বিবিসি বাংলা
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এ স্থগিতাদেশ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এতে বিশ্বজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে, তারা এমন একটি সরকারি নির্দেশনা দেখেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য, আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা অ্যাকাউন্টগুলো খতিয়ে দেখা এবং সেগুলোর মাধ্যমে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি মূল্যায়ন করা।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তার মতে, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ‘অত্যধিক উদারপন্থী’ হয়ে উঠেছে এবং ইহুদিবিরোধিতা মোকাবেলায় ব্যর্থ হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন বাতিলের আদেশ দিয়েছিলেন।
যদিও পরবর্তী সময়ে হার্ভার্ড আদালতের শরণাপন্ন হলে, সেই আদেশের ওপর আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন?
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংরক্ষণকারী সংস্থা ওপেন ডোরসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২১০টিরও বেশি দেশের ১১ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ছিলেন ভারতীয়—সংখ্যাটি ছিল ৩ লাখ ৩৩ হাজারেরও বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল চীন, যেখান থেকে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী এসেছিলেন।
তালিকায় এরপর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল এবং নেপাল। তবে চীনের নাগরিকদের জন্য বিশেষভাবে কঠোর পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি জানান, যারা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত বা ‘সংবেদনশীল’ বিষয়ে পড়াশোনা করছেন, তাদের ভিসা আগ্রাসীভাবে বাতিল করা হবে। চীন ও হংকং থেকে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরো কঠিন মানদণ্ড প্রয়োগ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। চীন ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আরো গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
ভিসা বাতিল ও বহিষ্কারের প্রভাব
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে এবং অনেককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, অন্তত ৩০০ জন বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তাদের কোন দেশের নাগরিক তা তিনি উল্লেখ করেননি।
হার্ভার্ডের আপত্তি
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে এক মামলায় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে প্রতিষ্ঠানটি অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে। হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক অফিসের পরিচালক মৌরিন মার্টিন আদালতে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মানসিক চাপ ও অনিশ্চয়তা বেড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী স্নাতক সমাবর্তন এড়িয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বাতিল করছে এবং অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের চেষ্টা করছে। কিছু শিক্ষার্থী এমনও ভয় পাচ্ছে যে নিজ দেশে ফিরলে তারা রাজনৈতিক নিপীড়ন কিংবা সংঘাতের মুখে পড়তে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভাব
পশ্চিম ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমেরিটাস উইলিয়াম ব্রুস্টেইন বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’ তার মতে, অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি-এর ওপর নির্ভর করে চলে। এই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বৈচিত্র্য আনে, যা এই সিদ্ধান্তের ফলে হুমকির মুখে পড়বে।
বিকল্প কোথায়?
কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছিল। তবে অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ির কারণে এখন সেখানেও সুযোগ কমে এসেছে।
কানাডা ‘প্রুফ অফ ফান্ড’ (অর্থ প্রমাণ) বৃদ্ধি করেছে এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাজ্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় কড়াকড়ি আরোপ করে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা আর পরিবারের সদস্যদের আনতে পারছে না এবং কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজের ভিসায় সুইচ করতে পারছে না। অস্ট্রেলিয়াও বিদেশি আবেদনকারীর সংখ্যা সীমিত করতে নীতিমালা কঠোর করেছে এবং কভিড-পূর্ব অভিবাসন মাত্রায় ফেরার চেষ্টা করছে।
অন্য সুযোগ কোথায়?
এই পরিস্থিতিতে অনেক দেশ মার্কিন সিদ্ধান্তকে নিজেদের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে। হংকংয়ের চিফ এক্সিকিউটিভ জন লি বলেছেন, যেসব শিক্ষার্থী মার্কিন বৈষম্যের শিকার তাদের হংকং স্বাগত জানাবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ও এমন শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে তাদের ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
জার্মানিও একটি জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠছে। ২০২৫ সালে সেখানে চার লক্ষ্যের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। জার্মানি এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি দিচ্ছে এবং ‘প্রুফ অব ফান্ড’ সামান্য বাড়িয়েছে।
ইউরোপ ও এশিয়া হতে পারে নতুন কেন্দ্র
অধ্যাপক ব্রুস্টেইন বলেন, উচ্চশিক্ষার বৈশ্বিক মানচিত্রে বড় পরিবর্তন এসেছে। ‘এখন শিক্ষার্থীদের অনেক বিকল্প রয়েছে। মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশও আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে। তবে আমার মতে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সবচেয়ে গতিশীল এলাকা।’
শাখা ক্যাম্পাসের ধারণা বাড়ছে
তিনি বলেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার প্রবণতাও বাড়ছে। যেমন- ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালয়েশিয়ায় শাখা রয়েছে। এমনকি ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ভারত ও চীনে কাজ করছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও বিভিন্ন দেশে অনুমোদিত প্রোগ্রাম চালায়। তবে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে শিক্ষার্থীরা এসব শাখায় স্থানান্তরিত হতে পারবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এ স্থগিতাদেশ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এতে বিশ্বজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে, তারা এমন একটি সরকারি নির্দেশনা দেখেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য, আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা অ্যাকাউন্টগুলো খতিয়ে দেখা এবং সেগুলোর মাধ্যমে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি মূল্যায়ন করা।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তার মতে, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ‘অত্যধিক উদারপন্থী’ হয়ে উঠেছে এবং ইহুদিবিরোধিতা মোকাবেলায় ব্যর্থ হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন বাতিলের আদেশ দিয়েছিলেন।
যদিও পরবর্তী সময়ে হার্ভার্ড আদালতের শরণাপন্ন হলে, সেই আদেশের ওপর আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন?
