ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ফ্লাইটরাডার২৪ (Flightradar24) অ্যাপ আজকের পৃথিবীতে আকাশপথের চলাচলকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। একসময় আকাশে কোন বিমান কোথায় আছে, কোথায় যাচ্ছে, কত গতিতে উড়ছে—এসব তথ্য সাধারণ মানুষের জন্য জানাটা প্রায় অসম্ভব ছিল। শুধু বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোই এ ধরনের তথ্য রাখত। কিন্তু ইন্টারনেট ও আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এখন পৃথিবীর প্রায় যেকোনো মানুষ নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দায় বসেই আকাশপথের চিত্র দেখতে পাচ্ছেন। আর এই অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেওয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্লাইটরাডার২৪ অ্যাপ।
এই অ্যাপ মূলত একটি ‘লাইভ ফ্লাইট ট্র্যাকিং’ প্ল্যাটফর্ম। পৃথিবীর হাজার হাজার বিমান যখন আকাশে উড়ছে, তখন এই অ্যাপ সেই সব বিমানের রিয়েল-টাইম অবস্থান, গন্তব্য, উচ্চতা, গতি এবং এমনকি কোন ধরনের বিমান সেটি—সব তথ্য সরাসরি দেখায়। অ্যাপটি কাজ করে একটি বৈশ্বিক এডিএস-বি (ADS-B) প্রযুক্তির মাধ্যমে, যেখানে বিমানের ট্রান্সপন্ডার সিগন্যাল ভূমিতে স্থাপিত রিসিভারগুলোর কাছে পৌঁছায় এবং সেগুলো ডাটাবেসে যুক্ত হয়ে অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হয়।
ফ্লাইটরাডার২৪-এর সূচনা হয়েছিল ২০০৬ সালে সুইডেনের দুই ভাই মিকায়েল রবার্টসন ও এরিক রবার্টসনের উদ্যোগে। প্রথমে এটি ছিল ছোট পরিসরের একটি প্রকল্প, যেখানে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার কিছু বিমান পর্যবেক্ষণ করা যেত। কিন্তু পরে সারা বিশ্বে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক রিসিভার স্থাপন করেন এবং এটি হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান ট্র্যাকিং নেটওয়ার্কগুলোর একটি। এখন প্রতি মুহূর্তে কোটি কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করছেন—হোক তা বিমানপ্রেমী, সাংবাদিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক বা সাধারণ ভ্রমণপিপাসু।
এই অ্যাপের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী সহজেই জানতে পারেন, তাঁর মাথার ওপর দিয়ে যে বিমানটি যাচ্ছে সেটি কোথা থেকে এসেছে, কোথায় যাবে, কত সময় লাগবে, এমনকি এর উড্ডয়নের ইতিহাসও দেখা যায়। অনেক ভ্রমণপ্রেমী এই অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্লাইট শিডিউল আগে থেকেই দেখে নেন, যাতে বিমানবন্দরে অপ্রয়োজনীয় অপেক্ষা এড়ানো যায়। আবার সাংবাদিকরা বিভিন্ন খবর সংগ্রহের সময় এটিকে কাজে লাগান—যেমন কোনো বিশেষ ঘটনার সময় কোন কোন ফ্লাইট কাছাকাছি ছিল বা কোনো অস্বাভাবিক রুট নেওয়া বিমানকে শনাক্ত করা।
গবেষকদের কাছে এই অ্যাপ তথ্য সংগ্রহের এক চমৎকার উৎস হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ মার্ক ডানিং এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এ ধরনের অ্যাপ শুধু সাধারণ ব্যবহারকারীদের কৌতূহল মেটায় না, বরং বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষণ ও গবেষণার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখে।” তিনি আরও বলেন, “বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা বা নিরাপত্তা হুমকির ক্ষেত্রে ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য তদন্তে সহায়তা করেছে।”
এছাড়া, বিমান চলাচলের ইতিহাস অধ্যয়নেও অ্যাপটি কার্যকর। ব্রিটিশ এভিয়েশন ইতিহাসবিদ জন হিলসন বলেন, “আজ থেকে কয়েক দশক পর গবেষকরা যদি এই সময়ের বিমান চলাচলের ধরণ বিশ্লেষণ করতে চান, তবে ফ্লাইটরাডার২৪-এর আর্কাইভ ডেটা হবে এক অমূল্য ভান্ডার।” তাঁর মতে, এই ধরনের ডেটা শুধু প্রযুক্তিগত তথ্য দেয় না, বরং বৈশ্বিক যোগাযোগের গতিবিধি, বাণিজ্য, পর্যটন ও ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বোঝাতেও সাহায্য করে।
যারা আকাশপথের চলাচল নিয়ে গভীরভাবে আগ্রহী, তাদের কাছে এই অ্যাপ কিছুটা ‘উইন্ডো টু দ্য স্কাই’ বা আকাশের জানালার মতো। আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে কোনো নির্দিষ্ট ফ্লাইটের ওপর ক্লিক করলেই তার রুট ম্যাপ, উড্ডয়নের সময়, গতি, উচ্চতা, এমনকি কোন এয়ারলাইন পরিচালনা করছে—সব তথ্য পাওয়া যায়। ব্যবহারকারী চাইলে 3D ভিউতেও দেখতে পারেন বিমানটির বর্তমান অবস্থা, যেন নিজেই পাইলটের ককপিটে বসে আছেন।
তবে শুধু বিনোদন বা তথ্য জানার বাইরে, ফ্লাইটরাডার২৪ বাস্তব জীবনে জরুরি পরিস্থিতিতেও ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় কোনো অঞ্চলে বিমান চলাচলের পরিবর্তন কেমন হচ্ছে, তা সরাসরি দেখা যায়। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের আকাশপথে বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়—এটি মানুষ প্রথমে ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করে এই অ্যাপের মাধ্যমেই। একইভাবে, বড় কোনো ঝড় বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় এশিয়া বা ইউরোপের আকাশপথে কতগুলো ফ্লাইট বাতিল বা রুট পরিবর্তন করছে, তাও ব্যবহারকারীরা দেখতে পান।
নিরাপত্তা গবেষকরা উল্লেখ করেন, এই ধরনের স্বচ্ছ তথ্য অনেক সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ লিসা হ্যারিস বলেন, “সাধারণ ব্যবহারকারীরা হয়তো এটি শুধু বিনোদনের জন্য ব্যবহার করেন, কিন্তু আমাদের মতো নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কাছে এটি সতর্কবার্তা পাঠানোর একটি মাধ্যম। কোনো অস্বাভাবিক রুট বা অজানা বিমানের উপস্থিতি দ্রুত শনাক্ত করা যায়।”
তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। যেমন, সামরিক বিমান বা কিছু বিশেষ নিরাপত্তা ফ্লাইটের তথ্য সাধারণত এখানে প্রদর্শিত হয় না। এছাড়া, কিছু দেশের আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধরনের ফ্লাইট ট্র্যাকিং সীমিত বা গোপন রাখা হয়। তবুও বেসামরিক আকাশপথ পর্যবেক্ষণে ফ্লাইটরাডার২৪ এখনো সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
সবশেষে বলা যায়, ফ্লাইটরাডার২৪ শুধু একটি অ্যাপ নয়, এটি আধুনিক প্রযুক্তির এমন এক উদাহরণ যা আকাশপথের রহস্যকে সাধারণ মানুষের হাতে এনে দিয়েছে। গবেষক, সাংবাদিক, ভ্রমণকারী—সবার কাছেই এটি একটি মূল্যবান হাতিয়ার। যেমন সুইডিশ গবেষক আন্দ্রেয়াস লিন্ডগ্রেন বলেছেন, “ফ্লাইটরাডার২৪ আমাদের আকাশের গল্প শোনায়—যেখানে প্রতিটি বিন্দু একটি যাত্রা, প্রতিটি রেখা একটি সংযোগ, আর প্রতিটি ফ্লাইট একটি সম্ভাবনার প্রতীক।”
আপনি চাইলে এখনই নিজের স্মার্টফোনে ফ্লাইটরাডার২৪ ইনস্টল করে দেখতে পারেন, আপনার মাথার ওপর দিয়ে ঠিক কোন বিমানটি যাচ্ছে। হয়তো এটি আপনার কল্পনাকে আকাশের আরও অনেক দূরে নিয়ে যাবে।
ফ্লাইটরাডার২৪ (Flightradar24) অ্যাপ আজকের পৃথিবীতে আকাশপথের চলাচলকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। একসময় আকাশে কোন বিমান কোথায় আছে, কোথায় যাচ্ছে, কত গতিতে উড়ছে—এসব তথ্য সাধারণ মানুষের জন্য জানাটা প্রায় অসম্ভব ছিল। শুধু বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোই এ ধরনের তথ্য রাখত। কিন্তু ইন্টারনেট ও আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এখন পৃথিবীর প্রায় যেকোনো মানুষ নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দায় বসেই আকাশপথের চিত্র দেখতে পাচ্ছেন। আর এই অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেওয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্লাইটরাডার২৪ অ্যাপ।
এই অ্যাপ মূলত একটি ‘লাইভ ফ্লাইট ট্র্যাকিং’ প্ল্যাটফর্ম। পৃথিবীর হাজার হাজার বিমান যখন আকাশে উড়ছে, তখন এই অ্যাপ সেই সব বিমানের রিয়েল-টাইম অবস্থান, গন্তব্য, উচ্চতা, গতি এবং এমনকি কোন ধরনের বিমান সেটি—সব তথ্য সরাসরি দেখায়। অ্যাপটি কাজ করে একটি বৈশ্বিক এডিএস-বি (ADS-B) প্রযুক্তির মাধ্যমে, যেখানে বিমানের ট্রান্সপন্ডার সিগন্যাল ভূমিতে স্থাপিত রিসিভারগুলোর কাছে পৌঁছায় এবং সেগুলো ডাটাবেসে যুক্ত হয়ে অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হয়।
ফ্লাইটরাডার২৪-এর সূচনা হয়েছিল ২০০৬ সালে সুইডেনের দুই ভাই মিকায়েল রবার্টসন ও এরিক রবার্টসনের উদ্যোগে। প্রথমে এটি ছিল ছোট পরিসরের একটি প্রকল্প, যেখানে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার কিছু বিমান পর্যবেক্ষণ করা যেত। কিন্তু পরে সারা বিশ্বে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক রিসিভার স্থাপন করেন এবং এটি হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান ট্র্যাকিং নেটওয়ার্কগুলোর একটি। এখন প্রতি মুহূর্তে কোটি কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করছেন—হোক তা বিমানপ্রেমী, সাংবাদিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক বা সাধারণ ভ্রমণপিপাসু।
এই অ্যাপের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী সহজেই জানতে পারেন, তাঁর মাথার ওপর দিয়ে যে বিমানটি যাচ্ছে সেটি কোথা থেকে এসেছে, কোথায় যাবে, কত সময় লাগবে, এমনকি এর উড্ডয়নের ইতিহাসও দেখা যায়। অনেক ভ্রমণপ্রেমী এই অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্লাইট শিডিউল আগে থেকেই দেখে নেন, যাতে বিমানবন্দরে অপ্রয়োজনীয় অপেক্ষা এড়ানো যায়। আবার সাংবাদিকরা বিভিন্ন খবর সংগ্রহের সময় এটিকে কাজে লাগান—যেমন কোনো বিশেষ ঘটনার সময় কোন কোন ফ্লাইট কাছাকাছি ছিল বা কোনো অস্বাভাবিক রুট নেওয়া বিমানকে শনাক্ত করা।
গবেষকদের কাছে এই অ্যাপ তথ্য সংগ্রহের এক চমৎকার উৎস হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ মার্ক ডানিং এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এ ধরনের অ্যাপ শুধু সাধারণ ব্যবহারকারীদের কৌতূহল মেটায় না, বরং বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষণ ও গবেষণার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখে।” তিনি আরও বলেন, “বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা বা নিরাপত্তা হুমকির ক্ষেত্রে ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য তদন্তে সহায়তা করেছে।”
এছাড়া, বিমান চলাচলের ইতিহাস অধ্যয়নেও অ্যাপটি কার্যকর। ব্রিটিশ এভিয়েশন ইতিহাসবিদ জন হিলসন বলেন, “আজ থেকে কয়েক দশক পর গবেষকরা যদি এই সময়ের বিমান চলাচলের ধরণ বিশ্লেষণ করতে চান, তবে ফ্লাইটরাডার২৪-এর আর্কাইভ ডেটা হবে এক অমূল্য ভান্ডার।” তাঁর মতে, এই ধরনের ডেটা শুধু প্রযুক্তিগত তথ্য দেয় না, বরং বৈশ্বিক যোগাযোগের গতিবিধি, বাণিজ্য, পর্যটন ও ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বোঝাতেও সাহায্য করে।
