ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
সংস্কার ও জুলাই সনদসহ বেশ কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত হলেও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি তাকে ধন্যবাদ জানালেও সংস্কার আর জুলাই সনদ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এনসিপি। আবার এসব বিষয়ে ইউনূসের প্রতিই আস্থা রাখছে আরেক বড় দল জামায়াত।
গত বুধবার (৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর রাত ৮টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হবে। নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের প্রত্যেককে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে রিভিউ করা হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়ক ও অন্যান্য নির্বাচনি প্রস্তুতি ছাড়াও সামনের মাসগুলোতে কঠোর আইন প্রয়োগে ইউনূসের নির্দেশনার কথাও জানান প্রেস সচিব।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক'হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি। ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করার ঘোষণা দেয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানায় দলটি।
আর নির্বাচন ও সংস্কারসহ সব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরই আস্থা রাখার কথা বলছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও, সুষ্ঠু পরিবেশ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যেন নিশ্চিত হয়।
তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার আর জুলাই সনদ নিয়ে শঙ্কায় জাতীয় নাগরিক পার্টি - এনসিপি। দলটির নেতারা বলেছেন, 'দুইবার জুলাই ঘোষণাপত্র দেয়ার কথা বলেও দেয়নি সরকার। কোন জায়গায় বাধা এ বিষয়টিও সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা জরুরি।'
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে অথবা এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, এমন ঘোষণা আগেই দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে সংস্কার ও নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। যৌক্তিক সংস্কার শেষে সামনের বছর রোজার আগেই নির্বাচনে আগ্রহী বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল। আর মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলছে জামায়াত ও এনসিপিসহ অনেকে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ প্রস্তুত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, যে সব বিষয়ে আলোচনা অগ্রসর হয়েছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায় কমিশন।
এই প্রেক্ষাপটে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে অনেক রাজনৈতিক দল। তারা বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হলে ভোটের প্রস্তুতি এখন থেকেই নেয়া জরুরি। তবে সংস্কার ও জুলাই সনদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন কেউ কেউ।
এনসিপি'র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, 'নির্বাচনের তারিখ ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমাদের সমস্যা না, আমাদের মূল কথা হলো, মৌলিক সংস্কার ও জুলাই সনদের ঘোষণাপত্রের দৃশ্যমান পদক্ষেপ। এই দুটি করে দ্রুত ইলেকশনের দিকে যেতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।'
রাজনৈতিক দলগুলো আন্তরিক হলে নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও জুলাই সনদের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব বলেই মনে করেন তিনি। 'এটা চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভব,' যোগ করেন আদীব।
অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থার পাশাপাশি শঙ্কাও রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির।
তবে সরকারের ওপর আস্থা রাখছে জামায়াতে ইসলামী। রোজার আগে বা পরে নির্বাচনের সময় নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা নেই দলটির। সুষ্ঠু পরিবেশ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার বিষয়টিই প্রধান হিসেবে দেখছেন তারা।
দলটির মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, 'নির্বাচন যেন সবদিক থেকে সুষ্ঠু হয় এবং ফ্যাসিবাদ যাতে ফিরে না আসে এমন একটা সংস্কার হওয়া উচিৎ। আমরা আস্থা রাখতে চাই, যে কমিটমেন্ট সরকার ও নির্বাচন কমিশন দিয়েছেন জাতির সামনে, সেগুলো ওনারা রক্ষা করবেন।'
অবশ্য গত ১৮ জুন ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের পর, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এক বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, 'যিনি একটা বিল্ডিংয়ের তালা খোলার মতো ব্যবস্থা করতে পারেন নাই এক মাসেও, ৩০০টা কনস্টিটিউয়েন্সিতে (নির্বাচনি আসন) উনি কীভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবেন, এটা খুবই একটা বিস্ময়ের ব্যাপার।'
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি শেষ করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ নিয়ে কথা বলেছে বিএনপিও। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে এই পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'এটা একটা অত্যন্ত ইতিবাচক ব্যাপার। এই নির্বাচন যেন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।'
এই সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সেরে কমিশন একটি নির্বাচনের দিকে এগোবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, 'নির্বাচন দেশের মানুষ চায়, যত দ্রুত সম্ভব দেশে একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের দিকে যেতে চাই আমরা।'
অতীতে বেশিরভাগ সময় জাতীয় নির্বাচনের অন্তত দেড় বছর আগে রোডম্যাপ প্রকাশ করতে দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি শুরু অথবা এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা আসলেও এখনো আনুষ্ঠানিক রোডম্যাপ দেয়নি নির্বাচন কমিশন। যদিও সরকারের ঘোষণা অনুয়ায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে - প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর থেকেই কমিশন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
নির্বাচন আয়োজন নিয়ে খুব একটা সমস্যা দেখছেন না নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাও। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম বলেন, 'বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, অসম্ভব নয়।'
তিনি বলেন, ভোটার তালিকার ওপর নির্বাচনের বড় একটি প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। কেননা ভোটার তালিকার ওপর নির্ভর করেই ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি, সীমানা চূড়ান্তসহ নির্বাচন কেন্দ্রিক বড় প্রস্তুতি নিতে হয়। এছাড়াও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের মতো কাজগুলোও সময়সাপেক্ষ।
তবে আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।
সংস্কার ও জুলাই সনদসহ বেশ কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত হলেও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি তাকে ধন্যবাদ জানালেও সংস্কার আর জুলাই সনদ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এনসিপি। আবার এসব বিষয়ে ইউনূসের প্রতিই আস্থা রাখছে আরেক বড় দল জামায়াত।
