অরুণ কুমার
পাক্কা জহুরির কখনো রত্ন চিনতেন ভুল হয়। আর তেমনি এক ভুল করেছিলেন ইলেকট্রনের আবিষ্কারক জে জে টমসন। অথচ এই টমসনের হাত ধরেই বিজ্ঞান জগতে আলো ছড়িয়েছিলেন পরমাণুর সোলার সিস্টেম অ্যাটোম মডেলের প্রবক্তা আর্নেস্ট রাদারফোর্ড। রাদাফোর্ডের কাছেই দীক্ষা নিয়েছিলেন ডেনিস বিজ্ঞানী নীলস বোর। যিনি কোয়ান্টাম বিল্পবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
নিলস বোর তখন তরুণ। খুব ইচ্ছা ছিল টমসনের সঙ্গে কাজ করার। এ জন্য কেমব্রিজে আবেদনও করলেন। ১৯১১ সালে সেখান থেকে চিঠি এল। কেমব্রিজে পা রাখলেন বোর।
টমসন তখন বিখ্যাত ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরির পরিচালক। প্রথমেই টমসনের সঙ্গে পরিচিত হলেন বোর। থিসিস পেপারটাও ছিল সঙ্গে। এবার অবশ্য ইংরেজিতে অনুবাদ করেই এনেছেন।
শুধু থিসিস পেপার নয়, সঙ্গে নিয়ে যান থমসনের লেখা একটা বইও। বইটার কোথাও একটা ভুল ছিল। বোর পেপারটা টমসনকে দিয়েছিলেন পড়ার জন্য। আর সেই সঙ্গে টমসনের ভুলত্রুটির কথাও তুলেছিলেন।
টমসন বোধ হয় ভুলটা তখন মানতে পারেননি।
যা–ই হোক, টমসন বোরের থিসিস পেপারটা পড়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিলেন। কিন্তু কাজের চাপে তিনি সেটার কথা ভুলে যান। দিনের পর দিন কেটে যায়, টমসনের কাছ থেকে জবাব আসে না। বোর হতাশ হয়ে পড়েন।
মনের কোণে হয়তো একটা আশা ছিল, টমসন তাঁর পেপারটা পড়ে দেখবেন, তখন নিশ্চয়ই তিনি টমসনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন। কিন্তু সে সুযোগ আর হয়নি বোরের।
হতাশ বোর চলে গেলেন ম্যানচেস্টারে। সেখানকার ফিজিওলজি বিভাগের গবেষক লোরেল স্মিথ। টমসনের বাবার ছাত্র। তিনিই বোরকে পরিচয় করিয়ে দিলেন টমসনের একসময়ের শিষ্য রাদারফোর্ডের সঙ্গে। সেই বছরই রাদারফোর্ড তাঁর পরমাণু মডেল প্রকাশ করেছেন। রাদারফোর্ডের কাছ থেকে বোর পেলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা। সুযোগ পেলেন রাদারফোর্ডের অধীনে কাজ করার। ওদিকে টমসন নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ইলেকট্রন ও পরমাণুবিষয়ক কর্মকাণ্ড থেকে।
যখন মারা যান বোর, তখন বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানীদের কাতারে ঠাঁই পেয়ে গেছেন তিনি। টমমসনও নমস্য। নমস্য ব্যক্তিদেরও যে রত্ন চিনতে ভুল হয়, বোরের ঘটনা সে ব্যাপারটাই আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ইতিহাসকে।
সূত্র: ব্রিটানিকা
পাক্কা জহুরির কখনো রত্ন চিনতেন ভুল হয়। আর তেমনি এক ভুল করেছিলেন ইলেকট্রনের আবিষ্কারক জে জে টমসন। অথচ এই টমসনের হাত ধরেই বিজ্ঞান জগতে আলো ছড়িয়েছিলেন পরমাণুর সোলার সিস্টেম অ্যাটোম মডেলের প্রবক্তা আর্নেস্ট রাদারফোর্ড। রাদাফোর্ডের কাছেই দীক্ষা নিয়েছিলেন ডেনিস বিজ্ঞানী নীলস বোর। যিনি কোয়ান্টাম বিল্পবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
নিলস বোর তখন তরুণ। খুব ইচ্ছা ছিল টমসনের সঙ্গে কাজ করার। এ জন্য কেমব্রিজে আবেদনও করলেন। ১৯১১ সালে সেখান থেকে চিঠি এল। কেমব্রিজে পা রাখলেন বোর।
টমসন তখন বিখ্যাত ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরির পরিচালক। প্রথমেই টমসনের সঙ্গে পরিচিত হলেন বোর। থিসিস পেপারটাও ছিল সঙ্গে। এবার অবশ্য ইংরেজিতে অনুবাদ করেই এনেছেন।
শুধু থিসিস পেপার নয়, সঙ্গে নিয়ে যান থমসনের লেখা একটা বইও। বইটার কোথাও একটা ভুল ছিল। বোর পেপারটা টমসনকে দিয়েছিলেন পড়ার জন্য। আর সেই সঙ্গে টমসনের ভুলত্রুটির কথাও তুলেছিলেন।
টমসন বোধ হয় ভুলটা তখন মানতে পারেননি।
যা–ই হোক, টমসন বোরের থিসিস পেপারটা পড়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিলেন। কিন্তু কাজের চাপে তিনি সেটার কথা ভুলে যান। দিনের পর দিন কেটে যায়, টমসনের কাছ থেকে জবাব আসে না। বোর হতাশ হয়ে পড়েন।
মনের কোণে হয়তো একটা আশা ছিল, টমসন তাঁর পেপারটা পড়ে দেখবেন, তখন নিশ্চয়ই তিনি টমসনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন। কিন্তু সে সুযোগ আর হয়নি বোরের।
হতাশ বোর চলে গেলেন ম্যানচেস্টারে। সেখানকার ফিজিওলজি বিভাগের গবেষক লোরেল স্মিথ। টমসনের বাবার ছাত্র। তিনিই বোরকে পরিচয় করিয়ে দিলেন টমসনের একসময়ের শিষ্য রাদারফোর্ডের সঙ্গে। সেই বছরই রাদারফোর্ড তাঁর পরমাণু মডেল প্রকাশ করেছেন। রাদারফোর্ডের কাছ থেকে বোর পেলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা। সুযোগ পেলেন রাদারফোর্ডের অধীনে কাজ করার। ওদিকে টমসন নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ইলেকট্রন ও পরমাণুবিষয়ক কর্মকাণ্ড থেকে।
যখন মারা যান বোর, তখন বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানীদের কাতারে ঠাঁই পেয়ে গেছেন তিনি। টমমসনও নমস্য। নমস্য ব্যক্তিদেরও যে রত্ন চিনতে ভুল হয়, বোরের ঘটনা সে ব্যাপারটাই আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ইতিহাসকে।
সূত্র: ব্রিটানিকা
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
১ দিন আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
২ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
২ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
২ দিন আগে