শংকর লাল দাস, পটুয়াখালী
অতি সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীতে পাঁচ দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে শহরের নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সড়ক তো বটেই, ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে রাঙ্গাবালী উপজেলাসহ জেলার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ খালে বাঁধ ও জলকপাট অকেজোসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে কৃষি ক্ষেত। ডুবে গেছে আমনের বীজতলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারাও।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২২৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে আরও বেশি— ২৪৮ মিলিমিটার।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মাহাবুবা খুশী জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এখনো প্রবলভাবে সক্রিয় রয়েছে। এ কারণে ভারী বৃষ্টিপাত আরও দুয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভারী বর্ষণে পটুয়াখালী শহরের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে শহরের নিচু সড়ক ও আশপাশের এলাকাগুলোতে পানি কোথাও কোথাও হাঁটু ছাড়িয়ে গেছে।
এর মধ্যে শহরের নতুন বাজার, সদর রোড, চরপাড়া, জুবিলী স্কুল সড়ক, মহিলা কলেজ, কালেক্টরেট স্কুল, কলেজ রোড, এসডিও রোড, পোস্ট অফিস সড়ক, সবুজবাগ, তিতাস সিনেমা হলসংলগ্ন এলাকা ও পুরানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি নামার গতিও ভীষণ ধীর। জলাবদ্ধতার কারণে শহরের শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবারের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
শহরের পোস্ট অফিস সড়ক এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন কুমার বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি ধীরগতিতে নামার কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। দোকানের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। মালামালের ক্ষতি হচ্ছে।
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। মঙ্গলবার শহরের মনসাবাড়ি এলাকা থেকে তোলা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
টানা বৃষ্টির কারণে শহরের রাস্তাঘাটে যান চলাচলও অনেকটা কমে গেছে। বিশেষ করে রিকশাচালকরা ভাড়া পাচ্ছেন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম। কাজ পাচ্ছেন না দিনমজুররা। ফলে আষাঢ়ের বৃষ্টি তাদের জন্য আরও বাড়তি দুর্ভোগ হয়ে এসেছে।
পটুয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি নিষ্কাশন ও ড্রেন পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। কর্মকর্তারা জানান, টানা ভারী বর্ষণের কারণে পানি দ্রুত নামছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে টানা ভারী বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। আমনের বীজতলাও ডুবে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার রাঙ্গাবালীর নিম্নাঞ্চলের প্রায় পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। আগুনমুখা নদীর পাড়ে ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া, নয়াভাঙ্গনী, সাজিরহাওলা, ফুলখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি। ঘর থেকে বের হতেই হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের।
নয়াভংগুনি গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া জীবন জানান, তাদের এলাকার সরকারি খালগুলো স্থানীয়রা বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছেন। বাঁধের কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। বাঁধগুলো কেটে দেওয়া না হলে ভোগান্তি শেষ হবে না।
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। মঙ্গলবার শহরের জুবিলী স্কুল সড়ক থেকে তোলা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
জাকারিয়া বলেন, বৃষ্টির পানিতে গত দুইদিন ধরে আমনের বীজতলা ডুবে রয়েছে। খালের বাঁধ অপসারণ না করলে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে আমরা আর ওইভাবে ফসল ফলাতে পারব না।
একই এলাকার বাসিন্দারা মো. সেলিম বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমাদের রান্নাঘর তলিয়ে গেছে। রান্না করে খাওয়ার সুযোগ নেই। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি শুধু বাড়ছেই। তার ওপর আমাদের এলাকার নদীর পারের স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে পানি কমছে না কিছুতেই। আমরা এর একটা সমাধান চাই।
এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীর সদর, চালিতাবুনিয়া, মৌডুবি, বড়বাইশদিয়া চরেমোন্তজ ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলেও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ভোগান্তির পাশাপাশি মৌসুমের আমন বীজতলা নিয়েও তারা শঙ্কিত।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির জলাবদ্ধতা কমপক্ষে ৫০০ হেক্টর আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে। অনেক আগে থেকেই বাঁধ এবং খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানির স্বাভাবিক চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়াও এখন জোয়ারের পানির প্রবল চাপ থাকায় পানি নামছে না।
