ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমাদের শরীরের সঠিক বিকাশ ও সুস্থতার জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য একটি উপাদান। এটি শুধু চোখের দেখার ক্ষমতা নয়, ত্বক, রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে দেখা দিতে পারে নানাবিধ সমস্যা—কখনও তা হয়ে দাঁড়ায় প্রাণঘাতীও। বিশ্বের বহু দেশেই এখনো শিশু ও নারীদের মধ্যে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি মারাত্মক স্বাস্থ্য সংকট তৈরি করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ শিশু ভিটামিন এ-এর অভাবে অন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। এর মধ্যে অনেকেই অল্প বয়সে মারা যায় শুধুমাত্র এই ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া–ডেভিসের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. ক্যাথরিন ফিলিপস বলেন, “ভিটামিন এ ঘাটতির সবচেয়ে বড় সংকেত হলো রাতকানা বা নাইট ব্লাইন্ডনেস। এটি শুধু চোখের সমস্যাই নয়, এর পেছনে আছে শরীরের সামগ্রিক দুর্বলতা এবং রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার ভেঙে পড়া।”
ভিটামিন এ দুইভাবে পাওয়া যায়—প্রথমত, পশু উৎস যেমন কলিজা, ডিমের কুসুম, দুধ ও মাখন থেকে সরাসরি ভিটামিন এ। দ্বিতীয়ত, উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন গাজর, কুমড়া, মিষ্টি আলু ও শাকসবজির মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন থেকে, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু উন্নয়নশীল অনেক দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এসব পুষ্টিকর খাদ্য পায় না। ফলে তাদের মধ্যে এই ঘাটতি তৈরি হয়।
ভিটামিন এ-এর ঘাটতির প্রথম লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে চোখের শুকিয়ে যাওয়া, যা ধীরে ধীরে কনজাংকটিভা ও কর্নিয়ার স্থায়ী ক্ষতি করে। এই অবস্থাকে বলা হয় ‘জেরোফথালমিয়া’। এরপর কর্নিয়ায় ঘা হতে পারে, এমনকি কর্নিয়া গলে যাওয়ার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় দৃষ্টি একেবারে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, এই ভিটামিনের অভাবে শিশুরা সংক্রমণে সহজে আক্রান্ত হয়—বিশেষ করে ডায়রিয়া, হাম ও শ্বাসনালির রোগে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর গবেষক ড. ড্যানিয়েল ডাব্লিউ. কিম বলেন, “ভিটামিন এ মূলত শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখে। এটি শরীরের শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে মজবুত করে তোলে, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা দেয়।” তিনি বলেন, “যেসব শিশুদের শরীরে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি রয়েছে, তারা সহজেই হাম ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে মারা যায়।”
এই সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে অনেক দেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিতরণ কর্মসূচি চালু করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বছরে দু’বার এই ক্যাম্পেইনের আওতায় শিশুদের মুখে খাওয়ানো হয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল। এই ক্যাপসুল একটি শিশুকে ৪–৬ মাস পর্যন্ত রক্ষা করতে পারে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি থেকে।
কিন্তু অনেক পুষ্টিবিদ মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে শুধু ক্যাপসুল নয়, খাবারের মাধ্যমেই নিশ্চিত করতে হবে ভিটামিন এ-এর চাহিদা। ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোর পুষ্টি গবেষক ড. মেরি অ্যান ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ শাকসবজি যেমন গাজর, কুমড়া, লালশাক—এসব প্রতিদিনের খাবারে যুক্ত করতে পারলে ভিটামিন এ-এর ঘাটতির ঝুঁকি অনেক কমে যায়।” তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে সম্পূরক হিসেবে অতিরিক্ত সেবন করলে যকৃতের ক্ষতি হতে পারে।”
