ক্রীড়া ডেস্ক
গল টেস্টের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও খুব বেশি ভালো হয়নি। সপ্তম ওভারেই বিদায় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অপর প্রান্তে অপরাজিত মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে যোগ দেন লিটন, ঘুরতে থাকে রানের চাকা। প্রথম সেশন পেরিয়ে দ্বিতীয় সেশনও কাটিয়ে দিচ্ছিলেন প্রায় নির্বিঘ্নে।
এরপরই বৃষ্টির বাধা। খেলা বন্ধ প্রায় ঘণ্টা দেড়েক। এরপর খেলা শুরু হলেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ছন্দ কেটে গেছে পুরোপুরি। মুশফিককে দিয়েই শুরু। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন লিটন। অন্য কেউই আর টিকতে পারেননি ক্রিজে। ফলাফল— ১০ ওভারের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে অলআউটের দ্বারপ্রান্তে।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮৪ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। আলো স্বল্পতায় ১০ ওভার আগে খেলা শেষ না হলে হয়তো আর দুয়েক ওভারের মধ্যে দলকে অলআউটও হতে হতো।
৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। শান্ত অপরাজিত ছিলেন ১৩৬ রানে। শান্ত আর বেশি দূর এগোতে পারেননি। ১৪৮ রানের মাথায় আসিথা ফার্নান্দোর বলে ম্যাথিউসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন।
এরপর পঞ্চম উইকেট জুটি জমিয়ে তোলেন মুশফিক আর লিটন। দুজন মিলে ২৬৫ বলে গড়ে তোলেন ১৪৯ রানের জুটি। মুশফিক আগের দিনের মতোই ছিলেন ধীরস্থির। দেখতে দেখতে দেড় শ পার করে ফেলেন। বৃষ্টি বাধার পর শেষ পর্যন্ত আসিথার ইনসুইংগার ঠিকঠাক পড়তে না পেরে ব্যাট মিস করায় যখন এলবিডব্লিউ হলেন ততক্ষণে নামের পাশে ৩৫০ বলে ১৬৩ রান।
জুটিতে তুলনামূলকভাবে লিটন খেলেছেন চালিয়ে। শুরু থেকেই স্ট্রোক প্লে দিয়ে মুগ্ধ করেছেন। অর্ধশত পূরণ করেছেন মাত্র ৬৪ বলে। শতকের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মুশফিকের আউটের পর যেন প্যাভিলিয়নে ফেরার তাড়া পেয়ে বসল। থারিন্দু রত্নায়েকের লেগ স্টাম্পের দিকে ফেলা বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন উইকেটের পেছনে। ১১ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ১২৩ বলে ৯০ করে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন লিটন।
এরপর আর বলার মতো কিছু কেউ করতে পারেননি। সাতে নামা জাকের আলী ১৬ বলে ৮ রান করে বোল্ড হয়েছেন মিলান রত্নায়েকের বলে। মাঝে মাঝেই টেস্টে দীর্ঘ সময় ব্যাট করা তাইজুল ইসলামও এ দিন থাকতে পারেননি উইকেটে। রত্নায়েকের বলে জাকেরর মতোই বোল্ড হয়েছেন। ৩০ বলে ১১ রান করা নাঈম হাসানকেও ফিরিয়েছেন একই বোলার, উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করে।
৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশের শেষ উইকেট জুটিতে রয়েছেন হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানা। তাদের কেউই এখনো রানের খাতা খুলতে পারেননি। আলোর স্বল্পতায় যখন খেলা শেষ হয়েছে তখন দলের স্কোর ৯ উইকেটে ৪৮৪।
শ্রীলংকান বোলারদের মধ্যে তিনজন সাফল্য পেয়েছেন— আসিথা, থারিন্দু ও মিলান। তাদের প্রত্যেকেই পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট।
গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুটি সেশন নিজেদের করে নিলেও তৃতীয় সেশনে ২০ ওভারে ৬১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তাতে ৪৫৮ রানের মাথায় মুশফিকের বিদায়ের পরও বড় সংগ্রহের দিকে থাকা বাংলাদেশের জন্য এখন ৫০০ রানকেই দূর অস্ত মনে হচ্ছে।
ইতিহাস বলছে, গলের এই উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং স্বর্গ। স্পিন সহায়ক হলেও উইকেট ভাঙতে সময় লাগে অন্তত দুই দিন। ফলে প্রথম দুদিন স্পিনাররা তেমন টার্ন-বাউন্সের দেখা পান না। কিন্তু এই টেস্টের উইকেট এখন পর্যন্ত দেখা গেছে একেবারেই ফ্ল্যাট।
দ্বিতীয় দিনের শেষের দিকে অবশ্য অনিয়মিত কিছু টার্ন-বাউন্সের দেখা মিলেছে। বাংলাদেশের দুই স্পিনার নিশ্চয় সেটিকে নিয়মিত করতে চাইবেন। দুই তরুণ পেসার হাসান ও নাহিদও গতির ঝড়ে নিশ্চয় কাঁপিয়ে দিতে চাইবেন লংকান ব্যাটিং লাইনআপ।
গল টেস্টের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও খুব বেশি ভালো হয়নি। সপ্তম ওভারেই বিদায় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অপর প্রান্তে অপরাজিত মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে যোগ দেন লিটন, ঘুরতে থাকে রানের চাকা। প্রথম সেশন পেরিয়ে দ্বিতীয় সেশনও কাটিয়ে দিচ্ছিলেন প্রায় নির্বিঘ্নে।