এ পরিস্থিতিতে কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষেত থেকে পানি সরাতে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
অতি ভারী বৃষ্টিপাতে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চলের প্রায় পুরোটাই এখন পানির নিচে। বিশেষ করে ডু্বে গেছে আমনের বীজতলাগুলো। মঙ্গলবার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল থেকে তোলা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
রাঙ্গাবালী উপজেলার পাশাপাশি টানা ভারী বৃষ্টিতে জেলার অন্যান্য উপজেলার নিম্নাঞ্চলও পানিতে ডুবে গেছে। ক্ষেতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জেলার গলাচিপার চরকাজল ও চরবিশ্বাস এলাকার নিম্নাঞ্চলের জলাবদ্ধতার কারণে আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে।
চরকাজলের কৃষক আলম প্যাদা বলেন, এক সপ্তাহ আগে তার বীজতলা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বীজ থেকে অঙ্কুর গজানোর আগেই সেই বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেল।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ক্ষেতের পানি খালের মাধ্যমে নিষ্কাশন হয়ে আসছে। তবে জলকপাটগুলো দখলসহ পানি ওঠানামা না করার ফলে অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় অতিবৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। এ কারণেই আমন বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৯০ হাজার ১১৫ হেক্টর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর জন্য বীজতলা প্রয়োজন ১৩ হাজার ৮০০ হেক্টর। এ পর্যন্ত তিন হাজার ৬৫০ হেক্টর আমন বীজলা হয়েছে।
জানতে চাইলে পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম শামীম বলেন, টানা বৃষ্টিতে বেশির ভাগ বীজতলাই জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত। বেশি দিন পানি জমে থাকলে বীজতলাগুলো ক্ষতির শিকার হবে। তবে পানি সরে যাচ্ছে। আশা করছি, এভাবে পানি নেমে গেলে ক্ষতি আশঙ্কাও কমে যাবে।
অতি সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীতে পাঁচ দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে শহরের নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সড়ক তো বটেই, ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে রাঙ্গাবালী উপজেলাসহ জেলার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ খালে বাঁধ ও জলকপাট অকেজোসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে কৃষি ক্ষেত। ডুবে গেছে আমনের বীজতলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারাও।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২২৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে আরও বেশি— ২৪৮ মিলিমিটার।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মাহাবুবা খুশী জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এখনো প্রবলভাবে সক্রিয় রয়েছে। এ কারণে ভারী বৃষ্টিপাত আরও দুয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভারী বর্ষণে পটুয়াখালী শহরের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে শহরের নিচু সড়ক ও আশপাশের এলাকাগুলোতে পানি কোথাও কোথাও হাঁটু ছাড়িয়ে গেছে।
এর মধ্যে শহরের নতুন বাজার, সদর রোড, চরপাড়া, জুবিলী স্কুল সড়ক, মহিলা কলেজ, কালেক্টরেট স্কুল, কলেজ রোড, এসডিও রোড, পোস্ট অফিস সড়ক, সবুজবাগ, তিতাস সিনেমা হলসংলগ্ন এলাকা ও পুরানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি নামার গতিও ভীষণ ধীর। জলাবদ্ধতার কারণে শহরের শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবারের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
শহরের পোস্ট অফিস সড়ক এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন কুমার বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি ধীরগতিতে নামার কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। দোকানের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। মালামালের ক্ষতি হচ্ছে।
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। মঙ্গলবার শহরের মনসাবাড়ি এলাকা থেকে তোলা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
টানা বৃষ্টির কারণে শহরের রাস্তাঘাটে যান চলাচলও অনেকটা কমে গেছে। বিশেষ করে রিকশাচালকরা ভাড়া পাচ্ছেন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম। কাজ পাচ্ছেন না দিনমজুররা। ফলে আষাঢ়ের বৃষ্টি তাদের জন্য আরও বাড়তি দুর্ভোগ হয়ে এসেছে।
