ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
হার্ট বা হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। এটি একটানা রক্ত পাম্প করে শরীরের প্রত্যেকটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে দেয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনিয়মিত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত স্ট্রেস ও অনুশীলনের অভাবে হার্টের নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকেই তরুণ বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, যা অতীতের তুলনায় এখন অনেক বেশি উদ্বেগজনক। তাই হার্টকে সুস্থ্য রাখতে হলে জীবনযাপনের কিছু অভ্যাস বদলাতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই পরিবর্তনগুলো খুব কঠিন কিছু নয়—কিন্তু সচেতনতা ও নিয়মিত চর্চা চাই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ হৃদরোগে মারা যায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মৃত্যুই ঘটে প্রতিরোধযোগ্য কারণে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের কার্ডিওলজিস্ট ড. মার্থা গুলাটি বলেন, “হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে আমাদের হাতে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান থেকে বিরত থাকা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনেকাংশে আমরা হার্ট ভালো রাখতে পারি।”
হার্ট ভালো রাখার মূল মন্ত্র হলো—নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা। কারণ উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার এবং বেশি এলডিএল কোলেস্টেরল ধমনীর ভেতরে প্লাক জমিয়ে রাখে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। এ ছাড়া ব্লাড সুগার লেভেল বেশি থাকলে বা ডায়াবেটিস হলে হার্টের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
শুরু করতে হবে খাদ্যাভ্যাস থেকে। জাঙ্ক ফুড, বেশি লবণ, অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল্যাঙ্গোন হেলথের পুষ্টিবিদ ড. লিসা মোস্কোভিটজ বলেন, “আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে ফল, শাকসবজি, বাদাম, ওটস, অলিভ অয়েল এবং মাছে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড (omega-3 fatty acid) রাখুন। এগুলো ধমনীকে পরিষ্কার রাখে ও প্রদাহ কমায়।” তিনি আরও বলেন, “রেড মিট ও ট্রান্স ফ্যাট (trans fat) হৃদরোগের সবচেয়ে বড় শত্রু। এগুলো যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে।”
খাদ্যের পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শারীরিক অনুশীলন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলেও হার্ট অনেকটা সুস্থ থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের কার্ডিও বা ৭৫ মিনিট শক্তিশালী কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ করা উচিত। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (UCLA) কার্ডিওলজিস্ট ড. গ্রেগ ফন্টানা বলেন, “শুধু শরীরচর্চা নয়, দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকা থেকেও বিরত থাকতে হবে। অনেকক্ষণ বসে থাকলে রক্তপ্রবাহ ধীর হয়, হার্টের উপর চাপ পড়ে।”
ধূমপান হার্টের সবচেয়ে ভয়ংকর শত্রু। এটি ধমনীকে সংকুচিত করে এবং রক্তচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান করা ব্যক্তিরা অধূমপায়ীদের তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ হারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকেন। ইউকে’র ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ড. ডেরেক ইয়েটস বলেন, “ধূমপান বন্ধ করলেই হার্ট রিকভার করতে শুরু করে। এমনকি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে আসে।”
হার্ট ভালো রাখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা। অনেকেই মানসিক চাপ বা স্ট্রেস সামলাতে না পেরে উচ্চ রক্তচাপ ও অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার অভ্যাসে জড়িয়ে পড়েন, যা হার্টের ক্ষতি করে। স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, ইয়োগা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন বা বই পড়ার মতো চর্চা কাজে আসতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের হার্ট বিশেষজ্ঞ ড. ক্যাথরিন হল বলেন, “স্ট্রেস সরাসরি হৃদপিণ্ডে প্রভাব ফেলে। আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট সময় নেন নিজের জন্য, সেই সময়টা মানসিক চাপ কমাতে কাজে লাগান—তবে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকবে।”
