ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বদহজম বা হজমের সমস্যা একটি খুব সাধারণ বিষয়। অতিরিক্ত তেল-ঝাল খাওয়া, অযথা ভোজনের সময়সূচি পরিবর্তন, কম শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক চাপ কিংবা অনিয়মিত ঘুম—সবকিছু মিলেই বদহজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বদহজম হলে পেটে অস্বস্তি, গ্যাস জমা, বুক জ্বালা, ঢেকুর, কিংবা পেট ফাঁপার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বদহজমের সমস্যা চলতে থাকলে এটি বড় ধরনের রোগেরও কারণ হতে পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে বদহজম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এবং শরীর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।
এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর গবেষক ড. উইলিয়াম ডিটজ এ বিষয়ে বলেন, “প্রচুর পানি খাওয়া শুধু বদহজম দূর করতেই সাহায্য করে না, এটি সামগ্রিক হজমপ্রক্রিয়াকে সচল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তাঁর মতে, পানিশূন্যতা হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়, তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করাটা অত্যন্ত জরুরি।
বদহজম হলে আদা একটি কার্যকর ঘরোয়া উপাদান। আদার মধ্যে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা হজমের রস তৈরি বাড়ায় এবং খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে। গরম পানিতে কয়েক টুকরো কাঁচা আদা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে বদহজম কমে আসে। যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডনের পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ ড. জেনি লজ উল্লেখ করেছেন, “আদা হজমতন্ত্রের পেশিকে সক্রিয় করে এবং পেট ফাঁপা বা গ্যাস জমার মতো সমস্যাকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে।” তাঁর মতে, যারা নিয়মিত ভারী খাবার খান, তাঁদের জন্য আদা একটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ সমাধান।
লেবুর রসও বদহজম দূর করার একটি জনপ্রিয় উপায়। খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এটি পাকস্থলীর এসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের গবেষক ড. জন হেন্ডারসন বলেন, “লেবুর ভিটামিন-সি এবং সাইট্রিক এসিড হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। এটি শুধু বদহজম দূরই করে না, বরং শরীরের টক্সিনও পরিষ্কার করে।” তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকালে লেবু-গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের সার্বিক হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
পুদিনা পাতার কথা না বললেই নয়। পুদিনা হজমের অস্বস্তি কমাতে বেশ উপকারী। এর মধ্যে থাকা মেন্থল পেটের পেশি শিথিল করে এবং গ্যাসের চাপ কমায়। পুদিনা পাতা দিয়ে বানানো চা বা স্রেফ কয়েকটি পাতা চিবিয়ে খেলেই বদহজমের সমস্যা উপশম হয়। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর গবেষক ড. এমিলি কার্টার জানিয়েছেন, “পুদিনা শুধু বদহজম দূর করতেই সাহায্য করে না, এটি পাকস্থলীর প্রদাহ কমাতেও কার্যকর।” তিনি বলেন, বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাযুক্ত খাবার খান, তাঁদের জন্য পুদিনা একটি নিরাপদ উপায়।
এছাড়া মৌরী বা সौंফ একটি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ঘরোয়া উপাদান। ভারী খাবারের পর এক চা-চামচ মৌরী চিবিয়ে খেলে বদহজম কমে যায় এবং পেট হালকা লাগে। মৌরীর মধ্যে থাকা তেল হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস জমা প্রতিরোধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ)-এর চিকিৎসক ড. লিসা অ্যান্ডারসন এ বিষয়ে বলেন, “মৌরীর প্রাকৃতিক তেল পাকস্থলীর পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে, যা বদহজমের সমস্যাকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে।” তাঁর মতে, এটি একটি প্রাকৃতিক কারমিনেটিভ, যা গ্যাস কমাতে খুবই কার্যকর।
একইভাবে জিরা বদহজমের ঘরোয়া সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গরম পানিতে সামান্য ভাজা জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পেটের অস্বস্তি কমে যায়। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে জিরাকে বহুদিন ধরেই বদহজমের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ-এর খাদ্যবিজ্ঞানী ড. রবার্ট হিউজ মন্তব্য করেছেন, “জিরা পাকস্থলীর পাচক এনজাইম বাড়ায় এবং খাবার দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে। এটি হজমতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে বদহজমের প্রবণতা কমায়।”
