অরুণাভ বিশ্বাস
ইরানের সামরিক শক্তির অন্যতম আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি। এর মধ্যে বিশেষভাবে নজর কাড়ে ‘সাজিল’ নামের এক ধরনের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল। এই সাজিল মিসাইল শুধু ইরানের প্রতিরক্ষার প্রতীক নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্য কেমন থাকবে, সেই প্রশ্নেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এই মিসাইল কীভাবে কাজ করে, কী তার ক্ষমতা, এবং এর পেছনে কেমন প্রযুক্তি লুকিয়ে রয়েছে—এই সব কিছু নিয়েই আজকের এই ফিচার।
সাজিল ক্ষেপণাস্ত্র আসলে একটি দুই ধাপবিশিষ্ট সলিড ফুয়েলড চালিত ব্যালিস্টিক মিসাইল। ইরান এটি প্রথম প্রকাশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ছোঁড়ে ২০০৮ সালের নভেম্বরে। তখন থেকেই এর ক্ষমতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী কৌতূহল শুরু হয়। এর নির্মাতা ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্প কমপ্লেক্স, বিশেষত এর অ্যারোস্পেস বিভাগ। এই মিসাইল প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, অর্থাৎ এটি মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে থাকা বহু এলাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর কঠিন জ্বালানিচালিত ইঞ্জিন। কঠিন জ্বালানি ব্যবহারে একাধিক সুবিধা রয়েছে। তরল জ্বালানির মতো আলাদা ট্যাঙ্ক বা ফিলিংয়ের ঝামেলা নেই। যুদ্ধের সময় দ্রুত মোতায়েনযোগ্য, কেননা একবার তৈরি হয়ে গেলে এটি বহুদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজনে তৎক্ষণাৎ ছোঁড়া যায়। ফলে সাজিল মিসাইল শুধু দীর্ঘপাল্লার নয়, এটি ইরানের ‘ফাস্ট রিঅ্যাকশন’ ক্ষমতারও প্রতীক।
সাজিলের প্রযুক্তি অনেকটাই স্বাধীনভাবে তৈরি বলে দাবি করে তেহরান। যদিও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, এতে চীনা ও উত্তর কোরিয়ান প্রযুক্তির প্রভাব থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মিসাইলের আকার ও ডিজাইন অনেকটাই উত্তর কোরিয়ার নোডং ও তায়পোডং ক্ষেপণাস্ত্রের মতো।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ‘মাইকেল এলেম্যান’, যিনি লন্ডনের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’-এর (IISS) সিনিয়র ফেলো, তিনি একাধিক প্রতিবেদনে সাজিল মিসাইলের প্রযুক্তিগত দিক ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, “সাজিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর দুই ধাপবিশিষ্ট গঠন এবং কঠিন জ্বালানি ইঞ্জিন। এই দুইটি বৈশিষ্ট্য মিলে একে ইরানের অন্যান্য মিসাইলের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর করে তোলে।” তিনি আরও বলেন, “এই মিসাইল ব্যবহারযোগ্য হলে, তা ইরানকে দ্রুত পাল্টা আঘাতের ক্ষমতা দেয়।”
কিন্তু কেবল ইঞ্জিন বা পাল্লা নয়, সাজিলের আরও একটি বড় দিক হলো—এর উৎক্ষেপণ পদ্ধতি। এই মিসাইল ‘রোড মোবাইল’ অর্থাৎ এটি চলমান যানবাহন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। ফলে শত্রুর পক্ষে এর অবস্থান চিহ্নিত করা এবং আগে থেকেই ধ্বংস করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই ব্যাপারে জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ‘আন্দ্রেয়াস ক্রুগার’ বলেন, “সাজিলের মোবাইল লঞ্চার ব্যবস্থা ইরানকে একধরনের কৌশলগত সুবিধা দেয়। তারা যুদ্ধের সময় মিসাইল গোপন স্থানে সরিয়ে নিতে পারে এবং হঠাৎ করে উৎক্ষেপণ করতে পারে।”
ইরানের সামরিক বিশ্লেষকেরা দাবি করেন, সাজিল মিসাইল মূলত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা, যা ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাবে ব্যবহারের জন্য তৈরি। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এর ব্যবহার নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে এর ওপর পরমাণু ওয়ারহেড বসানোর সামর্থ্য রয়েছে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ।
তবে এখন পর্যন্ত ইরান প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি যে তারা সাজিল ক্ষেপণাস্ত্রকে পারমাণবিক অস্ত্রবাহক হিসেবে তৈরি করেছে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলেন, যদি কখনও ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে, সাজিল হবে সেই অস্ত্র পরিবহনের অন্যতম হাতিয়ার। ‘জেফরি লুইস’, যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’-এর একজন গবেষক বলেন, “যদি আপনি একটি দূরপাল্লার মিসাইল তৈরি করেন এবং তাতে কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করেন, তাহলে এটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।”
