ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আঙুর এমন একটি ফল, যেটি শুধু দেখতে আকর্ষণীয় নয়, খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে এই ছোট গোলাকৃতি ফলটির স্বাদ কিংবা সৌন্দর্যই এর একমাত্র গুণ নয়। আঙুরে আছে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা, যা আমাদের শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এবং পুষ্টিবিদরাও বারবার আঙুরকে 'সুপারফুড' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের 'হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল'-এর পুষ্টিবিদ ড. রেবেকা ব্লেক বলেন, “আঙুর হচ্ছে এমন এক ফল, যেটি আমাদের শরীরে কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে কাজ করে, হৃদযন্ত্র ভালো রাখে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।” এই ফিচারটিতে আমরা সহজ-সরল ভাষায় জানব আঙুর খেলে আমাদের শরীরের কোন কোন উপকার হতে পারে, বিজ্ঞান কী বলছে এ বিষয়ে, এবং বিদেশি গবেষকদের বক্তব্যে কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে এই ছোট্ট ফলটি।
প্রথমেই বলা যায়, আঙুরে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যার মধ্যে অন্যতম হলো 'রেসভেরাট্রল' নামের একটি উপাদান। এটি মূলত আঙুরের ছাল বা খোসায় বেশি থাকে। এই রেসভেরাট্রল দেহের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, অর্থাৎ এমন একটি অবস্থায় যখন কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। নিউইয়র্কের ‘মাউন্ট সিনাই স্কুল অব মেডিসিন’-এর গবেষক ড. ডেভিড সিনক্লেয়ার বলেন, “রেসভেরাট্রল এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা বার্ধক্য প্রতিরোধে কাজ করতে পারে। এটি কোষের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।”
আঙুর খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে—এ কথা শুধু লোককথা নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। আঙুরে থাকা পটাশিয়াম এবং পলিফেনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের 'অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস'-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত আঙুর খেলে শরীরে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) এর মাত্রা কমে এবং এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল) এর মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ধমনী পরিষ্কার থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পায়।
আঙুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ হতে পারে, যদি তা পরিমিতভাবে খাওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের 'আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন' বলছে, আঙুরে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস রক্তে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’-এর ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ড. টেরি লিওনার্দো বলেন, “আঙুরের মতো ফল ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় সীমিত পরিমাণে রাখা যায়। এটি শুধু রক্তে শর্করার ভারসাম্যই বজায় রাখে না, বরং চোখ, কিডনি এবং হৃৎপিণ্ড রক্ষাতেও সাহায্য করে।”
পাচনতন্ত্রের দিক থেকেও আঙুর অনেক উপকারী। এতে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আঙুর খেলে অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক থাকে এবং গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যাও কমে। ভারতের ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস’-এর গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহুল দেব বলেন, “আঙুরে এমন কিছু প্রাকৃতিক যৌগ আছে, যেগুলো অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোই আমাদের হজমশক্তি উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।”
চর্মের সৌন্দর্য রক্ষাতেও আঙুরের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য, নমনীয়তা এবং বলিরেখা রোধে কাজ করে আঙুরের রস বা নির্যাস। রেসভেরাট্রল নামক উপাদানটি ত্বকের কোষগুলোকে সজীব রাখে এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’-এর চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. হানা কিম বলেন, “আঙুরের নির্যাসকে আমরা অনেক স্কিন কেয়ার পণ্যে ব্যবহার করি, কারণ এটি ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল এবং বলিরেখা মুক্ত রাখে।”
ব্রেইনের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও আঙুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অব সিনসিনাটি’-এর এক গবেষণায় দেখা যায়, বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতিদিন আঙুর খাওয়ালে তাদের স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষমতা আগের তুলনায় উন্নত হয়। গবেষণার প্রধান ড. রবার্ট ক্রান্ডল বলেন, “আঙুরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড নামক যৌগগুলো মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং নিউরনের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি অ্যালঝেইমারসের মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করতে পারে।”
