প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে এ ঘটনার নেপথ্যে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যকেই দায়ী মনে করছে দপ্তরটি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এর আগে বুধবার রাতে ওই বাড়ি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করে ছাত্র-জনতা। বাড়িটি ভাঙার কাজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্তও চলছিল।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করা শেখ হাসিনার বুধবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে ছাত্রসমাজের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করেই বাড়িটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রনেতারা।
প্রেস উইং বিবৃতিতে বলছে, গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল (বুধবার) রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে, যার দুটি অংশ আছে। একটি অংশ হলো— জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদের অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে আগুনে পুড়ছে ধানমিন্ড ৩২ নম্বর বাড়ি। ছবি: রাজনীতি ডটকম
বক্তব্যের আরেক অংশ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরও তিনি একই হুমকি-ধমকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির হুমকি দিয়েছেন। মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব বলেও মনে করছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে প্রেস উইং বলছে, এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
চট্টগ্রামেও শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর
গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হানিফের কুষ্টিয়ার বাড়ি
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, চলছে ভাঙচুর
শেখ হাসিনার পারিবারিক বাসভবন সুধাসনদেও আগুন
বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে খুলনার ‘শেখ বাড়ি’
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের বাড়িতে ছাত্র-জনতার আগুন
শেখ হাসিনার উসকানিতে ৩২ নম্বরের ঘটনা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাবিতে বঙ্গবন্ধু হলের নামফলক ভাঙচুর, ‘বিজয়-২৪ হল’ নামকরণ
বুলডোজারে গুঁড়িয়ে গেল ‘সেরনিয়াবাত ভবন’, ভাঙা পড়বে আমুর বাড়ি
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পদক্ষেপের জন্য ভারত দায়ী থাকবে: উপদেষ্টা নাহিদ
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে এ ঘটনার নেপথ্যে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যকেই দায়ী মনে করছে দপ্তরটি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এর আগে বুধবার রাতে ওই বাড়ি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করে ছাত্র-জনতা। বাড়িটি ভাঙার কাজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্তও চলছিল।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করা শেখ হাসিনার বুধবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে ছাত্রসমাজের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করেই বাড়িটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রনেতারা।
প্রেস উইং বিবৃতিতে বলছে, গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল (বুধবার) রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে, যার দুটি অংশ আছে। একটি অংশ হলো— জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদের অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে আগুনে পুড়ছে ধানমিন্ড ৩২ নম্বর বাড়ি। ছবি: রাজনীতি ডটকম
বক্তব্যের আরেক অংশ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরও তিনি একই হুমকি-ধমকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির হুমকি দিয়েছেন। মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব বলেও মনে করছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে প্রেস উইং বলছে, এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
চট্টগ্রামেও শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর
গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হানিফের কুষ্টিয়ার বাড়ি
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, চলছে ভাঙচুর
শেখ হাসিনার পারিবারিক বাসভবন সুধাসনদেও আগুন
বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে খুলনার ‘শেখ বাড়ি’
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের বাড়িতে ছাত্র-জনতার আগুন
শেখ হাসিনার উসকানিতে ৩২ নম্বরের ঘটনা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাবিতে বঙ্গবন্ধু হলের নামফলক ভাঙচুর, ‘বিজয়-২৪ হল’ নামকরণ
বুলডোজারে গুঁড়িয়ে গেল ‘সেরনিয়াবাত ভবন’, ভাঙা পড়বে আমুর বাড়ি
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পদক্ষেপের জন্য ভারত দায়ী থাকবে: উপদেষ্টা নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুজিবনগর সরকারের যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
৭ ঘণ্টা আগেবীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরাসরি যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, তাঁদের মধ্যে মুজিবনগর সরকার, বীরাঙ্গনা এবং মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসকদের সহায়কদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এর বাইরে অন্যদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে রাখা হ
৯ ঘণ্টা আগেসালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগে একসময় ৩০ আসন ছিল, পরে এটা আমরা বৃদ্ধি করে ৪৫ করেছিলাম এবং পরবর্তী লাস্ট সংশোধনের মধ্যে এটা ৫০ আসন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পদ্ধতিটা হচ্ছে আনুপাতিক হারে যাদের যত সদস্য আছে—সেই অনুপাতে সেটা নির্ধারিত হয়। পরে আমরা আরও ৫০টা আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব করলাম আমাদের দলের পক্ষ থেকে।
১ দিন আগেসরকার যদি শপথ না পড়ায়, তাহলে নিজেই নেতাকর্মীদের নিয়ে শপথ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের চেয়াবে বসে পড়বেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনে ‘বহিরাগত’ কোনো প্রশাসক ও সরকারের উপদেষ্টাকে নগর ভবনে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
১ দিন আগে