ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
মানুষের শরীর অনেকটা জটিল এক যন্ত্রের মতো। প্রতিদিনের খাবারে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলোর মাধ্যমে এই যন্ত্রটা ঠিকঠাক চলে। কিন্তু কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি হলে সেই যন্ত্রে ধীরে ধীরে সমস্যা দেখা দেয়। তেমনই এক সমস্যা হচ্ছে ‘বেরিবেরি’ রোগ, যা মূলত ভিটামিন বি১ বা থায়ামিনের ঘাটতির কারণে হয়। সাধারণ মানুষ অনেক সময় জানেই না যে তাদের শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের অভাব রয়েছে। ফলে অসুস্থতা শুরু হলেও তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে।
ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন শরীরের কোষগুলোকে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। আমাদের খাওয়া খাবার থেকে গ্লুকোজ বের হয়, আর সেই গ্লুকোজ ভেঙে শক্তি তৈরি করে থায়ামিন। এই শক্তি প্রয়োজন পড়ে বিশেষ করে স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের কাজ ঠিক রাখতে। তাই যখন এই ভিটামিনের ঘাটতি হয়, তখন সেসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গেই প্রথমে সমস্যা দেখা দেয়।
বেরিবেরি রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়— ‘ওয়েট বেরিবেরি’ ও ‘ড্রাই বেরিবেরি’। ওয়েট বেরিবেরিতে মূলত হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। আর ড্রাই বেরিবেরিতে প্রভাব পড়ে স্নায়ুতন্ত্রে। ড্রাই বেরিবেরিতে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পায়ে ঝিনঝিন অনুভব হয়, হাঁটতে কষ্ট হয়, পায়ের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি কেউ কেউ একসময় চলাফেরা পর্যন্ত করতে পারে না। অন্যদিকে, ওয়েট বেরিবেরিতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, পা ফুলে যায় এবং হঠাৎ করে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যুও হতে পারে।
থায়ামিনের অভাবে মস্তিষ্কেও সমস্যা হতে পারে। একটি বিশেষ ধরনের বেরিবেরি রোগ আছে যার নাম ‘ওয়েরনিকি-করসাকফ সিনড্রোম’। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কে বিভ্রান্তি দেখা দেয়, স্মৃতি দুর্বল হয়ে যায়, চোখে সমস্যা হয়, এমনকি ভারসাম্য রাখতে পারে না। এই অবস্থা বেশি দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল পান করা ব্যক্তিদের মধ্যে। কারণ অ্যালকোহল শরীরে থায়ামিন শোষণ কমিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন বিষয়ের অধ্যাপক ড. মাইকেল গ্রেগার বলেন, “থায়ামিনের ঘাটতি এমন এক সমস্যা, যা ধীরে ধীরে শরীরের ভেতর থেকে ক্ষয় করে। অথচ সঠিক খাবার খেলে এটা একেবারেই প্রতিরোধযোগ্য।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেরিবেরি রোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে, যেখানে মানুষের প্রধান খাদ্য যন্ত্রে ছাঁটাই করা মসৃণ চাল। এই চালে থাকা থায়ামিন বাইরের স্তরের সঙ্গে বাদ পড়ে যায়। ফলে দীর্ঘদিন শুধু এই চাল খেলে শরীরে ধীরে ধীরে থায়ামিনের ঘাটতি তৈরি হয়।
বাংলাদেশেও এমন ঘটনা খুব কম নয়। বিশেষ করে দরিদ্র ও একঘেয়ে খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত মানুষদের মধ্যে এই রোগের আশঙ্কা বেশি। গ্রামীণ এলাকায় অনেক সময় শিশুদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়, যাদের খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র্য কম।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজিস্ট ড. সারাহ হজসন বলেন, ‘আমরা বেরিবেরি রোগকে অতীতের রোগ ভাবি। কিন্তু বর্তমানে খাদ্য বৈচিত্র্যের অভাবে ও অ্যালকোহলের অপব্যবহারে এটি আধুনিক সমাজেও ফিরে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ রোগের লক্ষণগুলো অন্যান্য রোগের মতোই— কমজোরি, ঝিনঝিন ভাব, মানসিক বিভ্রান্তি। ফলে অনেক সময় ভুল রোগ নির্ণয় হয়।’
