খেতে হবে- এসব জানাও জরুরি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এসব আবিষ্কারের জন্য ইঁদুর কিংবা গিনিপিগের মতো প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা চালান। জীবাণুবাহিত রোগ হলে, এদের শরীরে সেই রোগের জীবাণু পুশ করা হয়। তারপর চলে প্রতিষেধক প্রয়োগ। এসব চিকিৎসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মারা যায় প্রাণিগুলো।
সব সময় বিজ্ঞানীদের হাতে এ সুযোগ থাকে না। তাই কিছু আবিষ্কারের জন্য নিজেকেই হতে হয় গিনিপিগ।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম স্টার্কের কথাই ধরুন৷ ভদ্রলোক গবেষণা করতে চেয়েছিলেন স্কার্ভি নিয়ে। স্কার্ভি এক ধরনের চর্মরোগ। যারা দীর্ঘদিন জাহাজে কাটাতেন তাঁদের হতো এ রোগ।।
অষ্টাদশ শতাব্দী তখন। এখনকার মতো আধুনিক সরঞ্জাম সেকালে ছিল না। তাই রোগ নির্ণয় বা রোগের কারণ জানা খুব কঠিন ছিল। কারণই যদি না জানা যায়, চিকিৎসা হবে কীভাবে। অথচ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে তখন।
স্টার্ক রীতিমতো গবেষণা শুরু করলেন। এক সময় একটা তত্ত্বও দাঁড় করিয়ে ফেললেন তিনি৷ স্টার্কের অনুমান, খ্যাদ্যাভ্যাসই এ রোগের কারণ। যারা দীর্ঘদিন জাহাজে ভ্রমণ করেন, তাঁদের দিনের পর দিন একই খাবার খেতে হয়। বিশেষ করে শুকনো মাংস, পনির ইত্যাদি। স্টার্ক ধারণা করেছিলেন, একমাত্র সুষম খাবারই পারে এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে৷
শুধু ধারণা করলে তো চলবে না। প্রমাণও করতে হবে।
এটা এমন একটা ধারণা, যা গিনিপিগ কিংবা ইঁদুরের মাধ্যমে পরীক্ষা করার উপায় নেই। তাই স্টার্ক নিজেই গিনিপিগ বনে গেলেন। দিনের পর দিন একই খাবারে খেতে লাগলেন। শুধু পনির আর পুডিং। এক সময় দেখা গেল তাঁর শরীরেও স্কার্ভি দেখা দিয়েছে। ১৭৬৯ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি প্রথমবার স্কার্ভিতে আক্রান্ত হন। এর পরপরই তিনি আবার সুষম খাবার গ্রহণ করতে থাকেন। খ্যাদ তালিকায় যুক্ত করন শাক-সব্জি। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর স্কার্ভি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেলো।
অর্থাৎ নিজের ধারণার সত্যতা পেলেন স্টার্ক। তাই তুমুল উৎসাহে আরেকবার পরীক্ষা করার কথা ভাবলেন। খাদ্য তালিকা থেকে শাক-সব্জি বাদ দিয়ে আবার পনির আর পুডিং খেতে শুরু করলেন। ফল আগের মতোই। আবার আক্রান্ত হলেন স্কার্ভিতে।
এবার আর সুস্থ হওয়ার সময় পেলেন না। ১৯৭০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা গেলেন।
স্টার্কের মৃত্যুর পর স্কার্ভি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, ভিটামিন সি-এর অভাবে স্কার্ভি হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক-সব্জি খান না বলে সমুদ্রযাত্রীদের শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব হয়। পরিশেষে আক্রমণ করে স্কার্ভি। অর্থাৎ স্টার্কের অনুমান ও পরীক্ষা ঠিক ছিল।
স্টার্কের মৃত্যু হৃদয়বিদারক বটে। তবে এই মৃত্যুই তাঁকে অমর করে রেখেছে। স্কার্ভির হাত থেকে বেঁচে গেছেন পরবর্তী যুগের বিজ্ঞানীরা।
ধরা যাক, আপনি একটা রোগের ওষুধ আবিষ্কার করবেন। এ জন্য সবার আগে জানতে হবে রোগটার কারণ কী। রোগটা কি জীবাণুর কারণে হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে? জীবাণু হলে কী ধরনের জীবাণুর আক্রমণে হচ্ছে? ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়া? নাকি ছত্রাকের আক্রমণে? তেমনি এসব জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে কী করতে হবে, কী খেতে হবে- এসব জানাও জরুরি। ধরা যাক, আপনি একটা রোগের ওষুধ আবিষ্কার করবেন। এ জন্য সবার আগে জানতে হবে রোগটার কারণ কী। রোগটা কি জীবাণুর কারণে হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে? জীবাণু হলে কী ধরনের জীবাণুর আক্রমণে হচ্ছে? ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়া? নাকি ছত্রাকের আক্রমণে? তেমনি এসব জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে কী করতে হবে, কী খেতে হবে- এসব জানাও জরুরি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এসব আবিষ্কারের জন্য ইঁদুর কিংবা গিনিপিগের মতো প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা চালান। জীবাণুবাহিত রোগ হলে, এদের শরীরে সেই রোগের জীবাণু পুশ করা হয়। তারপর চলে প্রতিষেধক প্রয়োগ। এসব চিকিৎসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মারা যায় প্রাণিগুলো।
সব সময় বিজ্ঞানীদের হাতে এ সুযোগ থাকে না। তাই কিছু আবিষ্কারের জন্য নিজেকেই হতে হয় গিনিপিগ।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম স্টার্কের কথাই ধরুন৷ ভদ্রলোক গবেষণা করতে চেয়েছিলেন স্কার্ভি নিয়ে। স্কার্ভি এক ধরনের চর্মরোগ। যারা দীর্ঘদিন জাহাজে কাটাতেন তাঁদের হতো এ রোগ।।
অষ্টাদশ শতাব্দী তখন। এখনকার মতো আধুনিক সরঞ্জাম সেকালে ছিল না। তাই রোগ নির্ণয় বা রোগের কারণ জানা খুব কঠিন ছিল। কারণই যদি না জানা যায়, চিকিৎসা হবে কীভাবে। অথচ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে তখন।
স্টার্ক রীতিমতো গবেষণা শুরু করলেন। এক সময় একটা তত্ত্বও দাঁড় করিয়ে ফেললেন তিনি৷ স্টার্কের অনুমান, খ্যাদ্যাভ্যাসই এ রোগের কারণ। যারা দীর্ঘদিন জাহাজে ভ্রমণ করেন, তাঁদের দিনের পর দিন একই খাবার খেতে হয়। বিশেষ করে শুকনো মাংস, পনির ইত্যাদি। স্টার্ক ধারণা করেছিলেন, একমাত্র সুষম খাবারই পারে এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে৷
শুধু ধারণা করলে তো চলবে না। প্রমাণও করতে হবে।
এটা এমন একটা ধারণা, যা গিনিপিগ কিংবা ইঁদুরের মাধ্যমে পরীক্ষা করার উপায় নেই। তাই স্টার্ক নিজেই গিনিপিগ বনে গেলেন। দিনের পর দিন একই খাবারে খেতে লাগলেন। শুধু পনির আর পুডিং। এক সময় দেখা গেল তাঁর শরীরেও স্কার্ভি দেখা দিয়েছে। ১৭৬৯ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি প্রথমবার স্কার্ভিতে আক্রান্ত হন। এর পরপরই তিনি আবার সুষম খাবার গ্রহণ করতে থাকেন। খ্যাদ তালিকায় যুক্ত করন শাক-সব্জি। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর স্কার্ভি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেলো।
অর্থাৎ নিজের ধারণার সত্যতা পেলেন স্টার্ক। তাই তুমুল উৎসাহে আরেকবার পরীক্ষা করার কথা ভাবলেন। খাদ্য তালিকা থেকে শাক-সব্জি বাদ দিয়ে আবার পনির আর পুডিং খেতে শুরু করলেন। ফল আগের মতোই। আবার আক্রান্ত হলেন স্কার্ভিতে।
এবার আর সুস্থ হওয়ার সময় পেলেন না। ১৯৭০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা গেলেন।
স্টার্কের মৃত্যুর পর স্কার্ভি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, ভিটামিন সি-এর অভাবে স্কার্ভি হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক-সব্জি খান না বলে সমুদ্রযাত্রীদের শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব হয়। পরিশেষে আক্রমণ করে স্কার্ভি। অর্থাৎ স্টার্কের অনুমান ও পরীক্ষা ঠিক ছিল।
স্টার্কের মৃত্যু হৃদয়বিদারক বটে। তবে এই মৃত্যুই তাঁকে অমর করে রেখেছে। স্কার্ভির হাত থেকে বেঁচে গেছেন পরবর্তী যুগের বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
২ দিন আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
৩ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
৩ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
৩ দিন আগে