শানজীদা শারমিন
সানজানা আহমেদ কানাডায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র—সবকিছু বিদেশে প্রমাণ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে সে চিন্তিত। কাজটা সে কিভাবে করবে গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে পারল সম্প্রতি অ্যাপোস্টিল সার্ভিস চালু হয়েছে। সানজানা প্রক্রিয়া শুরু করে দিল।
এমন সময় মা এসে বললেন, ‘তোর চাচাতো ভাই রাশেদ কয়েক বছর আগে যখন বাইরে গিয়েছিল, তখন প্রথমে নোটারি পাবলিক, তারপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তারপর দূতাবাসে কাগজ জমা দিতে হয়েছিল। কয়েক মাস তো লাগবেই। তুই ওকে ফোন দিয়ে জেনে নে।’ সানজানা মাথা নেড়ে বলল, ‘আমি জানি মা। চাচা বলেছিলেন দালাল ধরেও কাজ তাড়াতাড়ি হতো না। এখন কিন্তু আমাদের জন্য নতুন সুবিধা এসেছে—অ্যাপোস্টিল সার্ভিস। এ বছরই (২০২৫) চালু হয়েছে।’
মা বললেন, ‘অ্যাপোস্টিল কী জিনিস?’
সানজানা মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখাতে দেখাতে বলল, ‘অ্যাপোস্টিল হলো এমন একটা সার্টিফিকেট, যেটা দিয়ে আমার দলিল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাবে। কোনো দূতাবাসে দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না। এটা হেগ কনভেনশন ১৯৬১-এর নিয়মে হয়। বাংলাদেশ এখন এই কনভেনশনের সদস্য হয়েছে।’
‘তা এখন তোকে কী করতে হবে?’-মায়ের প্রশ্নের জবাবে সানজানা বলল, ‘আমি apostille.mygov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের কাগজ স্ক্যান করে আপলোড করবো। তারপর অনলাইনে ফি পরিশোধ করবো। কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারবো।’
মা বললেন, ‘ফি পরিশোধ করবি কিভাবে? সানজানা বলল, ‘ব্যাংকের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিয়েও ফি দেওয়া যায়। কোনো লাইনে দাঁড়াতে হবে না।’
সানজানা পর্যায়ক্রমে
এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই করে অনুমোদন দেবে। অনলাইনেই অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। সার্টিফিকেটের সঙ্গে থাকবে ইউনিক QR কোড, যেটা দিয়ে যে কোনো দেশ থেকে দলিলের সত্যতা যাচাই করা যাবে।
মা বললেন, ‘তাহলে তোর তো কোথাও যেতে হবে না?” সানজানা বলল, “না মা। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ কর্মদিবসে কাজ শেষ হয়ে যায়।’
পরে একদিন রিয়াদুল করীম কাকা ফোন দিলেন। তিনি বহু বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন। ফোনে বলল, ‘সানজানা, আমি তো পরিবারকে নিয়ে আসার জন্য তোমার চাচীর জন্মনিবন্ধন আর বিবাহ সনদের অ্যাপোস্টিল করাতে চাই। কয়েকদিন আগে শুনলাম তুমি অনলাইনেই কাজটা করেছো। কীভাবে করব বলো তো!’
সানজানা বলল, ‘আপনি সরাসরি ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন করুন। দলিল স্ক্যান করে আপলোড করুন। কয়েকদিনের মধ্যে অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। এই সার্টিফিকেটে থাকা QR কোড দিয়ে সরাসরি সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষও আসল দলিল যাচাই করতে পারবে।
কাকা বললেন, ‘আগে তো শুনতাম, নকল কাগজ জমা দিয়ে অনেকে বিপদে পড়ত।’ সানজানা বলল, ‘এখন সেটা কঠিন। কারণ সরাসরি যাচাই করা যায়। ফলে নিরাপত্তা অনেক বেড়েছে। আর দালালদের হাতও ছোট হয়ে গেছে।’
যেসব এলাকায় ইন্টারনেট বা প্রযুক্তিগত সহায়তা সীমিত, সেসব জায়গায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে অ্যাপােস্টিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করা যায়।
এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।
সানজানা আহমেদ কানাডায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র—সবকিছু বিদেশে প্রমাণ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে সে চিন্তিত। কাজটা সে কিভাবে করবে গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে পারল সম্প্রতি অ্যাপোস্টিল সার্ভিস চালু হয়েছে। সানজানা প্রক্রিয়া শুরু করে দিল।
এমন সময় মা এসে বললেন, ‘তোর চাচাতো ভাই রাশেদ কয়েক বছর আগে যখন বাইরে গিয়েছিল, তখন প্রথমে নোটারি পাবলিক, তারপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তারপর দূতাবাসে কাগজ জমা দিতে হয়েছিল। কয়েক মাস তো লাগবেই। তুই ওকে ফোন দিয়ে জেনে নে।’ সানজানা মাথা নেড়ে বলল, ‘আমি জানি মা। চাচা বলেছিলেন দালাল ধরেও কাজ তাড়াতাড়ি হতো না। এখন কিন্তু আমাদের জন্য নতুন সুবিধা এসেছে—অ্যাপোস্টিল সার্ভিস। এ বছরই (২০২৫) চালু হয়েছে।’
মা বললেন, ‘অ্যাপোস্টিল কী জিনিস?’