পটুয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি নিষ্কাশন ও ড্রেন পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। কর্মকর্তারা জানান, টানা ভারী বর্ষণের কারণে পানি দ্রুত নামছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে টানা ভারী বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। আমনের বীজতলাও ডুবে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার রাঙ্গাবালীর নিম্নাঞ্চলের প্রায় পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। আগুনমুখা নদীর পাড়ে ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া, নয়াভাঙ্গনী, সাজিরহাওলা, ফুলখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি। ঘর থেকে বের হতেই হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের।
নয়াভংগুনি গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া জীবন জানান, তাদের এলাকার সরকারি খালগুলো স্থানীয়রা বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছেন। বাঁধের কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। বাঁধগুলো কেটে দেওয়া না হলে ভোগান্তি শেষ হবে না।
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। মঙ্গলবার শহরের জুবিলী স্কুল সড়ক থেকে তোলা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
জাকারিয়া বলেন, বৃষ্টির পানিতে গত দুইদিন ধরে আমনের বীজতলা ডুবে রয়েছে। খালের বাঁধ অপসারণ না করলে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে আমরা আর ওইভাবে ফসল ফলাতে পারব না।
একই এলাকার বাসিন্দারা মো. সেলিম বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমাদের রান্নাঘর তলিয়ে গেছে। রান্না করে খাওয়ার সুযোগ নেই। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি শুধু বাড়ছেই। তার ওপর আমাদের এলাকার নদীর পারের স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে পানি কমছে না কিছুতেই। আমরা এর একটা সমাধান চাই।
এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীর সদর, চালিতাবুনিয়া, মৌডুবি, বড়বাইশদিয়া চরেমোন্তজ ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলেও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ভোগান্তির পাশাপাশি মৌসুমের আমন বীজতলা নিয়েও তারা শঙ্কিত।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির জলাবদ্ধতা কমপক্ষে ৫০০ হেক্টর আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে। অনেক আগে থেকেই বাঁধ এবং খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানির স্বাভাবিক চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়াও এখন জোয়ারের পানির প্রবল চাপ থাকায় পানি নামছে না।
এ পরিস্থিতিতে কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষেত থেকে পানি সরাতে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
অতি ভারী বৃষ্টিপাতে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চলের প্রায় পুরোটাই এখন পানির নিচে। বিশেষ করে ডু্বে গেছে আমনের বীজতলাগুলো। মঙ্গলবার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল থেকে তোলা। ছবি: রাজনীতি ডটকম
রাঙ্গাবালী উপজেলার পাশাপাশি টানা ভারী বৃষ্টিতে জেলার অন্যান্য উপজেলার নিম্নাঞ্চলও পানিতে ডুবে গেছে। ক্ষেতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জেলার গলাচিপার চরকাজল ও চরবিশ্বাস এলাকার নিম্নাঞ্চলের জলাবদ্ধতার কারণে আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে।
চরকাজলের কৃষক আলম প্যাদা বলেন, এক সপ্তাহ আগে তার বীজতলা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বীজ থেকে অঙ্কুর গজানোর আগেই সেই বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেল।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ক্ষেতের পানি খালের মাধ্যমে নিষ্কাশন হয়ে আসছে। তবে জলকপাটগুলো দখলসহ পানি ওঠানামা না করার ফলে অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় অতিবৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। এ কারণেই আমন বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৯০ হাজার ১১৫ হেক্টর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর জন্য বীজতলা প্রয়োজন ১৩ হাজার ৮০০ হেক্টর। এ পর্যন্ত তিন হাজার ৬৫০ হেক্টর আমন বীজলা হয়েছে।
জানতে চাইলে পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম শামীম বলেন, টানা বৃষ্টিতে বেশির ভাগ বীজতলাই জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত। বেশি দিন পানি জমে থাকলে বীজতলাগুলো ক্ষতির শিকার হবে। তবে পানি সরে যাচ্ছে। আশা করছি, এভাবে পানি নেমে গেলে ক্ষতি আশঙ্কাও কমে যাবে।
জুলাইয়ের বিপ্লবের পর রাজনৈতিক দলগুলো গণ-অভ্যুত্থান ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১ দিন আগেদুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১ দিন আগেপ্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বোয়ালখালী থানার ওসি গোলাম সারোয়ারকে বদলি করে চন্দনাইশ থানায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চন্দনাইশ থানার ওসি নুরুজ্জামানকে পটিয়া থানায় বদলি করা হয়েছে।
২ দিন আগেপরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রশান্ত কুমার রায় জেলা শহরের বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
২ দিন আগে