মার্কিন উচ্চ শুল্কহার: উত্তরণে চাই কার্যকর পদক্ষেপ

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বাদল
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৩৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় এসে শুল্কহার নিয়ে গোটা বিশ্বের সঙ্গে এক ধরনের ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছেন। অর্থনীতির ভাষায় একে বলা হয় উচ্চ শুল্কহারের ‘অস্ত্র’। সেই যুদ্ধ যেন থামছেই না। অবশ্য ক্ষমতায় আসার আগেই নির্বাচনি প্রচারে ট্রাম্প জোরেশোরে বলে এসেছেন, আমেরিকার সঙ্গে যেসব দেশের বাণিজ্য ঘটতি আছে, সেসব দেশের বিরুদ্ধে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।

আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন— তার নির্বাচনি প্রচারে দেওয়া বক্তব্যে এমনটিই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তার সেই উচ্চ শুল্কহারের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে বিশ্বের সব দেশই।

বাংলাদেশও বাদ পড়েনি ট্রাম্পের এই ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’র তালিকা থেকে। সর্বশেষ বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর দেশটি ৩৫ শতাংশ পালটা শুল্ক আরোপ করেছে, যা আমাদের দেশের জন্য একটি কঠিন অর্থনৈতিক আঘাত। বিশেষ করে এই শুল্কে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প।

আগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের গড় শুল্কহার ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। এই শুল্ক এখন দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, এই ব্যাপক হারে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মূল প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা আমাদের সবচেয়ে বড় একক রপ্তানি বাজার।

ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর গত ২ এপ্রিল শতাধিক দেশের ওপর চড়া হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের ওপর বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা আসে। এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিবেচনা করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরে শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয় এই চিঠিতে।

এই তিন মাস সময় ট্রাম্প মূলত দিয়েছিলেন আলোচনার জন্য। বাংলাদেশের তরফ থেকেও সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে উদ্যোগ কার্যত তেমন কোনো কাজে আসেনি। ৩৭ শতাংশের বদলে ট্রাম্প এবার ৩৫ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণ করেছেন বাংলাদেশের ওপর।

উদ্বেগের বিষয় হলো— যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি বলেই ধারণা করা যায়। একটি ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছতে না পারা শুধু একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতা নয়, তা বৈশ্বিক বাণিজ্য রাজনীতির পরিবর্তনশীল বাস্তবতায় বাংলাদেশের ঝুঁকিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটি এমন এক সময়, যখন ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও বাণিজ্য সুরক্ষাবাদ বাড়ছে। এ রকম সময়ে বাংলাদেশ যদি সময়োপযোগী ও কৌশলগত কূটনীতিতে পিছিয়ে পড়ে, তাহলে এর দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিণতি হতে পারে আরও ভয়াবহ। এ বাস্তবতায় বাংলাদেশকে এখন সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশ এখনো সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ট্রাম্পের দেওয়া সেই ৯০ দিন পার হলেও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সমঝোতার তেমন নজির মেলেনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশ— যুক্তরাজ্য, চীন ও ভিয়েতনাম এই বাণিজ্য সমঝোতা করতে পেরেছে। তবে এই দেশগুলোর ক্ষেত্রেও সমঝোতার কারণ ভিন্ন ভিন্ন।

এর মধ্যে যুক্তরাজ্য বাণিজ্যিকভাবে কতটা সমঝোতায় উপনীত হতে পেরেছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। অনেকের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্কের প্রভাব কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য তাদের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্কহার কমিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।

চীনের ব্যাপারটি আবার একেবারেই ভিন্ন। চীনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য সমঝোতা হয়েছে— এমন দাবি করার সুযোগ নেই। বরং বলা যেতে পারে, চীনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ বিরতি (ট্রেড ওয়ার ট্রুস) কার্যকর হয়েছে। আমেরিকার উচ্চ শুল্ক আরোপের পালটা ব্যবস্থা হিসেবে চীনও আমেরিকার বিরুদ্ধে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। যেহেতু তারাই বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ, তাই তাদের পক্ষে এই বাণিজ্য যুদ্ধে বিরতি টানা সম্ভব হয়েছে।

এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে সমঝোতা হয়েছে ভিয়েতনামের। দেশটির ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সেটি ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ভিয়েতনাম। সে অর্থে ভিয়েতনামই একমাত্র দেশ, যারা আমেরিকার সঙ্গে একটি বাণিজ্য সমঝোতা বা ট্রেড ডিলে পৌঁছতে সক্ষম হয়।

এদিকে বাংলাদেশ আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক হার লাঘবের উদ্দেশ্যে বাণিজ্য সমঝোতা বা ট্রেড ডিল করার ব্যাপারে কতটুকু এগিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় পণ্য রপ্তানির ওপর পূর্বের ঘোষিত শুল্ক হার ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে।

শুল্কহার ২ শতাংশ কমলেও এটি মূলত শুল্কহার হ্রাস বা বাণিজ্য সমঝোতার পর্যায়ে পড়ে না। বাংলাদেশের ওপর শুল্কহার হ্রাস করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ট্রাম্পের কাছে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তার প্রতি এক ধরনের নামমাত্র সম্মান জানানো ছাড়া আর কিছুই নয় বলে আমরা মনে করি।

আসলে শুল্ক আরোপ শুধু দামের ওপর নয়, দেশের মোট উৎপাদনেও (জিডিপি) নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২০২০ সালে ১৫১টি দেশের ১৯৬৩-২০১৪ কালপর্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে এক গবেষণায় দেখা যায়, এ শুল্ক দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে যায়। শুল্ক কম থাকলে যেসব পণ্যে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা আছে, দেশগুলো সাধারণত সেসব পণ্য উৎপাদনে জোর দেয়। কিন্তু শুল্ক বাড়লে শ্রমশক্তি ততটা দক্ষভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হয় না।

শুল্কনীতির আরেকটি নেতিবাচক দিক হলো— এতে অনিশ্চয়তা বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যৎ করনীতির ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইনডিপেনডেন্ট বিজনেসের এক জরিপে দেখা গেছে, অনিশ্চয়তার ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোর পুঁজি বিনিয়োগ পরিকল্পনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আরও অবাক করা বিষয় হলো— বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শুল্ক আরোপে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পরিবর্তে বেকারত্ব কিছুটা বাড়ে।

ডার্টমাউথের ডগ আরউইনের মতে, ২০১৮ সালের ইস্পাত শুল্কে কর্মসংস্থান কমে গেছে। কারণ, ইস্পাত শিল্পে যে পরিমাণ লোক কাজ করেন, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ কাজ করেন এর সঙ্গে নির্ভরশীল বিভিন্ন খাতে।

২০১৮-১৯ সালের যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের এক গবেষণায় দেখা যায়, এতে উৎপাদন খরচ বাড়ে, কর্মসংস্থান কমে। কার্যত প্রতিশোধমূলক শুল্কের কারণে ক্ষতি বেড়ে যায়।

এ কথা সত্য, ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কের প্রভাবে বিশ্বের অনেক দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বাদ যাবে না আমাদের দেশও। বরং আমাদের দেশ যে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ আমাদের রপ্তানি পণ্যের পরিমাণ খুবই সীমিত। তৈরি পোশাক হচ্ছে একমাত্র উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য। এ তৈরি পোশাকের সিংহ ভাগ রপ্তানি হয় আমেরিকার বাজারে। এই উচ্চ শুল্ক হারের কারণে আমেরিকার বাজারে পণ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে।

আকস্মিক এই মূল্যবৃদ্ধিতে একদিকে যেমন আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা কমবে, তেমনি আমেরিকার ব্যবসায়ীরা বিকল্প রপ্তানি দেশ খুঁজে নেবে। ফলে গোটা তৈরি পোশাক খাত এক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যাবে। আর তেমনটা হলে দেশের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি তো হবেই, সেই সঙ্গে দেখা দেবে সামাজিক অস্থিরতা। এর প্রভাব পড়বে সারা দেশে এবং সব খাতে। কারণ তৈরি পোশাক খাতে সরাসরি নিয়োজিত আছে পঞ্চাশ লক্ষাধিক শ্রমিক, যাদের অধিকাংশই আবার নারী।

