চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুটি পক্ষ। এ সময় ভাঙচুরের পাশাপাশি কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার এবং দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। রাউজানে স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপির এই দুই নেতার সমর্থক-অনুসারীদের মধ্যে গত ৫ আগস্ট থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাউজান পৌরসভার ছত্তারহাট এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটেছে। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রাউজানে বিএনপির এ দুপক্ষের নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে রাউজান পৌরসভা সদরে গোলাম আকবর খোন্দকারের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও রাউজান উপজেলার সাবেক সভাপতি প্রয়াত মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জেয়ারতের কর্মসূচি ছিল। একই সময়ে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গোলাম আকবর খোন্দকারকে নিয়ে নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে রাউজান পৌরসভা এলাকার সুলতানপুরে প্রয়াত মহিউদ্দিন আহমেদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে পৌরসভার মুন্সীঘাটা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন গিয়াস কাদেরের অনুসারীরা। পৌরসভার ছত্তারহাট এলাকায় দুপক্ষ মুখোমুখি হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাউজানে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ছবি: রাজনীতি ডটকম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়িবহর ছত্তারহাট এলাকায় গিয়ে আটকে যায়। সেখানে লাঠিসোঠা নিয়ে কয়েক শ লোক সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। সেখান থেকে আকবরের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ পক্ষ থেকেও পালটা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
সংঘর্ষের মধ্যে গোলাম আকবরের চালক গাড়ি থেকে নামলে ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন। ওই গাড়িতেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হলে গাড়ির কাঁচ ভেঙে রক্তাক্ত হন গোলাম আকবর। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে গেলে নেতাকর্মীরা তাকে সরিয়ে নেন। এরপর সড়কের ওপর কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা।
পুলিশ-র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংঘাতে জড়িতরা চলে যান। এ সময় গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা অন্য গাড়িতে চট্টগ্রাম শহরের দিকে চলে যান। আহত গোলাম আকবর খোন্দকারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে রাউজানে ৯ আগস্ট তাদের সমাবেশ সামনে রেখে প্রচারের জন্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছত্তারহাট এলাকায় গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
অন্যদিকে গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তারা তখনকার স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলের করিমের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তখন গিয়াস কাদেরের অনুসারীরা ওই সংসদ সদস্যের সঙ্গে লিঁয়াজো করে ‘শান্তিতে’ ছিলেন। এখন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফজলের করিমের ক্যাডারদের বিএনপিতে এনে দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, রাউজানে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আমাদের ওসি ঝুঁকি নিয়ে সংঘর্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে দুপক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, একজন সিনিয়র লিডার আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। দুটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুটি পক্ষ। এ সময় ভাঙচুরের পাশাপাশি কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার এবং দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। রাউজানে স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপির এই দুই নেতার সমর্থক-অনুসারীদের মধ্যে গত ৫ আগস্ট থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাউজান পৌরসভার ছত্তারহাট এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটেছে। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রাউজানে বিএনপির এ দুপক্ষের নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে রাউজান পৌরসভা সদরে গোলাম আকবর খোন্দকারের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও রাউজান উপজেলার সাবেক সভাপতি প্রয়াত মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জেয়ারতের কর্মসূচি ছিল। একই সময়ে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গোলাম আকবর খোন্দকারকে নিয়ে নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে রাউজান পৌরসভা এলাকার সুলতানপুরে প্রয়াত মহিউদ্দিন আহমেদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে পৌরসভার মুন্সীঘাটা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন গিয়াস কাদেরের অনুসারীরা। পৌরসভার ছত্তারহাট এলাকায় দুপক্ষ মুখোমুখি হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাউজানে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ছবি: রাজনীতি ডটকম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়িবহর ছত্তারহাট এলাকায় গিয়ে আটকে যায়। সেখানে লাঠিসোঠা নিয়ে কয়েক শ লোক সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। সেখান থেকে আকবরের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ পক্ষ থেকেও পালটা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
সংঘর্ষের মধ্যে গোলাম আকবরের চালক গাড়ি থেকে নামলে ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন। ওই গাড়িতেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হলে গাড়ির কাঁচ ভেঙে রক্তাক্ত হন গোলাম আকবর। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে গেলে নেতাকর্মীরা তাকে সরিয়ে নেন। এরপর সড়কের ওপর কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা।
পুলিশ-র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংঘাতে জড়িতরা চলে যান। এ সময় গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা অন্য গাড়িতে চট্টগ্রাম শহরের দিকে চলে যান। আহত গোলাম আকবর খোন্দকারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে রাউজানে ৯ আগস্ট তাদের সমাবেশ সামনে রেখে প্রচারের জন্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছত্তারহাট এলাকায় গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
অন্যদিকে গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তারা তখনকার স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলের করিমের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তখন গিয়াস কাদেরের অনুসারীরা ওই সংসদ সদস্যের সঙ্গে লিঁয়াজো করে ‘শান্তিতে’ ছিলেন। এখন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফজলের করিমের ক্যাডারদের বিএনপিতে এনে দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, রাউজানে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আমাদের ওসি ঝুঁকি নিয়ে সংঘর্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে দুপক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, একজন সিনিয়র লিডার আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। দুটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিষিদ্ধ বালাইনাশকের ব্যবহারে রাজশাহীর শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বারসিক। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগেইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশনস মো. আবদুল কাইয়্যুম বলেন, “যোগাযোগ শুধু কথা বলার দক্ষতা নয়, এটি হলো শ্রবণ, উপলব্ধি এবং প্রভাব তৈরির সমন্বয়। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সাফল্যের জন্য দক্ষ যোগাযোগ অপরিহার্য। লেখাপড়ার পাশাপাশি কমিউনিকেশনে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।”
১১ ঘণ্টা আগেসংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১২ জুলাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশন ঘিরে হানাহানি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ড. টি এম মাহবুবুর রহমান এ ধরনের হিংসাত্মক ও অশোভন আচরণ
১৪ ঘণ্টা আগেনাহিদ বলেন, গাজীপুরে সন্ত্রাসীরা টহল দিচ্ছে। মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ভেবেছে ভয়, দেখিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে রুখে দেবে। কিন্তু গোপালগঞ্জেও আমাদের বাধা দিয়ে রাখা যায় নাই। আমরা গোপালগঞ্জের মাটিতে গিয়েছি, গাজীপুরেও এসেছি।
১ দিন আগে