কাতারে বাংলাদেশিরা ঘর থেকে দেখেন হামলার দৃশ্য, ছিল না সতর্কবার্তা

বিবিসি বাংলা
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১০: ১৬
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান

‌‘সন্ধ্যার পরে পাশের মন্তেজা পার্কে ছিলাম। হঠাৎ দেখি তিন-চার দিক থেকে আকাশে আগুনের স্ফুলিঙ্গ। কী হয়েছে দেখতে উঠে দাঁড়াই। আবার দেখি পাল্টা দিক থেকেও আসতেছে। দেখি যে বিভিন্ন দিক থেকে আসা ওই আগুনে আগুনে (ক্ষেপণাস্ত্র) আঘাত করছে, সংঘর্ষ হচ্ছে।’ কথাগুলো বলছিলেন কাতারের রাজধানী দোহায় বসবাসরত বাংলাদেশি একজন নাগরিক।

প্রবাসী এই বাংলাদেশি জানান, ‘আকাশেই ফুটতে (ক্ষেপণাস্ত্র) দেখলাম। বিকট আওয়াজ পাইতেছিলাম। চার-পাঁচটা আওয়াজ পাইছি। তখন আরকি পুরো কাঁইপা উঠছে কাতার। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে এটা চলছে।’ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কাতারে অবস্থিত আল উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় দোহার আকাশের এই চিত্র দেখেছেন এই বাংলাদেশি।

তিনি বিবিসি বাংলাকে জানান, গতকাল সন্ধ্যার পরে স্বাভাবিক সময়ের মতোই মন্তেজা পার্কে তার মতোই আরও অনেক মানুষ ছিল। কী হচ্ছে প্রথমে কেউ কিছু বুঝতে না পারলেও ঘটনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করার সাথে সাথে আতঙ্ক ও ভয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার উদ্যোগ নেয় সবাই। উল্লেখ্য, নিরাপত্তাজনিত কারণে তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

তিনি জানান, ‘মন্তেজা পার্কে বিভিন্ন বয়সীরা যেমন ছিল, তেমনি নারী ও শিশুরাও ছিল। এই হামলার কথা তারা কেউই আগে থেকে জানতো না।’

কাতারে চার লাখের মতো বাংলাদেশি বসবাস করেন বলে একাধিক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে। এই বাংলাদেশিদের মধ্যে অভিবাসী শ্রমিক যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছে হিসাববিদ, প্রকৌশলী, জিওকেমিস্ট, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষই।

ইরানের হামলার পর গতকাল তাদের অভিজ্ঞতা কী ছিল, কেমন আছেন তারা এবং কোনো আতঙ্কের অবকাশ আছে কি না–– এমন সব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশির সাথে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, কাতার সব নাগরিকদের বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহনশীল। কোনো আতঙ্ক যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তারা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল।

তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত তার নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করলেও বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এরকম কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি বলেও প্রবাসীরা জানান।

এদিকে, সোমবার রাতেই কাতারের মিনিস্ট্রি অব ইন্টেরিওর অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক নোটিশে নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয় নিয়ে কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

একইসাথে কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার, লেখা, বক্তব্য বা ভিডিও দেয়ার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই আদেশ অমান্য করলে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানার বিধান ঘোষণা করেছে সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফলে এই প্রতিবেদন তৈরিতে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে কথা হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

কাতারের রাজধানী দোহায় বসবাসরত একজন বাংলাদেশি নাগরিক স্থানীয় মনতেজা পার্ক থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ছবিটি তুলেছেন

‘আকাশে স্ফুলিঙ্গ দেখে পার্কে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি’

প্রতিবেদনের শুরুতে যে প্রবাসী বাংলাদেশির কথা আছে তিনি দোহায় বসবাস করেন। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতোই রাত আটটায় মন্তেজা পার্কে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়েছিলেন, বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে পরিবারসহ বেড়াতে এসেছিলেন অনেকেই।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রত্যক্ষদর্শী এই ব্যক্তি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমরা যারা ইয়াং তারা একটু সাইডে গিয়ে দাঁড়িয়ে এটা দেখতেছিলাম। কিন্তু যখন বিকট আওয়াজ হয় তখন যারা পরিবারসহ, নারী ও শিশুসহ আসছিলো তারা একটা মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। এটা স্বাভাবিক। বসে ছিলাম, হঠাৎ যদি দেখি মাথার ওপর আকাশ (স্ফুলিঙ্গে) ছেয়ে গেছে তখন তো একটা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হবেই।’

আকাশে আগুনের মতো স্ফুলিঙ্গ দেখে প্রথমে তিনি নিজে ভিডিও করতে শুরু করেন। ছোট দুইটা ভিডিও করেছিলেন বলেও জানান এই প্রবাসী। কিন্তু পরে যখন দেখেন পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের মতো হচ্ছে, তখন কিছুটা ভয় পেয়ে ভিডিও করা বন্ধ করে তিনি নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