পর্যাপ্ত ঘুমও হার্টের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঘুম কম হলে শরীরে কর্টিসল নামের হরমোন বেড়ে যায়, যা রক্তচাপ বাড়ায় এবং ধমনীতে প্রদাহ তৈরি করে। এতে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে। আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ড. রোজালিন কার্টার, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্লিপ রিসার্চার বলেন, “যদি আপনি ঘুম ঠিকমতো না পান, তবে প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসও হার্টকে রক্ষা করতে পারবে না।”
হার্ট ভালো রাখতে হলে শরীরের ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন হার্টের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যাঁদের পেটের চারপাশে চর্বি জমে, তাঁদের মধ্যে হাইপারটেনশন, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং হৃদরোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
সবশেষে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চেকআপ করানো জরুরি। বয়স ৩০ পেরোলেই প্রতি ছয় মাস বা এক বছরে একবার ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল, ইসিজি বা হৃদপিণ্ডের অন্য পরীক্ষা করানো উচিত। অনেক সময় হার্টের সমস্যা নিরবেই এগিয়ে যায়, এবং যখন ধরা পড়ে, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। নিয়মিত চেকআপ করলে আগেভাগেই সেই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, হার্ট ভালো রাখার জন্য এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যা সারাজীবনের সঙ্গী হবে। যেমন—পরিমিত খাওয়া, বেশি করে হাঁটা, সময়মতো ঘুম, ধূমপান বর্জন, মানসিক চাপ কমানো এবং নিজের শরীরকে ভালোবাসা। বিদেশি গবেষকেরা যেটা সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে বলেন, তা হলো—“আপনার হৃদয় আপনারই হাতে। এখন যেভাবে জীবনযাপন করছেন, তার প্রতিফলন একদিন আপনার হৃদপিণ্ডে দেখা যাবে।” তাই সময় থাকতে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা।
হার্ট বা হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। এটি একটানা রক্ত পাম্প করে শরীরের প্রত্যেকটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে দেয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনিয়মিত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত স্ট্রেস ও অনুশীলনের অভাবে হার্টের নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকেই তরুণ বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, যা অতীতের তুলনায় এখন অনেক বেশি উদ্বেগজনক। তাই হার্টকে সুস্থ্য রাখতে হলে জীবনযাপনের কিছু অভ্যাস বদলাতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই পরিবর্তনগুলো খুব কঠিন কিছু নয়—কিন্তু সচেতনতা ও নিয়মিত চর্চা চাই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ হৃদরোগে মারা যায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মৃত্যুই ঘটে প্রতিরোধযোগ্য কারণে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের কার্ডিওলজিস্ট ড. মার্থা গুলাটি বলেন, “হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে আমাদের হাতে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান থেকে বিরত থাকা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনেকাংশে আমরা হার্ট ভালো রাখতে পারি।”
হার্ট ভালো রাখার মূল মন্ত্র হলো—নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা। কারণ উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার এবং বেশি এলডিএল কোলেস্টেরল ধমনীর ভেতরে প্লাক জমিয়ে রাখে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। এ ছাড়া ব্লাড সুগার লেভেল বেশি থাকলে বা ডায়াবেটিস হলে হার্টের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
শুরু করতে হবে খাদ্যাভ্যাস থেকে। জাঙ্ক ফুড, বেশি লবণ, অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল্যাঙ্গোন হেলথের পুষ্টিবিদ ড. লিসা মোস্কোভিটজ বলেন, “আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে ফল, শাকসবজি, বাদাম, ওটস, অলিভ অয়েল এবং মাছে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড (omega-3 fatty acid) রাখুন। এগুলো ধমনীকে পরিষ্কার রাখে ও প্রদাহ কমায়।” তিনি আরও বলেন, “রেড মিট ও ট্রান্স ফ্যাট (trans fat) হৃদরোগের সবচেয়ে বড় শত্রু। এগুলো যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে।”
