ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রলাপস লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক (PLID)— সংক্ষেপে পি এল আইডি—একটি পরিচিত মেরুদণ্ডজনিত সমস্যা। এটি তখন ঘটে, যখন কোমরের হাড়ের (কশেরুকা) মাঝখানের নরম ডিস্ক স্বাভাবিক স্থানচ্যুতি হয়ে পাশের স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে দেখা দেয় কোমর ব্যথা, সায়াটিকা এবং পেশীর দুর্বলতাসহ একাধিক সমস্যা।
পি এল আইডি কেন হয়?
পি এল আইডি হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ গুরুত্বপূর্ণ, যেমন—
আঘাত বা হঠাৎ চাপ: ভারী জিনিস তোলা বা ভুল ভঙ্গিতে কাজ করলে ডিস্ক সরে যেতে পারে।
বার্ধক্য: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, ফলে এটি দুর্বল হয়ে যায়।
ভুল জীবনযাপন: দীর্ঘসময় বসে থাকা, হঠাৎ বেশি পরিশ্রম করা ইত্যাদিও ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
মাংসপেশীর দুর্বলতা: পিঠ ও পেটের পেশী দুর্বল হলে ডিস্ক সহজে প্রলাপস হয়।
কিছু রোগ: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো রোগও ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
লক্ষণসমূহ :
পি এল আইডি-এর লক্ষণ সাধারণত নিচের মতো দেখা যায়:
১. তীব্র কোমর ব্যথা, যা দৈনন্দিন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে
২. সায়াটিকা ব্যথা, কোমর থেকে নিতম্ব ও পায়ে ছড়িয়ে পড়ে
৩. অসাড়তা বা ঝিনঝিনে অনুভূতি পায়ে
৪. পেশী দুর্বলতা এবং পায়ের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস
৬. হাঁটাচলায় কষ্ট, কাশি বা হাঁচিতে ব্যথা বৃদ্ধি
৭. প্রস্রাব বা মল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা (জরুরি ক্ষেত্রে)
নির্ণয়ের পদ্ধতি :
পি এল আইডি সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে নিচের পরীক্ষা-পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা হয়:
শারীরিক পরীক্ষা: পেশী, রিফ্লেক্স ও চলাফেরা বিশ্লেষণ
এমআরআই (MRI): ডিস্ক ও স্নায়ুর ওপর চাপ নির্ণয়ে সবচেয়ে কার্যকর
সিটি স্ক্যান, এক্স-রে, ইএমজি: প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়
চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব :
বেশিরভাগ পি এল আইডি রোগী অস্ত্রোপচার ছাড়াই ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। নিচে এর ধাপে ধাপে বিবরণ দেওয়া হলো:
১. প্রাথমিক চিকিৎসা (Conservative Treatment) : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, পিএলআইডি অস্ত্রোপচার ছাড়াই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিয়ে রোগী একদম ভালো ও পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে-
* বিশ্রাম : প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
* ব্যথানাশক ওষুধ ও পেশী শিথিলকারী : ব্যথানাশক (NSAIDs) কিছু ক্ষেত্রে কয়েকদিন ও পেশী শিথিলকারী ওষুধ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
* * ফিজিওথেরাপি: পিএলআইডি-এর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। এই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও নিয়মকানুন মেনে একদম সুস্থ হয়ে উঠেন একজন রোগী।
* জীবনযাপন পরিবর্তন : সঠিক ভঙ্গিতে বসা, দাঁড়ানো, ভারী জিনিস তোলার কৌশল শেখা এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।
২. পি এল আইডি চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা:
