ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বর্ষা কিংবা শীতকাল, অনেকেই এমন একটা বিরক্তিকর সমস্যার মুখোমুখি হন—নাক দিয়ে অবিরাম পানি পড়া। কখনও সেটা একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে, আবার কখনও হাঁচি, চোখ চুলকানি বা কাশি-সর্দির সঙ্গে একযোগে দেখা দেয়। অনেকেই ভাবেন এটা সাধারণ ঠান্ডা লেগে হচ্ছে, কেউ কেউ আবার অ্যালার্জির দিকে সন্দেহ করেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, নাক দিয়ে পানি পড়া নানা কারণে হতে পারে, এবং এর প্রতিকার জানলে এটি থেকে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া সম্ভব।
আমাদের নাকের ভেতরে রয়েছে এক ধরনের শ্লেষ্মা নিঃসরণকারী ঝিল্লি বা মিউকাস মেমব্রেন, যা সারাক্ষণ বাতাসে থাকা ধুলো, জীবাণু, পরাগরেণু ইত্যাদি আটকানোর কাজ করে। এটি আমাদের শরীরের এক প্রাকৃতিক রক্ষা ব্যবস্থা। যখনই কোনো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অ্যালার্জিক উপাদান নাকের মাধ্যমে ঢুকে পড়ে, তখন এই মিউকাস নিঃসরণ বেড়ে যায়, ফলে নাক দিয়ে তরল বা পানি পড়া শুরু হয়। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় রাইনোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির ওটোল্যারিঞ্জোলজিস্ট (কান-নাক-গলা বিশেষজ্ঞ) ড. রেবেকা কোয়েন এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেন, “নাক দিয়ে পানি পড়া কোনো রোগ নয়, বরং এটি একটি উপসর্গ, যা শরীরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। এর পেছনে ভাইরাস সংক্রমণ, অ্যালার্জি বা পরিবেশগত কারণ—সবই থাকতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “যদি নাক দিয়ে স্বচ্ছ পানি পড়ে এবং সঙ্গে জ্বর না থাকে, তবে তা সাধারণত অ্যালার্জিজনিত।”
অনেক সময় নাক দিয়ে যে পানি পড়ে তা পাতলা ও স্বচ্ছ হয়, আবার কখনও তা ঘন ও হলদে হতে পারে। স্বচ্ছ ও পাতলা পানি সাধারণত অ্যালার্জি বা ঠান্ডার কারণে হয়ে থাকে, আর ঘন বা হলদে শ্লেষ্মা হলে তা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
এছাড়াও, তাপমাত্রা হঠাৎ পরিবর্তিত হলে, বিশেষ করে শীত থেকে হঠাৎ গরমে আসলে, অনেকের নাক দিয়ে পানি পড়ে। এর একটি কারণ হলো নাকের অভ্যন্তরের রক্তনালীগুলো উত্তেজিত হয়ে মিউকাস নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এই অবস্থাকে বলা হয় নন-অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) এক প্রতিবেদনে জানায়, “নাক দিয়ে পানি পড়া অনেক সময় ধুলাবালি, তীব্র গন্ধ, ধোঁয়া কিংবা তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণেও হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা ক্ষতিকর নয়, তবে জীবনের গুণগত মানে প্রভাব ফেলতে পারে।”
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো সাইনাস ইনফেকশন। যখন সাইনাসের ভেতর তরল জমে জীবাণু সংক্রমণ ঘটে, তখন নাক দিয়ে ঘন শ্লেষ্মা বের হয় এবং সঙ্গে মাথাব্যথা বা চোখের নিচে চাপ অনুভূত হতে পারে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া উচিত।
তবে নাক দিয়ে পানি পড়া শুধু শারীরিক সমস্যা নয়, এটি মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের সঙ্গেও জড়িত থাকতে পারে। বিশেষ করে যাদের মধ্যে বাস্তব বা কল্পিত অ্যালার্জি আছে, তাঁদের মধ্যে কোনো উত্তেজক পরিস্থিতিতে নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো—কীভাবে এ থেকে মুক্তি পাবেন?