দইও বদহজম কমাতে সাহায্য করে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের হজমতন্ত্রে ভারসাম্য বজায় রাখে। খাবারের পরে এক বাটি দই খেলে বদহজমের সম্ভাবনা কম থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ক্যাথরিন মার্টিন বলেন, “দইয়ের প্রোবায়োটিক হজমতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়, যা বদহজম কমিয়ে পেটের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনে।” তিনি আরও বলেন, নিয়মিত দই খাওয়ার অভ্যাস বদহজম প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বদহজম দূর করার পাশাপাশি কিছু অভ্যাসও পরিবর্তন করা প্রয়োজন। যেমন, খুব দ্রুত খাওয়া বদহজমের বড় কারণ। ধীরে ধীরে এবং ভালো করে চিবিয়ে খেলে খাবার সহজে হজম হয়। শোবার ঠিক আগে ভারী খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। আমেরিকান গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষজ্ঞ ড. পিটার হোয়াইট বলেন, “খাওয়ার পরে অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় না গেলে শোয়া উচিত নয়। খাবারের সঙ্গে সঙ্গেই শুয়ে পড়লে পাকস্থলীর এসিড উপরের দিকে চলে আসে এবং বদহজমের সমস্যা বাড়ায়।”
মানসিক চাপও বদহজমের একটি বড় কারণ। কাজের চাপ, উদ্বেগ কিংবা টেনশন পাকস্থলীর স্বাভাবিক কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই যোগব্যায়াম, ধ্যান কিংবা হাঁটার মতো অভ্যাস বদহজম কমাতে সাহায্য করতে পারে। সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. লার্স হেনরিকসন বলেন, “মানসিক চাপ কমাতে পারলে বদহজমের প্রবণতাও অনেকটা কমে যায়। মনকে শান্ত রাখা এবং পর্যাপ্ত ঘুম হজম প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।”
সবশেষে বলা যায়, বদহজম দূর করতে ওষুধের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে আমাদের ঘরোয়া উপায় এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। পানি, আদা, লেবু, পুদিনা, মৌরী, জিরা কিংবা দই—এসব প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের শরীরের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর। পাশাপাশি ধীরে খাওয়া, মানসিক চাপ কমানো এবং নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস বদহজম প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে সহায়ক হতে পারে। বিদেশি গবেষকদের মতে, ঘরোয়া এই উপায়গুলো শুধু বদহজমের সমস্যাকে লাঘব করে না, বরং সামগ্রিকভাবে সুস্থ জীবনযাপনেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
আপনি চাইলে আমি এই ফিচারটিকে আরেকটু বিস্তারিত করে ১২০০–১৫০০ শব্দে নিয়ে যেতে পারি। কি আমি সেটা করে দেব?
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বদহজম বা হজমের সমস্যা একটি খুব সাধারণ বিষয়। অতিরিক্ত তেল-ঝাল খাওয়া, অযথা ভোজনের সময়সূচি পরিবর্তন, কম শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক চাপ কিংবা অনিয়মিত ঘুম—সবকিছু মিলেই বদহজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বদহজম হলে পেটে অস্বস্তি, গ্যাস জমা, বুক জ্বালা, ঢেকুর, কিংবা পেট ফাঁপার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বদহজমের সমস্যা চলতে থাকলে এটি বড় ধরনের রোগেরও কারণ হতে পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে বদহজম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এবং শরীর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।
এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর গবেষক ড. উইলিয়াম ডিটজ এ বিষয়ে বলেন, “প্রচুর পানি খাওয়া শুধু বদহজম দূর করতেই সাহায্য করে না, এটি সামগ্রিক হজমপ্রক্রিয়াকে সচল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তাঁর মতে, পানিশূন্যতা হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়, তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করাটা অত্যন্ত জরুরি।
বদহজম হলে আদা একটি কার্যকর ঘরোয়া উপাদান। আদার মধ্যে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা হজমের রস তৈরি বাড়ায় এবং খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে। গরম পানিতে কয়েক টুকরো কাঁচা আদা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে বদহজম কমে আসে। যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডনের পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ ড. জেনি লজ উল্লেখ করেছেন, “আদা হজমতন্ত্রের পেশিকে সক্রিয় করে এবং পেট ফাঁপা বা গ্যাস জমার মতো সমস্যাকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে।” তাঁর মতে, যারা নিয়মিত ভারী খাবার খান, তাঁদের জন্য আদা একটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ সমাধান।
লেবুর রসও বদহজম দূর করার একটি জনপ্রিয় উপায়। খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এটি পাকস্থলীর এসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের গবেষক ড. জন হেন্ডারসন বলেন, “লেবুর ভিটামিন-সি এবং সাইট্রিক এসিড হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। এটি শুধু বদহজম দূরই করে না, বরং শরীরের টক্সিনও পরিষ্কার করে।” তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকালে লেবু-গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের সার্বিক হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