পিএলআইডি চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই প্রথম সারির চিকিৎসা। এক্ষেত্রে ম্যানুয়াল থেরাপি, এক্সারসাইজ থেরাপি ও লাইফ স্টাইলের নিয়মকানুন খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যানুয়াল থেরাপি: ফিজিওথেরাপিস্টরা ম্যানুয়াল থেরাপি, মোবিলাইজেশন এবং ম্যানিপুলেশনের থেরাপির মাধ্যমে পি এল আইডি-এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করেন।
ইলেকট্রোথেরাপি : TENS (Transcutaneous Electrical Nerve Stimulation), আল্ট্রাসাউন্ড (Ultrasound), ইন্টারফেরেন্সিয়াল থেরাপি (Interferential Therapy – IFT) এর মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যথা কমানো হয়।
হিট ও কোল্ড থেরাপি: আক্রান্ত স্থানে তাপ বা ঠান্ডা প্রয়োগ করে ব্যথা ও প্রদাহ কমানো হয়।
পেশী শক্তিশালী করা: কিছু এক্সারসাইজ থেরাপি-র মাধ্যমে মাংসপেশী শক্তিশালী করে তোলা হয়।
কোর স্ট্রেংদেনিং এক্সারসাইজ : পেটের ও পিঠের গভীর পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য বিশেষ ব্যায়াম শেখানো হয়। এই এক্সারসাইজগুলো পেশীগুলোকে ও মেরুদণ্ডকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
লেগ ও হিপ এক্সারসাইজ : পায়ের ও নিতম্বের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যায়াম, যা মেরুদণ্ডের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে।
নমনীয়তা এবং গতিশীলতা বৃদ্ধি : মাংসপেশীর নমনীয়তা ও ফাংশনগুলোকে নরমাল করা।
স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ : টাইট বা শক্ত হয়ে যাওয়া পেশীগুলোকে শিথিল করতে এবং মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়াতে স্ট্রেচিং ব্যায়াম শেখানো হয়।
রেঞ্জ অফ মোশন এক্সারসাইজ : মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন নড়াচড়ার ব্যায়াম করানো হয়।
৩. ভঙ্গি ও দৈনন্দিন কাজের প্রশিক্ষণ :
পোশ্চারাল ট্রেনিং : সঠিকভাবে বসতে, দাঁড়াতে, হাঁটতে ও ঘুমাতে হয় কিভাবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে মেরুদণ্ডের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ না পড়ে।
আর্গোনমিক্স : কাজের পরিবেশে কিভাবে সরঞ্জাম বা আসবাবপত্র সাজাতে হবে যাতে মেরুদণ্ড সুরক্ষিত থাকে, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
ওজন তোলা ও বহন করার কৌশল : ভারী জিনিস সঠিকভাবে কিভাবে তুলতে বা বহন করতে হয়, তার কৌশল শেখানো হয়।
নার্ভ গ্লাইডিং এক্সারসাইজ : স্নায়ুর নড়াচড়া সহজ করতে ও স্নায়ুর উপর চাপ কমাতে নির্দিষ্ট ব্যায়াম করানো হয়।
উল্লেখ্য, পি এল আইডি একটি গুরুতর সমস্যা হলেও সময়মতো সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য। একজন অভিজ্ঞ গ্র্যাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন, যা দ্রুত আরোগ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। মনে রাখতে হবে, অস্ত্রোপচার নয়—প্রথমেই ফিজিওথেরাপিই হতে পারে সেরা সমাধান।
লেখক : ডা. মো. আবু হাসান (পিটি)
বিপিটি (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)
উচ্চতর প্রশিক্ষণ: ম্যানুয়াল থেরাপি ও ম্যানিপুলেশন থেরাপি (ভারত)
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট, আইডিয়াল ফিজিওথেরাপি সেন্টার, দোসর মন্ডল মোর, শিরোইল, রাজশাহী
সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী ফিজিওথেরাপি পেশাজীবী পরিষদ
প্রলাপস লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক (PLID)— সংক্ষেপে পি এল আইডি—একটি পরিচিত মেরুদণ্ডজনিত সমস্যা। এটি তখন ঘটে, যখন কোমরের হাড়ের (কশেরুকা) মাঝখানের নরম ডিস্ক স্বাভাবিক স্থানচ্যুতি হয়ে পাশের স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে দেখা দেয় কোমর ব্যথা, সায়াটিকা এবং পেশীর দুর্বলতাসহ একাধিক সমস্যা।
পি এল আইডি কেন হয়?
