ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির আকাশে রঙের এক অপূর্ব খেলা দেখা গেল। এই রঙিন আলোর নাচ, যাকে বিজ্ঞানীরা বলেন ‘অরোরা’, এবার স্পষ্ট ধরা পড়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের চোখে। এই ছবি শুধু চোখ জুড়ানো নয়, বরং গ্রহটির পরিবেশ ও চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এনে দিয়েছে।
২০২৪ সালের শেষ দিকে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে ইউরোপিয়ান ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ’ (JWST) বৃহস্পতির দিকে তাকিয়ে ছিল। তখনই ধরা পড়ে বিশাল আকৃতির গ্রহটির মেরু অঞ্চলে আলো ঝলমলে অরোরার দৃশ্য।
এই অরোরা পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতেও দেখা যায়। একে আমরা ‘Northern Lights’ বা ‘Aurora Borealis’ নামে চিনি। তবে বৃহস্পতির অরোরা অনেক বেশি শক্তিশালী, উজ্জ্বল এবং দীর্ঘস্থায়ী।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ একাধারে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি মূলত মহাকাশের গভীর রহস্য জানার জন্য তৈরি। কিন্তু এর শক্তিশালী ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে আমাদের সৌরজগতের মধ্যেই এমন বিস্ময়কর ছবি তুলে এনে বিজ্ঞানীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
ওয়েবের তোলা ছবিতে দেখা যায়, বৃহস্পতির মেরু অঞ্চল দুই পাশে লাল, গোলাপি ও বেগুনি রঙের উজ্জ্বল আলোর রেখা। এই আলো তৈরি হয় সূর্য থেকে ছুটে আসা শক্তিশালী কণাগুলো বৃহস্পতির চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে।
ড. ইম্মা কার্পেন্টার, যিনি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগে কাজ করেন, এই ছবিকে ‘ভবিষ্যতের গবেষণার জন্য এক নতুন জানালা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম বৃহস্পতিতে অরোরা হয়। কিন্তু এই প্রথম আমরা এত বিশদ ও পরিষ্কারভাবে তা দেখলাম। ওয়েবের ইনফ্রারেড প্রযুক্তি এমন সব দৃশ্য দেখিয়েছে যা আগে কোনো টেলিস্কোপ পারেনি।”
কিভাবে তৈরি হয় বৃহস্পতির অরোরা?
বিজ্ঞানীরা বলেন, অরোরা তৈরি হয় তখন, যখন সূর্য থেকে আসা সূর্য বায়ু (solar wind) – যা আসলে ইলেকট্রন, প্রোটনসহ নানা চার্জযুক্ত কণার স্রোত – কোনো গ্রহের চৌম্বক বলয়ের মুখোমুখি হয়। এই কণা যখন গ্রহের চৌম্বকক্ষেত্র ধরে তার মেরুর দিকে গিয়ে বায়ুমণ্ডলের অণু-পরমাণুর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তখন আলো তৈরি হয়। এই আলোকরেখাকেই অরোরা বলা হয়।
পৃথিবীতে এটি সাধারণত সবুজ বা লাল রঙের হয়। কিন্তু বৃহস্পতির মতো বিশাল গ্রহ, যার নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র পৃথিবীর চেয়ে ২০,০০০ গুণ বেশি শক্তিশালী, সেখানে এই অরোরা আরও জোরালো এবং রঙে-রঙে ভরপুর হয়।
নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে গ্রহবিজ্ঞানী ড. লিয়া ফ্লেচারলেন, “বৃহস্পতির চৌম্বক বলয় এত বড় যে, সূর্য থেকে আসা কণাগুলো শুধু সৌর বায়ুর কারণেই নয়, বরং বৃহস্পতির নিজস্ব উপগ্রহ ‘আইও’ থেকেও এই বলয়ে ঢোকে। আইও-এর আগ্নেয়গিরি প্রায়শই সালফার ও অক্সিজেন নির্গত করে, যা বৃহস্পতির চৌম্বকবলয়ে গিয়ে অরোরার শক্তি বাড়িয়ে তোলে।”
এই নতুন ছবিগুলো শুধু চোখ ধাঁধানো নয়, বরং বিজ্ঞানীদের জন্য এক নতুন গবেষণার দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ওয়েবের ক্যামেরা এমন সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ছবি তোলে যা সাধারণ টেলিস্কোপে দেখা যায় না। ফলে বৃহস্পতির অরোরার গঠন, গতি এবং উপাদান বিশ্লেষণ করা অনেক সহজ হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের গ্রহবিজ্ঞানী এবং বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষক ড. স্টিফেন মিলারবলেন, “এই ইনফ্রারেড ছবি আমাদের বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলে থাকা হাইড্রোজেন অণুর আচরণ বোঝাতে সাহায্য করেছে। আমরা এখন বুঝতে পারছি, অরোরা শুধুই আলো নয়, বরং এর মাধ্যমে বৃহস্পতির পরিবেশের তাপমাত্রা ও গঠন সম্পর্কেও জানার সুযোগ রয়েছে।”
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ছবিগুলোর বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে অরোরার প্রভাব কতটা বিস্তৃত এবং তা কীভাবে গ্যাসীয় উপাদানের ঘনত্ব ও তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে।
বড় প্রশ্ন : পৃথিবীর বাইরে প্রাণ?
