প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মরদেহ ও মরদেহের খণ্ডিতাংশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে নিহতের সংখ্যা কমেছে।
রোববার (২৭ জুলাই) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সবশেষ তথ্য বলছে, রাত ৯টা পর্যন্ত নিহতের চূড়ান্ত সংখ্যা ৩৩ জন। হাসপাতালে ভর্তি আহতের মধ্যে এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে চারজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যে ১৫টি ‘বডিব্যাগ’ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো থেকে চূড়ান্তভাবে ১৪ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। আগে সিএমএইচে ১৫ জন নিহত হিসাব করায় মোট সংখ্যা থেকে নিহত একজন কমবে।
এদিকে উত্তরার লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতালে একটি করে মরদেহ ছিল বলে তথ্য পেয়েছিল অধিদপ্তর। তারা দুজনও একই ব্যক্তি বলে চিহ্নিত হয়েছেন। এ কারণে নিহতের সংখ্যা আরও একজন কমেছে।
সবমিলিয়ে শনিবার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যুর পর মোট ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রাতে হালনাগাদ তথ্যে সেই সংখ্যা ৩৩ বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রোববার চিকিৎসাধীন আর কারও মৃত্যু হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পাঁচজনের পরিচয় শনাক্তের কথা জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সেদিন সিআইডি জানিয়েছিল, ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা সিএমএইচে রাখা অশনাক্ত মৃতদেহ ও দেহাংশ থেকে মোট ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। সেসব নমুনা বিশ্লেষণ করে মোট পাঁচজনের ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়।
যে পাঁচ মরদেহ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল সিআইডি তারা হলেন— ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, লামিয়া আক্তার সোনিয়া, আফসানা আক্তার প্রিয়া, রাইসা মনি ও মারিয়াম উম্মে আফিয়া।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার হালনাগাদ তথ্যের সঙ্গে শুক্রবার সিএমএইচ থেকে পাওয়া একটি চিঠিও সরবরাহ করেছে। সেখানেও সিএমএইচে থাকা মরদেহ ও দেহাংশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা শনাক্তের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সিআইডির কাছ থেকে ডিএনএ পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই তুরাগ থানা পুলিশ পাঁচ পরিবারের কাছে লাশ ও দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফোকাল পারসন ডা. সরকার ফারহানা কবীর বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সিএমএইচ মরদেহের সংখ্যা আপডেট করেছে। তাদের পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী আমারও মৃতের সংখ্যা আপডেট করেছি।
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও দুজন ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে। এ নিয়ে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরল এখন পর্যন্ত চারজন।
রোববার বিকেলে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দীন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ ছাড়পত্র পাওয়া দুজনের একজন উদ্ধারকারী কাজী আমজাদ সাইদ, যিনি দুর্ঘটনার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। আরেকজন সবুজা আক্তার, তিনি মাইলস্টোন স্কুলের একজন নারী কর্মী।
অধ্যাপক নাসির বলেন, বর্তমানে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৪ জন। তাদের মধ্যে ২৮ জন শিশু, ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের মধ্যে চারজন রয়েছেন আইসিইউতে, যাদের দুজনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
লাইফ সাপোর্টে থাকা দুজনের মধ্যে সোহেল ফারাবি আয়ানের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ, নাভীদ নেওয়াজ দীপ্তর শরীরের ৫৩ শতাংশ দগ্ধ। তাদের দুজনেরই শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আইসিইউতে থাকা বাকি দুজনের মধ্যে ১৫ বছর বয়সী তাসনিয়ার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ। তার শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত। আর ১০ বছর বয়সী আবিদুর রহিমের শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যপক নাসির বলেন, এই চারজনের অবস্থা গুরুতর থেকে সংকটাপন্ন পর্যায়ে গেছে। তাদের সার্বক্ষণিক বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনজন, ফিমেল এইচডিইউতে ছয়জন, পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডে আটজন ও কেবিনে আছেন ১২ জন। আইসিইউ ও লাইফ সাপোর্টে থাকা চারজনের বাইরে গুরুতর (সিভিয়ার) রোগীর সংখ্যা ৯ জন।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মরদেহ ও মরদেহের খণ্ডিতাংশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে নিহতের সংখ্যা কমেছে।