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংরক্ষণকারী সংস্থা ওপেন ডোরসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২১০টিরও বেশি দেশের ১১ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ছিলেন ভারতীয়—সংখ্যাটি ছিল ৩ লাখ ৩৩ হাজারেরও বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল চীন, যেখান থেকে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী এসেছিলেন।
তালিকায় এরপর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল এবং নেপাল। তবে চীনের নাগরিকদের জন্য বিশেষভাবে কঠোর পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি জানান, যারা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত বা ‘সংবেদনশীল’ বিষয়ে পড়াশোনা করছেন, তাদের ভিসা আগ্রাসীভাবে বাতিল করা হবে। চীন ও হংকং থেকে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরো কঠিন মানদণ্ড প্রয়োগ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। চীন ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আরো গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
ভিসা বাতিল ও বহিষ্কারের প্রভাব
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে এবং অনেককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, অন্তত ৩০০ জন বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তাদের কোন দেশের নাগরিক তা তিনি উল্লেখ করেননি।
হার্ভার্ডের আপত্তি
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে এক মামলায় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে প্রতিষ্ঠানটি অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে। হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক অফিসের পরিচালক মৌরিন মার্টিন আদালতে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মানসিক চাপ ও অনিশ্চয়তা বেড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী স্নাতক সমাবর্তন এড়িয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বাতিল করছে এবং অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের চেষ্টা করছে। কিছু শিক্ষার্থী এমনও ভয় পাচ্ছে যে নিজ দেশে ফিরলে তারা রাজনৈতিক নিপীড়ন কিংবা সংঘাতের মুখে পড়তে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভাব
পশ্চিম ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমেরিটাস উইলিয়াম ব্রুস্টেইন বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’ তার মতে, অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি-এর ওপর নির্ভর করে চলে। এই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বৈচিত্র্য আনে, যা এই সিদ্ধান্তের ফলে হুমকির মুখে পড়বে।
বিকল্প কোথায়?
কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছিল। তবে অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ির কারণে এখন সেখানেও সুযোগ কমে এসেছে।
কানাডা ‘প্রুফ অফ ফান্ড’ (অর্থ প্রমাণ) বৃদ্ধি করেছে এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাজ্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় কড়াকড়ি আরোপ করে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা আর পরিবারের সদস্যদের আনতে পারছে না এবং কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজের ভিসায় সুইচ করতে পারছে না। অস্ট্রেলিয়াও বিদেশি আবেদনকারীর সংখ্যা সীমিত করতে নীতিমালা কঠোর করেছে এবং কভিড-পূর্ব অভিবাসন মাত্রায় ফেরার চেষ্টা করছে।
অন্য সুযোগ কোথায়?
এই পরিস্থিতিতে অনেক দেশ মার্কিন সিদ্ধান্তকে নিজেদের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে। হংকংয়ের চিফ এক্সিকিউটিভ জন লি বলেছেন, যেসব শিক্ষার্থী মার্কিন বৈষম্যের শিকার তাদের হংকং স্বাগত জানাবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ও এমন শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে তাদের ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
জার্মানিও একটি জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠছে। ২০২৫ সালে সেখানে চার লক্ষ্যের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। জার্মানি এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি দিচ্ছে এবং ‘প্রুফ অব ফান্ড’ সামান্য বাড়িয়েছে।
ইউরোপ ও এশিয়া হতে পারে নতুন কেন্দ্র
অধ্যাপক ব্রুস্টেইন বলেন, উচ্চশিক্ষার বৈশ্বিক মানচিত্রে বড় পরিবর্তন এসেছে। ‘এখন শিক্ষার্থীদের অনেক বিকল্প রয়েছে। মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশও আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে। তবে আমার মতে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সবচেয়ে গতিশীল এলাকা।’
শাখা ক্যাম্পাসের ধারণা বাড়ছে
তিনি বলেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার প্রবণতাও বাড়ছে। যেমন- ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালয়েশিয়ায় শাখা রয়েছে। এমনকি ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ভারত ও চীনে কাজ করছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও বিভিন্ন দেশে অনুমোদিত প্রোগ্রাম চালায়। তবে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে শিক্ষার্থীরা এসব শাখায় স্থানান্তরিত হতে পারবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
রাফাহর স্থানীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ গারিব বিবিসিকে জানান, মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত একটি মানবিক সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে রোববার ভোরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিলেন। ওই সময়ই ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো এগিয়ে গিয়ে জনতার ওপর গুলি চালায়।
১ দিন আগেফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। শনিবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
১ দিন আগেপাক হামলায় ভারতের যুদ্ধ বিমান ধ্বংসের বিষয়ে এতদিন ভারত চুপ করেছিল। অথচ পাকিস্তান একাধিক বার ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করে এসেছে। এমনকি ধ্বংসাবশেষের ছবিও দেখিয়েছে তারা। অবশেষে ভারতের আকাশে প্রাথমিক ক্ষতি হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে ভারত। ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস)
২ দিন আগেভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ‘বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেখতে চায় ভারত’ মর্মে যে মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (৩১ মে) এক বিবৃতি দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
২ দিন আগে