‘পানির সংকট, টিকিটের দাম আকাশ ছোঁয়া’

গতকাল হামলার পরে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে সব সুপার শপ ও মার্কেটে কেনাকাটার জন্য ভিড় জমায় মানুষ। ফলে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দেখা দিয়েছিল পানির সংকট।

প্রবাসী বাংলাদেশি মি. হক (ছদ্মনাম) বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমরা পানি কিনে খাই। হামলার পরে এক – দেড় ঘণ্টার মধ্যে সব মার্কেট, সুপার শপের পানিই শেষ হয়ে গেছে। আমরা নিজেরা ভুক্তভোগী।’

‘দেড় ঘণ্টা গাড়ি নিয়ে ঘুরে একটা জায়গা থেকে তিন কেইস পানি পাইছি। দেখা গেছে আসলে সংকট তৈরি হয়ে যায় মুহূর্তেই,’ বলেন মি. হক। হক বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলার পর থেকেই বিমানের টিকিটের দাম স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। সব এয়ারলাইন্সের টিকিটেরই দামই বেড়েছে।

কাতার থেকে বাংলাদেশে ফিরতে একটি এয়ারলাইন্সের সাথে টিকিটের জন্য যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি টের পান। কাতার থেকে সাধারণ সময়ে টিকিটের দাম তুলনামূলক সস্তা হলেও গতকাল ও তার আগের দিন দামে ছিল বিস্তর ফারাক।

মি. হক বলেন, ‘টিকিটের আকাশছোঁয়া দাম হয়ে গেছে মুহূর্তের মধ্যে। নরমালি সস্তায় কিনি পাঁচশ, ছয়শ বা সাতশ রিয়ালে। সর্বোচ্চ নয়শ বা এগারোশো রিয়াল ছিল বাংলাদেশের আপডাউন টিকিট। বাংলা টাকায় ৩০ হাজার টাকা পড়ে যেটা বাংলাদেশ থেকে পাওয়াই যায় না।’ গতকাল ও গত পরশু দেখলাম ইউএস বাংলাতেই ২৭শ, ২৮শ ২৫শো রিয়ালের নিচে নাই টিকেট। এরকম প্রভাব পড়ে গেছে,’ বলেন মি. হক।

আরেকজন প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, ‘ওই পরিস্থিতির মধ্যেই মানুষ মার্কেটে গিয়ে অযথা কেনা-কাটা শুরু করছে। অযথা হুলুস্থুল, একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সবাই রাস্তায় নেমে আসছিল। কিন্তু সরকার সাথে সাথে নির্দেশ দেয়ায় আর ওইভাবে পরিস্থিতি (অবনতি)... হয়নি।’

‘বাসার বারান্দা থেকেই মিসাইল দেখা গেছে’

রাজধানী দোহা থেকে প্রায় ১৯ মিনিটের দূরত্বে কাতারের আরেকটি শহর আল উকাইর। উদেইদ মার্কিন ঘাঁটির প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের শহর এটি। ওই ঘাঁটিটির আশেপাশে কোনো ধরনের স্থাপনা বা ভবন নেই, অনেকটা প্রত্যন্ত এলাকায় তৈরি বলে জানান একজন প্রবাসী বাংলাদেশি।

এই শহরে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি মি. খান (ছদ্মনাম) জানান, মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্য বাসার বারান্দা থেকেই দেখা গেছে। কারণ রাজধানী দোহা থেকে ওই মার্কিন ঘাঁটির দূরত্ব ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার হলেও তারা বাসা থেকে সেটা আরও কাছে, ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে।

‘আমার এখান থেকে উদেইদ ঘাঁটি খুব বেশি দূরে না। আমার স্ত্রী ও বাচ্চারা সবাই বাসার বারান্দা থেকেই মিসাইল উঠছে-নামছে সবই দেখেছে। সোয়া সাতটার পরের ঘটনা এটা। দোহার আশেপাশের সবাই দেখছে,’ বলেন মি. খান।

আগেই ইরান হামলার বিষয়ে কাতারকে অবহিত করায় কোনো ক্ষয়-ক্ষতি ছিল না বলে জানান মি. খান। একইসাথে সাধারণ জনগণকে কোনো সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অফিসসহ দৈনন্দিন সব কার্যক্রমই স্বাভাবিক ছিল বলে জানান মি. খান।

কোনো আতঙ্ক যাতে না ছড়ায় সেজন্য কাতারের সরকার সাথে সাথেই নির্দেশনা দিয়েছে জানিয়ে মি. খান বলেন, ‘কাতারের সরকার খুব অ্যাকটিভ ছিল। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।’