এছাড়াও আঙুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, তামা, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজ। এই উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হাড় শক্তিশালী করতে এবং রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে, যা বয়স্কদের অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনও জরুরি। অতিরিক্ত আঙুর খেলে পেট ফুলে যাওয়া, ডায়রিয়া, কিংবা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। আবার ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত প্রতিদিনের ক্যালোরি ও চিনি গ্রহণ হিসেব করে পরিমাণমতো খাওয়া। যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাঁদের ক্ষেত্রে আঙুরে থাকা ভিটামিন কে ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে—এমন মত পুষ্টিবিদদের।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, আঙুর হচ্ছে এমন একটি ফল, যা শুধু রসনা তৃপ্ত করেই থেমে থাকে না, শরীরের ভেতরের নানা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একদিকে এটি হৃদযন্ত্রকে রাখে সুস্থ, অন্যদিকে ত্বক ও মস্তিষ্ককেও করে সতেজ ও সজীব। তাই ভবিষ্যতে যখন ফল কিনতে যাবেন, তখন ঝুড়িতে একমুঠো আঙুর রাখতেই পারেন। কারণ এই ছোট ছোট দানাগুলোতে লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্য রক্ষার বিশাল সম্ভাবনা—যা শুধু বিজ্ঞান নয়, বিশ্বজোড়া গবেষকরাও বারবার তুলে ধরেছেন।
সুত্র: ল্যানসেট
আঙুর এমন একটি ফল, যেটি শুধু দেখতে আকর্ষণীয় নয়, খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে এই ছোট গোলাকৃতি ফলটির স্বাদ কিংবা সৌন্দর্যই এর একমাত্র গুণ নয়। আঙুরে আছে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা, যা আমাদের শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এবং পুষ্টিবিদরাও বারবার আঙুরকে 'সুপারফুড' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের 'হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল'-এর পুষ্টিবিদ ড. রেবেকা ব্লেক বলেন, “আঙুর হচ্ছে এমন এক ফল, যেটি আমাদের শরীরে কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে কাজ করে, হৃদযন্ত্র ভালো রাখে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।” এই ফিচারটিতে আমরা সহজ-সরল ভাষায় জানব আঙুর খেলে আমাদের শরীরের কোন কোন উপকার হতে পারে, বিজ্ঞান কী বলছে এ বিষয়ে, এবং বিদেশি গবেষকদের বক্তব্যে কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে এই ছোট্ট ফলটি।
প্রথমেই বলা যায়, আঙুরে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যার মধ্যে অন্যতম হলো 'রেসভেরাট্রল' নামের একটি উপাদান। এটি মূলত আঙুরের ছাল বা খোসায় বেশি থাকে। এই রেসভেরাট্রল দেহের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, অর্থাৎ এমন একটি অবস্থায় যখন কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। নিউইয়র্কের ‘মাউন্ট সিনাই স্কুল অব মেডিসিন’-এর গবেষক ড. ডেভিড সিনক্লেয়ার বলেন, “রেসভেরাট্রল এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা বার্ধক্য প্রতিরোধে কাজ করতে পারে। এটি কোষের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।”
আঙুর খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে—এ কথা শুধু লোককথা নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। আঙুরে থাকা পটাশিয়াম এবং পলিফেনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের 'অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস'-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত আঙুর খেলে শরীরে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) এর মাত্রা কমে এবং এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল) এর মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ধমনী পরিষ্কার থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পায়।
আঙুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ হতে পারে, যদি তা পরিমিতভাবে খাওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের 'আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন' বলছে, আঙুরে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস রক্তে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’-এর ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ড. টেরি লিওনার্দো বলেন, “আঙুরের মতো ফল ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় সীমিত পরিমাণে রাখা যায়। এটি শুধু রক্তে শর্করার ভারসাম্যই বজায় রাখে না, বরং চোখ, কিডনি এবং হৃৎপিণ্ড রক্ষাতেও সাহায্য করে।”
