প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সীমান্ত হত্যা আমরা কখনোই মেনে নেব না। গত ৫৪ বছরে সীমান্তে হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু চুয়াডাঙ্গাতেই সীমান্ত এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০০ জন।’
বিএসএফকে খুনি বাহিনী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘বিএসএফ কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের পানির ন্যায্যহিস্যা দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে বারবার বাংলাদেশকে অবদমন করা হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১৬ বছর ভারত সরকারের সহায়তায় দেশে গুম, খুন ও দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়েছে।’
এ সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেই গণহত্যা পরিচালনা করেছেন। অথচ সেই শেখ হাসিনাকে ভারতের বর্তমান মোদি সরকার আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একজন মানবতাবিরোধী অপরাধী, একজন গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়ার দায় ভারতকেই নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ইতিহাসের কাছে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। মোদি সরকারকে মনে রাখতে হবে, গণমানুষের রক্তের দায় কখনো ধোয়া যায় না।’
এদিন পথসভায় এনসিপির ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এনসিপি দেশে নতুন ধারা ও নতুন রাজনীতির সূচনা করতে চায়। আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র, যেখানে প্রতিটি মানুষের মর্যাদা, অধিকার ও ন্যায়ের নিশ্চয়তা থাকবে। হাজারো মানুষ আমাদের এই পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন। আমরা সেই ভালোবাসার দায়িত্ব নিতে চাই, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করে।’
নেতারা আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই শহিদ হয়েছেন। গণতন্ত্র, মানবিকতা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং আইনের শাসনের জন্য তাদের রক্ত ঝরেছে। সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে কেবল সরকারের পরিবর্তন নয়, গোটা রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক রূপান্তর ঘটাতে হবে।’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মো. ফারুক এহসান, ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে ‘জুলাই পদযাত্রা’র আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর দুপুর দেড়টায় আলমডাঙ্গা শহরের আলতাইবা মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত পথসভাটি ছিল এই কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রীয় আয়োজন।
পরে বিকেলে দর্শনা ও জীবননগরে আরও দুটি পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সীমান্ত হত্যা আমরা কখনোই মেনে নেব না। গত ৫৪ বছরে সীমান্তে হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু চুয়াডাঙ্গাতেই সীমান্ত এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০০ জন।’
বিএসএফকে খুনি বাহিনী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘বিএসএফ কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের পানির ন্যায্যহিস্যা দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে বারবার বাংলাদেশকে অবদমন করা হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১৬ বছর ভারত সরকারের সহায়তায় দেশে গুম, খুন ও দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়েছে।’
এ সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেই গণহত্যা পরিচালনা করেছেন। অথচ সেই শেখ হাসিনাকে ভারতের বর্তমান মোদি সরকার আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একজন মানবতাবিরোধী অপরাধী, একজন গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়ার দায় ভারতকেই নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ইতিহাসের কাছে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। মোদি সরকারকে মনে রাখতে হবে, গণমানুষের রক্তের দায় কখনো ধোয়া যায় না।’
এদিন পথসভায় এনসিপির ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এনসিপি দেশে নতুন ধারা ও নতুন রাজনীতির সূচনা করতে চায়। আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র, যেখানে প্রতিটি মানুষের মর্যাদা, অধিকার ও ন্যায়ের নিশ্চয়তা থাকবে। হাজারো মানুষ আমাদের এই পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন। আমরা সেই ভালোবাসার দায়িত্ব নিতে চাই, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করে।’
নেতারা আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই শহিদ হয়েছেন। গণতন্ত্র, মানবিকতা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং আইনের শাসনের জন্য তাদের রক্ত ঝরেছে। সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে কেবল সরকারের পরিবর্তন নয়, গোটা রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক রূপান্তর ঘটাতে হবে।’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মো. ফারুক এহসান, ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে ‘জুলাই পদযাত্রা’র আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর দুপুর দেড়টায় আলমডাঙ্গা শহরের আলতাইবা মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত পথসভাটি ছিল এই কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রীয় আয়োজন।
পরে বিকেলে দর্শনা ও জীবননগরে আরও দুটি পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
১৩ ঘণ্টা আগেমত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তর্ক আছে, বিতর্ক আছে। মতের অমিল আছে। আমরা বিশ্বাস করি যে আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে তোমারও কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। ভিন্নমত দমন নয়, তা প্রকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।’
১ দিন আগেতিনি বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১ (ক) ধারার মতো আর কোন রাজনৈতিক দলে ধারা নেই। তাই আমি বললাম এই ধারা পরিবর্তন করা দরকার। এই ধারায় তাকেও (জিএম কাদের) দুই দফায় জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
১ দিন আগেতৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফয়জুল করীম বলেন, ‘৫৩ বছর যারা দেশ শাসন করেছে, তারা দেশকে রক্ষা করতে পারেনি। শুধু নেতা বা দল পরিবর্তন করে দেশে শান্তি আসতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত নীতি ও আদর্শ পরিবর্তন না আসে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে। আসুন, দেশ থেকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্
১ দিন আগে