ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ইরানের রাজধানী তেহরানের মানুষ যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখনই আচমকা গর্জে ওঠে আকাশ। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায় তেহরান। একই দৃশ্য দেখা গেছে, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়ার উপকূলে কিংবা ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে। কিন্তু প্রশ্ন হলো রাতেই কেন এমন হামলা?
পাল্টা আঘাতের জন্য রাতে সময় বেছে নেওয়ার পেছনে একাধিক সামরিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্ধকার যখন যুদ্ধের ঢাল
রাতের অন্ধকার প্রাকৃতিকভাবেই একটি গোপন আবরণ তৈরি করে, যা আক্রমণকারী বাহিনীর জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দেয়। রাডার ও ভিজ্যুয়াল নজরদারি অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়ে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও রাতের লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা তুলনামূলক কঠিন। বাসিন্দারা ঘুমন্ত থাকায় আচমকায় বিস্ফোরণ বা বিকট শব্দে মানুষজন ভীতি ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
প্রযুক্তি-নির্ভর আধিপত্য
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত দেশগুলো রাতের লড়াইয়ে অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান এমনকি সৌদি আরব প্রযুক্তিতে অনেকটাই সক্ষম। ফলে তারা রাতে ঝুঁকি না নিয়ে আক্রমণ চালাতে পারে কার্যকরভাবে।
নাইট ভিশন গগলস ও থার্মাল সেন্সর: যা শত্রুকে অন্ধকারেও খুঁজে বের করে।
ইলেকট্রনিক জ্যামারের: এটি ব্যবহার করে শত্রুর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যায়।
স্যাটেলাইট ও ড্রোন: স্যাটেলাইট ও ড্রোন সার্ভে ইলেন্স যা ২৪/৭ চালু থাকে।
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ
রাতের আক্রমণ মানেই ঘুমন্ত নাগরিকের ওপর ভয় ঢেলে দেওয়া। পরিবার, শিশু, সাধারণ মানুষের মানসিক শান্তি নষ্ট হয়। যুদ্ধের একটা ‘অদৃশ্য চিত্র’ তৈরি হয়। যা আতঙ্কের চেয়েও বেশি গভীর। মধ্যরাতে হামলা চালালে প্রতিপক্ষ সেনা ইউনিট সাজানো-গোছানো রেসপন্স দিতে পারে না। এই ভয়কে ব্যবহার করেই অনেক সময় রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া আদায় করা হয় বা নিজেদের প্রতিশোধ ‘দৃশ্যমান’ করা হয়।
মিডিয়া ও বার্তা
রাতে আক্রমণ মানেই ভোরবেলা ব্রেকিং নিউজ। এই টাইমিং এক ধরনের কূটনৈতিক ও মিডিয়া কৌশল। আক্রমণকারী পক্ষ চাইলে নিজের ভাষ্য আগে প্রচার করতে পারে। ভোরে সংবাদমাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত বিবৃতি দিয়ে যুদ্ধকে ‘ন্যায়সংগত’ বলা যায়।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বুঝে প্রয়োজন হলে আক্রমণ থামিয়েও দেওয়া যায়। ইরান ও ইসরায়েল এই কৌশল বারবার ব্যবহার করেছে গত কয়েক মাসে।
রাজনৈতিক অনুমান
অনেক সময় রাতের হামলা সামরিক কৌশল নয় বরং একটি বার্তা। রাজনৈতিক সরকারগুলো চায় আক্রমণের সময় নির্বাচিত হোক যখন জনমত তাদের পক্ষে।
ইরান যেমন একাধিকবার রাতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ‘অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা’ প্রকাশ করতে চেয়েছে। আবার ইসরায়েল রাতেই হামলা চালিয়ে বলেছে, ‘আমরা ঘুমাই না, আমরা প্রতিক্রিয়াশীল নই, সক্রিয়।’
ইরানের রাজধানী তেহরানের মানুষ যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখনই আচমকা গর্জে ওঠে আকাশ। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায় তেহরান। একই দৃশ্য দেখা গেছে, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়ার উপকূলে কিংবা ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে। কিন্তু প্রশ্ন হলো রাতেই কেন এমন হামলা?
