ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
খোলা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে যদি চারপাশে তাকান, দেখবেন দূরে গিয়ে আকাশ আর মাটি যেন একসঙ্গে মিশে গেছে। চোখে মনে হবে দুটো আলাদা নয়, একাকার হয়ে আছে। কিন্তু সত্যিই কি আকাশ আর মাটি এক হয়?
আসলে তা হয় না। এটা পুরোপুরি চোখের ভুল—একটা দৃষ্টিভ্রম। বিশ্বাস না হলে দিগন্তের দিকে দৌড়ে যান। দেখবেন, আপনি যতই এগোন, দিগন্তও তত দূরে সরে যাচ্ছে। আর যখন পৌঁছবেন সেই জায়গায়, যেখানে মনে হয়েছিল আকাশ আর মাটি মিশে আছে, তখন দেখবেন সবকিছু একেবারে স্বাভাবিক। বরং তখন আপনার মনে হবে, আপনি যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেখানেই আকাশ আর মাটি এক হয়ে আছে।
এইভাবে যেদিকেই তাকান না কেন, কেবল দূরেই মনে হবে আকাশ আর মাটি মিশেছে। কিন্তু কাছাকাছি কোথাও তা খুঁজে পাবেন না।
এমনটা কেন হয়?
আমাদের চোখের যে সীমা পর্যন্ত দেখা যায়, তাকে বলে দৃষ্টিসীমা। তত্ত্বগতভাবে মানুষের দৃষ্টিসীমা অসীম। না হলে আমরা এত দূরের তারা দেখতে পেতাম না। তবে ভূপৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে আমাদের দৃষ্টিসীমা সীমিত। কারণ পৃথিবী গোলাকার, সমতল নয়। গোলকের বক্রতার কারণে নির্দিষ্ট দূরত্বের পর আর কিছু দেখা যায় না। সেই নির্দিষ্ট সীমারেখাকেই বলা হয় দিগন্ত বা হরাইজন।
দিগন্তে আকাশ আর মাটির মাঝের ফাঁকটা চোখে সরলরেখার মতো লাগে। কিন্তু বাস্তবে সেখানে কোনো সীমারেখা নেই। এই অস্পষ্টতার কারণেই আমাদের চোখে মনে হয় আকাশ আর মাটি মিলেমিশে গেছে।
আকাশের রং আর মাটির রং অনেক সময় কাছাকাছি হয়ে যায়। বিশেষ করে ভোর বা সন্ধ্যায় যখন সূর্য ওঠে বা ডোবে, তখন আলো এমনভাবে প্রতিফলিত হয় যে দৃষ্টিভ্রম আরও বাড়ে। পানির ওপর যখন আকাশের প্রতিবিম্ব পড়ে, যেমন বড় নদী, লেক বা সমুদ্রের বুকে, তখন মনে হয় আকাশ আর পানি একেবারেই এক হয়ে গেছে।
শুধু তাই নয়, বাতাসে ধুলো বেশি থাকলে বা কুয়াশা জমলে আকাশ আর মাটির রং প্রায় একই দেখায়। তখনও মনে হয় তারা মিশে গেছে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেও সূর্যের আলো প্রবেশ করার সময় প্রতিফলিত ও প্রতিসরিত হয়। এর ফলে দিগন্তের কাছে আকাশ আর মাটির মাঝে কোনো স্পষ্ট পার্থক্য চোখে পড়ে না।
সব মিলিয়ে বলা যায়, দিগন্তে আকাশ আর মাটির মিশে যাওয়ার দৃশ্য আসলে একটা দৃষ্টিভ্রম। আমাদের চোখ যেমনটা দেখে, বাস্তবে ঠিক তেমনটা নয়। মানুষের দৃষ্টি আর আলো-ছায়ার খেলা মিলে এই ভ্রম তৈরি হয়।
সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস
খোলা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে যদি চারপাশে তাকান, দেখবেন দূরে গিয়ে আকাশ আর মাটি যেন একসঙ্গে মিশে গেছে। চোখে মনে হবে দুটো আলাদা নয়, একাকার হয়ে আছে। কিন্তু সত্যিই কি আকাশ আর মাটি এক হয়?