আর সারা দেশে এই পেশাকেন্দ্রিক প্রায় দেড় কোটি মানুষের জীবনজীবিকা। এই শ্রমিক জনগোষ্ঠী যদি কোনো কারণে বেকার হয়ে যায়, তখন তার প্রভাব হবে ভয়াবহ। কেননা বেকার থাকা আর কর্মক্ষম অবস্থা থেকে বেকার হয়ে যাওয়া আরও ভয়ানক।

এমনিতেই আমাদের পোশাক খাত এখন অনেক ক্ষতির সন্মুখীন। বহু কারখানা বন্ধ হয়েছে এবং কিছু কারখানায় আন্দোলন-সংগ্রাম এবং সরকার পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। পোশাক কারখানার মালিকরা আছেন চরম অনিশ্চয়তায়। এমনিতেই তৈরি পোশাকের রপ্তানি আদেশ সংগ্রহ করতে হয় কমপক্ষে ছয় মাস আগে। শীতের পোশাক রপ্তানির আদেশ সংগ্রহ করা হয় গ্রীষ্মকালে, আর গরমের পোশাক রপ্তানির আদেশ সংগ্রহ করতে হয় শীতকালে। তাই অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক অস্থিরতা থাকলে এ ধরনের রপ্তানি আদেশ পেতে যে সমস্যা হবে, এটাই বাস্তবতা। আর নানা অস্থিরতার কারণে আমেরিকার আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা এবং রপ্তানি আদেশ সংগ্রহ করতে পারছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

যেভাবেই হোক দেশের এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। রপ্তানি খাতকে রক্ষা করতে হবে। শুল্কহার কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য আলোচনাই একমাত্র পথ। আমরা মনে করি, সাধারণ আলোচনা বা কূটনৈতিক যোগাযোগ বা চিঠি লেখার মাধ্যমে এই শুল্ক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এ জন্য কিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

সবার আগে প্রয়োজন দেশে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। সবচেয়ে ভালো হয় সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সরাসরি নিয়োজিত করতে পারলে। আলোচনার সুযোগ এখনো আছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সমঝোতা বা ট্রেড ডিল সম্পন্ন করা প্রয়োজন, যার অধীনে শুল্ক হার হ্রাস করা যায়। মূল কথা হচ্ছে, দেশের স্বার্থেই এই উচ্চ শুল্ক সমস্যার সমাধান করা অতীব জরুরি।

লেখক: কলামিস্ট ও শিল্প-উদ্যোক্তা

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

এক্সিম ব্যাংক— ঘুরে দাঁড়ানোর অনন্য নজির

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, যেসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়েছিল, এক্সিম ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা, পরিচালন কাঠামো এবং গ্রাহক আস্থা সেই প্রেক্ষাপটে ব্যতিক্রম। ফলস্বরূপ, এক্সিম ব্যাংককে এ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

৬ দিন আগে

ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে পারবেন মাস্ক?

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান— এই দুই দলের বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছে। তবে মাস্ক বলছেন, বাস্তবে এই দুই দল একে অন্যের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। ‘তারা ভিন্ন পোশাক পরে একসঙ্গে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে— এটাই ইউনিপার্টি,’— বলেন মাস্ক।

৭ দিন আগে

গণমাধ্যমে নারী-শিশুদের নিয়ে ‘দায়িত্বহীনতা’

বাংলাদেশের গণমাধ্যম অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পাঠক-দর্শক আকৃষ্ট করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থি কাজ করছে।

৯ দিন আগে

মহররমের প্রথম ১০ দিন: ইতিহাস, আমল ও করণীয়

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য এই ১০ দিন শুধু আবেগ নয়, আত্মশুদ্ধি ও আত্মজিজ্ঞাসারও উপলক্ষ্য। ইসলামি ইতিহাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেমন— আশুরা দিবস, তেমনিভাবে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদাত এ মাসকে দিয়েছে অমরতা।

১৩ দিন আগে