অরুণ কুমার
চিকিৎসাবিজ্ঞানে যত বড় বড় আবিষ্কার, এর পেছনে রয়েছে গিনিপিগদের অবদান। ওষুধ আবিষ্কারের পর, সেটা ঠিকঠাক মতো তৈরি হলো কিনা, তা পরীক্ষার জন্য গিনিপিগের ওপর সেই ওষুধ প্রয়োগের রীতি চালু আছে। গিনিপিগ ছাড়াও ইঁদুর কিংবা বানরের ওপরও পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কখনো ইঁদুর-গিনিপিগে চলে না। সত্যিকার অর্থে প্রমাণ করতে গেলে মানুষের ওপরই প্রয়োগ করতে হয় ওষুধ। এতে কিন্তু সেই ব্যক্তির জীবন-সংশয়ও দেখা দিতে পারে। তাই পরীক্ষার জন্য গিনিপিগ মানব পাওয়াও সম্ভব নয় সব সময়। তখন খোদ বিজ্ঞানীই হয়তো গিনিপিগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এধরনের বহু ঘটনা রয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে। আজ রইল তেমনই এক গল্প।চিকিৎসাবিজ্ঞানে যত বড় বড় আবিষ্কার, এর পেছনে রয়েছে গিনিপিগদের অবদান। ওষুধ আবিষ্কারের পর, সেটা ঠিকঠাক মতো তৈরি হলো কিনা, তা পরীক্ষার জন্য গিনিপিগের ওপর সেই ওষুধ প্রয়োগের রীতি চালু আছে। গিনিপিগ ছাড়াও ইঁদুর কিংবা বানরের ওপরও পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কখনো ইঁদুর-গিনিপিগে চলে না। সত্যিকার অর্থে প্রমাণ করতে গেলে মানুষের ওপরই প্রয়োগ করতে হয় ওষুধ। এতে কিন্তু সেই ব্যক্তির জীবন-সংশয়ও দেখা দিতে পারে। তাই পরীক্ষার জন্য গিনিপিগ মানব পাওয়াও সম্ভব নয় সব সময়। তখন খোদ বিজ্ঞানীই হয়তো গিনিপিগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এধরনের বহু ঘটনা রয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে। আজ রইল তেমনই এক গল্প।
অস্ট্রেলিয়ার রয়্যাল পার্থ হাসপাতালের তরুণ প্যাথলজিস্ট রবিন ওয়ারেন ভয়ানক উত্তেজিত। কারণ বেশ কয়েকজন রোগীর শরীরে পাওয়া গেছে এক ধরনের জীবাণু। অথচ এদের দেহে জীবাণু পাওয়ার কথাই নয়। কারণ, এরা সবাই গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত। সে সময় ব্যারি মার্শাল নামে আরেক তরুণ চিকিৎসক সেই হাসাপাতালে গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। উত্তেজিত রবিন শরণাপন্ন হন মার্শালের। মার্শাল বেশ অবাক হন। গ্যাস্ট্রিক আলসারের কারণ হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে যা বলা আছে, তার সঙ্গে জীবাণুর সম্পর্ক থাকার কথা নয়।
গ্যাস্ট্রিক আমাদের দেশে খুব সাধারণ রোগ। বাইরের দেশেও কম নয়। একটা সময় পর্যন্ত গ্যাস্ট্রিক আলসারের পেছনে দায়ী করা হতো বিশেষ কিছু খাবার ও ঘুমের অভাবকে। এ ব্যাপারটা কিন্তু ফেলে দেওয়ার মতো নয়। রাতে যদি ভালো করে ঘুম না হয়, তাহলে পরদিন গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা আছে। তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও ছিল গৎবাঁধা। ভাজাপোড়া খাওয়া বাদ দাও, সময় মতো ঘুমাও আর অতিরিক্ত ঝাল খেও না। কিন্তু সাধারণ রোগিদের এ জন্য এ কথা ঠিক ছিল। কিন্তু যাদের গ্যাস্ট্রিক জটিল আকার ধারণ করেছে, আলসারের ঘা-তে ছেয়ে গেছে পাকস্থলি। তাদের অপরেশন ছাড়া নিস্তার নেই। অপরাশেন করেও যে জটিল রোগিরা পুরোপুরি সুস্থ হতেন তেমন নয়।
কিন্তু এর সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াদের সম্পর্ক আছে, এমন কথা কেউ দূর কল্পনাতেও আনেনি। কিন্তু দুই তরুণ সেই কাজটিই করলেন।
২.
বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক একটা জার্নালে একটা গবেষণাপত্র পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মফস্বলের হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও এক প্যাথোলজিস্ট। কিন্তু জার্নালের সম্পদকমণ্ডলি ছাপা তো দূরে থাক, এটাকে গুরুত্বই দিলেন না। এ অবস্থায় তরুণ দুই চিকিৎসক হতাশ হতে পারতেন। বাদ দিতে পারতেন তাদের গবেষণা।
কিন্তু তাঁরা নিজেদের কাজের ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী। জার্নালে ছাপ না হোক, তাঁরা প্রমাণ করবেনই তাঁদের ধারণাই ঠিক।
রবিন গ্যাস্ট্রিক রোগীদের নমুনায় ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়ার পর মার্শাল আরও কয়েকজন গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত রোগীর পাকস্থলি পরীক্ষা করেন। দেখেন, সবগুলোতে মিলছে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। তাঁরা এর নাম দিলেন হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি।
আরও বিস্তারিত গবেষণা দরকার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিয়ে তারা জোর গবেষণা শুরু করেন। ১০০ জন গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগির ওপর চলল পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রায় প্রত্যেকের দেহেই হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরির অস্তিত্ব মেলে। তাঁরা নিশ্চিত হন, নিজেদের তত্ত্বের ব্যাপারে। গবেষণা পত্র লেখেন। সেটা পাঠান ‘ল্যানসেট’-এ। ‘ল্যানসেট’ সেটা খারিজ করে দেয়।
৩.
শুধু ‘ল্যানসেট’ নয়, সেকালের কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বা গবেষক রবিন আর মার্শালের তত্ত্ব মানতে পারেননি। তাঁদের ভাষ্য ছিল, গ্যাস্ট্রিক হলে, পাকস্থলিতে প্রচুর অ্যাসিড জমা হয়। এই অ্যাসিডের ভেতর কোনো জীবাণুরই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কেউ কেউ বলেন, আমাদের অন্ত্রে অনেক উপকারী জীবাণু আছে, যেগুলো হজমে সাহায্য করে, রবিন-মার্শাল সম্ভবত সেগুলোরই একটা পাচ্ছেন পরীক্ষায়।
অর্থাৎ কিছুতেই রবিন-মার্শালের পরীক্ষার ফলকে তারা মানতে নারাজ। এর আরেকটা কারণ বোধহয়, তাঁরা পশ্চিমাবিশ্বের বড় কোনো গবেষণাগারে গবেষক নন। দূর অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত এক হাসাপাতালের দুই গবেষক বিশেষ পাত্তা না পেলেও আসলে বলার কিছু থাকে না।
কিন্তু মার্শাল জেদী, তিনি প্রমাণ পেয়েছেন। তাঁর গবেষণা পদ্ধতিতেও কোনো ভুল-চুক নেই। শুধু চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মানছেন না বলেই তো আর আবিষ্কার মিথ্যে হয়ে যায় না। তাই তিনি অন্য পথ ধরার কথা ভাবলেন। ভাবলেন, যদি সুস্থ কোনো মানুষের শরীরে এই ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করা হয়, তিনি যদি গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত হন তাহলে, আর কেউ তাঁদের অবহেলা করতে পারবে না। কিন্তু কে হবে গিনিপিগ। আর কারও করার চিন্তা করেননি মার্শাল। তিনি আলাসারের রোগির শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করেন। তারপর জীবাণু কালচার পদ্ধতিতে সেগুলোর সংখ্যা বাড়ান। এরপর গ্ল্যাস ভর্তি পানিতে মিশিয়ে ঢক ঢক করে গিলে ফেলেন।
দ্রুতই গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত হন মার্শাল। তারপর প্রচলিত আন্টোবায়োটিকের ফুল কোর্স খেয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই আবার সুস্থ হলেন। তখন নড়েচড়ে বসল বিজ্ঞানী সমাজ। এতদিন যারা অবহেলা করেছিলেন মার্শাল আর রবিনকে তাঁরা স্বীকৃতি দিতে শুরু করলেন।
