ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই এখন আর চা-কফির বদলে হাতে তুলে নিচ্ছেন এক কাপ গরম সবুজ চা, অর্থাৎ ‘গ্রিন টি’। স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষের কাছে এটা এখন যেন এক ধরনের রীতিতে পরিণত হয়েছে। শরীরচর্চা কিংবা ডায়েট প্ল্যানের সঙ্গে গ্রিন টি যেন এক অনিবার্য সঙ্গী। তবে সবুজ চায়ের রয়েছে যেমন নানাবিধ উপকারিতা, তেমনই রয়েছে কিছু সতর্কতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। তাই এই চায়ের বিষয়ে জানা থাকা প্রয়োজন আরও গভীরভাবে।
গ্রিন টি মূলত ক্যামেলিয়া সিনেনসিস (Camellia sinensis) নামের উদ্ভিদের পাতা থেকে তৈরি হয়, যেখান থেকে তৈরি হয় সাধারণ চাও। পার্থক্য এই যে, গ্রিন টি-র পাতা বেশি প্রক্রিয়াজাত করা হয় না, ফলে এতে থাকা পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি মাত্রায় অক্ষত থাকে। এসব উপাদান শরীরের কোষগুলোর ক্ষয়রোধ করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং বয়সের ছাপ ধীরে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড ইনটেগ্রেটিভ হেলথ গ্রিন টি সম্পর্কে জানায়, ‘‘সবুজ চা-তে থাকা ক্যাটেচিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র্যাডিকাল কমিয়ে দেয়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।’’
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়াল্টার উইলেট বলেন, “গ্রিন টি-তে থাকা পলিফেনল হৃদ্রোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, যদিও তা নির্ভর করে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার ওপর।” তাঁর মতে, দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে শরীরে উপকার মিলতে পারে, তবে অতিরিক্ত পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে ওজন কমাতেও সহায়ক হতে পারে। জাপানের তোহোকু ইউনিভার্সিটি-র পুষ্টিবিদ ড. কায়ো নাকামুরা বলেন, ‘‘যাঁরা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন, তাঁদের মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে এবং হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও কমে। তবে এটি কোনো ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’ নয়, বরং একটি সহায়ক উপাদান মাত্র।”
সবুজ চায়ের এমন অনেক ইতিবাচক দিক থাকলেও একে ‘চিরসুস্থতার ওষুধ’ হিসেবে ভাবার সুযোগ নেই। এটি যেমন উপকার করতে পারে, তেমনই অনিয়মিত বা অতিরিক্ত সেবন করলে শরীরে তৈরি হতে পারে নানা সমস্যা।
বিশেষ করে, গ্রিন টি-তে থাকে ক্যাফেইন। যদিও এটি সাধারণ চায়ের তুলনায় কম, তবুও অতিরিক্ত ক্যাফেইন ঘুমের সমস্যা, উদ্বেগ, হাত কাঁপা বা হৃৎস্পন্দনের তারতম্য ঘটাতে পারে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর চিকিৎসক ড. মেরি হিউস্টন বলেন, “যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বা রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের গ্রিন টি পান করার সময় সতর্ক হওয়া উচিত।”
এছাড়া গ্রিন টি খালি পেটে পান করলে অনেকে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। কারণ এতে থাকা ট্যানিন নামক যৌগ পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে হতে পারে গ্যাস, বমিভাব বা বুক জ্বালার সমস্যা।
একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গ্রিন টি আয়রনের শোষণে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ফলে যাঁরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন বা আয়রনের ঘাটতিতে ভোগেন, তাঁদের খাওয়ার সঙ্গে বা খাওয়ার ঠিক পরে গ্রিন টি না খাওয়াই ভালো। যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডন-এর পুষ্টিবিদ ড. হ্যারি ম্যাকগ্রাথ বলেন, “সবুজ চায়ে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড আয়রন শোষণ কমাতে পারে। তাই আয়রনের উৎসজাত খাবার খাওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে গ্রিন টি পান করা বাঞ্ছনীয়।”
