কী আছে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সে\n
এর মূলে রয়েছে চীনের পণ্যের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা ১৪৫ শতাংশ শুল্ক। এর ফলে চীনে তৈরি আইফোন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করার সময়ও এ বিপুল পরিমাণ শুল্ক দিতে হবে। ফলে আইফোনের খরচ বেড়ে যাবেন অনেকটা। ট্রাম্পের এ শুল্কনীতির বিপরীতে চীনও পাল্টা সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর।
সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিক কিছু পণ্যে শুল্কছাড় দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু ওয়াশিংটন জানিয়েছে, সেই ছাড়গুলোও আগামী কিছুদিনের মধ্যে বদলে যেতে পারে।
টিম কুক বলেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব প্রথম কোয়ার্টারে তাদের ওপর খুব বেশি পড়েনি। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ার্টারে এভাবে চলতে থাকলে বিরাট ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে তাদের। সে কারণেই চীন থেকে কারখানা সরিয়ে ভিয়েতনাম ও ভারতে স্থানান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আই ফোনের উৎপাদনের একটি বড় অংশ ভারতে নিয়ে গেলেও চীনের কারখানা এখনই বন্ধ করছে না অ্যাপল। কুক জানিয়েছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও চীনের কারখানায় অ্যাপলের একটি বড় অংশ উৎপাদন চলতে থাকবে। অ্য়ামেরিকার বাইরে অ্যাপলের যে জিনিস বিক্রি হয়, তার উৎপাদনের বড় অংশ এখনো চীনেই হবে।
চীনে অবশ্য অ্যাপলের জিনিস বিক্রি আগের চেয়ে অনেকটাই কমে গেছে। গত কোয়ার্টারে বিক্রি কমেছে প্রায় দুই দশমিক তিন শতাংশ। সেখানে বরং চীনের তৈরি ফোনের বাজার বাড়ছে।
বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এর একটি বড় কারণ, অন্য ফোনগুলোতে এআইয়ের ব্যবহার অনেক বেশি। অ্যাপল এখনো নিজেদের ফোনে এআই অ্যাপ্লিকেশন খুব বেশি রাখেনি।