মার্শালের এই গিনিপিগ হওয়টা চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ মার্শাল দেখিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু জীবাণুর কারণে আলসারে আক্রান্ত হচ্ছে রোগিরা, জটিল রোগীদেরও আর অপারেশনের দরকার নেই। এককোর্স অ্যান্টিবায়োটিক খাইয়ে দিলেই সেরে যাবে পাকস্থলির ক্ষত।
এ ঘটনাটা গত শতাব্দীর আশির দশকে। এই আবিষ্কারের জন্য রবিন ওয়ারেনের সঙ্গে মার্শালকেও চিকিৎসাবিজ্ঞানে হয় ২০০৫ সালে।
সূত্র: ব্রিটানিকা
চিকিৎসাবিজ্ঞানে যত বড় বড় আবিষ্কার, এর পেছনে রয়েছে গিনিপিগদের অবদান। ওষুধ আবিষ্কারের পর, সেটা ঠিকঠাক মতো তৈরি হলো কিনা, তা পরীক্ষার জন্য গিনিপিগের ওপর সেই ওষুধ প্রয়োগের রীতি চালু আছে। গিনিপিগ ছাড়াও ইঁদুর কিংবা বানরের ওপরও পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কখনো ইঁদুর-গিনিপিগে চলে না। সত্যিকার অর্থে প্রমাণ করতে গেলে মানুষের ওপরই প্রয়োগ করতে হয় ওষুধ। এতে কিন্তু সেই ব্যক্তির জীবন-সংশয়ও দেখা দিতে পারে। তাই পরীক্ষার জন্য গিনিপিগ মানব পাওয়াও সম্ভব নয় সব সময়। তখন খোদ বিজ্ঞানীই হয়তো গিনিপিগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এধরনের বহু ঘটনা রয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে। আজ রইল তেমনই এক গল্প।চিকিৎসাবিজ্ঞানে যত বড় বড় আবিষ্কার, এর পেছনে রয়েছে গিনিপিগদের অবদান। ওষুধ আবিষ্কারের পর, সেটা ঠিকঠাক মতো তৈরি হলো কিনা, তা পরীক্ষার জন্য গিনিপিগের ওপর সেই ওষুধ প্রয়োগের রীতি চালু আছে। গিনিপিগ ছাড়াও ইঁদুর কিংবা বানরের ওপরও পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কখনো ইঁদুর-গিনিপিগে চলে না। সত্যিকার অর্থে প্রমাণ করতে গেলে মানুষের ওপরই প্রয়োগ করতে হয় ওষুধ। এতে কিন্তু সেই ব্যক্তির জীবন-সংশয়ও দেখা দিতে পারে। তাই পরীক্ষার জন্য গিনিপিগ মানব পাওয়াও সম্ভব নয় সব সময়। তখন খোদ বিজ্ঞানীই হয়তো গিনিপিগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এধরনের বহু ঘটনা রয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে। আজ রইল তেমনই এক গল্প।
অস্ট্রেলিয়ার রয়্যাল পার্থ হাসপাতালের তরুণ প্যাথলজিস্ট রবিন ওয়ারেন ভয়ানক উত্তেজিত। কারণ বেশ কয়েকজন রোগীর শরীরে পাওয়া গেছে এক ধরনের জীবাণু। অথচ এদের দেহে জীবাণু পাওয়ার কথাই নয়। কারণ, এরা সবাই গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত। সে সময় ব্যারি মার্শাল নামে আরেক তরুণ চিকিৎসক সেই হাসাপাতালে গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। উত্তেজিত রবিন শরণাপন্ন হন মার্শালের। মার্শাল বেশ অবাক হন। গ্যাস্ট্রিক আলসারের কারণ হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে যা বলা আছে, তার সঙ্গে জীবাণুর সম্পর্ক থাকার কথা নয়।
গ্যাস্ট্রিক আমাদের দেশে খুব সাধারণ রোগ। বাইরের দেশেও কম নয়। একটা সময় পর্যন্ত গ্যাস্ট্রিক আলসারের পেছনে দায়ী করা হতো বিশেষ কিছু খাবার ও ঘুমের অভাবকে। এ ব্যাপারটা কিন্তু ফেলে দেওয়ার মতো নয়। রাতে যদি ভালো করে ঘুম না হয়, তাহলে পরদিন গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা আছে। তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও ছিল গৎবাঁধা। ভাজাপোড়া খাওয়া বাদ দাও, সময় মতো ঘুমাও আর অতিরিক্ত ঝাল খেও না। কিন্তু সাধারণ রোগিদের এ জন্য এ কথা ঠিক ছিল। কিন্তু যাদের গ্যাস্ট্রিক জটিল আকার ধারণ করেছে, আলসারের ঘা-তে ছেয়ে গেছে পাকস্থলি। তাদের অপরেশন ছাড়া নিস্তার নেই। অপরাশেন করেও যে জটিল রোগিরা পুরোপুরি সুস্থ হতেন তেমন নয়।
কিন্তু এর সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াদের সম্পর্ক আছে, এমন কথা কেউ দূর কল্পনাতেও আনেনি। কিন্তু দুই তরুণ সেই কাজটিই করলেন।
২.
বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক একটা জার্নালে একটা গবেষণাপত্র পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মফস্বলের হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও এক প্যাথোলজিস্ট। কিন্তু জার্নালের সম্পদকমণ্ডলি ছাপা তো দূরে থাক, এটাকে গুরুত্বই দিলেন না। এ অবস্থায় তরুণ দুই চিকিৎসক হতাশ হতে পারতেন। বাদ দিতে পারতেন তাদের গবেষণা।
কিন্তু তাঁরা নিজেদের কাজের ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী। জার্নালে ছাপ না হোক, তাঁরা প্রমাণ করবেনই তাঁদের ধারণাই ঠিক।
রবিন গ্যাস্ট্রিক রোগীদের নমুনায় ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়ার পর মার্শাল আরও কয়েকজন গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত রোগীর পাকস্থলি পরীক্ষা করেন। দেখেন, সবগুলোতে মিলছে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। তাঁরা এর নাম দিলেন হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি।
আরও বিস্তারিত গবেষণা দরকার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিয়ে তারা জোর গবেষণা শুরু করেন। ১০০ জন গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগির ওপর চলল পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রায় প্রত্যেকের দেহেই হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরির অস্তিত্ব মেলে। তাঁরা নিশ্চিত হন, নিজেদের তত্ত্বের ব্যাপারে। গবেষণা পত্র লেখেন। সেটা পাঠান ‘ল্যানসেট’-এ। ‘ল্যানসেট’ সেটা খারিজ করে দেয়।
৩.
শুধু ‘ল্যানসেট’ নয়, সেকালের কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বা গবেষক রবিন আর মার্শালের তত্ত্ব মানতে পারেননি। তাঁদের ভাষ্য ছিল, গ্যাস্ট্রিক হলে, পাকস্থলিতে প্রচুর অ্যাসিড জমা হয়। এই অ্যাসিডের ভেতর কোনো জীবাণুরই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কেউ কেউ বলেন, আমাদের অন্ত্রে অনেক উপকারী জীবাণু আছে, যেগুলো হজমে সাহায্য করে, রবিন-মার্শাল সম্ভবত সেগুলোরই একটা পাচ্ছেন পরীক্ষায়।
অর্থাৎ কিছুতেই রবিন-মার্শালের পরীক্ষার ফলকে তারা মানতে নারাজ। এর আরেকটা কারণ বোধহয়, তাঁরা পশ্চিমাবিশ্বের বড় কোনো গবেষণাগারে গবেষক নন। দূর অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত এক হাসাপাতালের দুই গবেষক বিশেষ পাত্তা না পেলেও আসলে বলার কিছু থাকে না।
কিন্তু মার্শাল জেদী, তিনি প্রমাণ পেয়েছেন। তাঁর গবেষণা পদ্ধতিতেও কোনো ভুল-চুক নেই। শুধু চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মানছেন না বলেই তো আর আবিষ্কার মিথ্যে হয়ে যায় না। তাই তিনি অন্য পথ ধরার কথা ভাবলেন। ভাবলেন, যদি সুস্থ কোনো মানুষের শরীরে এই ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করা হয়, তিনি যদি গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত হন তাহলে, আর কেউ তাঁদের অবহেলা করতে পারবে না। কিন্তু কে হবে গিনিপিগ। আর কারও করার চিন্তা করেননি মার্শাল। তিনি আলাসারের রোগির শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করেন। তারপর জীবাণু কালচার পদ্ধতিতে সেগুলোর সংখ্যা বাড়ান। এরপর গ্ল্যাস ভর্তি পানিতে মিশিয়ে ঢক ঢক করে গিলে ফেলেন।
দ্রুতই গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত হন মার্শাল। তারপর প্রচলিত আন্টোবায়োটিকের ফুল কোর্স খেয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই আবার সুস্থ হলেন। তখন নড়েচড়ে বসল বিজ্ঞানী সমাজ। এতদিন যারা অবহেলা করেছিলেন মার্শাল আর রবিনকে তাঁরা স্বীকৃতি দিতে শুরু করলেন।
মার্শালের এই গিনিপিগ হওয়টা চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ মার্শাল দেখিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু জীবাণুর কারণে আলসারে আক্রান্ত হচ্ছে রোগিরা, জটিল রোগীদেরও আর অপারেশনের দরকার নেই। এককোর্স অ্যান্টিবায়োটিক খাইয়ে দিলেই সেরে যাবে পাকস্থলির ক্ষত।
এ ঘটনাটা গত শতাব্দীর আশির দশকে। এই আবিষ্কারের জন্য রবিন ওয়ারেনের সঙ্গে মার্শালকেও চিকিৎসাবিজ্ঞানে হয় ২০০৫ সালে।
সূত্র: ব্রিটানিকা
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
১ দিন আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
২ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
২ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
২ দিন আগে