ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
নাশকতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
শনিবার (১৭ মে) সামরিক বাহিনীর এই জনসংযোগ শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বরখাস্ত ওই সৈনিক রোববার ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশপথে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ দিন এর আগের এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘সর্বসাধারণের চলাচল ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে’ ঢাকা সেনানিবাস ঘিরে এর প্রবেশপথসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণার কথা জানায় আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় সরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ জাহাঙ্গীর গেটসংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে মহাখালী ফ্লাইওভারসংলগ্ন এলাকা এবং সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্বর ও সংলগ্ন এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
ঢাকা সেনাবাহিনীর ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’র অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক মো. নাইমুল ইসলামকে শনিবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসসংলগ্ন বটতলা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, বরখাস্ত ওই সেনা সদস্য গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বরখাস্ত বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনা সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়াসহ বিভিন্ন ‘নাশকতামূলক’ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় নাইমুল রোববার (১৮ মে) ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশপথে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন উসকানিমূলক প্রচারণাও চালিয়ে আসছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর বলছে, এ ধরনের শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করতে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল শনিবার দুপুর ২টায় ঢাকার খিলক্ষেত বটতলা বাজার এলাকায় নাইমুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নাইমুল তার কিছু সহযোগীসহ উপস্থিত একজন সেনাসদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প থেকে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাইমুল ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং বিভিন্ন সামরিক শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অপরাধে নাইমুলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আনুষঙ্গিক আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানানো হয় আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে নাইমুলকে আটক ও এর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া কী— তা জানতে ঢাকার সেনানিবাস ও খিলক্ষেত থানায় যোগাযোগ করা হলে দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) কেউ নাইমুলের আটকের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য রয়েছে বলে জানাতে পারেননি।
এর আগে গত বুধবার গণমাধ্যমে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় আইএসপিআরের পক্ষ থেকে। সেখানে সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যদের দাবি-দাওয়া নিয়ে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বাহিনীর পক্ষ থেকে।
ওইদিন আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় সাবেক সেনাসদস্যের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কিছু আবেদন উত্থাপিত হয়েছে, যা সেনাসদর সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। মানবিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এ সব আবেদন যথাযথভাবে পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে সেনা সদরে উচ্চপর্যায়ের একটি পর্ষদ গঠিত হয়েছে এবং এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সংক্রান্ত মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৬৯৬টি আবেদন পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়ন সাপেক্ষে নিষ্পত্তির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হলেও সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা এবং দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাবেক সেনাসদস্যদের প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও ন্যায্য দাবির প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল ও ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে— পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি ও যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে চলার মাধ্যমেই প্রতিটি সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব।
এ বিষয়ে যে কোনো ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য, শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা বজায় রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেপ্টেম্বরে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যরা বকেয়া বেতন-ভাতাসহ চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
ওই একই সময় সময় অর্ধশতাধিক চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তাদের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। ‘সহযোদ্ধা’ নামে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যদের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে তারা এসব দাবি তুলে ধরেছিলেন।
এরপর ডিসেম্বর মাসে চাকরিতে পুনর্বহাল ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারসহ তিন দাবিতে ঢাকা সেনানিবাসের শহিদ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান নেন চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে সশস্ত্র বাহিনীর একদল সদস্য। পরে তাদের আবেদনের পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরও বিভিন্ন সময়ে সাবেক সেনাসদস্যদের জাহাঙ্গীর গেট বা রাওয়া ক্লাব এলাকায় নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত রাস্তা আটকে সভা-সমাবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার আশপাশে গত কয়েক মাসে বেশ কিছু সভা-সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দিয়েও সে সব সভা-সমাবেশ বা রাস্তা অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি ডিএমপি।
সর্বশেষ গত ১০ মে ডিএমপির জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা এবং এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের গণজমায়েত, মিছিল ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এসব এলাকার জন্য এটি ছিল তৃতীয়বারের মতো জারি করা নিষেধাজ্ঞা।
এর মধ্যে গত সপ্তাহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড় এলাকায় আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে ১৫ মে ডিএমপি থেকে আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, সুপ্রিম কোর্টের গেটসহ ৯টি স্থানে সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষায় ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারও অনুরোধ জানানো হয় ডিএমপির পক্ষ থেকে।
নাশকতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
শনিবার (১৭ মে) সামরিক বাহিনীর এই জনসংযোগ শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বরখাস্ত ওই সৈনিক রোববার ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশপথে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ দিন এর আগের এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘সর্বসাধারণের চলাচল ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে’ ঢাকা সেনানিবাস ঘিরে এর প্রবেশপথসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণার কথা জানায় আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় সরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ জাহাঙ্গীর গেটসংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে মহাখালী ফ্লাইওভারসংলগ্ন এলাকা এবং সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্বর ও সংলগ্ন এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