এই রোগ প্রতিরোধে দরকার সচেতনতা। ভিটামিন বি১ বেশি থাকে যেসব খাবারে, সেগুলো হলো গোটা শস্য, বাদাম, ডাল, ডিম, মাছ ও মাংস। বিশেষ করে ব্রাউন রাইস বা লাল চাল, যা থায়ামিন ধরে রাখে। অতিরিক্ত প্রসেস করা খাবার, যেমন প্যাকেটজাত স্ন্যাকস বা সফট ড্রিংকস খেলে শরীরের পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা দীর্ঘদিন ওজন কমানোর জন্য খাবার খাওয়া কমিয়ে দেন, কিংবা যারা ডায়রেটিক ওষুধ খান, তাদের ভিটামিন বি১-এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার যেসব শিশুরা কেবল দুধভিত্তিক খাবারে বড় হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেও এই ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষক ড. রেবেকা থম্পসন বলেন, ‘থায়ামিনের ঘাটতি একদিকে যেমন শারীরিক অসুস্থতা ডেকে আনে, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বড় রকম প্রভাব ফেলে। তাই প্রাথমিক লক্ষণগুলো চেনা আর দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া খুবই জরুরি।’
বাংলাদেশের চিকিৎসকরাও এখন এই রোগ নিয়ে আগের চেয়ে বেশি সচেতন। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, দানাদার শস্য, মাছ, ডাল ও বাদাম রাখতে। শিশুদের সঠিক পরিপূরক খাবার দেওয়া এবং গর্ভবতী নারীদের পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করাও জরুরি।
সবশেষে বলা যায়, বেরিবেরি রোগ এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সচেতনতা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে একেবারে প্রতিরোধ করা সম্ভব। দরকার শুধু শরীরের নীরব সংকেতগুলো বুঝে নেওয়া, এবং সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। পুষ্টিহীনতায় ভুগে জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা নয়, বরং সামান্য সচেতনতায় সুস্থ-সচল জীবনের দিকেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।
মানুষের শরীর অনেকটা জটিল এক যন্ত্রের মতো। প্রতিদিনের খাবারে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলোর মাধ্যমে এই যন্ত্রটা ঠিকঠাক চলে। কিন্তু কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি হলে সেই যন্ত্রে ধীরে ধীরে সমস্যা দেখা দেয়। তেমনই এক সমস্যা হচ্ছে ‘বেরিবেরি’ রোগ, যা মূলত ভিটামিন বি১ বা থায়ামিনের ঘাটতির কারণে হয়। সাধারণ মানুষ অনেক সময় জানেই না যে তাদের শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের অভাব রয়েছে। ফলে অসুস্থতা শুরু হলেও তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে।
ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন শরীরের কোষগুলোকে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। আমাদের খাওয়া খাবার থেকে গ্লুকোজ বের হয়, আর সেই গ্লুকোজ ভেঙে শক্তি তৈরি করে থায়ামিন। এই শক্তি প্রয়োজন পড়ে বিশেষ করে স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের কাজ ঠিক রাখতে। তাই যখন এই ভিটামিনের ঘাটতি হয়, তখন সেসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গেই প্রথমে সমস্যা দেখা দেয়।
বেরিবেরি রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়— ‘ওয়েট বেরিবেরি’ ও ‘ড্রাই বেরিবেরি’। ওয়েট বেরিবেরিতে মূলত হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। আর ড্রাই বেরিবেরিতে প্রভাব পড়ে স্নায়ুতন্ত্রে। ড্রাই বেরিবেরিতে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পায়ে ঝিনঝিন অনুভব হয়, হাঁটতে কষ্ট হয়, পায়ের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি কেউ কেউ একসময় চলাফেরা পর্যন্ত করতে পারে না। অন্যদিকে, ওয়েট বেরিবেরিতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, পা ফুলে যায় এবং হঠাৎ করে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যুও হতে পারে।
থায়ামিনের অভাবে মস্তিষ্কেও সমস্যা হতে পারে। একটি বিশেষ ধরনের বেরিবেরি রোগ আছে যার নাম ‘ওয়েরনিকি-করসাকফ সিনড্রোম’। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কে বিভ্রান্তি দেখা দেয়, স্মৃতি দুর্বল হয়ে যায়, চোখে সমস্যা হয়, এমনকি ভারসাম্য রাখতে পারে না। এই অবস্থা বেশি দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল পান করা ব্যক্তিদের মধ্যে। কারণ অ্যালকোহল শরীরে থায়ামিন শোষণ কমিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন বিষয়ের অধ্যাপক ড. মাইকেল গ্রেগার বলেন, “থায়ামিনের ঘাটতি এমন এক সমস্যা, যা ধীরে ধীরে শরীরের ভেতর থেকে ক্ষয় করে। অথচ সঠিক খাবার খেলে এটা একেবারেই প্রতিরোধযোগ্য।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেরিবেরি রোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে, যেখানে মানুষের প্রধান খাদ্য যন্ত্রে ছাঁটাই করা মসৃণ চাল। এই চালে থাকা থায়ামিন বাইরের স্তরের সঙ্গে বাদ পড়ে যায়। ফলে দীর্ঘদিন শুধু এই চাল খেলে শরীরে ধীরে ধীরে থায়ামিনের ঘাটতি তৈরি হয়।
