ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
গ্যাস্ট্রিক কিংবা অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন আমাদের জীবনের এক অপ্রিয় সঙ্গী হয়ে উঠেছে। অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, বিশেষ করে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, আর অপর্যাপ্ত ঘুম যাঁদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। তবে খাদ্যাভ্যাসই গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম প্রধান কারণ। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে পেটে গ্যাস জমে, অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় এবং পেট জ্বালা, বুকে ব্যথা, ঢেঁকুর, এমনকি বমির ভাবও দেখা দেয়। এইসব সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু ওষুধেই নয়, বরং খাদ্যতালিকা থেকেই শুরু করতে হবে পরিবর্তন। কোন খাবার গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে তোলে—তা জানা থাকলে রোগ প্রতিরোধ করা অনেক সহজ হয়।
গ্যাস্ট্রিকের মূল সমস্যা হলো পাকস্থলীর মধ্যে অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপন্ন হওয়া। এই অ্যাসিড যদি পাকস্থলীর দেয়ালের সংস্পর্শে বেশি সময় থাকে, তবে তা ঘা বা আলসার পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আবার অনেক সময় খাবারের মাধ্যমে পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি বেড়ে যায় বা বিদ্যমান অ্যাসিডকে আরও সক্রিয় করে তোলে। তাই গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি এড়াতে হলে এমন খাবার থেকে দূরে থাকা জরুরি, যেগুলো অ্যাসিড উৎপাদনে সহায়তা করে।
এই প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস-এর গবেষক ড. ডেবরা সেলবি বলেন, "অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কিছু নির্দিষ্ট খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এইসব খাবার পাকস্থলীর নিচের ভাল্বকে শিথিল করে, ফলে অ্যাসিড সহজেই উপরের দিকে উঠে আসে।" তাঁর মতে, রোগীরা যদি এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলেন, তবে ওষুধ ছাড়াও অনেকাংশে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বিশ্বজুড়ে গবেষকরা অনেক গবেষণার মাধ্যমে এমন কিছু খাবারের তালিকা দিয়েছেন, যেগুলো গ্যাস্ট্রিকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন, চর্বিযুক্ত খাবার বা ফ্যাটি ফুড—এগুলো হজম হতে সময় নেয়, ফলে পাকস্থলীতে বেশি সময় থাকে এবং অধিক অ্যাসিড তৈরি হয়। ফ্রাইড চিকেন, বার্গার, পিৎজা, ঘন গ্রেভিওয়ালা খাবার এসবই এর অন্তর্ভুক্ত। এসব খাবার খাওয়ার পরই অনেকের পেটে ভার ভার লাগে বা ঢেঁকুর ওঠে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো-এর নিউট্রিশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের গবেষক ড. লরা ম্যাকগোয়ান বলেন, "ফ্যাটি খাবার পাকস্থলীতে দেরিতে হজম হয় বলে অনেকক্ষণ ধরে অ্যাসিড নিঃসরণ অব্যাহত থাকে। এটি গ্যাস্ট্রিকের প্রধান চালক হিসেবে কাজ করে।"
একইভাবে মসলা ও ঝালযুক্ত খাবারও গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে তোলে। মরিচ, গোলমরিচ, আদা-রসুনের অতিরিক্ত ব্যবহার পাকস্থলীতে জ্বালা সৃষ্টি করে। দক্ষিণ এশিয়ার খাবারে অতিরিক্ত তেল-মশলার ব্যবহার অনেক বেশি। এই কারণেই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সাধারণত বেশি দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলির নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপকড. ম্যাথিউ ওয়াকার বলেন, "মানবদেহে খাদ্যের রেসপন্স শুধুমাত্র হজমে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ঘুম, আবেগ এবং চাপ—সবকিছুতে এর প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে ঝাল খাবার রাতে খেলে ঘুমের গুণমানও কমে, যেটা পরোক্ষভাবে গ্যাস্ট্রিককে বাড়িয়ে তোলে।"
কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়—যেমন চা, সফট ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংক ইত্যাদিও অ্যাসিড তৈরি বাড়িয়ে তোলে। অনেকেই সকালে খালি পেটে কফি পান করেন, এটা গ্যাস্ট্রিকের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ ক্যাফেইন পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে খালি পেটে তা সরাসরি পেটের দেয়ালে আঘাত হানে।
অ্যালকোহল ও চকলেটও গ্যাস্ট্রিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী। চকলেটে থাকা থিওব্রোমিন নামের উপাদান পাকস্থলীর ভাল্বকে শিথিল করে, ঠিক যেমনটি অ্যালকোহল করে। ফলে অ্যাসিড সহজে উপরের দিকে উঠে যায়।
পেঁয়াজ ও রসুন—বিশেষ করে কাঁচা অবস্থায় খেলে অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। এগুলো পাকস্থলীতে ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় গ্যাস তৈরি করে, ফলে পেটে ফোলাভাব হয় এবং ঢেঁকুর উঠতে থাকে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কার্বোনেটেড পানীয়, যেমন—কোলা জাতীয় যেকোনো পানীয়। এতে থাকা গ্যাস পেটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়িয়ে তোলে।