গত বুধবার (৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর রাত ৮টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হবে। নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের প্রত্যেককে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে রিভিউ করা হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়ক ও অন্যান্য নির্বাচনি প্রস্তুতি ছাড়াও সামনের মাসগুলোতে কঠোর আইন প্রয়োগে ইউনূসের নির্দেশনার কথাও জানান প্রেস সচিব।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক'হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি। ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করার ঘোষণা দেয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানায় দলটি।
আর নির্বাচন ও সংস্কারসহ সব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরই আস্থা রাখার কথা বলছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও, সুষ্ঠু পরিবেশ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যেন নিশ্চিত হয়।
তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার আর জুলাই সনদ নিয়ে শঙ্কায় জাতীয় নাগরিক পার্টি - এনসিপি। দলটির নেতারা বলেছেন, 'দুইবার জুলাই ঘোষণাপত্র দেয়ার কথা বলেও দেয়নি সরকার। কোন জায়গায় বাধা এ বিষয়টিও সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা জরুরি।'
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে অথবা এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, এমন ঘোষণা আগেই দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে সংস্কার ও নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। যৌক্তিক সংস্কার শেষে সামনের বছর রোজার আগেই নির্বাচনে আগ্রহী বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল। আর মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলছে জামায়াত ও এনসিপিসহ অনেকে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ প্রস্তুত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, যে সব বিষয়ে আলোচনা অগ্রসর হয়েছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায় কমিশন।
এই প্রেক্ষাপটে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে অনেক রাজনৈতিক দল। তারা বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হলে ভোটের প্রস্তুতি এখন থেকেই নেয়া জরুরি। তবে সংস্কার ও জুলাই সনদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন কেউ কেউ।
এনসিপি'র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, 'নির্বাচনের তারিখ ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমাদের সমস্যা না, আমাদের মূল কথা হলো, মৌলিক সংস্কার ও জুলাই সনদের ঘোষণাপত্রের দৃশ্যমান পদক্ষেপ। এই দুটি করে দ্রুত ইলেকশনের দিকে যেতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।'
রাজনৈতিক দলগুলো আন্তরিক হলে নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও জুলাই সনদের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব বলেই মনে করেন তিনি। 'এটা চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভব,' যোগ করেন আদীব।
অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থার পাশাপাশি শঙ্কাও রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির।
তবে সরকারের ওপর আস্থা রাখছে জামায়াতে ইসলামী। রোজার আগে বা পরে নির্বাচনের সময় নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা নেই দলটির। সুষ্ঠু পরিবেশ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার বিষয়টিই প্রধান হিসেবে দেখছেন তারা।
দলটির মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, 'নির্বাচন যেন সবদিক থেকে সুষ্ঠু হয় এবং ফ্যাসিবাদ যাতে ফিরে না আসে এমন একটা সংস্কার হওয়া উচিৎ। আমরা আস্থা রাখতে চাই, যে কমিটমেন্ট সরকার ও নির্বাচন কমিশন দিয়েছেন জাতির সামনে, সেগুলো ওনারা রক্ষা করবেন।'
অবশ্য গত ১৮ জুন ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের পর, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এক বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, 'যিনি একটা বিল্ডিংয়ের তালা খোলার মতো ব্যবস্থা করতে পারেন নাই এক মাসেও, ৩০০টা কনস্টিটিউয়েন্সিতে (নির্বাচনি আসন) উনি কীভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবেন, এটা খুবই একটা বিস্ময়ের ব্যাপার।'
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি শেষ করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ নিয়ে কথা বলেছে বিএনপিও। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে এই পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'এটা একটা অত্যন্ত ইতিবাচক ব্যাপার। এই নির্বাচন যেন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।'
এই সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সেরে কমিশন একটি নির্বাচনের দিকে এগোবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, 'নির্বাচন দেশের মানুষ চায়, যত দ্রুত সম্ভব দেশে একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের দিকে যেতে চাই আমরা।'
অতীতে বেশিরভাগ সময় জাতীয় নির্বাচনের অন্তত দেড় বছর আগে রোডম্যাপ প্রকাশ করতে দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি শুরু অথবা এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা আসলেও এখনো আনুষ্ঠানিক রোডম্যাপ দেয়নি নির্বাচন কমিশন। যদিও সরকারের ঘোষণা অনুয়ায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে - প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর থেকেই কমিশন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
নির্বাচন আয়োজন নিয়ে খুব একটা সমস্যা দেখছেন না নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাও। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম বলেন, 'বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, অসম্ভব নয়।'
তিনি বলেন, ভোটার তালিকার ওপর নির্বাচনের বড় একটি প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। কেননা ভোটার তালিকার ওপর নির্ভর করেই ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি, সীমানা চূড়ান্তসহ নির্বাচন কেন্দ্রিক বড় প্রস্তুতি নিতে হয়। এছাড়াও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের মতো কাজগুলোও সময়সাপেক্ষ।
তবে আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।
যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেন, তখন আবার সম্পর্ক উষ্ণ হলো। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন, মার্কিন দূতাবাস সেখানে স্থানান্তর করলেন এবং গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে মেনে নিলেন। এ সময়ের নীতিগুলো ফিলিস্তিনের জন্য ছিল বড় ধাক্কা।
১ দিন আগে'শাপলা' প্রতীককে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ বিষয়ে ইসির ব্যাখ্যাকে অগ্রহণযোগ্য বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
১ দিন আগেকোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই গঠনতন্ত্রে দেওয়া ক্ষমতাবলে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হব চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়েছেন জি এম কাদের। সব মিলিয়ে ১১ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় জাপার ভেতর-বাইরে চলছে তোলপাড়।
১ দিন আগেতিনি বলেন, অতীতেও কোনো কোনো দল শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, কিন্তু দেওয়া হয়নি। জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে আইন আছে। তবে জাতীয় ফুল বা ফলের বিষয়ে আইন করা হয়নি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগে