
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

প্রস্রাব করার সময় হঠাৎ যদি মনে হয় নিচে আগুন লেগে গেছে—চুলকায়, জ্বালায়, এমনকি ব্যথা করে—তবে সেটা খুবই অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। অনেকেই এই সমস্যায় পড়ে থাকেন, কিন্তু সংকোচের কারণে চিকিৎসকের কাছে যান না। অথচ এই উপসর্গটি হতে পারে শরীরের ভেতরে বড় কোনো সমস্যার সংকেত।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় Dysuria, এটি মূলত প্রস্রাব করার সময় বা পরে হালকা থেকে তীব্র জ্বালাভাব বা ব্যথার অনুভূতি। পুরুষ-নারী উভয়েরই এই সমস্যা হতে পারে, তবে নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
কারণ কী?
প্রধান কারণ হলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই (UTI)। এটি ঘটে যখন মূত্রনালিতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে এবং সংক্রমণ ঘটায়। নারীদের মূত্রনালি ছোট হওয়ায় তাদের ইউটিআই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস (NIDDK)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দুই নারীর একজন জীবনে অন্তত একবার ইউটিআইয়ের শিকার হন।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের পারিবারিক চিকিৎসক ড. লিসা হেন বলেন, "যখন মূত্রনালির সংক্রমণ হয়, তখন প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা হয়। এটা এমন এক অনুভূতি, যেন কাটা ঘায়ে লবণ পড়েছে।"
আরও কিছু কারণ
কারা ঝুঁকিতে?
কীভাবে বুঝবেন এটা ইউটিআই?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি প্রস্রাবে জ্বালা হয়, সঙ্গে বারবার প্রস্রাবের চাপ, প্রস্রাব ঘন ঘন হয় কিন্তু অল্প অল্প আসে, অথবা প্রস্রাবে দুর্গন্ধ থাকে, তাহলে সেটা ইউটিআই হতে পারে।
কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির ইনফেকশাস ডিজিজ বিশেষজ্ঞ ড. কারেন ক্রস বলেন, "প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে জ্বালাভাবকে হালকাভাবে না দেখে যথাসময়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে সংক্রমণ কিডনি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।"
প্রতিকার কী?
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
যদি জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, পিঠে ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, বা বমিভাব হয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ এগুলো কিডনি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. স্যাম পিটারস বলেন, "প্রস্রাবে জ্বালা কোনো ছোটখাটো সমস্যা নয়। এটা অনেক সময় বড় রোগের উপসর্গ হতে পারে। উপেক্ষা করলে দীর্ঘমেয়াদে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।"
আর অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটির নারীস্বাস্থ্য গবেষক ড. এমিলি ওয়াটস বলেন, "নারীদের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট খুবই সংবেদনশীল। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও জলপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।"
ঘরোয়া প্রতিকার—কিছুটা সাবধানতা
কাঁচা রসুন অনেক সময় ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। তবে এটা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া করা ঠিক নয়।
নারকেল পানি বা বার্লি ওয়াটার (যবের পানি) ইউরিনারি ইনফেকশনে উপকার দেয় বলেও অনেকে বিশ্বাস করেন।
প্রস্রাবের সময় ব্যথা হলে গরম পানির ব্যাগ ব্যবহার করলে সাময়িক আরাম মিলতে পারে।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া যতটা সাধারণ মনে হয়, ততটাই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। সময়মতো চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করলেই এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আর ভুলে গেলে চলবে না—নিজের শরীরের যেকোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন হালকাভাবে নিলে তা ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সূত্র: আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস

প্রস্রাব করার সময় হঠাৎ যদি মনে হয় নিচে আগুন লেগে গেছে—চুলকায়, জ্বালায়, এমনকি ব্যথা করে—তবে সেটা খুবই অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। অনেকেই এই সমস্যায় পড়ে থাকেন, কিন্তু সংকোচের কারণে চিকিৎসকের কাছে যান না। অথচ এই উপসর্গটি হতে পারে শরীরের ভেতরে বড় কোনো সমস্যার সংকেত।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় Dysuria, এটি মূলত প্রস্রাব করার সময় বা পরে হালকা থেকে তীব্র জ্বালাভাব বা ব্যথার অনুভূতি। পুরুষ-নারী উভয়েরই এই সমস্যা হতে পারে, তবে নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
কারণ কী?
প্রধান কারণ হলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই (UTI)। এটি ঘটে যখন মূত্রনালিতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে এবং সংক্রমণ ঘটায়। নারীদের মূত্রনালি ছোট হওয়ায় তাদের ইউটিআই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস (NIDDK)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দুই নারীর একজন জীবনে অন্তত একবার ইউটিআইয়ের শিকার হন।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের পারিবারিক চিকিৎসক ড. লিসা হেন বলেন, "যখন মূত্রনালির সংক্রমণ হয়, তখন প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা হয়। এটা এমন এক অনুভূতি, যেন কাটা ঘায়ে লবণ পড়েছে।"
আরও কিছু কারণ
কারা ঝুঁকিতে?
কীভাবে বুঝবেন এটা ইউটিআই?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি প্রস্রাবে জ্বালা হয়, সঙ্গে বারবার প্রস্রাবের চাপ, প্রস্রাব ঘন ঘন হয় কিন্তু অল্প অল্প আসে, অথবা প্রস্রাবে দুর্গন্ধ থাকে, তাহলে সেটা ইউটিআই হতে পারে।
কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির ইনফেকশাস ডিজিজ বিশেষজ্ঞ ড. কারেন ক্রস বলেন, "প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে জ্বালাভাবকে হালকাভাবে না দেখে যথাসময়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে সংক্রমণ কিডনি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।"
প্রতিকার কী?
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
যদি জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, পিঠে ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, বা বমিভাব হয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ এগুলো কিডনি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. স্যাম পিটারস বলেন, "প্রস্রাবে জ্বালা কোনো ছোটখাটো সমস্যা নয়। এটা অনেক সময় বড় রোগের উপসর্গ হতে পারে। উপেক্ষা করলে দীর্ঘমেয়াদে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।"
আর অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটির নারীস্বাস্থ্য গবেষক ড. এমিলি ওয়াটস বলেন, "নারীদের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট খুবই সংবেদনশীল। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও জলপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।"
ঘরোয়া প্রতিকার—কিছুটা সাবধানতা
কাঁচা রসুন অনেক সময় ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। তবে এটা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া করা ঠিক নয়।
নারকেল পানি বা বার্লি ওয়াটার (যবের পানি) ইউরিনারি ইনফেকশনে উপকার দেয় বলেও অনেকে বিশ্বাস করেন।
প্রস্রাবের সময় ব্যথা হলে গরম পানির ব্যাগ ব্যবহার করলে সাময়িক আরাম মিলতে পারে।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া যতটা সাধারণ মনে হয়, ততটাই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। সময়মতো চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করলেই এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আর ভুলে গেলে চলবে না—নিজের শরীরের যেকোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন হালকাভাবে নিলে তা ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সূত্র: আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস

আবহাওয়াবিদদের ভাষায় নিম্নচাপ হলো একটি এমন আবহাওয়াগত পরিস্থিতি যেখানে বাতাসের চাপ চারপাশের তুলনায় কম হয়ে যায়। সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বাতাস সবসময় উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
১ দিন আগে
ইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
২ দিন আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকেই অভ্যাস বশে এক গ্লাস লেবু পানি খান। বিজ্ঞাপন আর স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিনে এমন ধারণা ছড়িয়ে গেছে যে খালি পেটে লেবু খেলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়, ওজন কমে, আবার হজমশক্তিও নাকি বাড়ে। কিন্তু আসলেই কি খালি পেটে লেবু খাওয়া এতটা উপকারী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, লেবুর কিছু ভালো দিক
২ দিন আগে