আসলে তা হয় না। এটা পুরোপুরি চোখের ভুল—একটা দৃষ্টিভ্রম। বিশ্বাস না হলে দিগন্তের দিকে দৌড়ে যান। দেখবেন, আপনি যতই এগোন, দিগন্তও তত দূরে সরে যাচ্ছে। আর যখন পৌঁছবেন সেই জায়গায়, যেখানে মনে হয়েছিল আকাশ আর মাটি মিশে আছে, তখন দেখবেন সবকিছু একেবারে স্বাভাবিক। বরং তখন আপনার মনে হবে, আপনি যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেখানেই আকাশ আর মাটি এক হয়ে আছে।
এইভাবে যেদিকেই তাকান না কেন, কেবল দূরেই মনে হবে আকাশ আর মাটি মিশেছে। কিন্তু কাছাকাছি কোথাও তা খুঁজে পাবেন না।
এমনটা কেন হয়?
আমাদের চোখের যে সীমা পর্যন্ত দেখা যায়, তাকে বলে দৃষ্টিসীমা। তত্ত্বগতভাবে মানুষের দৃষ্টিসীমা অসীম। না হলে আমরা এত দূরের তারা দেখতে পেতাম না। তবে ভূপৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে আমাদের দৃষ্টিসীমা সীমিত। কারণ পৃথিবী গোলাকার, সমতল নয়। গোলকের বক্রতার কারণে নির্দিষ্ট দূরত্বের পর আর কিছু দেখা যায় না। সেই নির্দিষ্ট সীমারেখাকেই বলা হয় দিগন্ত বা হরাইজন।
দিগন্তে আকাশ আর মাটির মাঝের ফাঁকটা চোখে সরলরেখার মতো লাগে। কিন্তু বাস্তবে সেখানে কোনো সীমারেখা নেই। এই অস্পষ্টতার কারণেই আমাদের চোখে মনে হয় আকাশ আর মাটি মিলেমিশে গেছে।
আকাশের রং আর মাটির রং অনেক সময় কাছাকাছি হয়ে যায়। বিশেষ করে ভোর বা সন্ধ্যায় যখন সূর্য ওঠে বা ডোবে, তখন আলো এমনভাবে প্রতিফলিত হয় যে দৃষ্টিভ্রম আরও বাড়ে। পানির ওপর যখন আকাশের প্রতিবিম্ব পড়ে, যেমন বড় নদী, লেক বা সমুদ্রের বুকে, তখন মনে হয় আকাশ আর পানি একেবারেই এক হয়ে গেছে।
শুধু তাই নয়, বাতাসে ধুলো বেশি থাকলে বা কুয়াশা জমলে আকাশ আর মাটির রং প্রায় একই দেখায়। তখনও মনে হয় তারা মিশে গেছে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেও সূর্যের আলো প্রবেশ করার সময় প্রতিফলিত ও প্রতিসরিত হয়। এর ফলে দিগন্তের কাছে আকাশ আর মাটির মাঝে কোনো স্পষ্ট পার্থক্য চোখে পড়ে না।
সব মিলিয়ে বলা যায়, দিগন্তে আকাশ আর মাটির মিশে যাওয়ার দৃশ্য আসলে একটা দৃষ্টিভ্রম। আমাদের চোখ যেমনটা দেখে, বাস্তবে ঠিক তেমনটা নয়। মানুষের দৃষ্টি আর আলো-ছায়ার খেলা মিলে এই ভ্রম তৈরি হয়।
সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস
থাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
১ দিন আগেশরৎকালে দিন আর রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বাড়তে শুরু করে। দিনে থাকে হালকা রোদ, আর রাতে আসে শীতলতা। এই পরিবর্তিত আবহাওয়া কাশগাছের ভেতরে হরমোনের মতো কিছু রাসায়নিক প্রক্রিয়া চালু করে, যা ফুল ফোটার সংকেত দেয়। উদ্ভিদতত্ত্বের গবেষকরা বলেন, প্রতিটি গাছেরই একটা নির্দিষ্ট "ফোটার মৌসুম" থাকে। কাশফুলের জন্য সেই
১ দিন আগেআবহাওয়াবিদদের ভাষায় নিম্নচাপ হলো একটি এমন আবহাওয়াগত পরিস্থিতি যেখানে বাতাসের চাপ চারপাশের তুলনায় কম হয়ে যায়। সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বাতাস সবসময় উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
১ দিন আগেইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
২ দিন আগে