ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
মানব মস্তিষ্ক একটি জটিল এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ, যা শরীরের সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এই মস্তিষ্কেই যদি কোনো কোষ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে এবং একটি গঠন তৈরি করে, তখন তাকে বলা হয় ব্রেন টিউমার। টিউমার শব্দটি শুনলেই আমাদের মধ্যে একটা ভয় তৈরি হয়। কারণ এটি প্রায়ই ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। তবে সব ব্রেন টিউমারই ক্যানসারাস নয়। কিছু টিউমার ‘বেনাইন’ বা অক্ষতিকর, আবার কিছু টিউমার হয় ‘ম্যালিগন্যান্ট’ বা ক্যানসারাস। কিন্তু এই টিউমার কেন হয়? এর পেছনে কী কী কারণ কাজ করে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব এই সহজ-সরল লেখায়।
ব্রেন টিউমার হতে পারে দুটি প্রধান উৎস থেকে। এক, মস্তিষ্কের ভেতরে নিজে থেকেই জন্ম নিতে পারে—যাকে বলা হয় 'প্রাইমারি ব্রেন টিউমার'; দুই, শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে ক্যানসার হওয়ার পর সেটি রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে—যাকে বলা হয় 'মেটাস্ট্যাটিক ব্রেন টিউমার'।
প্রাইমারি ব্রেন টিউমার তৈরি হয় যখন মস্তিষ্কের কোষ, স্নায়ুকোষ, ঝিল্লি (যাকে মেনিনজেস বলা হয়), বা রক্তনালির কোষগুলো নিজেদের অস্বাভাবিকভাবে বিভাজন করতে থাকে। সাধারণভাবে শরীরের কোষেরা একটা নির্দিষ্ট নিয়মে বিভক্ত হয় এবং বৃদ্ধির একটা সীমা থাকে। কিন্তু কোনো কারণে জেনেটিক মিউটেশন বা অন্য কোনো কারণবশত যদি সেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়, তাহলে কোষেরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে এবং একসময় একটি টিউমার তৈরি হয়।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট’-এর গবেষক ড. রেবেকা এলেন বলেন, “আমাদের শরীরের কোষ প্রতিনিয়ত কপি হতে থাকে। এই কপি করার সময় কখনো কখনো সামান্য ভুল হয়। এই ভুলগুলো জমতে জমতে এক সময় বিপজ্জনক রূপ নেয় এবং সেখান থেকেই টিউমার জন্ম নিতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “সব মিউটেশন টিউমার সৃষ্টি করে না, কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু মিউটেশন যদি একসঙ্গে ঘটে, তাহলে সেটি ব্রেন টিউমারের জন্ম দিতে পারে।”
তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এই মিউটেশন বা পরিবর্তন হঠাৎ কেন হয়? এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে একটি বড় কারণ হলো—জেনেটিক ঝুঁকি। অর্থাৎ যদি পরিবারের কারো আগে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে, তাহলে অন্য সদস্যদের মধ্যে সেই ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে। আবার দীর্ঘ সময় ধরে কোনো রেডিয়েশনের সংস্পর্শে থাকা, বিশেষ করে হাই ইনটেনসিটি আয়নাইজিং রেডিয়েশন—যেমন এক্স-রে বা গামা রশ্মি, সেটিও ঝুঁকি বাড়ায়।
‘মায়ো ক্লিনিক’-এর নিউরোঅঙ্কোলজিস্ট ড. জন বেনেট বলেন, “রেডিয়েশনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংস্পর্শ ব্রেন টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কোষের জেনেটিক স্ট্রাকচারে বিঘ্ন ঘটায়। এর ফলেই মিউটেশন হতে পারে এবং তা থেকে টিউমার গড়ে উঠতে পারে।”
এছাড়া পরিবেশগত কিছু উপাদান—যেমন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ, কীটনাশক, হেভি মেটাল ইত্যাদির সঙ্গে দীর্ঘ সময় সংস্পর্শ থাকাও টিউমার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও এসব বিষয়ে এখনও শতভাগ নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হলো—বাড়তি মোবাইল ফোন ব্যবহার। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বহু বছর ধরেই একদল বিজ্ঞানী বলে আসছেন যে, মোবাইল ফোন থেকে নির্গত ‘নন-আয়নাইজিং রেডিয়েশন’ মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন)-এর মতে, এখন পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহারের সঙ্গে সরাসরি ব্রেন টিউমারের সম্পর্ক স্থাপনের মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।