এই ধরনের অরোরা শুধু সৌন্দর্যের খোরাক নয়। এটি আরও একটি বড় প্রশ্নের দিকে ইঙ্গিত দেয়—সৌরজগতের বাইরে কোথাও কি প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে?
ড. কার্লা ম্যাকেনজি, যিনি কানাডার মন্ট্রিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগে কাজ করেন, বলেন, “বৃহস্পতির মতো গ্যাসীয় গ্রহের বায়ুমণ্ডলের গঠন, এর রেডিয়েশন বেল্ট, চৌম্বকক্ষেত্র—সব কিছু মিলে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী পরিবেশ তৈরি করে। যদিও সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা নেই, তবে এর উপগ্রহগুলোর মধ্যে যেমন ইউরোপা বা গ্যানিমিডে বরফের নিচে জীবন থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অরোরা সেগুলোকেও প্রভাবিত করে কি না, তা নিয়েও গবেষণা চলছে।”
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মূলত ডিপ স্পেস বা দূর মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি। কিন্তু এটি যখন নিজ সৌরজগতের দিকে ফিরে তাকায়, তখনও বিস্ময় দিতে ভুল করে না। এই অরোরার ছবি সেটারই প্রমাণ।
নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. জন মুলার বলেন, “জেমস ওয়েব আমাদের শুধু গ্যালাক্সির জন্ম রহস্য নয়, নিজের বাড়ির উঠোনও নতুন করে দেখাচ্ছে। এটাই বিজ্ঞানের সৌন্দর্য। নিজের পরিচিত জগৎকেও আমরা নতুন আলোয় দেখি।”
বৃহস্পতির মেরু অঞ্চলে অরোরার এই রঙিন নৃত্য শুধু বিজ্ঞানীদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও বিস্ময়ের খোরাক। মহাকাশের এই অপার সৌন্দর্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এই বিশাল কসমসে আমরা কত ছোট, আর জানার মতো বিষয় কত বিশাল। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের চোখে ধরা পড়া এই দৃশ্য ভবিষ্যতের মহাকাশবিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আরও অনেক দূর।
আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির আকাশে রঙের এক অপূর্ব খেলা দেখা গেল। এই রঙিন আলোর নাচ, যাকে বিজ্ঞানীরা বলেন ‘অরোরা’, এবার স্পষ্ট ধরা পড়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের চোখে। এই ছবি শুধু চোখ জুড়ানো নয়, বরং গ্রহটির পরিবেশ ও চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এনে দিয়েছে।
২০২৪ সালের শেষ দিকে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে ইউরোপিয়ান ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ’ (JWST) বৃহস্পতির দিকে তাকিয়ে ছিল। তখনই ধরা পড়ে বিশাল আকৃতির গ্রহটির মেরু অঞ্চলে আলো ঝলমলে অরোরার দৃশ্য।
এই অরোরা পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতেও দেখা যায়। একে আমরা ‘Northern Lights’ বা ‘Aurora Borealis’ নামে চিনি। তবে বৃহস্পতির অরোরা অনেক বেশি শক্তিশালী, উজ্জ্বল এবং দীর্ঘস্থায়ী।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ একাধারে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি মূলত মহাকাশের গভীর রহস্য জানার জন্য তৈরি। কিন্তু এর শক্তিশালী ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে আমাদের সৌরজগতের মধ্যেই এমন বিস্ময়কর ছবি তুলে এনে বিজ্ঞানীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
ওয়েবের তোলা ছবিতে দেখা যায়, বৃহস্পতির মেরু অঞ্চল দুই পাশে লাল, গোলাপি ও বেগুনি রঙের উজ্জ্বল আলোর রেখা। এই আলো তৈরি হয় সূর্য থেকে ছুটে আসা শক্তিশালী কণাগুলো বৃহস্পতির চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে।
ড. ইম্মা কার্পেন্টার, যিনি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগে কাজ করেন, এই ছবিকে ‘ভবিষ্যতের গবেষণার জন্য এক নতুন জানালা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম বৃহস্পতিতে অরোরা হয়। কিন্তু এই প্রথম আমরা এত বিশদ ও পরিষ্কারভাবে তা দেখলাম। ওয়েবের ইনফ্রারেড প্রযুক্তি এমন সব দৃশ্য দেখিয়েছে যা আগে কোনো টেলিস্কোপ পারেনি।”
কিভাবে তৈরি হয় বৃহস্পতির অরোরা?