রোববার (২৭ জুলাই) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সবশেষ তথ্য বলছে, রাত ৯টা পর্যন্ত নিহতের চূড়ান্ত সংখ্যা ৩৩ জন। হাসপাতালে ভর্তি আহতের মধ্যে এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে চারজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যে ১৫টি ‘বডিব্যাগ’ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো থেকে চূড়ান্তভাবে ১৪ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। আগে সিএমএইচে ১৫ জন নিহত হিসাব করায় মোট সংখ্যা থেকে নিহত একজন কমবে।
এদিকে উত্তরার লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতালে একটি করে মরদেহ ছিল বলে তথ্য পেয়েছিল অধিদপ্তর। তারা দুজনও একই ব্যক্তি বলে চিহ্নিত হয়েছেন। এ কারণে নিহতের সংখ্যা আরও একজন কমেছে।
সবমিলিয়ে শনিবার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যুর পর মোট ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রাতে হালনাগাদ তথ্যে সেই সংখ্যা ৩৩ বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রোববার চিকিৎসাধীন আর কারও মৃত্যু হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পাঁচজনের পরিচয় শনাক্তের কথা জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সেদিন সিআইডি জানিয়েছিল, ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা সিএমএইচে রাখা অশনাক্ত মৃতদেহ ও দেহাংশ থেকে মোট ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। সেসব নমুনা বিশ্লেষণ করে মোট পাঁচজনের ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়।
যে পাঁচ মরদেহ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল সিআইডি তারা হলেন— ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, লামিয়া আক্তার সোনিয়া, আফসানা আক্তার প্রিয়া, রাইসা মনি ও মারিয়াম উম্মে আফিয়া।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার হালনাগাদ তথ্যের সঙ্গে শুক্রবার সিএমএইচ থেকে পাওয়া একটি চিঠিও সরবরাহ করেছে। সেখানেও সিএমএইচে থাকা মরদেহ ও দেহাংশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা শনাক্তের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সিআইডির কাছ থেকে ডিএনএ পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই তুরাগ থানা পুলিশ পাঁচ পরিবারের কাছে লাশ ও দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফোকাল পারসন ডা. সরকার ফারহানা কবীর বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সিএমএইচ মরদেহের সংখ্যা আপডেট করেছে। তাদের পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী আমারও মৃতের সংখ্যা আপডেট করেছি।
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও দুজন ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে। এ নিয়ে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরল এখন পর্যন্ত চারজন।
রোববার বিকেলে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দীন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ ছাড়পত্র পাওয়া দুজনের একজন উদ্ধারকারী কাজী আমজাদ সাইদ, যিনি দুর্ঘটনার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। আরেকজন সবুজা আক্তার, তিনি মাইলস্টোন স্কুলের একজন নারী কর্মী।
অধ্যাপক নাসির বলেন, বর্তমানে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৪ জন। তাদের মধ্যে ২৮ জন শিশু, ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের মধ্যে চারজন রয়েছেন আইসিইউতে, যাদের দুজনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
লাইফ সাপোর্টে থাকা দুজনের মধ্যে সোহেল ফারাবি আয়ানের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ, নাভীদ নেওয়াজ দীপ্তর শরীরের ৫৩ শতাংশ দগ্ধ। তাদের দুজনেরই শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আইসিইউতে থাকা বাকি দুজনের মধ্যে ১৫ বছর বয়সী তাসনিয়ার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ। তার শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত। আর ১০ বছর বয়সী আবিদুর রহিমের শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যপক নাসির বলেন, এই চারজনের অবস্থা গুরুতর থেকে সংকটাপন্ন পর্যায়ে গেছে। তাদের সার্বক্ষণিক বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনজন, ফিমেল এইচডিইউতে ছয়জন, পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডে আটজন ও কেবিনে আছেন ১২ জন। আইসিইউ ও লাইফ সাপোর্টে থাকা চারজনের বাইরে গুরুতর (সিভিয়ার) রোগীর সংখ্যা ৯ জন।
প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আসিয়ানের বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়া বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে, যাতে বাংলাদেশ প্রথমে খাতভিত্তিক সংলাপের অংশীদার এবং পরবর্তীতে এই আঞ্চলিক সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ পেতে পারে।’
৫ ঘণ্টা আগেএতে সহ-আয়োজক হিসেবে অংশ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা (কানাডা), নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (সিঙ্গাপুর), কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি, বাংলাদেশ ২.০ ইনিশিয়েটিভ (যুক্তরাজ্য), সোচ্চার (যুক্তরাষ্ট্র), ইনসাফ (বাং
৫ ঘণ্টা আগে