বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের সীমান্তবর্তী বেনাপোলের পুটখালী গ্রামে মরুর জাহাজ উটের খামার গড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ‘গোল্ড নাসির’। সেই খামারে থাকা সাত উট দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসত মানুষজন। তবে ঈদুল আজহার আরও দিন দশেক বাকি থাকতেই সেই খামার এখন খাঁ খাঁ করছে। সবগুলো উটই যে বিক্রি হয়ে গেছে!
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, পুটখালী গ্রামের মৃত বুদো শিকদারের ছেলে নাসির উদ্দিন গড়ে তুলেছিলেন উটের খামার। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র ও সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এলাকাবাসীর কাছে তিনি ‘গোল্ড নাসির’ হিসেবে পরিচিত। সে কারণে উটের মতো দামি ও আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যতিক্রমধর্মী পশুর খামার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে চমক লাগানো ব্যতিক্রমী এই খামারটি ‘গোল্ড নাসিরের’ খাটাল নামে পরিচিত। গরু, ছাগলের পাশাপাশি তিনি এবার গড়ে তোলেন উটের খামার। সেখানে ছিল সাতটি উট। জিলহজ মাস শুরু হওয়ার আগেই সব উট বিক্রিও হয়ে গেছে।
এই উটের খামার নিয়ে পুটখালী ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন প্রতিদিন সীমান্তবর্তী এ গ্রামে ছুটে এসেছেন মরুর জাহাজ উট দেখার জন্য। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ— সবাই ‘গোল্ড নাসিরে’র খাটালে এসে উটের সঙ্গে ছবি তুলেছেন, ভিডিও করেছেন। সারা দিন লোকজনের পদচারণায় মুখরিত সে খামারে এখন সুনসান নীরবতা। কারণ আর কোনো উট অবশিষ্ট নেই এই খামারে।
মরুর প্রাণী উঠ দেখতে প্রতিদিন মানুষের ভিড় জমত ‘গোল্ড নাসিরে’র খাটালে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
খামারের সংশ্লিষ্টরা জানালেন, খামারের সাতটি উটের মধ্যে একটি উট এরই মধ্যে ২৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাকি ছয়টি উট বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামে। সেগুলো মঙ্গলবার রাতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামে।
খামার নিয়ে জানতে সেখানে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও দেখা মেলেনি মালিক নাসির হোসেনের। তার বক্তব্য নিতে মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তাতেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে খামারের ব্যবস্থাপক আল আমিন বলেন, নাসির বছরখানেক আগে সৌদি আরব থেকে সাতটি উট আমদানি করে পুটখালীতে নিজের খামারে লালন-পালন শুরু করেন। ঈদুল আজহার ১০ দিন আগেই সবগুলো উট খামার থেকে বিক্রি হয়ে গেছে।
আল আমিন আরও বলেন, উটগুলোকে বিশেষভাবে যত্ন করে সুস্থ রাখা হয়েছে। প্রতিদিন উটগুলোকে গোসল করানো হয়। সয়াবিনের খৈল, ভুট্টা, ঘাস আর ছোলা খাওয়ানো হতেো নিয়মিত। বিশেষ তালিকা মেনেই উটগুলোকে প্রতিদিন খাবার খাওয়ানো ও যত্ন নেওয়া হয়েছে।
এদিকে খামারে থাকা উটগুলো সৌদি আরব থেকে আনা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে স্থানীয় লোকজনসহ প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
স্থানীয়রা বলছেন, সৌদি আরব থেকে এ উট আনা হয়নি। ভারতের রাজস্থান থেকে উট চোরাই পথে এনে খামারে তোলা হয়েছে। কারণ সীমান্তের ইছামতি নদীর এ পাশে বেনাপোলের পুটখালি আর ও পাশে বনগাঁর আংরাইল সীমান্ত। ‘গোল্ড নাসির’ এই এলাকাতেই বছরের পর বছর ধরে দাপটের সঙ্গে চোরাচালানে জড়িত ছিলেন। ফলে তিনি সহজেই ভারত থেকে উট নিয়ে আসতে পারেন।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপু সাহা বলেন, উটগুলো আসলেই সৌদি আরব থেকে আনা হয়েছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য একাধিকবার খামারের মালিকের খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।
একই কথা বলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল হকও। তিনি বলেন, ‘সাধারণত এ ধরনের প্রাণী বিদেশ থেকে আনতে হলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু সৌদি আরব থেকে উট আমদানির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
এদিকে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, খামারের মালিক ‘গোল্ড নাসির’ এর আগে একাধিকবার সোনা, অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে আটক হন। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রামনগর এলাকায় প্রাইভেট কার থেকে আট কেজি ৯৭৪ গ্রামের ৪২টি সোনার বার উদ্ধার করে বিজিবি। এ সোনার বার ছিল নাসিরের।
একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শ্যুটারগান, তিনটি রিভলভার, ১৯ রাউন্ড গুলিসহ র্যাবের কাছে আটক হন নাসির। ওই মামলায় প্রায় ১৯ মাস কারাগারে থাকার পর মাত্র কয়েক মাস আগে তিনি জামিনে বের হন।
জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও আমার জানামতে তিনি জামিনে আছেন। নতুন করে তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, উটের খামারের বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোরের সীমান্তবর্তী বেনাপোলের পুটখালী গ্রামে মরুর জাহাজ উটের খামার গড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ‘গোল্ড নাসির’। সেই খামারে থাকা সাত উট দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসত মানুষজন। তবে ঈদুল আজহার আরও দিন দশেক বাকি থাকতেই সেই খামার এখন খাঁ খাঁ করছে। সবগুলো উটই যে বিক্রি হয়ে গেছে!
