ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটি অপরিহার্য অংশ। শুধু সৌন্দর্য নয়, চুল আমাদের ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটায়। তাই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য নানা রকম প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় হলো চুলের তেল। আমাদের দেশে নারকেল তেল, সরিষার তেল, তিলের তেল কিংবা আমন্ড তেল দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—চুলের যত্নে আসলেই কোন তেল সবচেয়ে উপকারী?
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চুলকে আর্দ্র রাখে, ভাঙন রোধ করে এবং মাথার তালুতে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল বা কোকোনাট অয়েলকে অনেক গবেষকই চুলের জন্য সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করেন। ২০০৩ সালে ভারতীয় গবেষক এ পার্বীনান্দন এবং কে শ্রীধর চুলের উপর তেলের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেন। তাঁরা দেখান, কোকোনাট অয়েল অন্যান্য তেলের তুলনায় চুলের গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় এবং ভেতর থেকে চুলকে মজবুত করে। তাঁদের মতে, “নারকেল তেলের ক্ষুদ্র অণু গঠন চুলের ভেতরে সহজেই ঢুকে পড়ে, যার ফলে এটি শুধু বাইরের আর্দ্রতা দেয় না বরং ভেতর থেকেও চুলকে শক্তিশালী করে।”
অন্যদিকে আমন্ড অয়েল বা বাদাম তেল ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ডঃ মাইকেল রিড বলেন, “ভিটামিন ই চুলের জন্য এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এটি মাথার তালুর কোষগুলোকে সুস্থ রাখে এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে।” এছাড়া আমন্ড তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলে একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে এবং চুলের খসখসে ভাব কমে।
অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলও চুলের জন্য খুবই উপকারী বলে ধরা হয়। ইতালির রোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ লুসিয়া বেল্লিনি বলেন, “অলিভ অয়েলে থাকা ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে মসৃণ করে এবং মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এটি মূলত চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।” ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে আসছেন, আর তাঁদের চুলের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা তার একটি জীবন্ত প্রমাণ।
সরিষার তেল বা মাস্টার্ড অয়েল দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল ব্যবহৃত। এতে প্রচুর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধে কার্যকর। কলকাতার জাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, “যাঁদের মাথার ত্বকে সহজেই খুশকি জমে বা চুলকানি হয়, তাঁদের জন্য সরিষার তেল কার্যকরী সমাধান হতে পারে।” তবে এর ঝাঁঝালো প্রকৃতির কারণে অনেকে সরিষার তেল ব্যবহার করতে অস্বস্তি বোধ করেন। তাই অনেক সময় নারকেল তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
আর্গান অয়েল, যেটি মরক্কোর একটি বিশেষ তেল, বর্তমানে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি মূলত “লিকুইড গোল্ড” নামে পরিচিত। মরক্কোর ইউনিভার্সিটি অফ আগাদিরের গবেষক ডঃ ফাতিমা এল হাজ্জি বলেন, “আর্গান অয়েল ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে, সিল্কি ভাব আনে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্প্লিট এন্ড প্রতিরোধ করে।” তবে এর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় আমাদের দেশে এটি সবার কাছে সহজলভ্য নয়।
চুলের যত্নে কোন তেল সবচেয়ে ভালো—এই প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ প্রতিটি মানুষের চুল ভিন্ন, মাথার ত্বক ভিন্ন এবং সমস্যাও আলাদা। যাঁদের চুল শুষ্ক, তাঁদের জন্য নারকেল তেল কিংবা আর্গান তেল উপকারী হতে পারে। যাঁদের চুল সহজে ভেঙে যায়, তাঁদের জন্য আমন্ড তেল ভালো ফল দিতে পারে। আবার মাথার ত্বকের সমস্যায় ভুগলে সরিষার তেল কার্যকর হতে পারে।
তেল ব্যবহারের পদ্ধতিও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে চুল ধোয়ার পরপরই তেল লাগান, যা আসলে ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, চুল ধোয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে ভালোভাবে তেল লাগানো উচিত। গরম করে হালকা উষ্ণ তেল মাথায় মালিশ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং তেল চুলের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। তবে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়, যা আবার খুশকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