প্রথমেই নিজের সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। যদি আপনি বুঝতে পারেন এটা ধুলাবালির কারণে, তাহলে সম্ভব হলে সেই পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘর-বাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন যাতে পরাগরেণু বা ধুলো জমতে না পারে। অ্যালার্জি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ নিতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের Mayo Clinic-এর অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ড. গ্রেগরি প্ল্যাট বলেন, “অ্যালার্জিজনিত নাক দিয়ে পানি পড়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যান্টিহিস্টামিন, নাকের স্প্রে এবং স্যালাইন ওয়াশ বেশ কার্যকর। তবে কোনো ওষুধের আগে রোগীকে অবশ্যই নিজের অ্যালার্জির ধরন শনাক্ত করতে হবে।”
সাধারণ ঠান্ডা বা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নাক দিয়ে পানি পড়লে ঘরে বসেই কিছু উপায়ে আরাম পাওয়া যায়। গরম পানির ভাপ নেয়া, আদা-লেবুর গরম পানীয় খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং বিশ্রাম নেয়া এসব উপায় মিউকাস হালকা করে এবং শরীরকে সংক্রমণ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
সাইনাস ইনফেকশন হলে অ্যান্টিবায়োটিক ও নাকের ডিকঞ্জেস্টেন্ট স্প্রে ব্যবহার করতে হতে পারে, তবে অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
শেষ কথা হলো, নাক দিয়ে পানি পড়া কোনো লজ্জার বিষয় নয়, বরং এটি আমাদের শরীরের একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। তবে যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ঘন ঘন হতে থাকে, তাহলে সেটি অবশ্যই অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ, কখনও কখনও নাক দিয়ে পানি পড়া বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে, যেমন ক্র্যানিয়াল ফ্লুইড লিক, যা মস্তিষ্কের তরল নাকের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে—যদিও এটি খুবই বিরল।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে নিজের শরীরের সংকেত বুঝে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আর নাক দিয়ে পানি পড়া সেই সংকেতগুলোর একটি, যাকে গুরুত্ব দিলে সহজেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন—নিরাপদ ও স্বস্তিতে।
বর্ষা কিংবা শীতকাল, অনেকেই এমন একটা বিরক্তিকর সমস্যার মুখোমুখি হন—নাক দিয়ে অবিরাম পানি পড়া। কখনও সেটা একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে, আবার কখনও হাঁচি, চোখ চুলকানি বা কাশি-সর্দির সঙ্গে একযোগে দেখা দেয়। অনেকেই ভাবেন এটা সাধারণ ঠান্ডা লেগে হচ্ছে, কেউ কেউ আবার অ্যালার্জির দিকে সন্দেহ করেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, নাক দিয়ে পানি পড়া নানা কারণে হতে পারে, এবং এর প্রতিকার জানলে এটি থেকে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া সম্ভব।
আমাদের নাকের ভেতরে রয়েছে এক ধরনের শ্লেষ্মা নিঃসরণকারী ঝিল্লি বা মিউকাস মেমব্রেন, যা সারাক্ষণ বাতাসে থাকা ধুলো, জীবাণু, পরাগরেণু ইত্যাদি আটকানোর কাজ করে। এটি আমাদের শরীরের এক প্রাকৃতিক রক্ষা ব্যবস্থা। যখনই কোনো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অ্যালার্জিক উপাদান নাকের মাধ্যমে ঢুকে পড়ে, তখন এই মিউকাস নিঃসরণ বেড়ে যায়, ফলে নাক দিয়ে তরল বা পানি পড়া শুরু হয়। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় রাইনোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির ওটোল্যারিঞ্জোলজিস্ট (কান-নাক-গলা বিশেষজ্ঞ) ড. রেবেকা কোয়েন এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেন, “নাক দিয়ে পানি পড়া কোনো রোগ নয়, বরং এটি একটি উপসর্গ, যা শরীরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। এর পেছনে ভাইরাস সংক্রমণ, অ্যালার্জি বা পরিবেশগত কারণ—সবই থাকতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “যদি নাক দিয়ে স্বচ্ছ পানি পড়ে এবং সঙ্গে জ্বর না থাকে, তবে তা সাধারণত অ্যালার্জিজনিত।”
অনেক সময় নাক দিয়ে যে পানি পড়ে তা পাতলা ও স্বচ্ছ হয়, আবার কখনও তা ঘন ও হলদে হতে পারে। স্বচ্ছ ও পাতলা পানি সাধারণত অ্যালার্জি বা ঠান্ডার কারণে হয়ে থাকে, আর ঘন বা হলদে শ্লেষ্মা হলে তা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
এছাড়াও, তাপমাত্রা হঠাৎ পরিবর্তিত হলে, বিশেষ করে শীত থেকে হঠাৎ গরমে আসলে, অনেকের নাক দিয়ে পানি পড়ে। এর একটি কারণ হলো নাকের অভ্যন্তরের রক্তনালীগুলো উত্তেজিত হয়ে মিউকাস নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এই অবস্থাকে বলা হয় নন-অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) এক প্রতিবেদনে জানায়, “নাক দিয়ে পানি পড়া অনেক সময় ধুলাবালি, তীব্র গন্ধ, ধোঁয়া কিংবা তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণেও হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা ক্ষতিকর নয়, তবে জীবনের গুণগত মানে প্রভাব ফেলতে পারে।”
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো সাইনাস ইনফেকশন। যখন সাইনাসের ভেতর তরল জমে জীবাণু সংক্রমণ ঘটে, তখন নাক দিয়ে ঘন শ্লেষ্মা বের হয় এবং সঙ্গে মাথাব্যথা বা চোখের নিচে চাপ অনুভূত হতে পারে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া উচিত।
তবে নাক দিয়ে পানি পড়া শুধু শারীরিক সমস্যা নয়, এটি মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের সঙ্গেও জড়িত থাকতে পারে। বিশেষ করে যাদের মধ্যে বাস্তব বা কল্পিত অ্যালার্জি আছে, তাঁদের মধ্যে কোনো উত্তেজক পরিস্থিতিতে নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো—কীভাবে এ থেকে মুক্তি পাবেন?