ঢাকা সেনাবাহিনীর ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’র অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক মো. নাইমুল ইসলামকে শনিবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসসংলগ্ন বটতলা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, বরখাস্ত ওই সেনা সদস্য গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বরখাস্ত বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনা সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়াসহ বিভিন্ন ‘নাশকতামূলক’ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় নাইমুল রোববার (১৮ মে) ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশপথে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন উসকানিমূলক প্রচারণাও চালিয়ে আসছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর বলছে, এ ধরনের শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করতে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল শনিবার দুপুর ২টায় ঢাকার খিলক্ষেত বটতলা বাজার এলাকায় নাইমুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নাইমুল তার কিছু সহযোগীসহ উপস্থিত একজন সেনাসদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প থেকে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাইমুল ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং বিভিন্ন সামরিক শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অপরাধে নাইমুলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আনুষঙ্গিক আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানানো হয় আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে নাইমুলকে আটক ও এর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া কী— তা জানতে ঢাকার সেনানিবাস ও খিলক্ষেত থানায় যোগাযোগ করা হলে দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) কেউ নাইমুলের আটকের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য রয়েছে বলে জানাতে পারেননি।
এর আগে গত বুধবার গণমাধ্যমে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় আইএসপিআরের পক্ষ থেকে। সেখানে সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যদের দাবি-দাওয়া নিয়ে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বাহিনীর পক্ষ থেকে।
ওইদিন আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় সাবেক সেনাসদস্যের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কিছু আবেদন উত্থাপিত হয়েছে, যা সেনাসদর সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। মানবিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এ সব আবেদন যথাযথভাবে পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে সেনা সদরে উচ্চপর্যায়ের একটি পর্ষদ গঠিত হয়েছে এবং এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সংক্রান্ত মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৬৯৬টি আবেদন পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়ন সাপেক্ষে নিষ্পত্তির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হলেও সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা এবং দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাবেক সেনাসদস্যদের প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও ন্যায্য দাবির প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল ও ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে— পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি ও যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে চলার মাধ্যমেই প্রতিটি সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব।
এ বিষয়ে যে কোনো ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য, শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা বজায় রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেপ্টেম্বরে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যরা বকেয়া বেতন-ভাতাসহ চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
ওই একই সময় সময় অর্ধশতাধিক চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তাদের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। ‘সহযোদ্ধা’ নামে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যদের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে তারা এসব দাবি তুলে ধরেছিলেন।
এরপর ডিসেম্বর মাসে চাকরিতে পুনর্বহাল ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারসহ তিন দাবিতে ঢাকা সেনানিবাসের শহিদ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান নেন চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে সশস্ত্র বাহিনীর একদল সদস্য। পরে তাদের আবেদনের পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরও বিভিন্ন সময়ে সাবেক সেনাসদস্যদের জাহাঙ্গীর গেট বা রাওয়া ক্লাব এলাকায় নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত রাস্তা আটকে সভা-সমাবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার আশপাশে গত কয়েক মাসে বেশ কিছু সভা-সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দিয়েও সে সব সভা-সমাবেশ বা রাস্তা অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি ডিএমপি।
সর্বশেষ গত ১০ মে ডিএমপির জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা এবং এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের গণজমায়েত, মিছিল ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এসব এলাকার জন্য এটি ছিল তৃতীয়বারের মতো জারি করা নিষেধাজ্ঞা।
এর মধ্যে গত সপ্তাহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড় এলাকায় আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে ১৫ মে ডিএমপি থেকে আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, সুপ্রিম কোর্টের গেটসহ ৯টি স্থানে সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষায় ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারও অনুরোধ জানানো হয় ডিএমপির পক্ষ থেকে।
যেসব এলাকাকে সভা-সমাবেশ, মিছিল-শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য নিষিদ্ধের আওতায় রাখা হয়েছে সেগুলো হলো কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় সরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ জাহাঙ্গীর গেটসংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে মহাখালী উড়ালসড়কসংলগ্ন এলাকা, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিব
১৪ ঘণ্টা আগেজেবুন্নেছা আফরোজ বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণের স্ত্রী। ২০১৪ সালে এপ্রিলে সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় হিরণ মৃত্যুবরণ করলে জেবুন্নেছা উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর বরিশালে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার তাকে আসামি করা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেঅবৈধ ভারতীয়দের প্রোপার ওয়েতে পাঠানো হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে আছেন তাদের ভারতের মতো পুশব্যাক করা হবে না।
২০ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্সে দ্বিতীয়বারের মতো নাম লেখালেন সাকিব আল হাসান। ইতোমধ্যে তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্কোয়াডেও যোগ দিয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল (রবিবার) লাহোরের জার্সিতে দেখা যেতে পারে সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
২১ ঘণ্টা আগে