বাংলাদেশেও এমন ঘটনা খুব কম নয়। বিশেষ করে দরিদ্র ও একঘেয়ে খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত মানুষদের মধ্যে এই রোগের আশঙ্কা বেশি। গ্রামীণ এলাকায় অনেক সময় শিশুদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়, যাদের খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র্য কম।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজিস্ট ড. সারাহ হজসন বলেন, ‘আমরা বেরিবেরি রোগকে অতীতের রোগ ভাবি। কিন্তু বর্তমানে খাদ্য বৈচিত্র্যের অভাবে ও অ্যালকোহলের অপব্যবহারে এটি আধুনিক সমাজেও ফিরে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ রোগের লক্ষণগুলো অন্যান্য রোগের মতোই— কমজোরি, ঝিনঝিন ভাব, মানসিক বিভ্রান্তি। ফলে অনেক সময় ভুল রোগ নির্ণয় হয়।’
এই রোগ প্রতিরোধে দরকার সচেতনতা। ভিটামিন বি১ বেশি থাকে যেসব খাবারে, সেগুলো হলো গোটা শস্য, বাদাম, ডাল, ডিম, মাছ ও মাংস। বিশেষ করে ব্রাউন রাইস বা লাল চাল, যা থায়ামিন ধরে রাখে। অতিরিক্ত প্রসেস করা খাবার, যেমন প্যাকেটজাত স্ন্যাকস বা সফট ড্রিংকস খেলে শরীরের পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা দীর্ঘদিন ওজন কমানোর জন্য খাবার খাওয়া কমিয়ে দেন, কিংবা যারা ডায়রেটিক ওষুধ খান, তাদের ভিটামিন বি১-এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার যেসব শিশুরা কেবল দুধভিত্তিক খাবারে বড় হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেও এই ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষক ড. রেবেকা থম্পসন বলেন, ‘থায়ামিনের ঘাটতি একদিকে যেমন শারীরিক অসুস্থতা ডেকে আনে, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বড় রকম প্রভাব ফেলে। তাই প্রাথমিক লক্ষণগুলো চেনা আর দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া খুবই জরুরি।’
বাংলাদেশের চিকিৎসকরাও এখন এই রোগ নিয়ে আগের চেয়ে বেশি সচেতন। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, দানাদার শস্য, মাছ, ডাল ও বাদাম রাখতে। শিশুদের সঠিক পরিপূরক খাবার দেওয়া এবং গর্ভবতী নারীদের পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করাও জরুরি।
সবশেষে বলা যায়, বেরিবেরি রোগ এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সচেতনতা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে একেবারে প্রতিরোধ করা সম্ভব। দরকার শুধু শরীরের নীরব সংকেতগুলো বুঝে নেওয়া, এবং সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। পুষ্টিহীনতায় ভুগে জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা নয়, বরং সামান্য সচেতনতায় সুস্থ-সচল জীবনের দিকেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।
বাংলাদেশ যখন ব্রিটিশ ভারতের অংশ ছিল, সেই সময় থেকেই এই ম্যাট্রিক পরীক্ষা চালু হয়েছিল। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এই অঞ্চলে প্রথম ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার প্রবর্তন হয় ১৮৫৭ সালে, যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১০ ঘণ্টা আগেঅতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টির ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরের কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
১ দিন আগেডেউয়া দেখতে অনেকটা ছোট কাঁঠালের মতো হলেও এর গঠন অনেকটা ভিন্ন। বাইরের অংশে হালকা কাঁটার মতো টান টান অংশ থাকে, কিন্তু ভেতরের অংশ অনেকটাই কোমল, খাওয়ার সময় জিভে এক ধরণের টক-মিষ্টি অনুভূতি দেয়।
১ দিন আগেইরাণের পারমাণবিক কর্মসূচির গোড়া পত্তন হয় ১৯৫০-এর দশকে। তখন দেশটির শাসন ক্ষমতায় ছিলেন মোহাম্মদ রেজা পাহলভি, ইরাণের শাহ। সে সময় ইরাণ ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র।
১ দিন আগে