বিজ্ঞানীরা বলেন, অরোরা তৈরি হয় তখন, যখন সূর্য থেকে আসা সূর্য বায়ু (solar wind) – যা আসলে ইলেকট্রন, প্রোটনসহ নানা চার্জযুক্ত কণার স্রোত – কোনো গ্রহের চৌম্বক বলয়ের মুখোমুখি হয়। এই কণা যখন গ্রহের চৌম্বকক্ষেত্র ধরে তার মেরুর দিকে গিয়ে বায়ুমণ্ডলের অণু-পরমাণুর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তখন আলো তৈরি হয়। এই আলোকরেখাকেই অরোরা বলা হয়।
পৃথিবীতে এটি সাধারণত সবুজ বা লাল রঙের হয়। কিন্তু বৃহস্পতির মতো বিশাল গ্রহ, যার নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র পৃথিবীর চেয়ে ২০,০০০ গুণ বেশি শক্তিশালী, সেখানে এই অরোরা আরও জোরালো এবং রঙে-রঙে ভরপুর হয়।
নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে গ্রহবিজ্ঞানী ড. লিয়া ফ্লেচারলেন, “বৃহস্পতির চৌম্বক বলয় এত বড় যে, সূর্য থেকে আসা কণাগুলো শুধু সৌর বায়ুর কারণেই নয়, বরং বৃহস্পতির নিজস্ব উপগ্রহ ‘আইও’ থেকেও এই বলয়ে ঢোকে। আইও-এর আগ্নেয়গিরি প্রায়শই সালফার ও অক্সিজেন নির্গত করে, যা বৃহস্পতির চৌম্বকবলয়ে গিয়ে অরোরার শক্তি বাড়িয়ে তোলে।”
এই নতুন ছবিগুলো শুধু চোখ ধাঁধানো নয়, বরং বিজ্ঞানীদের জন্য এক নতুন গবেষণার দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ওয়েবের ক্যামেরা এমন সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ছবি তোলে যা সাধারণ টেলিস্কোপে দেখা যায় না। ফলে বৃহস্পতির অরোরার গঠন, গতি এবং উপাদান বিশ্লেষণ করা অনেক সহজ হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের গ্রহবিজ্ঞানী এবং বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষক ড. স্টিফেন মিলারবলেন, “এই ইনফ্রারেড ছবি আমাদের বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলে থাকা হাইড্রোজেন অণুর আচরণ বোঝাতে সাহায্য করেছে। আমরা এখন বুঝতে পারছি, অরোরা শুধুই আলো নয়, বরং এর মাধ্যমে বৃহস্পতির পরিবেশের তাপমাত্রা ও গঠন সম্পর্কেও জানার সুযোগ রয়েছে।”
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ছবিগুলোর বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে অরোরার প্রভাব কতটা বিস্তৃত এবং তা কীভাবে গ্যাসীয় উপাদানের ঘনত্ব ও তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে।
বড় প্রশ্ন : পৃথিবীর বাইরে প্রাণ?
এই ধরনের অরোরা শুধু সৌন্দর্যের খোরাক নয়। এটি আরও একটি বড় প্রশ্নের দিকে ইঙ্গিত দেয়—সৌরজগতের বাইরে কোথাও কি প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে?
ড. কার্লা ম্যাকেনজি, যিনি কানাডার মন্ট্রিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগে কাজ করেন, বলেন, “বৃহস্পতির মতো গ্যাসীয় গ্রহের বায়ুমণ্ডলের গঠন, এর রেডিয়েশন বেল্ট, চৌম্বকক্ষেত্র—সব কিছু মিলে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী পরিবেশ তৈরি করে। যদিও সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা নেই, তবে এর উপগ্রহগুলোর মধ্যে যেমন ইউরোপা বা গ্যানিমিডে বরফের নিচে জীবন থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অরোরা সেগুলোকেও প্রভাবিত করে কি না, তা নিয়েও গবেষণা চলছে।”
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মূলত ডিপ স্পেস বা দূর মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি। কিন্তু এটি যখন নিজ সৌরজগতের দিকে ফিরে তাকায়, তখনও বিস্ময় দিতে ভুল করে না। এই অরোরার ছবি সেটারই প্রমাণ।
নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. জন মুলার বলেন, “জেমস ওয়েব আমাদের শুধু গ্যালাক্সির জন্ম রহস্য নয়, নিজের বাড়ির উঠোনও নতুন করে দেখাচ্ছে। এটাই বিজ্ঞানের সৌন্দর্য। নিজের পরিচিত জগৎকেও আমরা নতুন আলোয় দেখি।”
বৃহস্পতির মেরু অঞ্চলে অরোরার এই রঙিন নৃত্য শুধু বিজ্ঞানীদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও বিস্ময়ের খোরাক। মহাকাশের এই অপার সৌন্দর্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এই বিশাল কসমসে আমরা কত ছোট, আর জানার মতো বিষয় কত বিশাল। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের চোখে ধরা পড়া এই দৃশ্য ভবিষ্যতের মহাকাশবিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আরও অনেক দূর।
কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
১৯ ঘণ্টা আগেএক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগেগণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণই ক্ষমতার উৎস। সেটা আজকাল কেউ মানে বলে মনে হয় না। সে বাংলাদেশেই হোক বা যুক্তরাষ্ট্র—ক্ষমতাসীন নেতাদের সবাই নিজেদের সর্বেসর্বা মনে করে। গণতন্ত্রের অন্যতম পুরোধা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য
২ দিন আগে