আমাদের দেশের মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই চুলে তেল ব্যবহার করে অভ্যস্ত। কিন্তু পাশ্চাত্যে আগে এই অভ্যাস খুব একটা ছিল না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশেও চুলে তেল লাগানোর গুরুত্ব বেড়েছে। আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি-এর গবেষক ডঃ মেলিসা পিলার বলেন, “শুধু শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার যথেষ্ট নয়। চুলে তেল লাগানো একধরনের প্রাকৃতিক থেরাপি, যা চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়।”
তেল ব্যবহারের পাশাপাশি সুষম খাদ্যও চুলের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। যদি শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল না থাকে, তবে বাইরের যত্ন সত্ত্বেও চুল সুস্থ থাকবে না। তাই গবেষকরা বলছেন, ভেতর ও বাইরে—দুই দিক থেকেই যত্ন নিলে তবেই চুল দীর্ঘমেয়াদে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান থাকবে।
সবশেষে বলা যায়, চুলের যত্নে কোন তেল ভালো তার নির্দিষ্ট উত্তর নেই। নারকেল তেল, আমন্ড তেল, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল কিংবা আর্গান অয়েল—সবকটিরই আলাদা আলাদা উপকারিতা আছে। তাই নিজের চুলের ধরন, মাথার ত্বকের অবস্থা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তেল বেছে নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নিয়মিত ব্যবহার। মাঝে মধ্যে একদিন তেল লাগিয়ে রেখে দীর্ঘদিন অবহেলা করলে তেলের পূর্ণ উপকার পাওয়া সম্ভব নয়। নিয়মিত যত্ন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপমুক্ত জীবনই চুলকে দীর্ঘদিন সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পারে।
চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটি অপরিহার্য অংশ। শুধু সৌন্দর্য নয়, চুল আমাদের ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটায়। তাই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য নানা রকম প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় হলো চুলের তেল। আমাদের দেশে নারকেল তেল, সরিষার তেল, তিলের তেল কিংবা আমন্ড তেল দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—চুলের যত্নে আসলেই কোন তেল সবচেয়ে উপকারী?
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চুলকে আর্দ্র রাখে, ভাঙন রোধ করে এবং মাথার তালুতে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল বা কোকোনাট অয়েলকে অনেক গবেষকই চুলের জন্য সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করেন। ২০০৩ সালে ভারতীয় গবেষক এ পার্বীনান্দন এবং কে শ্রীধর চুলের উপর তেলের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেন। তাঁরা দেখান, কোকোনাট অয়েল অন্যান্য তেলের তুলনায় চুলের গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় এবং ভেতর থেকে চুলকে মজবুত করে। তাঁদের মতে, “নারকেল তেলের ক্ষুদ্র অণু গঠন চুলের ভেতরে সহজেই ঢুকে পড়ে, যার ফলে এটি শুধু বাইরের আর্দ্রতা দেয় না বরং ভেতর থেকেও চুলকে শক্তিশালী করে।”
অন্যদিকে আমন্ড অয়েল বা বাদাম তেল ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ডঃ মাইকেল রিড বলেন, “ভিটামিন ই চুলের জন্য এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এটি মাথার তালুর কোষগুলোকে সুস্থ রাখে এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে।” এছাড়া আমন্ড তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলে একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে এবং চুলের খসখসে ভাব কমে।
অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলও চুলের জন্য খুবই উপকারী বলে ধরা হয়। ইতালির রোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ লুসিয়া বেল্লিনি বলেন, “অলিভ অয়েলে থাকা ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে মসৃণ করে এবং মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এটি মূলত চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।” ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে আসছেন, আর তাঁদের চুলের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা তার একটি জীবন্ত প্রমাণ।