পাচনতন্ত্রের দিক থেকেও আঙুর অনেক উপকারী। এতে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আঙুর খেলে অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক থাকে এবং গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যাও কমে। ভারতের ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস’-এর গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহুল দেব বলেন, “আঙুরে এমন কিছু প্রাকৃতিক যৌগ আছে, যেগুলো অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোই আমাদের হজমশক্তি উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।”
চর্মের সৌন্দর্য রক্ষাতেও আঙুরের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য, নমনীয়তা এবং বলিরেখা রোধে কাজ করে আঙুরের রস বা নির্যাস। রেসভেরাট্রল নামক উপাদানটি ত্বকের কোষগুলোকে সজীব রাখে এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’-এর চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. হানা কিম বলেন, “আঙুরের নির্যাসকে আমরা অনেক স্কিন কেয়ার পণ্যে ব্যবহার করি, কারণ এটি ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল এবং বলিরেখা মুক্ত রাখে।”
ব্রেইনের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও আঙুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অব সিনসিনাটি’-এর এক গবেষণায় দেখা যায়, বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতিদিন আঙুর খাওয়ালে তাদের স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষমতা আগের তুলনায় উন্নত হয়। গবেষণার প্রধান ড. রবার্ট ক্রান্ডল বলেন, “আঙুরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড নামক যৌগগুলো মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং নিউরনের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি অ্যালঝেইমারসের মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করতে পারে।”
এছাড়াও আঙুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, তামা, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজ। এই উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হাড় শক্তিশালী করতে এবং রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে, যা বয়স্কদের অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনও জরুরি। অতিরিক্ত আঙুর খেলে পেট ফুলে যাওয়া, ডায়রিয়া, কিংবা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। আবার ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত প্রতিদিনের ক্যালোরি ও চিনি গ্রহণ হিসেব করে পরিমাণমতো খাওয়া। যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাঁদের ক্ষেত্রে আঙুরে থাকা ভিটামিন কে ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে—এমন মত পুষ্টিবিদদের।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, আঙুর হচ্ছে এমন একটি ফল, যা শুধু রসনা তৃপ্ত করেই থেমে থাকে না, শরীরের ভেতরের নানা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একদিকে এটি হৃদযন্ত্রকে রাখে সুস্থ, অন্যদিকে ত্বক ও মস্তিষ্ককেও করে সতেজ ও সজীব। তাই ভবিষ্যতে যখন ফল কিনতে যাবেন, তখন ঝুড়িতে একমুঠো আঙুর রাখতেই পারেন। কারণ এই ছোট ছোট দানাগুলোতে লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্য রক্ষার বিশাল সম্ভাবনা—যা শুধু বিজ্ঞান নয়, বিশ্বজোড়া গবেষকরাও বারবার তুলে ধরেছেন।
সুত্র: ল্যানসেট
এই রহস্যময় পদার্থটির উৎস ও প্রকৃতি নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে, কিন্তু এখনো কোনো চূড়ান্ত উত্তর মেলেনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ কলেজের দুই পদার্থবিজ্ঞানী গুয়ানমিং লিয়াং ও রবার্ট কল্ডওয়েল একটি নতুন ও চমকপ্রদ তত্ত্ব তুলে ধরেছেন।
১ দিন আগেখুশকির মূল কারণ একটাই নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এটি শরীরের ভিতরের অবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। আবার আবহাওয়া, স্ট্রেস, খাদ্যাভ্যাস কিংবা স্ক্যাল্পের পরিচর্যার অভাবও এর জন্য দায়ী।
১ দিন আগেবাবার পাসপোর্ট কপি, কাতারের ডেথ সার্টিফিকেট, নিজের ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে জন্মসনদের আবেদন করলেন আবির। তিন দিনের মধ্যে জন্মসনদ তৈরি হয়ে গেলে, সেই নম্বর দিয়ে বাবার মৃত্যু সনদের আবেদন করা হলো।
১ দিন আগেচুল গজানোর প্রক্রিয়া আসলে শুরু হয় মাথার ত্বক থেকে। যদি স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন ভালো না হয় বা ত্বক ময়লা ও মৃত কোষে ভর্তি থাকে, তাহলে নতুন চুল জন্মানো কঠিন হয়ে যায়। তাই প্রথমেই দরকার নিয়মিত মাথা পরিষ্কার রাখা।
১ দিন আগে