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বাজারে এখন নানা ধরনের ‘গ্রিন টি এক্সট্র্যাক্ট’ বা ‘সাপ্লিমেন্ট’ পাওয়া যায়, যেগুলো অনেক বেশি ঘনত্বে থাকে। এসব সাপ্লিমেন্ট নিয়মিত বা মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণ করলে যকৃতের ওপর চাপ পড়তে পারে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) সতর্ক করে জানিয়েছে, “গ্রিন টি সাপ্লিমেন্ট যকৃতের ক্ষতি করতে পারে, বিশেষত যখন সেগুলো দৈনিক পরিমাণের বাইরে দীর্ঘ সময় গ্রহণ করা হয়।”
তবে এসব সতর্কতার মধ্যেও গ্রিন টি তার উপকারিতার জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চীনের প্রাচীন সংস্কৃতিতে এটি শুধু পানীয় নয়, বরং একধরনের ঔষধি উদ্ভিদ হিসেবেই বিবেচিত হতো। আজও আধুনিক বিজ্ঞানের নানা গবেষণায় তার গুণাগুণ প্রমাণিত হচ্ছে।
শেষ কথা হলো, সবুজ চা নিঃসন্দেহে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়, তবে এর সেবন হতে হবে সচেতনভাবে। প্রতিদিন ২-৩ কাপের বেশি নয়, খাওয়ার সময় এবং শারীরিক অবস্থার বিবেচনায় নিয়েই পান করা উচিত। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা—গ্রিন টি কোনো অলৌকিক পানীয় নয়, এটি শুধুই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের একটি অংশ হতে পারে।
শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে এক কাপ গ্রিন টি-র পাশাপাশি প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম আহার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক প্রশান্তি। তবেই সম্ভব পূর্ণাঙ্গ সুস্থ জীবন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই এখন আর চা-কফির বদলে হাতে তুলে নিচ্ছেন এক কাপ গরম সবুজ চা, অর্থাৎ ‘গ্রিন টি’। স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষের কাছে এটা এখন যেন এক ধরনের রীতিতে পরিণত হয়েছে। শরীরচর্চা কিংবা ডায়েট প্ল্যানের সঙ্গে গ্রিন টি যেন এক অনিবার্য সঙ্গী। তবে সবুজ চায়ের রয়েছে যেমন নানাবিধ উপকারিতা, তেমনই রয়েছে কিছু সতর্কতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। তাই এই চায়ের বিষয়ে জানা থাকা প্রয়োজন আরও গভীরভাবে।
গ্রিন টি মূলত ক্যামেলিয়া সিনেনসিস (Camellia sinensis) নামের উদ্ভিদের পাতা থেকে তৈরি হয়, যেখান থেকে তৈরি হয় সাধারণ চাও। পার্থক্য এই যে, গ্রিন টি-র পাতা বেশি প্রক্রিয়াজাত করা হয় না, ফলে এতে থাকা পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি মাত্রায় অক্ষত থাকে। এসব উপাদান শরীরের কোষগুলোর ক্ষয়রোধ করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং বয়সের ছাপ ধীরে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড ইনটেগ্রেটিভ হেলথ গ্রিন টি সম্পর্কে জানায়, ‘‘সবুজ চা-তে থাকা ক্যাটেচিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র্যাডিকাল কমিয়ে দেয়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।’’
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়াল্টার উইলেট বলেন, “গ্রিন টি-তে থাকা পলিফেনল হৃদ্রোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, যদিও তা নির্ভর করে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার ওপর।” তাঁর মতে, দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে শরীরে উপকার মিলতে পারে, তবে অতিরিক্ত পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে ওজন কমাতেও সহায়ক হতে পারে। জাপানের তোহোকু ইউনিভার্সিটি-র পুষ্টিবিদ ড. কায়ো নাকামুরা বলেন, ‘‘যাঁরা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন, তাঁদের মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে এবং হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও কমে। তবে এটি কোনো ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’ নয়, বরং একটি সহায়ক উপাদান মাত্র।”
সবুজ চায়ের এমন অনেক ইতিবাচক দিক থাকলেও একে ‘চিরসুস্থতার ওষুধ’ হিসেবে ভাবার সুযোগ নেই। এটি যেমন উপকার করতে পারে, তেমনই অনিয়মিত বা অতিরিক্ত সেবন করলে শরীরে তৈরি হতে পারে নানা সমস্যা।