পুদিনা পাতার কথা না বললেই নয়। পুদিনা হজমের অস্বস্তি কমাতে বেশ উপকারী। এর মধ্যে থাকা মেন্থল পেটের পেশি শিথিল করে এবং গ্যাসের চাপ কমায়। পুদিনা পাতা দিয়ে বানানো চা বা স্রেফ কয়েকটি পাতা চিবিয়ে খেলেই বদহজমের সমস্যা উপশম হয়। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর গবেষক ড. এমিলি কার্টার জানিয়েছেন, “পুদিনা শুধু বদহজম দূর করতেই সাহায্য করে না, এটি পাকস্থলীর প্রদাহ কমাতেও কার্যকর।” তিনি বলেন, বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাযুক্ত খাবার খান, তাঁদের জন্য পুদিনা একটি নিরাপদ উপায়।
এছাড়া মৌরী বা সौंফ একটি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ঘরোয়া উপাদান। ভারী খাবারের পর এক চা-চামচ মৌরী চিবিয়ে খেলে বদহজম কমে যায় এবং পেট হালকা লাগে। মৌরীর মধ্যে থাকা তেল হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস জমা প্রতিরোধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ)-এর চিকিৎসক ড. লিসা অ্যান্ডারসন এ বিষয়ে বলেন, “মৌরীর প্রাকৃতিক তেল পাকস্থলীর পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে, যা বদহজমের সমস্যাকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে।” তাঁর মতে, এটি একটি প্রাকৃতিক কারমিনেটিভ, যা গ্যাস কমাতে খুবই কার্যকর।
একইভাবে জিরা বদহজমের ঘরোয়া সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গরম পানিতে সামান্য ভাজা জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পেটের অস্বস্তি কমে যায়। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে জিরাকে বহুদিন ধরেই বদহজমের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ-এর খাদ্যবিজ্ঞানী ড. রবার্ট হিউজ মন্তব্য করেছেন, “জিরা পাকস্থলীর পাচক এনজাইম বাড়ায় এবং খাবার দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে। এটি হজমতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে বদহজমের প্রবণতা কমায়।”
দইও বদহজম কমাতে সাহায্য করে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের হজমতন্ত্রে ভারসাম্য বজায় রাখে। খাবারের পরে এক বাটি দই খেলে বদহজমের সম্ভাবনা কম থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ক্যাথরিন মার্টিন বলেন, “দইয়ের প্রোবায়োটিক হজমতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়, যা বদহজম কমিয়ে পেটের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনে।” তিনি আরও বলেন, নিয়মিত দই খাওয়ার অভ্যাস বদহজম প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বদহজম দূর করার পাশাপাশি কিছু অভ্যাসও পরিবর্তন করা প্রয়োজন। যেমন, খুব দ্রুত খাওয়া বদহজমের বড় কারণ। ধীরে ধীরে এবং ভালো করে চিবিয়ে খেলে খাবার সহজে হজম হয়। শোবার ঠিক আগে ভারী খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। আমেরিকান গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষজ্ঞ ড. পিটার হোয়াইট বলেন, “খাওয়ার পরে অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় না গেলে শোয়া উচিত নয়। খাবারের সঙ্গে সঙ্গেই শুয়ে পড়লে পাকস্থলীর এসিড উপরের দিকে চলে আসে এবং বদহজমের সমস্যা বাড়ায়।”
মানসিক চাপও বদহজমের একটি বড় কারণ। কাজের চাপ, উদ্বেগ কিংবা টেনশন পাকস্থলীর স্বাভাবিক কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই যোগব্যায়াম, ধ্যান কিংবা হাঁটার মতো অভ্যাস বদহজম কমাতে সাহায্য করতে পারে। সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. লার্স হেনরিকসন বলেন, “মানসিক চাপ কমাতে পারলে বদহজমের প্রবণতাও অনেকটা কমে যায়। মনকে শান্ত রাখা এবং পর্যাপ্ত ঘুম হজম প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।”
সবশেষে বলা যায়, বদহজম দূর করতে ওষুধের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে আমাদের ঘরোয়া উপায় এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। পানি, আদা, লেবু, পুদিনা, মৌরী, জিরা কিংবা দই—এসব প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের শরীরের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর। পাশাপাশি ধীরে খাওয়া, মানসিক চাপ কমানো এবং নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস বদহজম প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে সহায়ক হতে পারে। বিদেশি গবেষকদের মতে, ঘরোয়া এই উপায়গুলো শুধু বদহজমের সমস্যাকে লাঘব করে না, বরং সামগ্রিকভাবে সুস্থ জীবনযাপনেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
আপনি চাইলে আমি এই ফিচারটিকে আরেকটু বিস্তারিত করে ১২০০–১৫০০ শব্দে নিয়ে যেতে পারি। কি আমি সেটা করে দেব?
কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
১৯ ঘণ্টা আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগেগণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণই ক্ষমতার উৎস। সেটা আজকাল কেউ মানে বলে মনে হয় না। সে বাংলাদেশেই হোক বা যুক্তরাষ্ট্র—ক্ষমতাসীন নেতাদের সবাই নিজেদের সর্বেসর্বা মনে করে। গণতন্ত্রের অন্যতম পুরোধা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য
২ দিন আগেলাউ মূলত ৯০ শতাংশেরও বেশি পানি দিয়ে তৈরি। তাই গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে এটি দারুণ কাজ করে। যারা নিয়মিত লাউ খান, তারা জানেন যে এটি হজমে সহায়ক, শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমায় এবং প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে।
২ দিন আগে