এইসব খাবার শুধু গ্যাস্ট্রিক নয়, দীর্ঘমেয়াদে পাকস্থলীর দেয়ালে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রসঙ্গে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল-এর নিউট্রিশন বিভাগের গবেষক ড. হানা কোলম্যান বলেন, "অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ শুধু পেট ব্যথা নয়, দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে এটি গ্যাস্ট্রিক আলসারের রূপ নিতে পারে। তাই নিয়মিত কিছু খাবার পরিহার করার মাধ্যমে বহু রোগ এড়ানো সম্ভব।"
তবে শুধু এড়িয়ে চলা নয়, কিছু কিছু খাবার যোগ করাও জরুরি। যেমন—তরলজাতীয় খাবার, ফাইবারযুক্ত ফলমূল, সবজি, দুধ (যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স না থাকে), ওটমিল, আদা চা ইত্যাদি গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আবার খাবার খাওয়ার সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। খালি পেটে থাকা বা খুব দেরিতে খাওয়া—দুইই গ্যাস্ট্রিক বাড়ায়।
অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটি-এর ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন গবেষক ড. সায়মন হোলমস (Dr. Simon Holmes) বলেন, "খাবার শুধু কী খাচ্ছেন তা নয়, কবে এবং কিভাবে খাচ্ছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট ভাগে খাবার খাওয়া, সময়মতো খাওয়া এবং বেশি দেরি করে রাতে না খাওয়া—এগুলো গ্যাস্ট্রিক কমাতে দারুণ কার্যকর।"
অতএব, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু ওষুধ নয়, বরং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। ঝাল, তেল-মশলা, চর্বিযুক্ত ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ঘুম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান—এইসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সর্বোপরি, আমাদের বোঝা উচিত—গ্যাস্ট্রিক শুধু একটি অস্থায়ী সমস্যা নয়, এটি নিয়মিত অবহেলায় দীর্ঘমেয়াদি রোগে পরিণত হতে পারে। তাই প্রতিদিনের প্লেট থেকে যদি কিছু খাবার বাদ দিতে হয়, সেটাই ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, খাবার সচেতন হোন। গ্যাস্ট্রিক এড়াতে এটুকুই যথেষ্ট।
গ্যাস্ট্রিক কিংবা অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন আমাদের জীবনের এক অপ্রিয় সঙ্গী হয়ে উঠেছে। অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, বিশেষ করে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, আর অপর্যাপ্ত ঘুম যাঁদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। তবে খাদ্যাভ্যাসই গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম প্রধান কারণ। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে পেটে গ্যাস জমে, অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় এবং পেট জ্বালা, বুকে ব্যথা, ঢেঁকুর, এমনকি বমির ভাবও দেখা দেয়। এইসব সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু ওষুধেই নয়, বরং খাদ্যতালিকা থেকেই শুরু করতে হবে পরিবর্তন। কোন খাবার গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে তোলে—তা জানা থাকলে রোগ প্রতিরোধ করা অনেক সহজ হয়।
গ্যাস্ট্রিকের মূল সমস্যা হলো পাকস্থলীর মধ্যে অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপন্ন হওয়া। এই অ্যাসিড যদি পাকস্থলীর দেয়ালের সংস্পর্শে বেশি সময় থাকে, তবে তা ঘা বা আলসার পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আবার অনেক সময় খাবারের মাধ্যমে পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি বেড়ে যায় বা বিদ্যমান অ্যাসিডকে আরও সক্রিয় করে তোলে। তাই গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি এড়াতে হলে এমন খাবার থেকে দূরে থাকা জরুরি, যেগুলো অ্যাসিড উৎপাদনে সহায়তা করে।
এই প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস-এর গবেষক ড. ডেবরা সেলবি বলেন, "অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কিছু নির্দিষ্ট খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এইসব খাবার পাকস্থলীর নিচের ভাল্বকে শিথিল করে, ফলে অ্যাসিড সহজেই উপরের দিকে উঠে আসে।" তাঁর মতে, রোগীরা যদি এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলেন, তবে ওষুধ ছাড়াও অনেকাংশে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বিশ্বজুড়ে গবেষকরা অনেক গবেষণার মাধ্যমে এমন কিছু খাবারের তালিকা দিয়েছেন, যেগুলো গ্যাস্ট্রিকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন, চর্বিযুক্ত খাবার বা ফ্যাটি ফুড—এগুলো হজম হতে সময় নেয়, ফলে পাকস্থলীতে বেশি সময় থাকে এবং অধিক অ্যাসিড তৈরি হয়। ফ্রাইড চিকেন, বার্গার, পিৎজা, ঘন গ্রেভিওয়ালা খাবার এসবই এর অন্তর্ভুক্ত। এসব খাবার খাওয়ার পরই অনেকের পেটে ভার ভার লাগে বা ঢেঁকুর ওঠে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো-এর নিউট্রিশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের গবেষক ড. লরা ম্যাকগোয়ান বলেন, "ফ্যাটি খাবার পাকস্থলীতে দেরিতে হজম হয় বলে অনেকক্ষণ ধরে অ্যাসিড নিঃসরণ অব্যাহত থাকে। এটি গ্যাস্ট্রিকের প্রধান চালক হিসেবে কাজ করে।"