পাল্টা আঘাতের জন্য রাতে সময় বেছে নেওয়ার পেছনে একাধিক সামরিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্ধকার যখন যুদ্ধের ঢাল
রাতের অন্ধকার প্রাকৃতিকভাবেই একটি গোপন আবরণ তৈরি করে, যা আক্রমণকারী বাহিনীর জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দেয়। রাডার ও ভিজ্যুয়াল নজরদারি অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়ে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও রাতের লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা তুলনামূলক কঠিন। বাসিন্দারা ঘুমন্ত থাকায় আচমকায় বিস্ফোরণ বা বিকট শব্দে মানুষজন ভীতি ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
প্রযুক্তি-নির্ভর আধিপত্য
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত দেশগুলো রাতের লড়াইয়ে অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান এমনকি সৌদি আরব প্রযুক্তিতে অনেকটাই সক্ষম। ফলে তারা রাতে ঝুঁকি না নিয়ে আক্রমণ চালাতে পারে কার্যকরভাবে।
নাইট ভিশন গগলস ও থার্মাল সেন্সর: যা শত্রুকে অন্ধকারেও খুঁজে বের করে।
ইলেকট্রনিক জ্যামারের: এটি ব্যবহার করে শত্রুর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যায়।
স্যাটেলাইট ও ড্রোন: স্যাটেলাইট ও ড্রোন সার্ভে ইলেন্স যা ২৪/৭ চালু থাকে।
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ
রাতের আক্রমণ মানেই ঘুমন্ত নাগরিকের ওপর ভয় ঢেলে দেওয়া। পরিবার, শিশু, সাধারণ মানুষের মানসিক শান্তি নষ্ট হয়। যুদ্ধের একটা ‘অদৃশ্য চিত্র’ তৈরি হয়। যা আতঙ্কের চেয়েও বেশি গভীর। মধ্যরাতে হামলা চালালে প্রতিপক্ষ সেনা ইউনিট সাজানো-গোছানো রেসপন্স দিতে পারে না। এই ভয়কে ব্যবহার করেই অনেক সময় রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া আদায় করা হয় বা নিজেদের প্রতিশোধ ‘দৃশ্যমান’ করা হয়।
মিডিয়া ও বার্তা
রাতে আক্রমণ মানেই ভোরবেলা ব্রেকিং নিউজ। এই টাইমিং এক ধরনের কূটনৈতিক ও মিডিয়া কৌশল। আক্রমণকারী পক্ষ চাইলে নিজের ভাষ্য আগে প্রচার করতে পারে। ভোরে সংবাদমাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত বিবৃতি দিয়ে যুদ্ধকে ‘ন্যায়সংগত’ বলা যায়।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বুঝে প্রয়োজন হলে আক্রমণ থামিয়েও দেওয়া যায়। ইরান ও ইসরায়েল এই কৌশল বারবার ব্যবহার করেছে গত কয়েক মাসে।
রাজনৈতিক অনুমান
অনেক সময় রাতের হামলা সামরিক কৌশল নয় বরং একটি বার্তা। রাজনৈতিক সরকারগুলো চায় আক্রমণের সময় নির্বাচিত হোক যখন জনমত তাদের পক্ষে।
ইরান যেমন একাধিকবার রাতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ‘অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা’ প্রকাশ করতে চেয়েছে। আবার ইসরায়েল রাতেই হামলা চালিয়ে বলেছে, ‘আমরা ঘুমাই না, আমরা প্রতিক্রিয়াশীল নই, সক্রিয়।’
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলা সাম্প্রতিক সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয় জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা সহজেই দুই দেশের মধ্যে চুক্তি করতে পারি এবং এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারি।’ খবর বিবিসির
১৬ ঘণ্টা আগেইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করছে ইরান। এর পাশাপাশি ইয়েমেন থেকে হুতিরাও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। রোববার (শনিবার দিবাগত রাত) একের পর এক হামলা হয়েছে ইসরায়েলে। বোমা হামলা থেকে বাঁচতে ইসরায়েলি নাগরিকদের বারবারই নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর দিকে ছুটতে হয়েছে। খবর আল জাজিরার
১৭ ঘণ্টা আগেইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করেছেন। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সৌদি যুবরাজকে জানান। খবর আল-জাজিরার
১৯ ঘণ্টা আগে