একটি চমকপ্রদ গবেষণা পরিচালনা করেছেন ইউরোপিয়ান মেডিকেল ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. আলেকজান্ডার স্ট্রুম। তিনি বলেন, “আমরা প্রায় ৫,০০০ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়েছি, যাঁদের মধ্যে কিছু ব্রেন টিউমার আক্রান্ত এবং কিছু সুস্থ মানুষ। দেখা গেছে, যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে কীটনাশক, রং, পেট্রোলিয়াম জাতীয় রাসায়নিকের সংস্পর্শে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে টিউমারের হার তুলনামূলক বেশি।”
বয়সও ব্রেন টিউমার হওয়ার একটি বড় ফ্যাক্টর। সাধারণত ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের মধ্যে টিউমারের ঝুঁকি বেশি থাকে, কারণ বয়সের সঙ্গে কোষ বিভাজনের ভুলের হারও বাড়ে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে শিশুরাও ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের কিছু নির্দিষ্ট ধরনের টিউমার—যেমন মিডালাব্লাস্টোমা বা অ্যাস্ট্রোসাইটোমা—তাদের মস্তিষ্কে তৈরি হয়।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয়, তাহলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এই কারণেই এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের বা অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট হওয়া ব্যক্তিদের টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি।
এই লেখার শেষ দিকে এসে আমরা যেটা বুঝতে পারি, তা হলো—ব্রেন টিউমার হওয়ার পেছনে কোনো একটি একক কারণ কাজ করে না। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া, যেখানে জিনগত, পরিবেশগত, এবং জীবনযাত্রাগত বহু উপাদান মিলে একসঙ্গে কাজ করে। যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে এখন অনেক ধরনের ব্রেন টিউমার নিরাময়যোগ্য বা নিয়ন্ত্রণযোগ্য, তবে সচেতনতা এবং প্রাথমিক লক্ষণ চিহ্নিত করার দক্ষতাই হতে পারে এর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা।
গবেষক ড. রেবেকা এলেন বলেন, “প্রথম দিকে যদি ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে, তবে চিকিৎসায় সফলতার হার অনেক বেশি। এজন্য মাথাব্যথা, ঝিমঝিম ভাব, বমি, চোখে ঝাপসা দেখা, বা আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়।”
সবশেষে বলা যায়, ব্রেন টিউমার এক ভয়াবহ ও জটিল রোগ হলেও, এটা অনিবার্য নয়। সতর্কতা, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, এবং সন্দেহজনক উপসর্গের সময়মতো পরীক্ষা করানোই হতে পারে টিউমারের হাত থেকে মুক্তির চাবিকাঠি। আমাদের উচিত হবে এই বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা পদ্ধতির সুযোগকে সহজলভ্য করা। কারণ, মাথার ভেতরে বেড়ে ওঠা নিঃশব্দ এই শত্রুকে হারাতে হলে, আমাদের চাই সময়মতো প্রস্তুতি ও সচেতনতা।
মানব মস্তিষ্ক একটি জটিল এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ, যা শরীরের সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এই মস্তিষ্কেই যদি কোনো কোষ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে এবং একটি গঠন তৈরি করে, তখন তাকে বলা হয় ব্রেন টিউমার। টিউমার শব্দটি শুনলেই আমাদের মধ্যে একটা ভয় তৈরি হয়। কারণ এটি প্রায়ই ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। তবে সব ব্রেন টিউমারই ক্যানসারাস নয়। কিছু টিউমার ‘বেনাইন’ বা অক্ষতিকর, আবার কিছু টিউমার হয় ‘ম্যালিগন্যান্ট’ বা ক্যানসারাস। কিন্তু এই টিউমার কেন হয়? এর পেছনে কী কী কারণ কাজ করে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব এই সহজ-সরল লেখায়।