পি এল আইডি হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ গুরুত্বপূর্ণ, যেমন—
আঘাত বা হঠাৎ চাপ: ভারী জিনিস তোলা বা ভুল ভঙ্গিতে কাজ করলে ডিস্ক সরে যেতে পারে।
বার্ধক্য: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, ফলে এটি দুর্বল হয়ে যায়।
ভুল জীবনযাপন: দীর্ঘসময় বসে থাকা, হঠাৎ বেশি পরিশ্রম করা ইত্যাদিও ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
মাংসপেশীর দুর্বলতা: পিঠ ও পেটের পেশী দুর্বল হলে ডিস্ক সহজে প্রলাপস হয়।
কিছু রোগ: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো রোগও ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
লক্ষণসমূহ :
পি এল আইডি-এর লক্ষণ সাধারণত নিচের মতো দেখা যায়:
১. তীব্র কোমর ব্যথা, যা দৈনন্দিন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে
২. সায়াটিকা ব্যথা, কোমর থেকে নিতম্ব ও পায়ে ছড়িয়ে পড়ে
৩. অসাড়তা বা ঝিনঝিনে অনুভূতি পায়ে
৪. পেশী দুর্বলতা এবং পায়ের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস
৬. হাঁটাচলায় কষ্ট, কাশি বা হাঁচিতে ব্যথা বৃদ্ধি
৭. প্রস্রাব বা মল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা (জরুরি ক্ষেত্রে)
নির্ণয়ের পদ্ধতি :
পি এল আইডি সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে নিচের পরীক্ষা-পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা হয়:
শারীরিক পরীক্ষা: পেশী, রিফ্লেক্স ও চলাফেরা বিশ্লেষণ
এমআরআই (MRI): ডিস্ক ও স্নায়ুর ওপর চাপ নির্ণয়ে সবচেয়ে কার্যকর
সিটি স্ক্যান, এক্স-রে, ইএমজি: প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়
চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব :
বেশিরভাগ পি এল আইডি রোগী অস্ত্রোপচার ছাড়াই ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। নিচে এর ধাপে ধাপে বিবরণ দেওয়া হলো:
১. প্রাথমিক চিকিৎসা (Conservative Treatment) : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, পিএলআইডি অস্ত্রোপচার ছাড়াই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিয়ে রোগী একদম ভালো ও পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে-
* বিশ্রাম : প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
* ব্যথানাশক ওষুধ ও পেশী শিথিলকারী : ব্যথানাশক (NSAIDs) কিছু ক্ষেত্রে কয়েকদিন ও পেশী শিথিলকারী ওষুধ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
* * ফিজিওথেরাপি: পিএলআইডি-এর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। এই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও নিয়মকানুন মেনে একদম সুস্থ হয়ে উঠেন একজন রোগী।
* জীবনযাপন পরিবর্তন : সঠিক ভঙ্গিতে বসা, দাঁড়ানো, ভারী জিনিস তোলার কৌশল শেখা এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।
২. পি এল আইডি চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা:
পিএলআইডি চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই প্রথম সারির চিকিৎসা। এক্ষেত্রে ম্যানুয়াল থেরাপি, এক্সারসাইজ থেরাপি ও লাইফ স্টাইলের নিয়মকানুন খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যানুয়াল থেরাপি: ফিজিওথেরাপিস্টরা ম্যানুয়াল থেরাপি, মোবিলাইজেশন এবং ম্যানিপুলেশনের থেরাপির মাধ্যমে পি এল আইডি-এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করেন।
ইলেকট্রোথেরাপি : TENS (Transcutaneous Electrical Nerve Stimulation), আল্ট্রাসাউন্ড (Ultrasound), ইন্টারফেরেন্সিয়াল থেরাপি (Interferential Therapy – IFT) এর মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যথা কমানো হয়।
