ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
সমুদ্রের ধারে হাঁটতে গেলে অনেক সময় দেখি পানির ওপর ঘন সাদা ফেনা ভেসে আছে। অনেক সময় মনে হয়, যেন দুধের মতো সাদা কিছু একটা ছড়িয়ে আছে পানিতে। তখন মনে প্রশ্ন জাগে, এই ফেনা কোথা থেকে আসে? এটা কি কোনো ক্ষতির কারণ?
ফেনা কীভাবে তৈরি হয়?
সমুদ্রের পানিতে থাকে অনেক ধরনের উপাদান—লবণ, প্রোটিন, চর্বি, শৈবাল, ময়লা, এমনকি ডিটারজেন্টও। যখন ঢেউ সমুদ্রের পানিকে জোরে ধাক্কা দেয়, তখন পানির ভেতর বাতাস ঢুকে যায়। এর ফলে পানির ভেতরে ছোট ছোট বুদ্বুদ তৈরি হয়।
এই বুদ্বুদগুলো একসাথে মিশে বড় ফেনায় পরিণত হয়। ঠিক যেভাবে আমরা সাবান দিয়ে হাত ধুলে ফেনা তৈরি করি, সমুদ্রেও কিছুটা সে রকম হয়।
নদীতেও মাঝেমধ্যে ফেনা দেখা যায়, তবে সমুদ্রের পানির ঢেউ অনেক বেশি জোরালো হওয়ায় সেখানে ফেনা বেশি হয়।
ফেনার রঙ আর ধরন কেন ভিন্ন হয়?
সব জায়গার সমুদ্রের ফেনা এক রকম নয়। কোথাও সাদা, কোথাও একটু ধূসর। কেন? কারণ প্রতিটি জায়গার সমুদ্রের পানিতে মিশে থাকা জিনিসপত্র আলাদা হয়। কিছু জায়গায় শৈবাল বেশি, কোথাও দূষণ বেশি। আবার কোথাও পানিতে প্রাকৃতিক জৈব পদার্থ বেশি থাকে। এইসব মিলিয়ে ফেনার রঙ ও ঘনত্ব ভিন্ন ভিন্ন হয়।
শৈবাল আর বড় বড় ফেনার সম্পর্ক কী?
বিশেষ করে শৈবাল যখন পচে যায়, তখন পানিতে অনেক জৈব পদার্থ মিশে যায়। এই জৈব পদার্থগুলো ঢেউয়ের ধাক্কায় ফেনা তৈরিতে সাহায্য করে। তাই কোনো কোনো সময় সমুদ্রের ধারে বিশাল ফেনার স্তূপ দেখা যায়।
এই ফেনা কি বিপদ ডেকে আনে?
ভয়ের কিছু নেই। বেশিরভাগ সময় সমুদ্রের ফেনা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। বরং এটি প্রমাণ করে যে, সমুদ্রের মধ্যে জীববৈচিত্র্য আছে, প্রাণ আছে।
তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ফেনা ক্ষতিকারক হতে পারে। যদি ফেনা তৈরি হয় কোনো বিষাক্ত শৈবাল থেকে, তখন সমস্যা হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—‘কারেনা ব্রেভিস’ নামে এক ধরনের শৈবাল আছে, যা যখন পচে, তখন বিষাক্ত গ্যাস ছাড়ে। যখন এই ধরনের ফেনার বুদ্বুদ ফেটে যায়, তখন সেই গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মানুষের চোখ জ্বালা করতে পারে, অথবা শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।
শুধু মানুষের নয়, পাখিরাও এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ২০০৭ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং ২০০৯ সালে প্যাসিফিক নর্থওয়েস্টে দেখা গেছে, বিষাক্ত ফেনার কারণে পাখিদের পালক ভিজে যায়। পালকের জলরোধী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে পাখিরা ঠান্ডায় মারা যায়।
তাহলে কী করণীয়?
যদি কোনো উপকূলে গিয়ে দেখো, অস্বাভাবিক রকমের ফেনা জমে আছে বা ফেনার গন্ধ খুব বাজে লাগছে, তাহলে একটু সাবধান হও। সরাসরি সেই ফেনার মধ্যে হাঁটা বা খেলা না করাই ভালো। আর যদি চোখে বা গায়ে সমস্যা অনুভব করো, তবে দ্রুত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সূত্র: হাউ ইটস ওয়ার্কস
সমুদ্রের ধারে হাঁটতে গেলে অনেক সময় দেখি পানির ওপর ঘন সাদা ফেনা ভেসে আছে। অনেক সময় মনে হয়, যেন দুধের মতো সাদা কিছু একটা ছড়িয়ে আছে পানিতে। তখন মনে প্রশ্ন জাগে, এই ফেনা কোথা থেকে আসে? এটা কি কোনো ক্ষতির কারণ?