মি. খান জানান, গতকাল রাতেই কাতার সরকার মিসাইল হামলার বিষয়ে কোনো পোস্ট, ভিডিও বা কমেন্ট দেয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। শাস্তি ও জরিমানাও রয়েছে।

নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের ছিল না সতর্কবার্তা

সোমবার রাতেই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য সতর্কতামূলক বার্তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাতারে অবস্থিত নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয় দুই দেশের সরকার।

এক পর্যায়ে ভারতও কাতারে অবস্থিত তাদের নাগরিকদের নিরাপদে থাকার আহ্বান জানায়। কিন্তু কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে দেওয়া হয়নি কোনো সতর্কতামূলক বার্তা বা পরামর্শ। কাতারের একাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেলে দোহায় বাংলাদেশি দূতাবাসের নামে একটি ফেসবুক পাতায় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয় 'বাংলাদেশ দূতাবাস কাতারে বসবাসরত সকল বাংলাদেশী নাগরিক ও তাদের পরিবারবর্গকে সার্বিক সহযোগিতা ও পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করছে'।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলা সংক্রান্ত কোন ছবি বা ভিডিও প্রকাশ না করার জন্য কাতার সরকারের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করা হয়। যদিও দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এসংক্রান্ত কোন প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি। সেখানে সর্বশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২২ সালে।

ফেসবুকে দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকজন কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়। 'এই সেনসিটিভ বিষয়ে আপনাদের গতকাল রাতেই অবগত করার দরকার ছিল। যাই হোক,হয়তো মাত্রই আপনাদের ঘুম ভাঙছে। শুভ সকাল আপনাদের'। লেখেন একজন।

আরেকজন লিখেছেন 'পোলাপান কাল রাত ৮টায় ভিডিও পোস্ট করে দিছে৷ আর অ্যামবাসি আজকে দিনে ২ টায় বিবৃতি দিছে..এত ফাস্ট বিবৃতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ'।

‘কাতার সব নাগরিকদের জন্য সংবেদনশীল’

সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় কাতারের সরকার 'খুবই অ্যাকটিভ' ছিল বলে জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পুলিশ জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানায়। কাতারের স্থানীয় পুলিশের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়ে কেউ যাতে গুজব না ছড়ায়, নাগরিকরা যাতে বিভ্রান্ত না হন সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়।

মি. হক বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে কাতার খুব সেনসিটিভ। আমরা যারা অভিবাসী আছি তাদের জন্য ও সব নাগরিকের জন্য কাতারের সরকার সেনসিটিভ।’

‘পুলিশ প্রেস রিলিজ দিয়ে মানুষদেরকে বলছে কোনো সমস্যা নাই। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তারা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করে দিছে,’ বলেন তিনি।

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দোহার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় বলে জানান মি. হক। হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় গতকাল রাতে কাতার নিজেদের আকাশসীমায় বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করে। পরে মাঝ রাত থেকেই আবারও বিমান চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এখন কাতারের দোহাসহ অন্যান্য এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি রয়েছে বলে জানান এই প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ইরানে যেসব কারনে ব্যর্থ হলো ইসরায়েল

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কি ধ্বংস করতে পেরেছে ইসরায়েল? উত্তরটি সম্ভবত “না”। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরান সম্ভবত অত্যন্ত সুরক্ষিত ও ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ফোর্দোতে থাকা গোপন ফিসনযোগ্য পদার্থ সরিয়ে নেয়, যা ছিল দেশটির পুরো পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান বা মূল বিষয়। ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির

৪ ঘণ্টা আগে

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে ৭ শতাধিক গ্রেপ্তার

ইরান জানিয়েছে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধকালীন সম্পর্ক থাকার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৩ জনকে মোসাদ এজেন্ট হিসেবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

৪ ঘণ্টা আগে

মোসাদের আরও ৩ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইরানে আরও তিনজন মোসাদ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা মেহের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকৃত তিন মোসাদ গুপ্তচর হলেন- এদ্রিস আলী, আজাদ শোজায়ী ও রসুল আহমাদ। তারা ইরানি ব্যক্তিদের হত্যার উদ্দেশ্যে দেশটিতে সরঞ্জাম আমদানি করেছিলে

৬ ঘণ্টা আগে

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান দিল ইসরাইল

১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইরান-ইসরাইল সংঘাতের অবসান হয়েছে ২৪ জুন। টানা ১২ দিনের এ সংঘাতের মধ্যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সরাসরি বস্তুগত ক্ষতির জন্য প্রায় ৩৯,০০০টি ক্ষতিপূরণ দাবির আবেদন পেয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।বুধবার ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাতে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে।

৮ ঘণ্টা আগে