যারা আকাশপথের চলাচল নিয়ে গভীরভাবে আগ্রহী, তাদের কাছে এই অ্যাপ কিছুটা ‘উইন্ডো টু দ্য স্কাই’ বা আকাশের জানালার মতো। আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে কোনো নির্দিষ্ট ফ্লাইটের ওপর ক্লিক করলেই তার রুট ম্যাপ, উড্ডয়নের সময়, গতি, উচ্চতা, এমনকি কোন এয়ারলাইন পরিচালনা করছে—সব তথ্য পাওয়া যায়। ব্যবহারকারী চাইলে 3D ভিউতেও দেখতে পারেন বিমানটির বর্তমান অবস্থা, যেন নিজেই পাইলটের ককপিটে বসে আছেন।
তবে শুধু বিনোদন বা তথ্য জানার বাইরে, ফ্লাইটরাডার২৪ বাস্তব জীবনে জরুরি পরিস্থিতিতেও ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় কোনো অঞ্চলে বিমান চলাচলের পরিবর্তন কেমন হচ্ছে, তা সরাসরি দেখা যায়। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের আকাশপথে বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়—এটি মানুষ প্রথমে ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করে এই অ্যাপের মাধ্যমেই। একইভাবে, বড় কোনো ঝড় বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় এশিয়া বা ইউরোপের আকাশপথে কতগুলো ফ্লাইট বাতিল বা রুট পরিবর্তন করছে, তাও ব্যবহারকারীরা দেখতে পান।
নিরাপত্তা গবেষকরা উল্লেখ করেন, এই ধরনের স্বচ্ছ তথ্য অনেক সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ লিসা হ্যারিস বলেন, “সাধারণ ব্যবহারকারীরা হয়তো এটি শুধু বিনোদনের জন্য ব্যবহার করেন, কিন্তু আমাদের মতো নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কাছে এটি সতর্কবার্তা পাঠানোর একটি মাধ্যম। কোনো অস্বাভাবিক রুট বা অজানা বিমানের উপস্থিতি দ্রুত শনাক্ত করা যায়।”
তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। যেমন, সামরিক বিমান বা কিছু বিশেষ নিরাপত্তা ফ্লাইটের তথ্য সাধারণত এখানে প্রদর্শিত হয় না। এছাড়া, কিছু দেশের আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধরনের ফ্লাইট ট্র্যাকিং সীমিত বা গোপন রাখা হয়। তবুও বেসামরিক আকাশপথ পর্যবেক্ষণে ফ্লাইটরাডার২৪ এখনো সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
সবশেষে বলা যায়, ফ্লাইটরাডার২৪ শুধু একটি অ্যাপ নয়, এটি আধুনিক প্রযুক্তির এমন এক উদাহরণ যা আকাশপথের রহস্যকে সাধারণ মানুষের হাতে এনে দিয়েছে। গবেষক, সাংবাদিক, ভ্রমণকারী—সবার কাছেই এটি একটি মূল্যবান হাতিয়ার। যেমন সুইডিশ গবেষক আন্দ্রেয়াস লিন্ডগ্রেন বলেছেন, “ফ্লাইটরাডার২৪ আমাদের আকাশের গল্প শোনায়—যেখানে প্রতিটি বিন্দু একটি যাত্রা, প্রতিটি রেখা একটি সংযোগ, আর প্রতিটি ফ্লাইট একটি সম্ভাবনার প্রতীক।”
আপনি চাইলে এখনই নিজের স্মার্টফোনে ফ্লাইটরাডার২৪ ইনস্টল করে দেখতে পারেন, আপনার মাথার ওপর দিয়ে ঠিক কোন বিমানটি যাচ্ছে। হয়তো এটি আপনার কল্পনাকে আকাশের আরও অনেক দূরে নিয়ে যাবে।
তবে সেই ব্যক্তির নাম বা কোন পরিচয় প্রকাশ করেননি জয়া। শুধু এটুকু জানিয়েছেন যে, তার সেই বিশেষ মানুষ শোবিজ অঙ্গনের নন। এমনকি তারা দু’জন বহু বছর ধরে একসঙ্গে আছেন বলেও জানান এ অভিনেত্রী।
৯ ঘণ্টা আগেগবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর প্রায় ৫০ শতাংশ প্রজননক্ষম নারী কোনো না কোনো মাত্রায় পিরিয়ডের ব্যথায় ভোগেন। তবে এই ব্যথা কমানোর কিছু উপায় রয়েছে, যা চিকিৎসা, জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্ভব।
১ দিন আগেকলিঙ্গ ছিল প্রাচীন ভারতের পূর্ব উপকূলবর্তী একটি সমৃদ্ধ, স্বাধীন রাজ্য—বর্তমান ওড়িশা ও দক্ষিণ-পূর্ব আন্দ্রপ্রদেশে। এর মানুষের সাংস্কৃতিক রুচি, সামুদ্রিক বাণিজ্য, শক্তিশালী নৌদল—সকল কিছুই ছিল আত্মনির্ভর, যা মুর্য সিংহাসনে নতুন দ্বারপ্রান্তে বসা অশোককে উদ্বিগ্ন করেছিল।
১ দিন আগে