আবার প্রযুক্তির দিক থেকেও এটি আগ্রহের বিষয়। একে ‘স্ট্যাবিলাইজেশন রিং’-সহ উৎক্ষেপণ করা হয়, যা মিসাইলের গতিপথ স্থির রাখে এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া কমায়। দুইটি ধাপই আলাদাভাবে কাজ করে, প্রথম ধাপ উচ্চতায় পৌঁছে গেলে সেটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, এবং দ্বিতীয় ধাপ গতি ও দিক ঠিক রেখে চূড়ান্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
তবে সাজিল এখনো সিরিজ উৎপাদনে যায়নি বলেই ধারণা করা হয়। কয়েকটি পরীক্ষামূলক মডেল তৈরি হয়েছে এবং কিছু উৎক্ষেপণও হয়েছে। তবে ইরান এটি দিয়ে কৌশলগত বার্তা দিচ্ছে—যদি কখনও তাদের ভূখণ্ড হুমকির মুখে পড়ে, তারা প্রস্তুত।
মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাজিলের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের চলমান টানাপোড়েন এবং পরমাণু সমঝোতা নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে, এই ধরনের মিসাইল প্রযুক্তি বিশ্ব শক্তিগুলোর কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইরান বলছে, তাদের প্রতিরক্ষা কৌশল ‘প্রতিরোধমূলক’, আক্রমণাত্মক নয়।
ফলে বলা যায়, সাজিল শুধু একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়, এটি একধরনের বার্তা—যেখানে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক তৎপরতা একসঙ্গে মিশে আছে। এই মিসাইল কাজ করে উচ্চগতির অভিকর্ষপথ ধরে, দুটি ধাপের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, কঠিন জ্বালানির জোরে, এবং কৌশলগত গোপন অবস্থান থেকে হঠাৎ নিক্ষিপ্ত হওয়ার ক্ষমতায়। বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র এখন শুধু ইরানের নয়, বরং সবার নজর কাড়া এক প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
ইরানের সামরিক শক্তির অন্যতম আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি। এর মধ্যে বিশেষভাবে নজর কাড়ে ‘সাজিল’ নামের এক ধরনের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল। এই সাজিল মিসাইল শুধু ইরানের প্রতিরক্ষার প্রতীক নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্য কেমন থাকবে, সেই প্রশ্নেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এই মিসাইল কীভাবে কাজ করে, কী তার ক্ষমতা, এবং এর পেছনে কেমন প্রযুক্তি লুকিয়ে রয়েছে—এই সব কিছু নিয়েই আজকের এই ফিচার।
সাজিল ক্ষেপণাস্ত্র আসলে একটি দুই ধাপবিশিষ্ট সলিড ফুয়েলড চালিত ব্যালিস্টিক মিসাইল। ইরান এটি প্রথম প্রকাশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ছোঁড়ে ২০০৮ সালের নভেম্বরে। তখন থেকেই এর ক্ষমতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী কৌতূহল শুরু হয়। এর নির্মাতা ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্প কমপ্লেক্স, বিশেষত এর অ্যারোস্পেস বিভাগ। এই মিসাইল প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, অর্থাৎ এটি মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে থাকা বহু এলাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর কঠিন জ্বালানিচালিত ইঞ্জিন। কঠিন জ্বালানি ব্যবহারে একাধিক সুবিধা রয়েছে। তরল জ্বালানির মতো আলাদা ট্যাঙ্ক বা ফিলিংয়ের ঝামেলা নেই। যুদ্ধের সময় দ্রুত মোতায়েনযোগ্য, কেননা একবার তৈরি হয়ে গেলে এটি বহুদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজনে তৎক্ষণাৎ ছোঁড়া যায়। ফলে সাজিল মিসাইল শুধু দীর্ঘপাল্লার নয়, এটি ইরানের ‘ফাস্ট রিঅ্যাকশন’ ক্ষমতারও প্রতীক।
সাজিলের প্রযুক্তি অনেকটাই স্বাধীনভাবে তৈরি বলে দাবি করে তেহরান। যদিও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, এতে চীনা ও উত্তর কোরিয়ান প্রযুক্তির প্রভাব থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মিসাইলের আকার ও ডিজাইন অনেকটাই উত্তর কোরিয়ার নোডং ও তায়পোডং ক্ষেপণাস্ত্রের মতো।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ‘মাইকেল এলেম্যান’, যিনি লন্ডনের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’-এর (IISS) সিনিয়র ফেলো, তিনি একাধিক প্রতিবেদনে সাজিল মিসাইলের প্রযুক্তিগত দিক ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, “সাজিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর দুই ধাপবিশিষ্ট গঠন এবং কঠিন জ্বালানি ইঞ্জিন। এই দুইটি বৈশিষ্ট্য মিলে একে ইরানের অন্যান্য মিসাইলের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর করে তোলে।” তিনি আরও বলেন, “এই মিসাইল ব্যবহারযোগ্য হলে, তা ইরানকে দ্রুত পাল্টা আঘাতের ক্ষমতা দেয়।”
