অরুণ কুমার
যখন কোনো প্রশ্ন উত্তরকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রশ্নকেই, শেষমেষ আমাদের কাণ্ডজ্ঞানকে প্রতারিত করে কোনো সমাধান বেরোয় না, আমরা তখনই সেটাকে প্যারাডক্স বলি। কিন্তু প্যারাডক্স যে শুধু প্রশ্ন আর বাক্যের মারপ্যাঁছে হবে তা নয়। প্যারাডক্স হতে পারে সংখ্যার খেলাতেও কিংবা অসম্ভব কোনো ছবিতেও। তেমনি একটা প্যারাডক্স হলো বয়েলের পেয়ালা।
সপ্তদশ শতাব্দীতে আইরিশ বিজ্ঞানী রবার্ট বয়েল একটা অসম্ভব পেয়ালার ছবি আঁকেন। অবশ্য এমন পেয়ালা তৈরি অসম্ভব নয়, অসম্ভবটা হলো এর কর্মদক্ষতায়। বয়েলের পেয়ালার নিচের দিকে একটা বাঁকানো নল ছিল।
নলটা ক্রমেই সরু হয়ে উঠে গেছে ওপরের দিকে। নলের মাথাটা গিয়ে শেষ হয়েছে একেবারে পেয়ালের খোলামুখে গিয়ে।
এখন পেয়ালায় একবার পানি ভরে দিলেই চলে, নল বেয়ে সেই পানি গিয়ে পড়বে পাত্রের খোলামুখে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি নিচের নলে প্রবেশ করবে, সেই একই পরিমাণ পানি ওই সময়ে নল থেকে পানি পেয়ালায় পড়বে; এমনটাই ছিল বয়েলের কল্পনায়।
কিন্তু এ ধরনের কল্পনার বাস্তবায়ন কখনো সম্ভব নয়।
কেন নয়?
আছে বৈজ্ঞানিক বাধা। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো আসলে মানুষের তৈরি নয়। এগুলো প্রকৃতিতেই ছিল।
বিজ্ঞানীরা সেই নীতিগুলো খুঁজে বের করছেন, অর্থাৎ আবিষ্কার করেছেন। তাই এই নীতিগুলো চাইলেই বিজ্ঞানীরা পরিবর্তন করতে পারেন না। এই নীতিগুলার পরিবর্তন কিংবা সামান্য হেরফের করা, এমনকি একই আরো উন্নত করাও সম্ভব নয়। যদি কোনো সিস্টেম বা পরীক্ষা দেখা যায়, এই সূত্রগুলো ভুল প্রমাণিত হচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে সিস্টেম বা পরীক্ষাতেই সমস্যা আছে। এবং ভালো পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, আসলেই সেই সিস্টেমে গলদ আছে। এগুলোকেই সংরক্ষণশীলতার নীতি বলে। তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র হলো পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম সংরক্ষণশীল সূত্র। এই সূত্র বলে, বাহ্যিক কোনো বলপ্রয়োগ না করা হলে, কোনো সিস্টেম বা যন্ত্রকে দিয়ে অবিরাম কাজ করিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
বয়েলের পেয়ালাটা এই নীতিটার পরিপন্থী। এ পেয়ালা তৈরি আপনি করতে পারবেন, কিন্তু একে দিয়ে কখনোই কাজ করাতে পারবেন না। আপনি নিজেই এমন একটা পেয়ালা তৈরি করে কাজ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
যখন কোনো প্রশ্ন উত্তরকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রশ্নকেই, শেষমেষ আমাদের কাণ্ডজ্ঞানকে প্রতারিত করে কোনো সমাধান বেরোয় না, আমরা তখনই সেটাকে প্যারাডক্স বলি। কিন্তু প্যারাডক্স যে শুধু প্রশ্ন আর বাক্যের মারপ্যাঁছে হবে তা নয়। প্যারাডক্স হতে পারে সংখ্যার খেলাতেও কিংবা অসম্ভব কোনো ছবিতেও। তেমনি একটা প্যারাডক্স হলো বয়েলের পেয়ালা।
সপ্তদশ শতাব্দীতে আইরিশ বিজ্ঞানী রবার্ট বয়েল একটা অসম্ভব পেয়ালার ছবি আঁকেন। অবশ্য এমন পেয়ালা তৈরি অসম্ভব নয়, অসম্ভবটা হলো এর কর্মদক্ষতায়। বয়েলের পেয়ালার নিচের দিকে একটা বাঁকানো নল ছিল।
নলটা ক্রমেই সরু হয়ে উঠে গেছে ওপরের দিকে। নলের মাথাটা গিয়ে শেষ হয়েছে একেবারে পেয়ালের খোলামুখে গিয়ে।
এখন পেয়ালায় একবার পানি ভরে দিলেই চলে, নল বেয়ে সেই পানি গিয়ে পড়বে পাত্রের খোলামুখে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি নিচের নলে প্রবেশ করবে, সেই একই পরিমাণ পানি ওই সময়ে নল থেকে পানি পেয়ালায় পড়বে; এমনটাই ছিল বয়েলের কল্পনায়।
কিন্তু এ ধরনের কল্পনার বাস্তবায়ন কখনো সম্ভব নয়।
কেন নয়?
আছে বৈজ্ঞানিক বাধা। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো আসলে মানুষের তৈরি নয়। এগুলো প্রকৃতিতেই ছিল।
বিজ্ঞানীরা সেই নীতিগুলো খুঁজে বের করছেন, অর্থাৎ আবিষ্কার করেছেন। তাই এই নীতিগুলো চাইলেই বিজ্ঞানীরা পরিবর্তন করতে পারেন না। এই নীতিগুলার পরিবর্তন কিংবা সামান্য হেরফের করা, এমনকি একই আরো উন্নত করাও সম্ভব নয়। যদি কোনো সিস্টেম বা পরীক্ষা দেখা যায়, এই সূত্রগুলো ভুল প্রমাণিত হচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে সিস্টেম বা পরীক্ষাতেই সমস্যা আছে। এবং ভালো পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, আসলেই সেই সিস্টেমে গলদ আছে। এগুলোকেই সংরক্ষণশীলতার নীতি বলে। তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র হলো পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম সংরক্ষণশীল সূত্র। এই সূত্র বলে, বাহ্যিক কোনো বলপ্রয়োগ না করা হলে, কোনো সিস্টেম বা যন্ত্রকে দিয়ে অবিরাম কাজ করিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
বয়েলের পেয়ালাটা এই নীতিটার পরিপন্থী। এ পেয়ালা তৈরি আপনি করতে পারবেন, কিন্তু একে দিয়ে কখনোই কাজ করাতে পারবেন না। আপনি নিজেই এমন একটা পেয়ালা তৈরি করে কাজ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
১ দিন আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
২ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
২ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
২ দিন আগে