সানজানা মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখাতে দেখাতে বলল, ‘অ্যাপোস্টিল হলো এমন একটা সার্টিফিকেট, যেটা দিয়ে আমার দলিল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাবে। কোনো দূতাবাসে দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না। এটা হেগ কনভেনশন ১৯৬১-এর নিয়মে হয়। বাংলাদেশ এখন এই কনভেনশনের সদস্য হয়েছে।’
‘তা এখন তোকে কী করতে হবে?’-মায়ের প্রশ্নের জবাবে সানজানা বলল, ‘আমি apostille.mygov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের কাগজ স্ক্যান করে আপলোড করবো। তারপর অনলাইনে ফি পরিশোধ করবো। কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারবো।’
মা বললেন, ‘ফি পরিশোধ করবি কিভাবে? সানজানা বলল, ‘ব্যাংকের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিয়েও ফি দেওয়া যায়। কোনো লাইনে দাঁড়াতে হবে না।’
সানজানা পর্যায়ক্রমে
এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই করে অনুমোদন দেবে। অনলাইনেই অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। সার্টিফিকেটের সঙ্গে থাকবে ইউনিক QR কোড, যেটা দিয়ে যে কোনো দেশ থেকে দলিলের সত্যতা যাচাই করা যাবে।
মা বললেন, ‘তাহলে তোর তো কোথাও যেতে হবে না?” সানজানা বলল, “না মা। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ কর্মদিবসে কাজ শেষ হয়ে যায়।’
পরে একদিন রিয়াদুল করীম কাকা ফোন দিলেন। তিনি বহু বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন। ফোনে বলল, ‘সানজানা, আমি তো পরিবারকে নিয়ে আসার জন্য তোমার চাচীর জন্মনিবন্ধন আর বিবাহ সনদের অ্যাপোস্টিল করাতে চাই। কয়েকদিন আগে শুনলাম তুমি অনলাইনেই কাজটা করেছো। কীভাবে করব বলো তো!’
সানজানা বলল, ‘আপনি সরাসরি ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন করুন। দলিল স্ক্যান করে আপলোড করুন। কয়েকদিনের মধ্যে অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। এই সার্টিফিকেটে থাকা QR কোড দিয়ে সরাসরি সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষও আসল দলিল যাচাই করতে পারবে।
কাকা বললেন, ‘আগে তো শুনতাম, নকল কাগজ জমা দিয়ে অনেকে বিপদে পড়ত।’ সানজানা বলল, ‘এখন সেটা কঠিন। কারণ সরাসরি যাচাই করা যায়। ফলে নিরাপত্তা অনেক বেড়েছে। আর দালালদের হাতও ছোট হয়ে গেছে।’
যেসব এলাকায় ইন্টারনেট বা প্রযুক্তিগত সহায়তা সীমিত, সেসব জায়গায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে অ্যাপােস্টিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করা যায়।
এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।
খেজুরের আরেকটি বড় গুণ হলো এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল কমিয়ে দেয়, যা বার্ধক্য ও ক্যানসারসহ অনেক রোগের জন্য দায়ী।
১ দিন আগেবট বাহিনী কয়েক হাজার, এমনকি কয়েক লাখ বট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একসঙ্গে সেই গুজব ছড়িয়ে দেয়। এইসব বট একে অপরের পোস্টে কমেন্ট করে, লাইক দেয়, শেয়ার করে যেন মনে হয় খবরটি জনপ্রিয় এবং অনেকেই তা বিশ্বাস করছে।
১ দিন আগেমোবাইল ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে কয়েকবার চেষ্টা করতে হয়েছে। ফর্ম পূরণের সময় ঠিকানা মিলে না যাওয়ায় সংশোধন করতে হয়েছে।
২ দিন আগে