ব্রেন টিউমার হতে পারে দুটি প্রধান উৎস থেকে। এক, মস্তিষ্কের ভেতরে নিজে থেকেই জন্ম নিতে পারে—যাকে বলা হয় 'প্রাইমারি ব্রেন টিউমার'; দুই, শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে ক্যানসার হওয়ার পর সেটি রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে—যাকে বলা হয় 'মেটাস্ট্যাটিক ব্রেন টিউমার'।
প্রাইমারি ব্রেন টিউমার তৈরি হয় যখন মস্তিষ্কের কোষ, স্নায়ুকোষ, ঝিল্লি (যাকে মেনিনজেস বলা হয়), বা রক্তনালির কোষগুলো নিজেদের অস্বাভাবিকভাবে বিভাজন করতে থাকে। সাধারণভাবে শরীরের কোষেরা একটা নির্দিষ্ট নিয়মে বিভক্ত হয় এবং বৃদ্ধির একটা সীমা থাকে। কিন্তু কোনো কারণে জেনেটিক মিউটেশন বা অন্য কোনো কারণবশত যদি সেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়, তাহলে কোষেরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে এবং একসময় একটি টিউমার তৈরি হয়।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট’-এর গবেষক ড. রেবেকা এলেন বলেন, “আমাদের শরীরের কোষ প্রতিনিয়ত কপি হতে থাকে। এই কপি করার সময় কখনো কখনো সামান্য ভুল হয়। এই ভুলগুলো জমতে জমতে এক সময় বিপজ্জনক রূপ নেয় এবং সেখান থেকেই টিউমার জন্ম নিতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “সব মিউটেশন টিউমার সৃষ্টি করে না, কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু মিউটেশন যদি একসঙ্গে ঘটে, তাহলে সেটি ব্রেন টিউমারের জন্ম দিতে পারে।”
তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এই মিউটেশন বা পরিবর্তন হঠাৎ কেন হয়? এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে একটি বড় কারণ হলো—জেনেটিক ঝুঁকি। অর্থাৎ যদি পরিবারের কারো আগে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে, তাহলে অন্য সদস্যদের মধ্যে সেই ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে। আবার দীর্ঘ সময় ধরে কোনো রেডিয়েশনের সংস্পর্শে থাকা, বিশেষ করে হাই ইনটেনসিটি আয়নাইজিং রেডিয়েশন—যেমন এক্স-রে বা গামা রশ্মি, সেটিও ঝুঁকি বাড়ায়।
‘মায়ো ক্লিনিক’-এর নিউরোঅঙ্কোলজিস্ট ড. জন বেনেট বলেন, “রেডিয়েশনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংস্পর্শ ব্রেন টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কোষের জেনেটিক স্ট্রাকচারে বিঘ্ন ঘটায়। এর ফলেই মিউটেশন হতে পারে এবং তা থেকে টিউমার গড়ে উঠতে পারে।”
এছাড়া পরিবেশগত কিছু উপাদান—যেমন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ, কীটনাশক, হেভি মেটাল ইত্যাদির সঙ্গে দীর্ঘ সময় সংস্পর্শ থাকাও টিউমার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও এসব বিষয়ে এখনও শতভাগ নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হলো—বাড়তি মোবাইল ফোন ব্যবহার। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বহু বছর ধরেই একদল বিজ্ঞানী বলে আসছেন যে, মোবাইল ফোন থেকে নির্গত ‘নন-আয়নাইজিং রেডিয়েশন’ মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন)-এর মতে, এখন পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহারের সঙ্গে সরাসরি ব্রেন টিউমারের সম্পর্ক স্থাপনের মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।
একটি চমকপ্রদ গবেষণা পরিচালনা করেছেন ইউরোপিয়ান মেডিকেল ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. আলেকজান্ডার স্ট্রুম। তিনি বলেন, “আমরা প্রায় ৫,০০০ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়েছি, যাঁদের মধ্যে কিছু ব্রেন টিউমার আক্রান্ত এবং কিছু সুস্থ মানুষ। দেখা গেছে, যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে কীটনাশক, রং, পেট্রোলিয়াম জাতীয় রাসায়নিকের সংস্পর্শে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে টিউমারের হার তুলনামূলক বেশি।”
