অরুণ কুমার
আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় শুধু একজন গবেষক যেমন ছিলেন না, আবার বিজ্ঞানের গণ্ডিতেও তাঁকে বেঁধে রাখা যাবে না। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি একজন মানবিক মানুষ ছিলেন। নিজে বিয়ে থা করেননি। সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করে গিয়েছেন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা উন্নয়নের জন্য। বিখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি অত্যন্ত স্নে করতেন। তাঁর বিপদে-আপদে সাহায্য সহযোগিতা করতেন।
বিভূতিরভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তখন বিএ পরীক্ষা সামনে। ফিস দেওয়ার ডেডলাইন পড়ে গেছে। বিভূতি তখন কপর্দকশূণ্য। মেসে খাওয়ার টাকাই দিতে পারেন না, ফিস দেবেন কীভাবে? এখানে-ওখানে অনেক চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু কোনো সঙ্গতি হয়নি। এমনি করে ডেডলাইন পার হয়ে গেল। বাধ্য হয়ে জামাকাপড় গুছিয়ে বিভূতিভূষণ গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জোগাড়যন্ত্র করছেন।
তখন তার বন্ধু এসে বললেন, বাড়ি ফিরে যাচ্ছিস যে বড়! তোর নাম তো নোটিস বোর্ডে দেখলাম না।
সেকালে যারা পরীক্ষার ফি যারা জমা দিতে পারত না, ডেডলাইন পার হলে তাদের নাম একটা ডিষল্টার লিস্টে যোগ করে নোটিশবোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হতো। বিভূতিভূষণ নিজে পরীক্ষার ফিস দেননি। সুতরাং তাঁর নাম ডিফল্টার লিস্টে থাকার কথা।
বিভূতি ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দৌড়ে কলেজে চলে গেলেন।
সত্যিই ডিফল্টার লিস্টে তাঁর নাম নেই। তাহলে কেউ কি তাঁর ফিসটা জমা দিয়েছেন?
বিভূতি ভালো করে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারলেন, তাঁর ফিস কোনো এক শুভাকাংখী জমা করে দিয়েছেন।
কে জমা দিয়েছেন, বিভূতিভূষণ প্রথমে বুঝতে পারেননি। বিএ পাশ করার পর তিনি তাঁর শ্রদ্ধাভাজন আচর্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়কে প্রমাণ করতে যান। তখনই কীভাবে যেন জানতে পারেন, তাঁর সেই শুভাকাংখী, যিনি তাঁর ফিস জমা করে দিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
সূত্র: বিভূতির সংসার/তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় শুধু একজন গবেষক যেমন ছিলেন না, আবার বিজ্ঞানের গণ্ডিতেও তাঁকে বেঁধে রাখা যাবে না। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি একজন মানবিক মানুষ ছিলেন। নিজে বিয়ে থা করেননি। সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করে গিয়েছেন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা উন্নয়নের জন্য। বিখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি অত্যন্ত স্নে করতেন। তাঁর বিপদে-আপদে সাহায্য সহযোগিতা করতেন।
বিভূতিরভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তখন বিএ পরীক্ষা সামনে। ফিস দেওয়ার ডেডলাইন পড়ে গেছে। বিভূতি তখন কপর্দকশূণ্য। মেসে খাওয়ার টাকাই দিতে পারেন না, ফিস দেবেন কীভাবে? এখানে-ওখানে অনেক চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু কোনো সঙ্গতি হয়নি। এমনি করে ডেডলাইন পার হয়ে গেল। বাধ্য হয়ে জামাকাপড় গুছিয়ে বিভূতিভূষণ গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জোগাড়যন্ত্র করছেন।
তখন তার বন্ধু এসে বললেন, বাড়ি ফিরে যাচ্ছিস যে বড়! তোর নাম তো নোটিস বোর্ডে দেখলাম না।
সেকালে যারা পরীক্ষার ফি যারা জমা দিতে পারত না, ডেডলাইন পার হলে তাদের নাম একটা ডিষল্টার লিস্টে যোগ করে নোটিশবোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হতো। বিভূতিভূষণ নিজে পরীক্ষার ফিস দেননি। সুতরাং তাঁর নাম ডিফল্টার লিস্টে থাকার কথা।
বিভূতি ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দৌড়ে কলেজে চলে গেলেন।
সত্যিই ডিফল্টার লিস্টে তাঁর নাম নেই। তাহলে কেউ কি তাঁর ফিসটা জমা দিয়েছেন?
বিভূতি ভালো করে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারলেন, তাঁর ফিস কোনো এক শুভাকাংখী জমা করে দিয়েছেন।
কে জমা দিয়েছেন, বিভূতিভূষণ প্রথমে বুঝতে পারেননি। বিএ পাশ করার পর তিনি তাঁর শ্রদ্ধাভাজন আচর্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়কে প্রমাণ করতে যান। তখনই কীভাবে যেন জানতে পারেন, তাঁর সেই শুভাকাংখী, যিনি তাঁর ফিস জমা করে দিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
সূত্র: বিভূতির সংসার/তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
ইন্দোনেশিয়ায় আজ একটি ফেরি ৬৫ জন যাত্রীসহ ডুবে গিয়েছে। সচরাছর অন্য যেকোনো নৌযানের চেয়ে ফেরি ডুবে নিহতের হার কম। ফেরি এথ কম ডোবে কেন, কী প্রযুক্তি ব্যবহার হয় এতে?
২ দিন আগেকীভাবে তাঁরা সেটি দেখলেন? গবেষকেরা একজোড়া কোঅক্সিয়াল কেবলকে (যা আমরা সাধারণত টেলিভিশনের তার হিসেবে চিনি) বৃত্তাকারে জুড়ে একটি 'রিং গ্রাফ' তৈরি করেন।
২ দিন আগেএকাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২-৩ কাপ কফি খাওয়া মানুষেরা অন্যদের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘজীবী হন।
২ দিন আগেশুরুতে মাঠে নামা ছিল শুধু খেলার আনন্দ থেকে। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন স্থানীয় টুর্নামেন্টে ভালো খেলা শুরু করেন, তখন কোচদের নজরে আসেন।
২ দিন আগে