নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়কে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা মডেল থানায় দায়ের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৬ জুলাই) রাত সোয়া ১১টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় একটি বাসা থেকে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন প্রশান্তকে। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রশান্ত কুমার রায় জেলা শহরের বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নেত্রকোনার ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬০টি মামলা হয়। এসব মামলার আসামি ছয় শতাধিক নেতাকর্মী। এর মধ্যে নেত্রকোনা মডেল থানা ও বারহাট্টা থানায় প্রশান্তকে অন্তত আটটি মামলায় আসামি করা হয়। আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ বলছে, গত ২০ জুন সকালে প্রশান্তের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল হয়। জেলা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে ছোট বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় প্রশান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।
এসব কর্মসূচির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে একই দিন সন্ধ্যা ও রাতে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম ও খেলাফত আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশান্ত কুমার রায়কে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এদিকে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রশান্ত কুমার রায়ের চার তলা বাসায় হামলা চালিয়ে সব কক্ষে থাকা আসবাবপত্রসহ সবকিছু ভাঙচুর, টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় প্রশান্ত কুমার রায়ের স্ত্রী এবং প্রশান্তর বড় ভাই ও তার স্ত্রীসহ গৃহকর্মীরা বাসায় ছিলেন। ওই মিছিলের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশান্ত কুমার রায়কে গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। এরপর রোববার রাতে তাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গ্রেপ্তার করে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. শাহনেওয়াজ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা প্রশান্ত কুমার রায়কে রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০ জুন ভোরে নেত্রকোনার শহরে ঝটিকা মিছিল করে তিনি টঙ্গী এলাকায় চলে যান। সেখানে বাসাটিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন।
ওসি আরও বলেন, প্রশান্তকে গ্রেপ্তারের পর নেত্রকোনা মডেল থানায় আনা হয়। পরে সোমবার দুপুরের দিকে জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়কে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা মডেল থানায় দায়ের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৬ জুলাই) রাত সোয়া ১১টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় একটি বাসা থেকে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন প্রশান্তকে। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রশান্ত কুমার রায় জেলা শহরের বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নেত্রকোনার ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬০টি মামলা হয়। এসব মামলার আসামি ছয় শতাধিক নেতাকর্মী। এর মধ্যে নেত্রকোনা মডেল থানা ও বারহাট্টা থানায় প্রশান্তকে অন্তত আটটি মামলায় আসামি করা হয়। আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ বলছে, গত ২০ জুন সকালে প্রশান্তের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল হয়। জেলা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে ছোট বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় প্রশান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।
এসব কর্মসূচির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে একই দিন সন্ধ্যা ও রাতে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম ও খেলাফত আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশান্ত কুমার রায়কে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এদিকে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রশান্ত কুমার রায়ের চার তলা বাসায় হামলা চালিয়ে সব কক্ষে থাকা আসবাবপত্রসহ সবকিছু ভাঙচুর, টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় প্রশান্ত কুমার রায়ের স্ত্রী এবং প্রশান্তর বড় ভাই ও তার স্ত্রীসহ গৃহকর্মীরা বাসায় ছিলেন। ওই মিছিলের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশান্ত কুমার রায়কে গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। এরপর রোববার রাতে তাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গ্রেপ্তার করে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. শাহনেওয়াজ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা প্রশান্ত কুমার রায়কে রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০ জুন ভোরে নেত্রকোনার শহরে ঝটিকা মিছিল করে তিনি টঙ্গী এলাকায় চলে যান। সেখানে বাসাটিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন।
ওসি আরও বলেন, প্রশান্তকে গ্রেপ্তারের পর নেত্রকোনা মডেল থানায় আনা হয়। পরে সোমবার দুপুরের দিকে জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
১৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র পটুয়াখালী জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।
১৭ ঘণ্টা আগেমর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার বিকাল পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১১ নং খারুয়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে। নিহতরা হচ্ছেন, বাবা গোলাম মোস্তফা (৪৫) ও তাঁর পুত্র নাইম (৬)।
১ দিন আগে