ভিটামিন এ-এর অভাব শুধু শিশুদের নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী নারীরা যদি দীর্ঘদিন এই ভিটামিনের অভাবে ভোগেন, তবে গর্ভস্থ শিশুর বিকাশ ব্যাহত হতে পারে এবং জন্মের পর সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমনকি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় ভিটামিন এ-এর ঘাটতির সঙ্গে নবজাতকের মৃত্যুহারও সম্পর্কযুক্ত।
ভিটামিন এ-এর ঘাটতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ন দিক হলো, এটি ‘সাইলেন্ট ডিফিশিয়েন্সি’ বা নীরব ঘাটতি হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বা রাতকানার মতো লক্ষণ না থাকলেও শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে থাকে, যার ফল দেখা যায় সংক্রমণ বা অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর হার বাড়ায়।
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, শিক্ষা, সচেতনতা এবং সহজপ্রাপ্য পুষ্টিকর খাবারের অভ্যাস তৈরি না হলে এই সংকট সমাধান করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে সচেতনতা জরুরি, যাদের খাদ্যতালিকায় একঘেয়েমি, সবজি ও প্রাণিজ উৎসের অভাব এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দুর্বলতা রয়েছে।
সবশেষে বলতেই হয়, ভিটামিন এ শুধুই একটি পুষ্টি উপাদান নয়, এটি একধরনের প্রতিরক্ষাও বটে—দৃষ্টি, রোগপ্রতিরোধ এবং কোষের স্বাভাবিক জীবনচক্রের রক্ষাকবচ। তাই এর অভাব যেন ‘অন্ধকারে ডুব’ না ডেকে আনে, সেজন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও সমন্বিত উদ্যোগ। এবং অবশ্যই, এ-ও মনে রাখা জরুরি—একটি গাজর, এক চামচ কুমড়ো ভাজি বা এক চিমটি লালশাকই হয়তো বাঁচাতে পারে একটি শিশুর চোখ, এমনকি তার জীবন।
আমাদের শরীরের সঠিক বিকাশ ও সুস্থতার জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য একটি উপাদান। এটি শুধু চোখের দেখার ক্ষমতা নয়, ত্বক, রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে দেখা দিতে পারে নানাবিধ সমস্যা—কখনও তা হয়ে দাঁড়ায় প্রাণঘাতীও। বিশ্বের বহু দেশেই এখনো শিশু ও নারীদের মধ্যে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি মারাত্মক স্বাস্থ্য সংকট তৈরি করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ শিশু ভিটামিন এ-এর অভাবে অন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। এর মধ্যে অনেকেই অল্প বয়সে মারা যায় শুধুমাত্র এই ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া–ডেভিসের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. ক্যাথরিন ফিলিপস বলেন, “ভিটামিন এ ঘাটতির সবচেয়ে বড় সংকেত হলো রাতকানা বা নাইট ব্লাইন্ডনেস। এটি শুধু চোখের সমস্যাই নয়, এর পেছনে আছে শরীরের সামগ্রিক দুর্বলতা এবং রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার ভেঙে পড়া।”
ভিটামিন এ দুইভাবে পাওয়া যায়—প্রথমত, পশু উৎস যেমন কলিজা, ডিমের কুসুম, দুধ ও মাখন থেকে সরাসরি ভিটামিন এ। দ্বিতীয়ত, উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন গাজর, কুমড়া, মিষ্টি আলু ও শাকসবজির মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন থেকে, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু উন্নয়নশীল অনেক দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এসব পুষ্টিকর খাদ্য পায় না। ফলে তাদের মধ্যে এই ঘাটতি তৈরি হয়।
ভিটামিন এ-এর ঘাটতির প্রথম লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে চোখের শুকিয়ে যাওয়া, যা ধীরে ধীরে কনজাংকটিভা ও কর্নিয়ার স্থায়ী ক্ষতি করে। এই অবস্থাকে বলা হয় ‘জেরোফথালমিয়া’। এরপর কর্নিয়ায় ঘা হতে পারে, এমনকি কর্নিয়া গলে যাওয়ার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় দৃষ্টি একেবারে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, এই ভিটামিনের অভাবে শিশুরা সংক্রমণে সহজে আক্রান্ত হয়—বিশেষ করে ডায়রিয়া, হাম ও শ্বাসনালির রোগে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর গবেষক ড. ড্যানিয়েল ডাব্লিউ. কিম বলেন, “ভিটামিন এ মূলত শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখে। এটি শরীরের শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে মজবুত করে তোলে, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা দেয়।” তিনি বলেন, “যেসব শিশুদের শরীরে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি রয়েছে, তারা সহজেই হাম ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে মারা যায়।”