এরপরই বৃষ্টির বাধা। খেলা বন্ধ প্রায় ঘণ্টা দেড়েক। এরপর খেলা শুরু হলেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ছন্দ কেটে গেছে পুরোপুরি। মুশফিককে দিয়েই শুরু। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন লিটন। অন্য কেউই আর টিকতে পারেননি ক্রিজে। ফলাফল— ১০ ওভারের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে অলআউটের দ্বারপ্রান্তে।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮৪ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। আলো স্বল্পতায় ১০ ওভার আগে খেলা শেষ না হলে হয়তো আর দুয়েক ওভারের মধ্যে দলকে অলআউটও হতে হতো।
৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। শান্ত অপরাজিত ছিলেন ১৩৬ রানে। শান্ত আর বেশি দূর এগোতে পারেননি। ১৪৮ রানের মাথায় আসিথা ফার্নান্দোর বলে ম্যাথিউসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন।
এরপর পঞ্চম উইকেট জুটি জমিয়ে তোলেন মুশফিক আর লিটন। দুজন মিলে ২৬৫ বলে গড়ে তোলেন ১৪৯ রানের জুটি। মুশফিক আগের দিনের মতোই ছিলেন ধীরস্থির। দেখতে দেখতে দেড় শ পার করে ফেলেন। বৃষ্টি বাধার পর শেষ পর্যন্ত আসিথার ইনসুইংগার ঠিকঠাক পড়তে না পেরে ব্যাট মিস করায় যখন এলবিডব্লিউ হলেন ততক্ষণে নামের পাশে ৩৫০ বলে ১৬৩ রান।
জুটিতে তুলনামূলকভাবে লিটন খেলেছেন চালিয়ে। শুরু থেকেই স্ট্রোক প্লে দিয়ে মুগ্ধ করেছেন। অর্ধশত পূরণ করেছেন মাত্র ৬৪ বলে। শতকের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মুশফিকের আউটের পর যেন প্যাভিলিয়নে ফেরার তাড়া পেয়ে বসল। থারিন্দু রত্নায়েকের লেগ স্টাম্পের দিকে ফেলা বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন উইকেটের পেছনে। ১১ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ১২৩ বলে ৯০ করে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন লিটন।
এরপর আর বলার মতো কিছু কেউ করতে পারেননি। সাতে নামা জাকের আলী ১৬ বলে ৮ রান করে বোল্ড হয়েছেন মিলান রত্নায়েকের বলে। মাঝে মাঝেই টেস্টে দীর্ঘ সময় ব্যাট করা তাইজুল ইসলামও এ দিন থাকতে পারেননি উইকেটে। রত্নায়েকের বলে জাকেরর মতোই বোল্ড হয়েছেন। ৩০ বলে ১১ রান করা নাঈম হাসানকেও ফিরিয়েছেন একই বোলার, উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করে।
৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশের শেষ উইকেট জুটিতে রয়েছেন হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানা। তাদের কেউই এখনো রানের খাতা খুলতে পারেননি। আলোর স্বল্পতায় যখন খেলা শেষ হয়েছে তখন দলের স্কোর ৯ উইকেটে ৪৮৪।
শ্রীলংকান বোলারদের মধ্যে তিনজন সাফল্য পেয়েছেন— আসিথা, থারিন্দু ও মিলান। তাদের প্রত্যেকেই পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট।
গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুটি সেশন নিজেদের করে নিলেও তৃতীয় সেশনে ২০ ওভারে ৬১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তাতে ৪৫৮ রানের মাথায় মুশফিকের বিদায়ের পরও বড় সংগ্রহের দিকে থাকা বাংলাদেশের জন্য এখন ৫০০ রানকেই দূর অস্ত মনে হচ্ছে।
ইতিহাস বলছে, গলের এই উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং স্বর্গ। স্পিন সহায়ক হলেও উইকেট ভাঙতে সময় লাগে অন্তত দুই দিন। ফলে প্রথম দুদিন স্পিনাররা তেমন টার্ন-বাউন্সের দেখা পান না। কিন্তু এই টেস্টের উইকেট এখন পর্যন্ত দেখা গেছে একেবারেই ফ্ল্যাট।
দ্বিতীয় দিনের শেষের দিকে অবশ্য অনিয়মিত কিছু টার্ন-বাউন্সের দেখা মিলেছে। বাংলাদেশের দুই স্পিনার নিশ্চয় সেটিকে নিয়মিত করতে চাইবেন। দুই তরুণ পেসার হাসান ও নাহিদও গতির ঝড়ে নিশ্চয় কাঁপিয়ে দিতে চাইবেন লংকান ব্যাটিং লাইনআপ।
বিল্লালের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় সাতটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ বিভিন্ন অপরাধের ছয়টি মামলা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আড়িপাতার সরঞ্জাম কেনার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল, যা থেকে বোঝা যায় ভিন্নমত দমনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতেই এসব নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সকালে ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, দুপুরে ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিকালে ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং রাতে ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের সঙ্গে সোমবারের এ বৈঠককে এখন পর্যন্ত ‘সেরা বৈঠক’ মন্তব্য করে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শুধু সমন্বয়ই করবে না, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশীদারও হবে- স্পষ্ট এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি বড় একটি অগ্রগতি বলে আমি মনে করি।’
২ ঘণ্টা আগে