বিশেষ করে, গ্রিন টি-তে থাকে ক্যাফেইন। যদিও এটি সাধারণ চায়ের তুলনায় কম, তবুও অতিরিক্ত ক্যাফেইন ঘুমের সমস্যা, উদ্বেগ, হাত কাঁপা বা হৃৎস্পন্দনের তারতম্য ঘটাতে পারে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর চিকিৎসক ড. মেরি হিউস্টন বলেন, “যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বা রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের গ্রিন টি পান করার সময় সতর্ক হওয়া উচিত।”
এছাড়া গ্রিন টি খালি পেটে পান করলে অনেকে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। কারণ এতে থাকা ট্যানিন নামক যৌগ পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে হতে পারে গ্যাস, বমিভাব বা বুক জ্বালার সমস্যা।
একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গ্রিন টি আয়রনের শোষণে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ফলে যাঁরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন বা আয়রনের ঘাটতিতে ভোগেন, তাঁদের খাওয়ার সঙ্গে বা খাওয়ার ঠিক পরে গ্রিন টি না খাওয়াই ভালো। যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডন-এর পুষ্টিবিদ ড. হ্যারি ম্যাকগ্রাথ বলেন, “সবুজ চায়ে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড আয়রন শোষণ কমাতে পারে। তাই আয়রনের উৎসজাত খাবার খাওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে গ্রিন টি পান করা বাঞ্ছনীয়।”
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বাজারে এখন নানা ধরনের ‘গ্রিন টি এক্সট্র্যাক্ট’ বা ‘সাপ্লিমেন্ট’ পাওয়া যায়, যেগুলো অনেক বেশি ঘনত্বে থাকে। এসব সাপ্লিমেন্ট নিয়মিত বা মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণ করলে যকৃতের ওপর চাপ পড়তে পারে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) সতর্ক করে জানিয়েছে, “গ্রিন টি সাপ্লিমেন্ট যকৃতের ক্ষতি করতে পারে, বিশেষত যখন সেগুলো দৈনিক পরিমাণের বাইরে দীর্ঘ সময় গ্রহণ করা হয়।”
তবে এসব সতর্কতার মধ্যেও গ্রিন টি তার উপকারিতার জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চীনের প্রাচীন সংস্কৃতিতে এটি শুধু পানীয় নয়, বরং একধরনের ঔষধি উদ্ভিদ হিসেবেই বিবেচিত হতো। আজও আধুনিক বিজ্ঞানের নানা গবেষণায় তার গুণাগুণ প্রমাণিত হচ্ছে।
শেষ কথা হলো, সবুজ চা নিঃসন্দেহে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়, তবে এর সেবন হতে হবে সচেতনভাবে। প্রতিদিন ২-৩ কাপের বেশি নয়, খাওয়ার সময় এবং শারীরিক অবস্থার বিবেচনায় নিয়েই পান করা উচিত। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা—গ্রিন টি কোনো অলৌকিক পানীয় নয়, এটি শুধুই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের একটি অংশ হতে পারে।
শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে এক কাপ গ্রিন টি-র পাশাপাশি প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম আহার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক প্রশান্তি। তবেই সম্ভব পূর্ণাঙ্গ সুস্থ জীবন।
জর্জিনা ছিলেন একজন সাধারণ বিক্রয়কর্মী। কিন্তু খ্যাতি বা সামাজিক অবস্থানের ভিন্নতা তাদের ভালোবাসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
৭ দিন আগেএবার নতুন করে দুঃসংবাদ পেল টাইগাররা। আইসিসির সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ পিছিয়ে দশম স্থানে নেমে গেছে লাল সবুজের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর নবম স্থানে উঠে এলেও, আজকের প্রকাশিত নতুন র্যাঙ্কিংয়ে টাইগাররা এখন দশম স্থানে।
৮ দিন আগেকিছু ভিটামিনের ঘাটতিও এই রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন ডি-এর অভাব ত্বকের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, যার ফলে ত্বকের কোষে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে এবং ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, সি ও ই-এর অভাবও ত্বকের সুস্থতা নষ্ট করে দেয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিতে ভূমিকা রাখে
১০ দিন আগেআগামী বছরের এপ্রিলে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে লাওসে বাছাইপর্ব খেলছে আফঈদা-সাগরিকারা। সেখানেই তারা ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল তিমুর লেস্তে তথা পূর্ব তিমুরের।
১১ দিন আগে