ফেনা কীভাবে তৈরি হয়?
সমুদ্রের পানিতে থাকে অনেক ধরনের উপাদান—লবণ, প্রোটিন, চর্বি, শৈবাল, ময়লা, এমনকি ডিটারজেন্টও। যখন ঢেউ সমুদ্রের পানিকে জোরে ধাক্কা দেয়, তখন পানির ভেতর বাতাস ঢুকে যায়। এর ফলে পানির ভেতরে ছোট ছোট বুদ্বুদ তৈরি হয়।
এই বুদ্বুদগুলো একসাথে মিশে বড় ফেনায় পরিণত হয়। ঠিক যেভাবে আমরা সাবান দিয়ে হাত ধুলে ফেনা তৈরি করি, সমুদ্রেও কিছুটা সে রকম হয়।
নদীতেও মাঝেমধ্যে ফেনা দেখা যায়, তবে সমুদ্রের পানির ঢেউ অনেক বেশি জোরালো হওয়ায় সেখানে ফেনা বেশি হয়।
ফেনার রঙ আর ধরন কেন ভিন্ন হয়?
সব জায়গার সমুদ্রের ফেনা এক রকম নয়। কোথাও সাদা, কোথাও একটু ধূসর। কেন? কারণ প্রতিটি জায়গার সমুদ্রের পানিতে মিশে থাকা জিনিসপত্র আলাদা হয়। কিছু জায়গায় শৈবাল বেশি, কোথাও দূষণ বেশি। আবার কোথাও পানিতে প্রাকৃতিক জৈব পদার্থ বেশি থাকে। এইসব মিলিয়ে ফেনার রঙ ও ঘনত্ব ভিন্ন ভিন্ন হয়।
শৈবাল আর বড় বড় ফেনার সম্পর্ক কী?
বিশেষ করে শৈবাল যখন পচে যায়, তখন পানিতে অনেক জৈব পদার্থ মিশে যায়। এই জৈব পদার্থগুলো ঢেউয়ের ধাক্কায় ফেনা তৈরিতে সাহায্য করে। তাই কোনো কোনো সময় সমুদ্রের ধারে বিশাল ফেনার স্তূপ দেখা যায়।
এই ফেনা কি বিপদ ডেকে আনে?
ভয়ের কিছু নেই। বেশিরভাগ সময় সমুদ্রের ফেনা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। বরং এটি প্রমাণ করে যে, সমুদ্রের মধ্যে জীববৈচিত্র্য আছে, প্রাণ আছে।
তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ফেনা ক্ষতিকারক হতে পারে। যদি ফেনা তৈরি হয় কোনো বিষাক্ত শৈবাল থেকে, তখন সমস্যা হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—‘কারেনা ব্রেভিস’ নামে এক ধরনের শৈবাল আছে, যা যখন পচে, তখন বিষাক্ত গ্যাস ছাড়ে। যখন এই ধরনের ফেনার বুদ্বুদ ফেটে যায়, তখন সেই গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মানুষের চোখ জ্বালা করতে পারে, অথবা শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।
শুধু মানুষের নয়, পাখিরাও এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ২০০৭ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং ২০০৯ সালে প্যাসিফিক নর্থওয়েস্টে দেখা গেছে, বিষাক্ত ফেনার কারণে পাখিদের পালক ভিজে যায়। পালকের জলরোধী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে পাখিরা ঠান্ডায় মারা যায়।
তাহলে কী করণীয়?
যদি কোনো উপকূলে গিয়ে দেখো, অস্বাভাবিক রকমের ফেনা জমে আছে বা ফেনার গন্ধ খুব বাজে লাগছে, তাহলে একটু সাবধান হও। সরাসরি সেই ফেনার মধ্যে হাঁটা বা খেলা না করাই ভালো। আর যদি চোখে বা গায়ে সমস্যা অনুভব করো, তবে দ্রুত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সূত্র: হাউ ইটস ওয়ার্কস
আবহাওয়াবিদদের ভাষায় নিম্নচাপ হলো একটি এমন আবহাওয়াগত পরিস্থিতি যেখানে বাতাসের চাপ চারপাশের তুলনায় কম হয়ে যায়। সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বাতাস সবসময় উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
১ দিন আগেইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
২ দিন আগেসকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকেই অভ্যাস বশে এক গ্লাস লেবু পানি খান। বিজ্ঞাপন আর স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিনে এমন ধারণা ছড়িয়ে গেছে যে খালি পেটে লেবু খেলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়, ওজন কমে, আবার হজমশক্তিও নাকি বাড়ে। কিন্তু আসলেই কি খালি পেটে লেবু খাওয়া এতটা উপকারী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, লেবুর কিছু ভালো দিক
২ দিন আগে