নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার একটি প্রাচীন বিলের (জলাশয়) নাম ‘বলদা বিল’। দেশি মাছের অভয়ারণ্য হিসেবে বিলটি পরিচিত। সেই বিলের মধ্যে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মৎস্য খামারের পুকুর খনন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বিলটির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বলদা বিলের অবস্থান নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল সদর ইউনিয়নে। গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার পানি প্রবাহিত হয়ে বলদা বিলে জমা হয়। পরে সেই পানি নান্দাইলের বামনি ও চিমনি খাল হয়ে নরসুন্দা নদী দিয়ে ভাটির দিকে প্রবাহিত হয়। বলদা বিল দেশি মাছের অভয়ারণ্য হিসেবেও পরিচিত। তাই বিলপাড়ের বাসিন্দাদের আয়ের অন্যতম উৎস্য হচ্ছে বিলের মৎস্যসম্পদ।
বিলপাড়ের নানা বয়সী বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষাকলে পানির সাথে উজান থেকে বয়ে আসা প্রচুর পরিমাণ পলিমাটি এসে বিলের তলদেশে জমা হয়। এতে করে বিলটি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে শুকনো মৌসুমে বিলের বেশিরভাগ অংশ শুকিয়ে যায়। এই সুযোগে দখলদারদের নজর পড়ে বিলের খাস জমির দিকে। প্রথমে যার যার বাড়ির পজেশন অনুযায়ী শুকনো মৌসুমে বিলের জমিতে বোরো আবাদ শুরু করে। পরে বিলপাড়ের কিছু বাসিন্দা বিলের জমিতে পুকুর কেটে মৎস্য চাষ শুরু করেন। তাঁদের দেখাদেখি বিলপাড়ে যাদের পৈত্রিক জমি রয়েছে সেই জমির সাথে বিলের খাস জমি মিলিয়ে বড় বড় পুকুর খনন শুরু করেন।
সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় বলদা বিলের বিশাল অংশ শুকিয়ে গেছে। সেখানে একাধিক ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে। বিলপাড়ের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০-৩০ জনের মতো ব্যক্তি পুকুর খননের সাথে জড়িত রয়েছেন। বাসিন্দারা জানান, বিলটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা দরকার। নয়তো অনেকের জীবিকার পাশপাশি জীববৈচিত্র্যও হুমকির সম্মুখীন হবে।
বলদা বিলে ঘাস কাটছিলেন কাটলীপাড়া গ্রামের মো. সেকান্দার আলী। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি শুকনো মৌসুমে বিলে নতুন নতুন পুকুর খনন করে মৎস্য খামার গড়ে তোলা হচ্ছে। মাছ চাষ লাভজনক হওয়ায় যত্রতত্র পুকুর খনন চলছে। দখলদাররা নিজেদের জমিতে খামার দিচ্ছেন বলে প্রচার করলেও বিলের খাস জমিও পুকুরের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। কেউ কেউ স্থানীয় ভূমি অফিসের সহায়তায় বিলের খাস জমি নিজেদের নামে লিজ নিচ্ছেন।’
বিলে মৎস্য খামার দিচ্ছেন কাটলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কনু মেম্বার। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁদের বিপুল পরিমাণ পৈত্রিক জমি রয়েছে বলদা বিলে। তিনি সেই জমিতে খামার দিয়েছেন। বিলের কোনো জমি তিনি দখল করেননি। নান্দাইল উপজেলা সদরের বাসিন্দা হাসনাত মাহমুদ তালহা জানান, তিনি পৈতৃক জমিতেই মৎস্য খামার করেছেন। তার দাবি তিনি বিলের কোন জমি দখল করেননি।
নান্দাইল ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক জানান, এরশাদ সরকারের আমলে কেউ কেউ বিলের খাস জমি নিজেদের নামে কাগজপত্র করে নিয়েছেন বলে জানান। তবে এখন আর এটি সম্ভব নয়।
নান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, যাদের কবজায় বিলের খাস জমি রয়েছে তাঁরা ভূমি অফিস থেকে কাগজপত্র করে নিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।
নান্দাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়জুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, বলদা বিলে যাঁরা পুকুর খনন করেছেন তাঁদের সবাইকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁরা কীভাবে পুকুর খনন করছেন সে সম্পর্কিত কাগজপত্রসহ হাজির হওয়ার জন্য নোটিশে বলা হয়েছে।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার একটি প্রাচীন বিলের (জলাশয়) নাম ‘বলদা বিল’। দেশি মাছের অভয়ারণ্য হিসেবে বিলটি পরিচিত। সেই বিলের মধ্যে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মৎস্য খামারের পুকুর খনন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বিলটির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বলদা বিলের অবস্থান নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল সদর ইউনিয়নে। গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার পানি প্রবাহিত হয়ে বলদা বিলে জমা হয়। পরে সেই পানি নান্দাইলের বামনি ও চিমনি খাল হয়ে নরসুন্দা নদী দিয়ে ভাটির দিকে প্রবাহিত হয়। বলদা বিল দেশি মাছের অভয়ারণ্য হিসেবেও পরিচিত। তাই বিলপাড়ের বাসিন্দাদের আয়ের অন্যতম উৎস্য হচ্ছে বিলের মৎস্যসম্পদ।