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, পুটখালী গ্রামের মৃত বুদো শিকদারের ছেলে নাসির উদ্দিন গড়ে তুলেছিলেন উটের খামার। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র ও সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এলাকাবাসীর কাছে তিনি ‘গোল্ড নাসির’ হিসেবে পরিচিত। সে কারণে উটের মতো দামি ও আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যতিক্রমধর্মী পশুর খামার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে চমক লাগানো ব্যতিক্রমী এই খামারটি ‘গোল্ড নাসিরের’ খাটাল নামে পরিচিত। গরু, ছাগলের পাশাপাশি তিনি এবার গড়ে তোলেন উটের খামার। সেখানে ছিল সাতটি উট। জিলহজ মাস শুরু হওয়ার আগেই সব উট বিক্রিও হয়ে গেছে।
এই উটের খামার নিয়ে পুটখালী ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন প্রতিদিন সীমান্তবর্তী এ গ্রামে ছুটে এসেছেন মরুর জাহাজ উট দেখার জন্য। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ— সবাই ‘গোল্ড নাসিরে’র খাটালে এসে উটের সঙ্গে ছবি তুলেছেন, ভিডিও করেছেন। সারা দিন লোকজনের পদচারণায় মুখরিত সে খামারে এখন সুনসান নীরবতা। কারণ আর কোনো উট অবশিষ্ট নেই এই খামারে।
মরুর প্রাণী উঠ দেখতে প্রতিদিন মানুষের ভিড় জমত ‘গোল্ড নাসিরে’র খাটালে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
খামারের সংশ্লিষ্টরা জানালেন, খামারের সাতটি উটের মধ্যে একটি উট এরই মধ্যে ২৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাকি ছয়টি উট বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামে। সেগুলো মঙ্গলবার রাতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামে।
খামার নিয়ে জানতে সেখানে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও দেখা মেলেনি মালিক নাসির হোসেনের। তার বক্তব্য নিতে মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তাতেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে খামারের ব্যবস্থাপক আল আমিন বলেন, নাসির বছরখানেক আগে সৌদি আরব থেকে সাতটি উট আমদানি করে পুটখালীতে নিজের খামারে লালন-পালন শুরু করেন। ঈদুল আজহার ১০ দিন আগেই সবগুলো উট খামার থেকে বিক্রি হয়ে গেছে।
আল আমিন আরও বলেন, উটগুলোকে বিশেষভাবে যত্ন করে সুস্থ রাখা হয়েছে। প্রতিদিন উটগুলোকে গোসল করানো হয়। সয়াবিনের খৈল, ভুট্টা, ঘাস আর ছোলা খাওয়ানো হতেো নিয়মিত। বিশেষ তালিকা মেনেই উটগুলোকে প্রতিদিন খাবার খাওয়ানো ও যত্ন নেওয়া হয়েছে।
এদিকে খামারে থাকা উটগুলো সৌদি আরব থেকে আনা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে স্থানীয় লোকজনসহ প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
স্থানীয়রা বলছেন, সৌদি আরব থেকে এ উট আনা হয়নি। ভারতের রাজস্থান থেকে উট চোরাই পথে এনে খামারে তোলা হয়েছে। কারণ সীমান্তের ইছামতি নদীর এ পাশে বেনাপোলের পুটখালি আর ও পাশে বনগাঁর আংরাইল সীমান্ত। ‘গোল্ড নাসির’ এই এলাকাতেই বছরের পর বছর ধরে দাপটের সঙ্গে চোরাচালানে জড়িত ছিলেন। ফলে তিনি সহজেই ভারত থেকে উট নিয়ে আসতে পারেন।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপু সাহা বলেন, উটগুলো আসলেই সৌদি আরব থেকে আনা হয়েছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য একাধিকবার খামারের মালিকের খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।
একই কথা বলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল হকও। তিনি বলেন, ‘সাধারণত এ ধরনের প্রাণী বিদেশ থেকে আনতে হলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু সৌদি আরব থেকে উট আমদানির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
এদিকে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, খামারের মালিক ‘গোল্ড নাসির’ এর আগে একাধিকবার সোনা, অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে আটক হন। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রামনগর এলাকায় প্রাইভেট কার থেকে আট কেজি ৯৭৪ গ্রামের ৪২টি সোনার বার উদ্ধার করে বিজিবি। এ সোনার বার ছিল নাসিরের।
একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শ্যুটারগান, তিনটি রিভলভার, ১৯ রাউন্ড গুলিসহ র্যাবের কাছে আটক হন নাসির। ওই মামলায় প্রায় ১৯ মাস কারাগারে থাকার পর মাত্র কয়েক মাস আগে তিনি জামিনে বের হন।
জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও আমার জানামতে তিনি জামিনে আছেন। নতুন করে তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, উটের খামারের বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈকতসংলগ্ন সড়ক নির্মাণে ঢেউয়ের আঘাত থেকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নেওয়ায় সড়কটি ভেঙে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের কাজসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
১৭ ঘণ্টা আগেশুক্রবার (৩০ মে) ভোরে হরিণখোলা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৩ ও ১৪/২ নম্বর পোল্ডারের অন্তত পাঁচটি স্থানের প্রায় ৩০০ মিটার অংশ নদীতে ধসে পড়ে। এতে যেকোনো সময় সম্পূর্ণ বাঁধটি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে হরিণখোলা, ২ নম্বর কয়রা, গোবরা, ঘাটাখালী, মদিনাবাদ
১৮ ঘণ্টা আগেরংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িতে ঢিল ছুড়ে জানালার কাচ ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত ৯টার দিকে রংপুর নগরীর সেনপাড়া স্কাইভিউ বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগে