ইসরায়েলি হামলায় ইরানের দুই পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১০: ২৯
ইরানের তেহরানে বহুতল ভবনে ইসরায়েলি হামলা

ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের চালানো একটি ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির দুই শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী। নিহতরা হলেন মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি ও ফারেইদুন আব্বাসি। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে তেহরানের একাধিক আবাসিক ভবনে এই হামলা চালানো হয়।

হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। নিহত বিজ্ঞানীদের মধ্যে মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি ছিলেন ইসলামি আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এবং ফারেইদুন আব্বাসি ছিলেন ইরানের পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান।

ঘটনার পরপরই তেহরানের ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামলার সময়সূচি ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। কারণ মাত্র দুই দিন পরই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

তেহরানে হামলার পূর্বাভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) থেকেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছিল। অবশেষে শুক্রবার ভোরে তা বাস্তবে রূপ নেয়।

ইসরায়েল জানায়, ‘নেশন অব লায়ন্স’ নামক একটি পূর্বপরিকল্পিত সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলো।

টাইমস অব ইসরায়েল ও দেশটির সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এই অভিযানে দুই ডজনেরও বেশি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং তা সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের ভাষ্য, “এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা।”

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ ও প্রেস টিভির তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় তেহরানের আবাসিক এলাকায় নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা কেবলমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে এবং বেসামরিক এলাকায় হামলার অভিযোগ তারা সরাসরি অস্বীকার করেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, “ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক হুমকি পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।” সূত্র: তাসনিম নিউজ, টাইমস অব ইসরায়েল, প্রেস টিভি

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে ইসরায়েলের হামলা

ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইসফাহানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আজ রোববার এই হামলা করা হয়েছে।

১৮ ঘণ্টা আগে

যুদ্ধের সময় রাতেই কেন হামলা হয়?

ইরানের রাজধানী তেহরানের মানুষ যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখনই আচমকা গর্জে ওঠে আকাশ। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায় তেহরান। একই দৃশ্য দেখা গেছে, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়ার উপকূলে কিংবা ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে। কিন্তু প্রশ্ন হলো রাতে

১৮ ঘণ্টা আগে

হামলা বন্ধ হলে, আমরাও থামব: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, যদি ইসরায়েলি হামলা বন্ধ হয়, তাহলে আমাদের জবাবও বন্ধ হয়ে যাবে।

২০ ঘণ্টা আগে

'সহজেই ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি করতে পারি'

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলা সাম্প্রতিক সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয় জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা সহজেই দুই দেশের মধ্যে চুক্তি করতে পারি এবং এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারি।’ খবর বিবিসির

২১ ঘণ্টা আগে