সরিষার তেল বা মাস্টার্ড অয়েল দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল ব্যবহৃত। এতে প্রচুর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধে কার্যকর। কলকাতার জাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, “যাঁদের মাথার ত্বকে সহজেই খুশকি জমে বা চুলকানি হয়, তাঁদের জন্য সরিষার তেল কার্যকরী সমাধান হতে পারে।” তবে এর ঝাঁঝালো প্রকৃতির কারণে অনেকে সরিষার তেল ব্যবহার করতে অস্বস্তি বোধ করেন। তাই অনেক সময় নারকেল তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
আর্গান অয়েল, যেটি মরক্কোর একটি বিশেষ তেল, বর্তমানে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি মূলত “লিকুইড গোল্ড” নামে পরিচিত। মরক্কোর ইউনিভার্সিটি অফ আগাদিরের গবেষক ডঃ ফাতিমা এল হাজ্জি বলেন, “আর্গান অয়েল ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে, সিল্কি ভাব আনে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্প্লিট এন্ড প্রতিরোধ করে।” তবে এর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় আমাদের দেশে এটি সবার কাছে সহজলভ্য নয়।
চুলের যত্নে কোন তেল সবচেয়ে ভালো—এই প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ প্রতিটি মানুষের চুল ভিন্ন, মাথার ত্বক ভিন্ন এবং সমস্যাও আলাদা। যাঁদের চুল শুষ্ক, তাঁদের জন্য নারকেল তেল কিংবা আর্গান তেল উপকারী হতে পারে। যাঁদের চুল সহজে ভেঙে যায়, তাঁদের জন্য আমন্ড তেল ভালো ফল দিতে পারে। আবার মাথার ত্বকের সমস্যায় ভুগলে সরিষার তেল কার্যকর হতে পারে।
তেল ব্যবহারের পদ্ধতিও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে চুল ধোয়ার পরপরই তেল লাগান, যা আসলে ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, চুল ধোয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে ভালোভাবে তেল লাগানো উচিত। গরম করে হালকা উষ্ণ তেল মাথায় মালিশ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং তেল চুলের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। তবে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়, যা আবার খুশকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
আমাদের দেশের মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই চুলে তেল ব্যবহার করে অভ্যস্ত। কিন্তু পাশ্চাত্যে আগে এই অভ্যাস খুব একটা ছিল না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশেও চুলে তেল লাগানোর গুরুত্ব বেড়েছে। আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি-এর গবেষক ডঃ মেলিসা পিলার বলেন, “শুধু শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার যথেষ্ট নয়। চুলে তেল লাগানো একধরনের প্রাকৃতিক থেরাপি, যা চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়।”
তেল ব্যবহারের পাশাপাশি সুষম খাদ্যও চুলের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। যদি শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল না থাকে, তবে বাইরের যত্ন সত্ত্বেও চুল সুস্থ থাকবে না। তাই গবেষকরা বলছেন, ভেতর ও বাইরে—দুই দিক থেকেই যত্ন নিলে তবেই চুল দীর্ঘমেয়াদে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান থাকবে।
সবশেষে বলা যায়, চুলের যত্নে কোন তেল ভালো তার নির্দিষ্ট উত্তর নেই। নারকেল তেল, আমন্ড তেল, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল কিংবা আর্গান অয়েল—সবকটিরই আলাদা আলাদা উপকারিতা আছে। তাই নিজের চুলের ধরন, মাথার ত্বকের অবস্থা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তেল বেছে নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নিয়মিত ব্যবহার। মাঝে মধ্যে একদিন তেল লাগিয়ে রেখে দীর্ঘদিন অবহেলা করলে তেলের পূর্ণ উপকার পাওয়া সম্ভব নয়। নিয়মিত যত্ন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপমুক্ত জীবনই চুলকে দীর্ঘদিন সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পারে।
থাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
১ দিন আগেশরৎকালে দিন আর রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বাড়তে শুরু করে। দিনে থাকে হালকা রোদ, আর রাতে আসে শীতলতা। এই পরিবর্তিত আবহাওয়া কাশগাছের ভেতরে হরমোনের মতো কিছু রাসায়নিক প্রক্রিয়া চালু করে, যা ফুল ফোটার সংকেত দেয়। উদ্ভিদতত্ত্বের গবেষকরা বলেন, প্রতিটি গাছেরই একটা নির্দিষ্ট "ফোটার মৌসুম" থাকে। কাশফুলের জন্য সেই
১ দিন আগেআবহাওয়াবিদদের ভাষায় নিম্নচাপ হলো একটি এমন আবহাওয়াগত পরিস্থিতি যেখানে বাতাসের চাপ চারপাশের তুলনায় কম হয়ে যায়। সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বাতাস সবসময় উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
১ দিন আগেইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
২ দিন আগে