এই সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে অনেক দেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিতরণ কর্মসূচি চালু করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বছরে দু’বার এই ক্যাম্পেইনের আওতায় শিশুদের মুখে খাওয়ানো হয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল। এই ক্যাপসুল একটি শিশুকে ৪–৬ মাস পর্যন্ত রক্ষা করতে পারে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি থেকে।
কিন্তু অনেক পুষ্টিবিদ মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে শুধু ক্যাপসুল নয়, খাবারের মাধ্যমেই নিশ্চিত করতে হবে ভিটামিন এ-এর চাহিদা। ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোর পুষ্টি গবেষক ড. মেরি অ্যান ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ শাকসবজি যেমন গাজর, কুমড়া, লালশাক—এসব প্রতিদিনের খাবারে যুক্ত করতে পারলে ভিটামিন এ-এর ঘাটতির ঝুঁকি অনেক কমে যায়।” তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে সম্পূরক হিসেবে অতিরিক্ত সেবন করলে যকৃতের ক্ষতি হতে পারে।”
ভিটামিন এ-এর অভাব শুধু শিশুদের নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী নারীরা যদি দীর্ঘদিন এই ভিটামিনের অভাবে ভোগেন, তবে গর্ভস্থ শিশুর বিকাশ ব্যাহত হতে পারে এবং জন্মের পর সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমনকি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় ভিটামিন এ-এর ঘাটতির সঙ্গে নবজাতকের মৃত্যুহারও সম্পর্কযুক্ত।
ভিটামিন এ-এর ঘাটতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ন দিক হলো, এটি ‘সাইলেন্ট ডিফিশিয়েন্সি’ বা নীরব ঘাটতি হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বা রাতকানার মতো লক্ষণ না থাকলেও শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে থাকে, যার ফল দেখা যায় সংক্রমণ বা অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর হার বাড়ায়।
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, শিক্ষা, সচেতনতা এবং সহজপ্রাপ্য পুষ্টিকর খাবারের অভ্যাস তৈরি না হলে এই সংকট সমাধান করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে সচেতনতা জরুরি, যাদের খাদ্যতালিকায় একঘেয়েমি, সবজি ও প্রাণিজ উৎসের অভাব এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দুর্বলতা রয়েছে।
সবশেষে বলতেই হয়, ভিটামিন এ শুধুই একটি পুষ্টি উপাদান নয়, এটি একধরনের প্রতিরক্ষাও বটে—দৃষ্টি, রোগপ্রতিরোধ এবং কোষের স্বাভাবিক জীবনচক্রের রক্ষাকবচ। তাই এর অভাব যেন ‘অন্ধকারে ডুব’ না ডেকে আনে, সেজন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও সমন্বিত উদ্যোগ। এবং অবশ্যই, এ-ও মনে রাখা জরুরি—একটি গাজর, এক চামচ কুমড়ো ভাজি বা এক চিমটি লালশাকই হয়তো বাঁচাতে পারে একটি শিশুর চোখ, এমনকি তার জীবন।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২-৩ কাপ কফি খাওয়া মানুষেরা অন্যদের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘজীবী হন।
৪ ঘণ্টা আগেশুরুতে মাঠে নামা ছিল শুধু খেলার আনন্দ থেকে। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন স্থানীয় টুর্নামেন্টে ভালো খেলা শুরু করেন, তখন কোচদের নজরে আসেন।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের অধিকাংশ এলাকায় আগামী শনিবার (৫ জুলাই) থেকে বৃষ্টি হতে পারে। যা টানা চারদিন মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের আটটি অঞ্চলের উপর দিয়ে আজ দুপুরের মধ্যে তীব্র ঝড়বৃষ্টি বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগে