প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) বিবৃতিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ নিয়ে উদ্বেগের জবাব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানিয়েছে, নোয়াব প্রকাশিত উদ্বেগের নেপথ্যের পরিস্থিতির জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দায়ী নয়। ফলে সরকার দৃঢ় ও দ্ব্যর্থহীনভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করায় সরকারের যেকোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত প্রত্যাখ্যান করছে। গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী নয়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে বিবৃতি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে নোয়াব ওই বিবৃতি পাঠায়।
বিবৃতিতে নোয়াব বলেছে, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেখানে তথ্যপ্রকাশ, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গত এক বছরে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
টিআইবির তথ্যের বরাত দিয়ে নোয়াব জানায়, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত এক বছরে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬৬ জনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানসংক্রান্ত হত্যা মামলার আসামি করা হয়। দায়িত্ব পালনের সময় তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ২৪ জন গণমাধ্যমকর্মীকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে, আটটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও ১১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তাপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নোয়াবের এমন বিবৃতিকে আমলে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ব্যাখ্যা দিয়েছে। এতে কয়েকটি প্রসঙ্গ আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমের সম্পাদকীয়, কার্যক্রম বা ব্যবসায়য় হস্তক্ষেপ করেনি। প্রকৃতপক্ষে ভুল তথ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সম্প্রচারের বিপক্ষেও আমরা ব্যতিক্রমী সংযম অনুশীলন করেছি। টেলিভিশনের টকশো ও কলামগুলোতে প্রায়ই এ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উসকানিমূলক দাবি তুলে ধরা হয়। তারপরও আমরা কোনো সেন্সর আরোপ করিনি, কিংবা ব্যবস্থা নেইনি।
সরকার আরও বলছে, আমরা অভিযোগ দায়ের করিনি, উসকনি দেওয়ার পরও লাইসেন্স স্থগিত করিনি। বরং কিছু মিডিয়ার জন্য পথ প্রশস্ত করেছি— পুনরায় প্রকাশ বা সম্প্রচারে ফিরে আসার জন্য, যা অতীতের সরকারের আমলে জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । এটি স্পষ্টভাবে বাক স্বাধীনতা ও একটি মুক্ত সংবাদপত্রের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।
অন্তর্বর্তী সরকার বিবৃতিতে বলেছে, সীমিত প্রবেশাধিকারের দাবির বিপরীতে সাংবাদিকরা আমাদের উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীদের কাছে উন্মুক্ত এবং সরাসরি প্রবেশাধিকার (অ্যাকসেস) পেয়েছেন। কোনো সাংবাদিককে তাদের প্রতিষ্ঠান বা সম্পাদকীয় অবস্থানের কারণে সাক্ষাৎকার বা ব্রিফিং থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং আমাদের আচরণে তারই প্রতিফলন দেখা যায়।
সংস্কারকৃত অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতি নিয়ে নোয়াবের সমালোচনা শুধু ভুলই নয়, ভুল বলেও দাবি করেছে সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য আগের ব্যবস্থাটি গভীরভাবে আপস করা হয়েছিল, সচিবালয়ের পাসগুলো কোনো বৈধ সাংবাদিকতার কার্যকারিতা ছাড়াই ব্যক্তিদের হাতে দেওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে কেউ কেউ রাজনীতিবিদ, লবিস্ট ও সুবিধাবাদী ছিলেন— যারা সরকারের নীতিকে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করার জন্য সুবিধাজনক প্রবেশাধিকার ব্যবহার করতেন।
আমরা সেই ভঙ্গুর কাঠামোটি ভেঙে ফেলেছি এবং এটি একটি অস্থায়ী পাস সিস্টেম দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছি, যা প্রতিটি প্রকৃত সাংবাদিকের সচিবালয়ে প্রবাশাধিকার নিশ্চিত করবে। এই সংস্কারটি প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ করার বিষয়ে ছিল না, তবে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রক্রিয়াটির অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার করেছিল।
আগের নীতিমালায় সাংবাদিকদের সরকারের ইতিবাচক দিক তুলে ধরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সাংবাদিকদের সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু অবমাননাকর ধারা সংবলিত নীতিমালা সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বর্ধিত নবায়নের সময়সহ নতুন করে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সরকার বিবৃতিতে আরও বলেছে, এটাও পরিষ্কারভাবে বলতে হবে— যেসব সাংবাদিককে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তারা সরকারি নির্দেশে নয়, বরং গণমাধ্যম মালিকদের সম্পাদকীয় ও কৌশলগত করপোরেট পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তের ফলে তা করেছেন। এগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো নির্দেশনা বা চাপ নয়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশের প্রতিফলন।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে যৌথ দায়িত্ব হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে বিবৃতিতে। সরকার বলছে, সাংবাদিকসহ সব নাগরিকের শারীরিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা একটি অগ্রাধিকার। তবে এ দায়িত্বটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এবং সরকার ও এর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মিলিত অংশগ্রহণে করা হয়।
একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশের প্রতি আমাদের অব্যাহত অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে— চলতি বছরের শুরুর দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে মিডিয়া সংস্কার কমিশন আইনি সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং সরকার বা নিরাপত্তা বাহিনীর ভীতিপ্রদর্শনের ভয়ে সৃষ্ট নিজ-সেন্সরশিপ কমানোর জন্য একটি নতুন ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’সহ সংস্কারের প্রস্তাব করেছিল। সরকার প্রস্তাবিত আইনটি প্রণয়নের কথা ভাবছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যদিও আমরা গঠনমূলক সমালোচনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছি, আমরা নোয়াবকে দোষারোপ করার আগে অভ্যন্তরীণভাবে দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি অবশ্যই তার নিজস্ব সদস্যদের কার্যক্রম পরীক্ষা করবে এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে অন্যায্য ব্যবহারের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে। বিশেষত যখন এটি মজুরি শোষণ, শ্রম অধিকার অস্বীকার করা, পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করা এবং কথিত অসহনীয় কাজের পরিবেশের ক্ষেত্রে হয়।
একটি নাজুক ক্রান্তিকালীন সময়ের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসন হিসেবে আমরা গণমাধ্যম যেন ভয় বা হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য একটি ‘হ্যান্ডস-অফ’ পদ্ধতি বজায় রেখেছি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের কাছে নিছক স্লোগান নয়— এটি একটি নীতি, যা আমরা ধারণ করি।
সরকার আরও বলছে, নোয়াবের উদ্বেগগুলো আরও অর্থবহ হবে, যদি তারা তথ্যের ভিত্তিতে এবং সঠিক পক্ষগুলোর দিকে পরিচালিত হয়। ঘটনাগুলোর ত্রুটিপূর্ণ ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে খোলামেলা অভিযোগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে এগিয়ে নেয় না, বরং তারা বাংলাদেশের মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপের মুখোমুখি প্রকৃত চ্যালেঞ্জগুলো থেকে কেবল দৃষ্টি সরিয়ে দেয়।
আমরা স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি এবং আমরা এ মৌলিক মূল্যবোধগুলো সংরক্ষণ ও উন্নত করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য সব অংশীজনকে আমন্ত্রণ জানাই— বিবৃতিতে বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) বিবৃতিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ নিয়ে উদ্বেগের জবাব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানিয়েছে, নোয়াব প্রকাশিত উদ্বেগের নেপথ্যের পরিস্থিতির জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দায়ী নয়। ফলে সরকার দৃঢ় ও দ্ব্যর্থহীনভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করায় সরকারের যেকোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত প্রত্যাখ্যান করছে। গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী নয়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে বিবৃতি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে নোয়াব ওই বিবৃতি পাঠায়।
বিবৃতিতে নোয়াব বলেছে, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেখানে তথ্যপ্রকাশ, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গত এক বছরে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
টিআইবির তথ্যের বরাত দিয়ে নোয়াব জানায়, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত এক বছরে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬৬ জনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানসংক্রান্ত হত্যা মামলার আসামি করা হয়। দায়িত্ব পালনের সময় তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ২৪ জন গণমাধ্যমকর্মীকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে, আটটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও ১১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তাপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নোয়াবের এমন বিবৃতিকে আমলে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ব্যাখ্যা দিয়েছে। এতে কয়েকটি প্রসঙ্গ আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমের সম্পাদকীয়, কার্যক্রম বা ব্যবসায়য় হস্তক্ষেপ করেনি। প্রকৃতপক্ষে ভুল তথ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সম্প্রচারের বিপক্ষেও আমরা ব্যতিক্রমী সংযম অনুশীলন করেছি। টেলিভিশনের টকশো ও কলামগুলোতে প্রায়ই এ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উসকানিমূলক দাবি তুলে ধরা হয়। তারপরও আমরা কোনো সেন্সর আরোপ করিনি, কিংবা ব্যবস্থা নেইনি।
সরকার আরও বলছে, আমরা অভিযোগ দায়ের করিনি, উসকনি দেওয়ার পরও লাইসেন্স স্থগিত করিনি। বরং কিছু মিডিয়ার জন্য পথ প্রশস্ত করেছি— পুনরায় প্রকাশ বা সম্প্রচারে ফিরে আসার জন্য, যা অতীতের সরকারের আমলে জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । এটি স্পষ্টভাবে বাক স্বাধীনতা ও একটি মুক্ত সংবাদপত্রের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।
অন্তর্বর্তী সরকার বিবৃতিতে বলেছে, সীমিত প্রবেশাধিকারের দাবির বিপরীতে সাংবাদিকরা আমাদের উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীদের কাছে উন্মুক্ত এবং সরাসরি প্রবেশাধিকার (অ্যাকসেস) পেয়েছেন। কোনো সাংবাদিককে তাদের প্রতিষ্ঠান বা সম্পাদকীয় অবস্থানের কারণে সাক্ষাৎকার বা ব্রিফিং থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং আমাদের আচরণে তারই প্রতিফলন দেখা যায়।
সংস্কারকৃত অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতি নিয়ে নোয়াবের সমালোচনা শুধু ভুলই নয়, ভুল বলেও দাবি করেছে সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য আগের ব্যবস্থাটি গভীরভাবে আপস করা হয়েছিল, সচিবালয়ের পাসগুলো কোনো বৈধ সাংবাদিকতার কার্যকারিতা ছাড়াই ব্যক্তিদের হাতে দেওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে কেউ কেউ রাজনীতিবিদ, লবিস্ট ও সুবিধাবাদী ছিলেন— যারা সরকারের নীতিকে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করার জন্য সুবিধাজনক প্রবেশাধিকার ব্যবহার করতেন।
আমরা সেই ভঙ্গুর কাঠামোটি ভেঙে ফেলেছি এবং এটি একটি অস্থায়ী পাস সিস্টেম দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছি, যা প্রতিটি প্রকৃত সাংবাদিকের সচিবালয়ে প্রবাশাধিকার নিশ্চিত করবে। এই সংস্কারটি প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ করার বিষয়ে ছিল না, তবে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রক্রিয়াটির অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার করেছিল।
আগের নীতিমালায় সাংবাদিকদের সরকারের ইতিবাচক দিক তুলে ধরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সাংবাদিকদের সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু অবমাননাকর ধারা সংবলিত নীতিমালা সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বর্ধিত নবায়নের সময়সহ নতুন করে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সরকার বিবৃতিতে আরও বলেছে, এটাও পরিষ্কারভাবে বলতে হবে— যেসব সাংবাদিককে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তারা সরকারি নির্দেশে নয়, বরং গণমাধ্যম মালিকদের সম্পাদকীয় ও কৌশলগত করপোরেট পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তের ফলে তা করেছেন। এগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো নির্দেশনা বা চাপ নয়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশের প্রতিফলন।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে যৌথ দায়িত্ব হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে বিবৃতিতে। সরকার বলছে, সাংবাদিকসহ সব নাগরিকের শারীরিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা একটি অগ্রাধিকার। তবে এ দায়িত্বটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এবং সরকার ও এর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মিলিত অংশগ্রহণে করা হয়।
একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশের প্রতি আমাদের অব্যাহত অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে— চলতি বছরের শুরুর দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে মিডিয়া সংস্কার কমিশন আইনি সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং সরকার বা নিরাপত্তা বাহিনীর ভীতিপ্রদর্শনের ভয়ে সৃষ্ট নিজ-সেন্সরশিপ কমানোর জন্য একটি নতুন ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’সহ সংস্কারের প্রস্তাব করেছিল। সরকার প্রস্তাবিত আইনটি প্রণয়নের কথা ভাবছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যদিও আমরা গঠনমূলক সমালোচনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছি, আমরা নোয়াবকে দোষারোপ করার আগে অভ্যন্তরীণভাবে দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি অবশ্যই তার নিজস্ব সদস্যদের কার্যক্রম পরীক্ষা করবে এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে অন্যায্য ব্যবহারের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে। বিশেষত যখন এটি মজুরি শোষণ, শ্রম অধিকার অস্বীকার করা, পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করা এবং কথিত অসহনীয় কাজের পরিবেশের ক্ষেত্রে হয়।
একটি নাজুক ক্রান্তিকালীন সময়ের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসন হিসেবে আমরা গণমাধ্যম যেন ভয় বা হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য একটি ‘হ্যান্ডস-অফ’ পদ্ধতি বজায় রেখেছি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের কাছে নিছক স্লোগান নয়— এটি একটি নীতি, যা আমরা ধারণ করি।
সরকার আরও বলছে, নোয়াবের উদ্বেগগুলো আরও অর্থবহ হবে, যদি তারা তথ্যের ভিত্তিতে এবং সঠিক পক্ষগুলোর দিকে পরিচালিত হয়। ঘটনাগুলোর ত্রুটিপূর্ণ ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে খোলামেলা অভিযোগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে এগিয়ে নেয় না, বরং তারা বাংলাদেশের মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপের মুখোমুখি প্রকৃত চ্যালেঞ্জগুলো থেকে কেবল দৃষ্টি সরিয়ে দেয়।
আমরা স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি এবং আমরা এ মৌলিক মূল্যবোধগুলো সংরক্ষণ ও উন্নত করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য সব অংশীজনকে আমন্ত্রণ জানাই— বিবৃতিতে বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেআবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িষ্যার উপকূলের অদূরে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িষ্যার উপকূল এলাকায় অবস্থান করছে
১২ ঘণ্টা আগেএতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোর
১২ ঘণ্টা আগে