প্রথমেই নিজের সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। যদি আপনি বুঝতে পারেন এটা ধুলাবালির কারণে, তাহলে সম্ভব হলে সেই পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘর-বাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন যাতে পরাগরেণু বা ধুলো জমতে না পারে। অ্যালার্জি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ নিতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের Mayo Clinic-এর অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ড. গ্রেগরি প্ল্যাট বলেন, “অ্যালার্জিজনিত নাক দিয়ে পানি পড়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যান্টিহিস্টামিন, নাকের স্প্রে এবং স্যালাইন ওয়াশ বেশ কার্যকর। তবে কোনো ওষুধের আগে রোগীকে অবশ্যই নিজের অ্যালার্জির ধরন শনাক্ত করতে হবে।”
সাধারণ ঠান্ডা বা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নাক দিয়ে পানি পড়লে ঘরে বসেই কিছু উপায়ে আরাম পাওয়া যায়। গরম পানির ভাপ নেয়া, আদা-লেবুর গরম পানীয় খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং বিশ্রাম নেয়া এসব উপায় মিউকাস হালকা করে এবং শরীরকে সংক্রমণ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
সাইনাস ইনফেকশন হলে অ্যান্টিবায়োটিক ও নাকের ডিকঞ্জেস্টেন্ট স্প্রে ব্যবহার করতে হতে পারে, তবে অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
শেষ কথা হলো, নাক দিয়ে পানি পড়া কোনো লজ্জার বিষয় নয়, বরং এটি আমাদের শরীরের একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। তবে যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ঘন ঘন হতে থাকে, তাহলে সেটি অবশ্যই অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ, কখনও কখনও নাক দিয়ে পানি পড়া বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে, যেমন ক্র্যানিয়াল ফ্লুইড লিক, যা মস্তিষ্কের তরল নাকের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে—যদিও এটি খুবই বিরল।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে নিজের শরীরের সংকেত বুঝে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আর নাক দিয়ে পানি পড়া সেই সংকেতগুলোর একটি, যাকে গুরুত্ব দিলে সহজেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন—নিরাপদ ও স্বস্তিতে।
ঘুম হচ্ছে শরীরের নিজস্ব সার্ভিসিং সময়। এই সময় শরীরের কোষগুলো নিজেকে মেরামত করে, মস্তিষ্ক পরিষ্কার হয়, মন শান্ত হয়।
২ দিন আগেহুয়াওয়ে ক্লাউড কোর নেটওয়ার্ক প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট জর্জ গাও বলেন, কোর নেটওয়ার্কে এআই একীভূতকরণ মোবাইল এআই যুগের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এর পাশাপাশি এআই কোর নেটওয়ার্ক হবে উদ্ভাবনী সেবার জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভিত্তি, যা ‘ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটি অব থিংস’ থেকে ‘ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটি অব
২ দিন আগেকিউবিয়ান বিপ্লব কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং এটি দীর্ঘদিনের সামাজিক অবিচার, বৈষম্য ও বিদেশি নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে একটি সংগঠিত ক্ষোভের ফল।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে অসংখ্য যুদ্ধে জড়িয়েছে। কখনও তারা সরাসরি অন্য কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, আবার কখনও তৃতীয় কোন দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ চালিয়েছে
২ দিন আগে