একইভাবে মসলা ও ঝালযুক্ত খাবারও গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে তোলে। মরিচ, গোলমরিচ, আদা-রসুনের অতিরিক্ত ব্যবহার পাকস্থলীতে জ্বালা সৃষ্টি করে। দক্ষিণ এশিয়ার খাবারে অতিরিক্ত তেল-মশলার ব্যবহার অনেক বেশি। এই কারণেই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সাধারণত বেশি দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলির নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপকড. ম্যাথিউ ওয়াকার বলেন, "মানবদেহে খাদ্যের রেসপন্স শুধুমাত্র হজমে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ঘুম, আবেগ এবং চাপ—সবকিছুতে এর প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে ঝাল খাবার রাতে খেলে ঘুমের গুণমানও কমে, যেটা পরোক্ষভাবে গ্যাস্ট্রিককে বাড়িয়ে তোলে।"
কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়—যেমন চা, সফট ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংক ইত্যাদিও অ্যাসিড তৈরি বাড়িয়ে তোলে। অনেকেই সকালে খালি পেটে কফি পান করেন, এটা গ্যাস্ট্রিকের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ ক্যাফেইন পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে খালি পেটে তা সরাসরি পেটের দেয়ালে আঘাত হানে।
অ্যালকোহল ও চকলেটও গ্যাস্ট্রিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী। চকলেটে থাকা থিওব্রোমিন নামের উপাদান পাকস্থলীর ভাল্বকে শিথিল করে, ঠিক যেমনটি অ্যালকোহল করে। ফলে অ্যাসিড সহজে উপরের দিকে উঠে যায়।
পেঁয়াজ ও রসুন—বিশেষ করে কাঁচা অবস্থায় খেলে অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। এগুলো পাকস্থলীতে ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় গ্যাস তৈরি করে, ফলে পেটে ফোলাভাব হয় এবং ঢেঁকুর উঠতে থাকে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কার্বোনেটেড পানীয়, যেমন—কোলা জাতীয় যেকোনো পানীয়। এতে থাকা গ্যাস পেটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়িয়ে তোলে।
এইসব খাবার শুধু গ্যাস্ট্রিক নয়, দীর্ঘমেয়াদে পাকস্থলীর দেয়ালে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রসঙ্গে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল-এর নিউট্রিশন বিভাগের গবেষক ড. হানা কোলম্যান বলেন, "অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ শুধু পেট ব্যথা নয়, দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে এটি গ্যাস্ট্রিক আলসারের রূপ নিতে পারে। তাই নিয়মিত কিছু খাবার পরিহার করার মাধ্যমে বহু রোগ এড়ানো সম্ভব।"
তবে শুধু এড়িয়ে চলা নয়, কিছু কিছু খাবার যোগ করাও জরুরি। যেমন—তরলজাতীয় খাবার, ফাইবারযুক্ত ফলমূল, সবজি, দুধ (যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স না থাকে), ওটমিল, আদা চা ইত্যাদি গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আবার খাবার খাওয়ার সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। খালি পেটে থাকা বা খুব দেরিতে খাওয়া—দুইই গ্যাস্ট্রিক বাড়ায়।
অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটি-এর ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন গবেষক ড. সায়মন হোলমস (Dr. Simon Holmes) বলেন, "খাবার শুধু কী খাচ্ছেন তা নয়, কবে এবং কিভাবে খাচ্ছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট ভাগে খাবার খাওয়া, সময়মতো খাওয়া এবং বেশি দেরি করে রাতে না খাওয়া—এগুলো গ্যাস্ট্রিক কমাতে দারুণ কার্যকর।"
অতএব, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু ওষুধ নয়, বরং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। ঝাল, তেল-মশলা, চর্বিযুক্ত ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ঘুম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান—এইসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সর্বোপরি, আমাদের বোঝা উচিত—গ্যাস্ট্রিক শুধু একটি অস্থায়ী সমস্যা নয়, এটি নিয়মিত অবহেলায় দীর্ঘমেয়াদি রোগে পরিণত হতে পারে। তাই প্রতিদিনের প্লেট থেকে যদি কিছু খাবার বাদ দিতে হয়, সেটাই ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, খাবার সচেতন হোন। গ্যাস্ট্রিক এড়াতে এটুকুই যথেষ্ট।
কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
১৯ ঘণ্টা আগেএক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগেগণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণই ক্ষমতার উৎস। সেটা আজকাল কেউ মানে বলে মনে হয় না। সে বাংলাদেশেই হোক বা যুক্তরাষ্ট্র—ক্ষমতাসীন নেতাদের সবাই নিজেদের সর্বেসর্বা মনে করে। গণতন্ত্রের অন্যতম পুরোধা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য
২ দিন আগে