পটুয়াখালী প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন নির্মাণাধীন সড়কটি বিধ্বস্ত হয়েছে। চার কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩৫০ মিটার দীর্ঘ নির্মাণাধীন এই সড়কের ট্যুরিজম পার্ক থেকে পূর্ব দিকের দুই-তৃতীয়াংশ ধসে পড়েছে।
সৈকতসংলগ্ন সড়ক নির্মাণে ঢেউয়ের আঘাত থেকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নেওয়ায় সড়কটি ভেঙে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের কাজসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে জোয়ারের জলোচ্ছ্বাস ও সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রভাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসংলগ্ন নির্মাণাধীন সড়কটি ভেঙে পড়ে।
উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে বৃহস্পতিবার রাতেই কুয়াকাটা পৌর প্রশাসককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ার পর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের সই করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টি ও সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রভাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসংলগ্ন নির্মাণাধীন সড়কটি খুবই দৃষ্টিকটূভাবে ভেঙে পড়েছে। রাস্তাটি ভাঙন পর্যালোচনায় স্বাভাবিক দৃষ্টিতে রাস্তাটির নির্মাণকাজ খুবই নিম্নমানের বলে মনে হয়।
প্রতিদেবনে বলা হয়েছে, রাস্তাটি সমুদ্রের তীরসংলগ্ন হলেও ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস বা অতিরিক্ত জোয়ার কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড় থেকে রাস্তাটিকে সংরক্ষণের জন্য কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু নিম্নমানের লোকাল বালু ও পাতলা সিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে রাস্তাটির কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
লকুয়াকাটা পর্যটন এলাকার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি নির্মাণে কোনো ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি বলে প্রতীয়মান হয়েছে- এমন কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হলেও এ প্রকল্প কমিটি ও তৎকালীন পৌর কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি।
জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নিয়াজুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, এই প্রকল্পে তিনটি প্যাকেজে মোট ১৩৫০ মিটার সড়ক নির্মাণে ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি লটারির মাধ্যমে তিনজন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় চার কোটি ২৫ লাখ টাকা। এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই প্রকৌশলী বলেন, সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের ঝাপটায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি তিনি।
কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের বাস্তবতা ছাড়াই সাগরের ওয়াটার লেভেল দখল করে এই সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নিম্নমানের কাজসহ নানা অনিয়েম রয়েছে কি না, তা তদন্তে কুয়াকাটা পৌর প্রশাসককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইউএনও জানান, কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন— পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী, কলাপাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী, এলজিইডি কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ও কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এই কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন নির্মাণাধীন সড়কটি বিধ্বস্ত হয়েছে। চার কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩৫০ মিটার দীর্ঘ নির্মাণাধীন এই সড়কের ট্যুরিজম পার্ক থেকে পূর্ব দিকের দুই-তৃতীয়াংশ ধসে পড়েছে।
সৈকতসংলগ্ন সড়ক নির্মাণে ঢেউয়ের আঘাত থেকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নেওয়ায় সড়কটি ভেঙে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের কাজসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে জোয়ারের জলোচ্ছ্বাস ও সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রভাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসংলগ্ন নির্মাণাধীন সড়কটি ভেঙে পড়ে।
উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে বৃহস্পতিবার রাতেই কুয়াকাটা পৌর প্রশাসককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ার পর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের সই করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টি ও সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রভাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসংলগ্ন নির্মাণাধীন সড়কটি খুবই দৃষ্টিকটূভাবে ভেঙে পড়েছে। রাস্তাটি ভাঙন পর্যালোচনায় স্বাভাবিক দৃষ্টিতে রাস্তাটির নির্মাণকাজ খুবই নিম্নমানের বলে মনে হয়।
প্রতিদেবনে বলা হয়েছে, রাস্তাটি সমুদ্রের তীরসংলগ্ন হলেও ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস বা অতিরিক্ত জোয়ার কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড় থেকে রাস্তাটিকে সংরক্ষণের জন্য কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু নিম্নমানের লোকাল বালু ও পাতলা সিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে রাস্তাটির কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
লকুয়াকাটা পর্যটন এলাকার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি নির্মাণে কোনো ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি বলে প্রতীয়মান হয়েছে- এমন কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হলেও এ প্রকল্প কমিটি ও তৎকালীন পৌর কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি।
জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নিয়াজুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, এই প্রকল্পে তিনটি প্যাকেজে মোট ১৩৫০ মিটার সড়ক নির্মাণে ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি লটারির মাধ্যমে তিনজন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় চার কোটি ২৫ লাখ টাকা। এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই প্রকৌশলী বলেন, সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের ঝাপটায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি তিনি।
কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের বাস্তবতা ছাড়াই সাগরের ওয়াটার লেভেল দখল করে এই সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নিম্নমানের কাজসহ নানা অনিয়েম রয়েছে কি না, তা তদন্তে কুয়াকাটা পৌর প্রশাসককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইউএনও জানান, কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন— পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী, কলাপাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী, এলজিইডি কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ও কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এই কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় ৬ দিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানের চলাচল বন্ধ রয়েছে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সেন্ট মার্টিনে খাদ্য ও জ্বালানি ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে আবারও নগর ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভে নেমেছেন তার সমর্থকরা।
৭ ঘণ্টা আগেসিলেটের গোলাপগঞ্জের লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ঢাকা দক্ষিণ বখতিয়ারঘাট এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে টিলা ধসে পড়ে এক পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৩১ মে) রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১২ ঘণ্টা আগে