বিলপাড়ের নানা বয়সী বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষাকলে পানির সাথে উজান থেকে বয়ে আসা প্রচুর পরিমাণ পলিমাটি এসে বিলের তলদেশে জমা হয়। এতে করে বিলটি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে শুকনো মৌসুমে বিলের বেশিরভাগ অংশ শুকিয়ে যায়। এই সুযোগে দখলদারদের নজর পড়ে বিলের খাস জমির দিকে। প্রথমে যার যার বাড়ির পজেশন অনুযায়ী শুকনো মৌসুমে বিলের জমিতে বোরো আবাদ শুরু করে। পরে বিলপাড়ের কিছু বাসিন্দা বিলের জমিতে পুকুর কেটে মৎস্য চাষ শুরু করেন। তাঁদের দেখাদেখি বিলপাড়ে যাদের পৈত্রিক জমি রয়েছে সেই জমির সাথে বিলের খাস জমি মিলিয়ে বড় বড় পুকুর খনন শুরু করেন।
সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় বলদা বিলের বিশাল অংশ শুকিয়ে গেছে। সেখানে একাধিক ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে। বিলপাড়ের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০-৩০ জনের মতো ব্যক্তি পুকুর খননের সাথে জড়িত রয়েছেন। বাসিন্দারা জানান, বিলটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা দরকার। নয়তো অনেকের জীবিকার পাশপাশি জীববৈচিত্র্যও হুমকির সম্মুখীন হবে।
বলদা বিলে ঘাস কাটছিলেন কাটলীপাড়া গ্রামের মো. সেকান্দার আলী। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি শুকনো মৌসুমে বিলে নতুন নতুন পুকুর খনন করে মৎস্য খামার গড়ে তোলা হচ্ছে। মাছ চাষ লাভজনক হওয়ায় যত্রতত্র পুকুর খনন চলছে। দখলদাররা নিজেদের জমিতে খামার দিচ্ছেন বলে প্রচার করলেও বিলের খাস জমিও পুকুরের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। কেউ কেউ স্থানীয় ভূমি অফিসের সহায়তায় বিলের খাস জমি নিজেদের নামে লিজ নিচ্ছেন।’
বিলে মৎস্য খামার দিচ্ছেন কাটলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কনু মেম্বার। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁদের বিপুল পরিমাণ পৈত্রিক জমি রয়েছে বলদা বিলে। তিনি সেই জমিতে খামার দিয়েছেন। বিলের কোনো জমি তিনি দখল করেননি। নান্দাইল উপজেলা সদরের বাসিন্দা হাসনাত মাহমুদ তালহা জানান, তিনি পৈতৃক জমিতেই মৎস্য খামার করেছেন। তার দাবি তিনি বিলের কোন জমি দখল করেননি।
নান্দাইল ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক জানান, এরশাদ সরকারের আমলে কেউ কেউ বিলের খাস জমি নিজেদের নামে কাগজপত্র করে নিয়েছেন বলে জানান। তবে এখন আর এটি সম্ভব নয়।
নান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, যাদের কবজায় বিলের খাস জমি রয়েছে তাঁরা ভূমি অফিস থেকে কাগজপত্র করে নিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।
নান্দাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়জুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, বলদা বিলে যাঁরা পুকুর খনন করেছেন তাঁদের সবাইকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁরা কীভাবে পুকুর খনন করছেন সে সম্পর্কিত কাগজপত্রসহ হাজির হওয়ার জন্য নোটিশে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টে সাতক্ষীরা সদর থানায় দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালিত হয়।
২১ ঘণ্টা আগেদেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
১ দিন আগেঅন্তর্বর্তী সরকার গায়ের জোরে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মেয়র হতে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন রাখেন- ‘চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাত মেয়র হতে পারলে ইশরাক কী দোষ করলো? অর্থাৎ সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না।’
১ দিন আগেভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণের প্রভাবে শেরপুর জেলার পাহাড়ি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার কিছু নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এতে আকস্মিক বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
১ দিন আগে