হিট ও কোল্ড থেরাপি: আক্রান্ত স্থানে তাপ বা ঠান্ডা প্রয়োগ করে ব্যথা ও প্রদাহ কমানো হয়।
পেশী শক্তিশালী করা: কিছু এক্সারসাইজ থেরাপি-র মাধ্যমে মাংসপেশী শক্তিশালী করে তোলা হয়।
কোর স্ট্রেংদেনিং এক্সারসাইজ : পেটের ও পিঠের গভীর পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য বিশেষ ব্যায়াম শেখানো হয়। এই এক্সারসাইজগুলো পেশীগুলোকে ও মেরুদণ্ডকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
লেগ ও হিপ এক্সারসাইজ : পায়ের ও নিতম্বের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যায়াম, যা মেরুদণ্ডের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে।
নমনীয়তা এবং গতিশীলতা বৃদ্ধি : মাংসপেশীর নমনীয়তা ও ফাংশনগুলোকে নরমাল করা।
স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ : টাইট বা শক্ত হয়ে যাওয়া পেশীগুলোকে শিথিল করতে এবং মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়াতে স্ট্রেচিং ব্যায়াম শেখানো হয়।
রেঞ্জ অফ মোশন এক্সারসাইজ : মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন নড়াচড়ার ব্যায়াম করানো হয়।
৩. ভঙ্গি ও দৈনন্দিন কাজের প্রশিক্ষণ :
পোশ্চারাল ট্রেনিং : সঠিকভাবে বসতে, দাঁড়াতে, হাঁটতে ও ঘুমাতে হয় কিভাবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে মেরুদণ্ডের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ না পড়ে।
আর্গোনমিক্স : কাজের পরিবেশে কিভাবে সরঞ্জাম বা আসবাবপত্র সাজাতে হবে যাতে মেরুদণ্ড সুরক্ষিত থাকে, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
ওজন তোলা ও বহন করার কৌশল : ভারী জিনিস সঠিকভাবে কিভাবে তুলতে বা বহন করতে হয়, তার কৌশল শেখানো হয়।
নার্ভ গ্লাইডিং এক্সারসাইজ : স্নায়ুর নড়াচড়া সহজ করতে ও স্নায়ুর উপর চাপ কমাতে নির্দিষ্ট ব্যায়াম করানো হয়।
উল্লেখ্য, পি এল আইডি একটি গুরুতর সমস্যা হলেও সময়মতো সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য। একজন অভিজ্ঞ গ্র্যাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন, যা দ্রুত আরোগ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। মনে রাখতে হবে, অস্ত্রোপচার নয়—প্রথমেই ফিজিওথেরাপিই হতে পারে সেরা সমাধান।
লেখক : ডা. মো. আবু হাসান (পিটি)
বিপিটি (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)
উচ্চতর প্রশিক্ষণ: ম্যানুয়াল থেরাপি ও ম্যানিপুলেশন থেরাপি (ভারত)
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট, আইডিয়াল ফিজিওথেরাপি সেন্টার, দোসর মন্ডল মোর, শিরোইল, রাজশাহী
সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী ফিজিওথেরাপি পেশাজীবী পরিষদ
গ্যাস্ট্রিকের মূল কারণ হলো পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হওয়া। এই অ্যাসিড আমাদের খাবার হজমে সাহায্য করে ঠিকই, কিন্তু যখন এটি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তৈরি হয় বা পাকস্থলীর দেওয়াল দুর্বল হয়ে পড়ে, তখনই শুরু হয় সমস্যা।
২ দিন আগেনারীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার এখনও পুরুষদের তুলনায় অনেক কম, এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে তাঁদের সামাজিক প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে।
২ দিন আগেপ্রচলিত কফ সিরাপের তুলনায় মধু অনেক বেশি কার্যকর। বিশেষ করে শিশুদের সর্দি-কাশিতে মধু একটি প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ বিকল্প।
২ দিন আগেবঙ্গোপসাগরের উত্তরপশ্চিম ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা থেকে দেশের চার সমুদ্রবন্দরেই তিন নম্বর সতর্কসংকেত বহাল রাখা হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ লঘুচাপের জন্য সামুদ
২ দিন আগে