ঢাবি প্রতিনিধি
জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে ২৬ জুলাই গানের মিছিলের মাধ্যমে কারফিউ ভেঙেছিল ছাত্র-জনতা। সেদিনের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘কারফিউ ভাঙার গান’। অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কোরাস’।
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘কারফিউ ভাঙার গান’ আয়োজন করে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কোরাস’।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কোরাস’ সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মনুষ্যত্ব রক্ষার পরিপূরক সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। ‘কোরাস’-এর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা।
আয়োজনের শুরুতেই অস্থায়ী শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি ও নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন কোরাস। এ ছাড়াও অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের পক্ষে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দীলিপ রায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চলসহ অন্যান্যরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ গানের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও নতুন সংগঠনের নাম ঘোষণা করেন শহিদ শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন ও বাবা নাসির উদ্দীন আহমেদ।
প্রগতি বর্মন তমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গান ও কবিতা পরিবেশনের পাশাপাশি আলোচনাও করেন বক্তা-শিল্পীরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন— সমগীতের বিথী ঘোষ, সহজিয়া ব্যান্ডের রাজীব আহমেদ রাজু, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা, শিল্পী ও চিন্তক অরূপ রাহী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর জামশেদ আনোয়ার তপন, রহমান মুফিজ, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মফিজুর রহমান লালটু, মাহা ও ওয়ারদার গান, মীর সাখাওয়াত, ফেরদৌস আরা রুমী, আনন্দলোক, ইলালালালা ও কুহক। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী।
শহিদ শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন বলেন, গত বছর যখন হাসিনা সরকারের শাসনামলের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মানুষ ফেটে পড়ে, শেখ হাসিনার সরকার সেই আন্দোলনকে কারফিউ দিয়ে দমন করার চেষ্টা চালায়, ঠিক সেই সময় ২৬ জুলাই কারফিউ ভাঙার গানের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তিত্বরা এগিয়ে আসেন। আজ আত্মপ্রকাশ করা নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন কোরাসকে আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সেই ভূমিকায় দেখব বলে প্রত্যাশা রাখি।
শহিদ আহনাফের বাবা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিচার চাই। এক বছর হয়ে গেলেও এখনো গণহত্যার বিচার হচ্ছে না। সরকারের কাছে আবেদন, যত দ্রুতসম্ভব এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করুন। জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে সালমান সিদ্দিকী বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিয়ে শহিদ পরিবার এবং জনগণের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আজ শহিদদের স্মরণ মানে শুধু স্মৃতিচারণ নয়, নতুন সময়ের লড়াইয়ের জন্যে সংগঠিত হওয়ারও প্রয়োজন। শহিদদের কাঙ্ক্ষিত আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের লড়াই জারি রাখতে হবে।
জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে ২৬ জুলাই গানের মিছিলের মাধ্যমে কারফিউ ভেঙেছিল ছাত্র-জনতা। সেদিনের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘কারফিউ ভাঙার গান’। অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কোরাস’।
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘কারফিউ ভাঙার গান’ আয়োজন করে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কোরাস’।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কোরাস’ সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মনুষ্যত্ব রক্ষার পরিপূরক সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। ‘কোরাস’-এর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা।
আয়োজনের শুরুতেই অস্থায়ী শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি ও নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন কোরাস। এ ছাড়াও অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের পক্ষে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দীলিপ রায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চলসহ অন্যান্যরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ গানের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও নতুন সংগঠনের নাম ঘোষণা করেন শহিদ শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন ও বাবা নাসির উদ্দীন আহমেদ।
প্রগতি বর্মন তমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গান ও কবিতা পরিবেশনের পাশাপাশি আলোচনাও করেন বক্তা-শিল্পীরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন— সমগীতের বিথী ঘোষ, সহজিয়া ব্যান্ডের রাজীব আহমেদ রাজু, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা, শিল্পী ও চিন্তক অরূপ রাহী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর জামশেদ আনোয়ার তপন, রহমান মুফিজ, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মফিজুর রহমান লালটু, মাহা ও ওয়ারদার গান, মীর সাখাওয়াত, ফেরদৌস আরা রুমী, আনন্দলোক, ইলালালালা ও কুহক। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী।
শহিদ শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন বলেন, গত বছর যখন হাসিনা সরকারের শাসনামলের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মানুষ ফেটে পড়ে, শেখ হাসিনার সরকার সেই আন্দোলনকে কারফিউ দিয়ে দমন করার চেষ্টা চালায়, ঠিক সেই সময় ২৬ জুলাই কারফিউ ভাঙার গানের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তিত্বরা এগিয়ে আসেন। আজ আত্মপ্রকাশ করা নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন কোরাসকে আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সেই ভূমিকায় দেখব বলে প্রত্যাশা রাখি।
শহিদ আহনাফের বাবা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিচার চাই। এক বছর হয়ে গেলেও এখনো গণহত্যার বিচার হচ্ছে না। সরকারের কাছে আবেদন, যত দ্রুতসম্ভব এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করুন। জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে সালমান সিদ্দিকী বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিয়ে শহিদ পরিবার এবং জনগণের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আজ শহিদদের স্মরণ মানে শুধু স্মৃতিচারণ নয়, নতুন সময়ের লড়াইয়ের জন্যে সংগঠিত হওয়ারও প্রয়োজন। শহিদদের কাঙ্ক্ষিত আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের লড়াই জারি রাখতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আসিয়ানের বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়া বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে, যাতে বাংলাদেশ প্রথমে খাতভিত্তিক সংলাপের অংশীদার এবং পরবর্তীতে এই আঞ্চলিক সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ পেতে পারে।’
৮ ঘণ্টা আগেএতে সহ-আয়োজক হিসেবে অংশ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা (কানাডা), নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (সিঙ্গাপুর), কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি, বাংলাদেশ ২.০ ইনিশিয়েটিভ (যুক্তরাজ্য), সোচ্চার (যুক্তরাষ্ট্র), ইনসাফ (বাং
৮ ঘণ্টা আগে