খাদ্যের পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শারীরিক অনুশীলন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলেও হার্ট অনেকটা সুস্থ থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের কার্ডিও বা ৭৫ মিনিট শক্তিশালী কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ করা উচিত। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (UCLA) কার্ডিওলজিস্ট ড. গ্রেগ ফন্টানা বলেন, “শুধু শরীরচর্চা নয়, দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকা থেকেও বিরত থাকতে হবে। অনেকক্ষণ বসে থাকলে রক্তপ্রবাহ ধীর হয়, হার্টের উপর চাপ পড়ে।”
ধূমপান হার্টের সবচেয়ে ভয়ংকর শত্রু। এটি ধমনীকে সংকুচিত করে এবং রক্তচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান করা ব্যক্তিরা অধূমপায়ীদের তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ হারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকেন। ইউকে’র ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ড. ডেরেক ইয়েটস বলেন, “ধূমপান বন্ধ করলেই হার্ট রিকভার করতে শুরু করে। এমনকি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে আসে।”
হার্ট ভালো রাখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা। অনেকেই মানসিক চাপ বা স্ট্রেস সামলাতে না পেরে উচ্চ রক্তচাপ ও অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার অভ্যাসে জড়িয়ে পড়েন, যা হার্টের ক্ষতি করে। স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, ইয়োগা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন বা বই পড়ার মতো চর্চা কাজে আসতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের হার্ট বিশেষজ্ঞ ড. ক্যাথরিন হল বলেন, “স্ট্রেস সরাসরি হৃদপিণ্ডে প্রভাব ফেলে। আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট সময় নেন নিজের জন্য, সেই সময়টা মানসিক চাপ কমাতে কাজে লাগান—তবে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকবে।”
পর্যাপ্ত ঘুমও হার্টের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঘুম কম হলে শরীরে কর্টিসল নামের হরমোন বেড়ে যায়, যা রক্তচাপ বাড়ায় এবং ধমনীতে প্রদাহ তৈরি করে। এতে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে। আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ড. রোজালিন কার্টার, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্লিপ রিসার্চার বলেন, “যদি আপনি ঘুম ঠিকমতো না পান, তবে প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসও হার্টকে রক্ষা করতে পারবে না।”
হার্ট ভালো রাখতে হলে শরীরের ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন হার্টের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যাঁদের পেটের চারপাশে চর্বি জমে, তাঁদের মধ্যে হাইপারটেনশন, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং হৃদরোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
সবশেষে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চেকআপ করানো জরুরি। বয়স ৩০ পেরোলেই প্রতি ছয় মাস বা এক বছরে একবার ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল, ইসিজি বা হৃদপিণ্ডের অন্য পরীক্ষা করানো উচিত। অনেক সময় হার্টের সমস্যা নিরবেই এগিয়ে যায়, এবং যখন ধরা পড়ে, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। নিয়মিত চেকআপ করলে আগেভাগেই সেই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, হার্ট ভালো রাখার জন্য এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যা সারাজীবনের সঙ্গী হবে। যেমন—পরিমিত খাওয়া, বেশি করে হাঁটা, সময়মতো ঘুম, ধূমপান বর্জন, মানসিক চাপ কমানো এবং নিজের শরীরকে ভালোবাসা। বিদেশি গবেষকেরা যেটা সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে বলেন, তা হলো—“আপনার হৃদয় আপনারই হাতে। এখন যেভাবে জীবনযাপন করছেন, তার প্রতিফলন একদিন আপনার হৃদপিণ্ডে দেখা যাবে।” তাই সময় থাকতে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা।
আবহাওয়াবিদদের ভাষায় নিম্নচাপ হলো একটি এমন আবহাওয়াগত পরিস্থিতি যেখানে বাতাসের চাপ চারপাশের তুলনায় কম হয়ে যায়। সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বাতাস সবসময় উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
২১ ঘণ্টা আগেসকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকেই অভ্যাস বশে এক গ্লাস লেবু পানি খান। বিজ্ঞাপন আর স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিনে এমন ধারণা ছড়িয়ে গেছে যে খালি পেটে লেবু খেলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়, ওজন কমে, আবার হজমশক্তিও নাকি বাড়ে। কিন্তু আসলেই কি খালি পেটে লেবু খাওয়া এতটা উপকারী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, লেবুর কিছু ভালো দিক
১ দিন আগে