ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বিজ্ঞানীরাও রসিকতা করেন। কিন্তু সেই রসিকতার ফল সবময় মজার নাও হতে পারে। ফল হতে পারে বৈজ্ঞানিক কোন দুর্ঘটনার মতোই বিপর্যয়কর। বিখ্যাত একটি রকেট এমনই এক দুরাস্থার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন হাঙ্গেরিয়ান গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী ভন নিউম্যান।
একটা রকেট কোম্পানি ভন নিউম্যানের শরানাপন্ন হয়। তাঁরা নিউম্যানকে কনসালটেন্ট হিসেবে কিছুদিনের জন্য নিয়ে আসে। নিউম্যানে এলেন, দেখলেন সবকিছু খুঁটিয়ে। তারপর কোম্পানির ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললেন।
তিনি কোম্পানির কর্মকাণ্ড দেখে হতাশ। সেকথা জানালেন ম্যানেজারকে।
ভন বললেন, ‘ম্যানেজার সাহেব, এসব রকেটের ডিজাইন করেছে কারা?’
জবাবে ম্যানেজার বললেন, ‘আমাদের কোম্পানির দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা।’
‘ইজ্ঞিনিয়র,’ তাচ্ছিল্যের সুরে বললেন নিউম্যান, ‘তারা রকেট বানানে কীভাবে? রকেট সায়েন্স বোঝে তারা?’
এর জবাব ম্যানেজারের কাছে ছিল না। তিনি চুপ রইলেন।
নিউম্যান বললেন, ‘১৯৫২ সালে আমি গবেষণাপত্র লিখেছিলাম। রবেট বানানোর টেকনিকও গাণিতিক সূত্রসহ সেখানে দেওয়া আছে। ওগুলো আপনিও পড়ুন আর আপনার ইঞ্জিয়রদেরও পড়তে বলুন।’ বলে নিউম্যান সেখান থেকে চলে গেলেন নিজের কর্মস্থলে।
ওদিকে কোম্পানিটির ম্যানেজার সকল কর্মীকে ডেকে নির্দেশ দিলেন নিউম্যানের ফর্মুলা মেনে রকেট তৈরি করতে।
সবাই উঠেপড়ে লাগলেন নির্দেশনা অনুযায়ী রকেট বানাতে। এজন্য বিলিয়ন ডলার খরচা করে শুরু করলেন মহাপরিকল্পনা। বেশ এগোচ্ছিল কাজ।
কিন্তু শেষরক্ষা হচ্ছিল না। আকাশে ওড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল।
ম্যানেজারের তো মাথায় হাত। তিনি ভীষন চটে গেছেন নিউম্যানের ওপর। রেগেমেগে ফোন করলেন নিউম্যানকে, ‘কী মশাই, কেমন ফর্মুলা দিলেন, রকেট তো বিস্ফোরিত হচ্ছ।’
‘বিস্ফোরিত যাচ্ছে?’ নির্লিপ্ত গলায় বললেন নিউম্যান, ‘তাহলে কাজ ঠিকঠাকই আছে সব। ১৯৫২ সালের গবেষণায় একটা ত্রুটি ছিল। সেকারণেই একটা রকেট বিস্ফোরিত হচ্ছে। এই সমস্যাটা সমাধানের জন্য ১৯৫৩ সালে আরেকটা গবেষণাপত্র লিখেছিলাম। সেটাতে কোনো গড়বড় নেই।’
বিজ্ঞানীরাও রসিকতা করেন। কিন্তু সেই রসিকতার ফল সবময় মজার নাও হতে পারে। ফল হতে পারে বৈজ্ঞানিক কোন দুর্ঘটনার মতোই বিপর্যয়কর। বিখ্যাত একটি রকেট এমনই এক দুরাস্থার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন হাঙ্গেরিয়ান গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী ভন নিউম্যান।
একটা রকেট কোম্পানি ভন নিউম্যানের শরানাপন্ন হয়। তাঁরা নিউম্যানকে কনসালটেন্ট হিসেবে কিছুদিনের জন্য নিয়ে আসে। নিউম্যানে এলেন, দেখলেন সবকিছু খুঁটিয়ে। তারপর কোম্পানির ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললেন।
তিনি কোম্পানির কর্মকাণ্ড দেখে হতাশ। সেকথা জানালেন ম্যানেজারকে।
ভন বললেন, ‘ম্যানেজার সাহেব, এসব রকেটের ডিজাইন করেছে কারা?’
জবাবে ম্যানেজার বললেন, ‘আমাদের কোম্পানির দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা।’
‘ইজ্ঞিনিয়র,’ তাচ্ছিল্যের সুরে বললেন নিউম্যান, ‘তারা রকেট বানানে কীভাবে? রকেট সায়েন্স বোঝে তারা?’
এর জবাব ম্যানেজারের কাছে ছিল না। তিনি চুপ রইলেন।
নিউম্যান বললেন, ‘১৯৫২ সালে আমি গবেষণাপত্র লিখেছিলাম। রবেট বানানোর টেকনিকও গাণিতিক সূত্রসহ সেখানে দেওয়া আছে। ওগুলো আপনিও পড়ুন আর আপনার ইঞ্জিয়রদেরও পড়তে বলুন।’ বলে নিউম্যান সেখান থেকে চলে গেলেন নিজের কর্মস্থলে।
ওদিকে কোম্পানিটির ম্যানেজার সকল কর্মীকে ডেকে নির্দেশ দিলেন নিউম্যানের ফর্মুলা মেনে রকেট তৈরি করতে।
সবাই উঠেপড়ে লাগলেন নির্দেশনা অনুযায়ী রকেট বানাতে। এজন্য বিলিয়ন ডলার খরচা করে শুরু করলেন মহাপরিকল্পনা। বেশ এগোচ্ছিল কাজ।
কিন্তু শেষরক্ষা হচ্ছিল না। আকাশে ওড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল।
ম্যানেজারের তো মাথায় হাত। তিনি ভীষন চটে গেছেন নিউম্যানের ওপর। রেগেমেগে ফোন করলেন নিউম্যানকে, ‘কী মশাই, কেমন ফর্মুলা দিলেন, রকেট তো বিস্ফোরিত হচ্ছ।’
‘বিস্ফোরিত যাচ্ছে?’ নির্লিপ্ত গলায় বললেন নিউম্যান, ‘তাহলে কাজ ঠিকঠাকই আছে সব। ১৯৫২ সালের গবেষণায় একটা ত্রুটি ছিল। সেকারণেই একটা রকেট বিস্ফোরিত হচ্ছে। এই সমস্যাটা সমাধানের জন্য ১৯৫৩ সালে আরেকটা গবেষণাপত্র লিখেছিলাম। সেটাতে কোনো গড়বড় নেই।’
কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
১৯ ঘণ্টা আগেএক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগেগণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণই ক্ষমতার উৎস। সেটা আজকাল কেউ মানে বলে মনে হয় না। সে বাংলাদেশেই হোক বা যুক্তরাষ্ট্র—ক্ষমতাসীন নেতাদের সবাই নিজেদের সর্বেসর্বা মনে করে। গণতন্ত্রের অন্যতম পুরোধা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য
২ দিন আগে