বয়সও ব্রেন টিউমার হওয়ার একটি বড় ফ্যাক্টর। সাধারণত ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের মধ্যে টিউমারের ঝুঁকি বেশি থাকে, কারণ বয়সের সঙ্গে কোষ বিভাজনের ভুলের হারও বাড়ে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে শিশুরাও ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের কিছু নির্দিষ্ট ধরনের টিউমার—যেমন মিডালাব্লাস্টোমা বা অ্যাস্ট্রোসাইটোমা—তাদের মস্তিষ্কে তৈরি হয়।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয়, তাহলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এই কারণেই এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের বা অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট হওয়া ব্যক্তিদের টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি।
এই লেখার শেষ দিকে এসে আমরা যেটা বুঝতে পারি, তা হলো—ব্রেন টিউমার হওয়ার পেছনে কোনো একটি একক কারণ কাজ করে না। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া, যেখানে জিনগত, পরিবেশগত, এবং জীবনযাত্রাগত বহু উপাদান মিলে একসঙ্গে কাজ করে। যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে এখন অনেক ধরনের ব্রেন টিউমার নিরাময়যোগ্য বা নিয়ন্ত্রণযোগ্য, তবে সচেতনতা এবং প্রাথমিক লক্ষণ চিহ্নিত করার দক্ষতাই হতে পারে এর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা।
গবেষক ড. রেবেকা এলেন বলেন, “প্রথম দিকে যদি ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে, তবে চিকিৎসায় সফলতার হার অনেক বেশি। এজন্য মাথাব্যথা, ঝিমঝিম ভাব, বমি, চোখে ঝাপসা দেখা, বা আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়।”
সবশেষে বলা যায়, ব্রেন টিউমার এক ভয়াবহ ও জটিল রোগ হলেও, এটা অনিবার্য নয়। সতর্কতা, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, এবং সন্দেহজনক উপসর্গের সময়মতো পরীক্ষা করানোই হতে পারে টিউমারের হাত থেকে মুক্তির চাবিকাঠি। আমাদের উচিত হবে এই বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা পদ্ধতির সুযোগকে সহজলভ্য করা। কারণ, মাথার ভেতরে বেড়ে ওঠা নিঃশব্দ এই শত্রুকে হারাতে হলে, আমাদের চাই সময়মতো প্রস্তুতি ও সচেতনতা।
ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ব্যবহারকারীরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। এ সময় প্রায় ৬১ হাজার ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
১ দিন আগেপ্রতিটি আধুনিক জেট বিমানে থাকে ইজেকশন সিট বা বহিষ্কারযোগ্য আসন। ইংরেজিতে যাকে বলে Ejection Seat, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পাইলট আসনসহ বিমানের বাইরে বের হয়ে আসতে পারেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে। এই ব্যবস্থা মূলত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পাইলটকে বিমান থেকে আলাদা করে দেয় এবং একটি প্যারাশুটের মাধ্যমে তাকে মাটিতে অ
৩ দিন আগে১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা শহরে পোস্টাগোলা এলাকায় এয়ার পেরাব্যাট এয়ারলাইন্সের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয় যান্ত্রিক সমস্যার কারণে। বিমানে ছিলেন প্রশিক্ষণকারী পাইলট ফারিয়া লারা ও কো‑পাইলট রফিকুল। উভয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয় এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ফারিয়া লারা ছিলেন ঢাকায় বাসিন্দা, ঢ
৩ দিন আগেবিমানটি যখন আন্দিজ পর্বতমালা অতিক্রম করছিল, তখন আবহাওয়া দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। মেঘে ঢেকে যায় চারপাশ, কমে আসে দৃশ্যমানতা। ভুল নির্দেশনা ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি আন্দিজ পর্বতমালার এক উঁচু অঞ্চলে ধাক্কা খায় এবং মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে বরফে ঢাকা পাহাড়ে। সে এক ভয়াবহ ধ্বংস।
৩ দিন আগে