কিন্তু কেবল ইঞ্জিন বা পাল্লা নয়, সাজিলের আরও একটি বড় দিক হলো—এর উৎক্ষেপণ পদ্ধতি। এই মিসাইল ‘রোড মোবাইল’ অর্থাৎ এটি চলমান যানবাহন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। ফলে শত্রুর পক্ষে এর অবস্থান চিহ্নিত করা এবং আগে থেকেই ধ্বংস করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই ব্যাপারে জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ‘আন্দ্রেয়াস ক্রুগার’ বলেন, “সাজিলের মোবাইল লঞ্চার ব্যবস্থা ইরানকে একধরনের কৌশলগত সুবিধা দেয়। তারা যুদ্ধের সময় মিসাইল গোপন স্থানে সরিয়ে নিতে পারে এবং হঠাৎ করে উৎক্ষেপণ করতে পারে।”
ইরানের সামরিক বিশ্লেষকেরা দাবি করেন, সাজিল মিসাইল মূলত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা, যা ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাবে ব্যবহারের জন্য তৈরি। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এর ব্যবহার নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে এর ওপর পরমাণু ওয়ারহেড বসানোর সামর্থ্য রয়েছে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ।
তবে এখন পর্যন্ত ইরান প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি যে তারা সাজিল ক্ষেপণাস্ত্রকে পারমাণবিক অস্ত্রবাহক হিসেবে তৈরি করেছে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলেন, যদি কখনও ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে, সাজিল হবে সেই অস্ত্র পরিবহনের অন্যতম হাতিয়ার। ‘জেফরি লুইস’, যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’-এর একজন গবেষক বলেন, “যদি আপনি একটি দূরপাল্লার মিসাইল তৈরি করেন এবং তাতে কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করেন, তাহলে এটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।”
আবার প্রযুক্তির দিক থেকেও এটি আগ্রহের বিষয়। একে ‘স্ট্যাবিলাইজেশন রিং’-সহ উৎক্ষেপণ করা হয়, যা মিসাইলের গতিপথ স্থির রাখে এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া কমায়। দুইটি ধাপই আলাদাভাবে কাজ করে, প্রথম ধাপ উচ্চতায় পৌঁছে গেলে সেটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, এবং দ্বিতীয় ধাপ গতি ও দিক ঠিক রেখে চূড়ান্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
তবে সাজিল এখনো সিরিজ উৎপাদনে যায়নি বলেই ধারণা করা হয়। কয়েকটি পরীক্ষামূলক মডেল তৈরি হয়েছে এবং কিছু উৎক্ষেপণও হয়েছে। তবে ইরান এটি দিয়ে কৌশলগত বার্তা দিচ্ছে—যদি কখনও তাদের ভূখণ্ড হুমকির মুখে পড়ে, তারা প্রস্তুত।
মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাজিলের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের চলমান টানাপোড়েন এবং পরমাণু সমঝোতা নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে, এই ধরনের মিসাইল প্রযুক্তি বিশ্ব শক্তিগুলোর কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইরান বলছে, তাদের প্রতিরক্ষা কৌশল ‘প্রতিরোধমূলক’, আক্রমণাত্মক নয়।
ফলে বলা যায়, সাজিল শুধু একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়, এটি একধরনের বার্তা—যেখানে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক তৎপরতা একসঙ্গে মিশে আছে। এই মিসাইল কাজ করে উচ্চগতির অভিকর্ষপথ ধরে, দুটি ধাপের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, কঠিন জ্বালানির জোরে, এবং কৌশলগত গোপন অবস্থান থেকে হঠাৎ নিক্ষিপ্ত হওয়ার ক্ষমতায়। বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র এখন শুধু ইরানের নয়, বরং সবার নজর কাড়া এক প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
তেহরানে চালানো এক হামলায় ইরানের ‘খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্স’-এর প্রধান আলি শাদমানিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে এক বার্তায় শামখানি বলেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি এবং শহীদ হতে প্রস্তুত।’
১১ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানের প্রতি একান্ত সমর্থন জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “এই সংঘাতে তেহরান একা নয়।”
১৩ ঘণ্টা আগেইরানে সরকার পরিবর্তন বা দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা—এই ধরনের কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার দৃষ্টিতে ‘অকল্পনীয় ও অগ্রহণযোগ্য’। এমনটি ঘটলে তা গোটা অঞ্চলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো।
১৩ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ওই অঞ্চলের ঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমান ও রণতরী সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ।
১৩ ঘণ্টা আগে