বিশেষ প্রতিনিধি, রাজনীতি ডটকম
বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারত নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ অব্যাহত রেখেছে। এবার বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র ও পাটজাত আরও চার ধরনের পণ্যে স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক অধিদপ্তর ডিজিএফটি।
গত চার মাসের মধ্যে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ভারত। এর মধ্যে তিনবারই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য দেশটির স্থলবন্দর ব্যবহারের ওপর।
সোমবার (১১ আগস্ট) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক অধিদপ্তর ডিজিএফটির অতিরিক্ত সচিব অজয় ভাদুর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সবশেষ এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ এপ্রিল, ১৭ মে ও ২৭ জুন আরও তিন দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে অবনতি ঘটে। সীমান্ত, ভিসা ইত্যাদি ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। একপর্যায়ে দুই দেশই অন্য দেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে হাঁটে।
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ভারতের প্রথম বিধিনিষেধ আরোপ হয় গত ৮ এপ্রিল। ওই দিন কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা তথা ট্রান্সশিপমেন্ট প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি।
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারতেন। ২০২০ সালের ২৯ জুন জারি করা এক পরিপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পেয়ে আসছিল।
ওই সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, একটি বড় সময় ধরে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার কারণে ভারতের বিমানবন্দর ও বন্দরগুলোতে ব্যাপক জট দেখা দিয়েছে। তাতে ভারতের নিজেদের রপ্তানি বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে ৮ এপ্রিল থেকে এ সুবিধাটি প্রত্যাহার করা হয়।
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সময় ভারত জানায়, এ কারণে ভারতের সীমান্ত দিয়ে পরিবহন করে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়বে না। তবে এর মাসখানেক পর ভারত নিজেই বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
প্রথম ধাক্কা আসে গত ১৭ মে। সে দিন বাংলাদেশে উৎপাদিত তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে স্থলবন্দর ব্যবহারে বিধিনিষেধ দেয় ভারত।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভারতের আমদানিকারকরা কেবল মহারাষ্ট্রের নবসেবা ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করতে পারবেন।
পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের স্থল কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস) বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী এলসিএস দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাবপত্র রপ্তানি করা যাবে না।
এরপর গত ২৭ জুন ভারত নতুন করে বিধিনিষেধ দেয় বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার ওপর। সে দিন বস্ত্র ও পাটজাত ৯ ধরনের পণ্য স্থলবন্দর ব্যবহার করে আমদানি নিষিদ্ধ করে দেশটি।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে— কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, পাটের একক শণ সুতা ও ওভেন কাপড়। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, এসব পণ্য কেবল নবসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।
সবশেষ আজ সোমবার (১১ আগস্ট) নতুন করে বস্ত্র ও পাটজাত চার ধরনের পণ্য স্থলবন্দর ব্যবহার করে আমদানিতে না করেছে ভারত। এগুলো হলো— পাট কিংবা অন্য কোনো ধরনের উদ্ভিজ্জ তন্তু থেকে উৎপাদিত কাপড়; পাট দিয়ে তৈরি দড়ি, রশি, সুতলি ইত্যাদি; অন্য তন্তু দিয়ে তৈরি দড়ি, রশি, সুতলি ইত্যাদি; এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ।
সবশেষ দুই বিধিনিষেধের (২৭ জুন ও ১১ আগস্ট) বিজ্ঞপ্তিতেই ভারত বলছে, এসব পণ্য ভারতের স্থলসীমা ব্যবহার করে নেপাল বা ভুটানে রপ্তানি করতে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য কোনো বাধা নেই। তবে নেপাল-ভুটানের মাধ্যমে আবার এসব পণ্য ভারতে পুনরায় রপ্তানি করা যাবে না।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভারতে। সে হিসাবে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে।
গত জুনে যেসব পণ্য স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতে পাঠানোতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসব পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় ছিল প্রায় ১৫ কোটি ডলার।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, একের পর এক যেসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানিতে স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেগুলোর প্রায় পুরোটাই ভারতে রপ্তানি করা হতো স্থলবন্দর ব্যবহার করেই। এখন সেগুলো সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে পাঠাতে হলে একদিকে সময় যেমন বেশি লাগবে, অন্যদিকে খরচও বাড়বে।
এ পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে বৈঠকের তাগিদ দিয়ে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) সভাপতি তাপস প্রামাণিক একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের সঙ্গে সরকারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। আমাদেরও পাটপণ্যের বিকল্প রপ্তানি বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
একই কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরাও। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এখন সরাসরি ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভাব ফেলেছে। এগুলো দ্রুত সমাধান করা দরকার। দুই পক্ষ যত দ্রুত সমাধানে পৌঁছাবে, ততই দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি উপকৃত হবে।
বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারত নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ অব্যাহত রেখেছে। এবার বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র ও পাটজাত আরও চার ধরনের পণ্যে স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক অধিদপ্তর ডিজিএফটি।
গত চার মাসের মধ্যে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ভারত। এর মধ্যে তিনবারই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য দেশটির স্থলবন্দর ব্যবহারের ওপর।
সোমবার (১১ আগস্ট) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক অধিদপ্তর ডিজিএফটির অতিরিক্ত সচিব অজয় ভাদুর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সবশেষ এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ এপ্রিল, ১৭ মে ও ২৭ জুন আরও তিন দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে অবনতি ঘটে। সীমান্ত, ভিসা ইত্যাদি ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। একপর্যায়ে দুই দেশই অন্য দেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে হাঁটে।
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ভারতের প্রথম বিধিনিষেধ আরোপ হয় গত ৮ এপ্রিল। ওই দিন কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা তথা ট্রান্সশিপমেন্ট প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি।
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারতেন। ২০২০ সালের ২৯ জুন জারি করা এক পরিপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পেয়ে আসছিল।
ওই সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, একটি বড় সময় ধরে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার কারণে ভারতের বিমানবন্দর ও বন্দরগুলোতে ব্যাপক জট দেখা দিয়েছে। তাতে ভারতের নিজেদের রপ্তানি বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে ৮ এপ্রিল থেকে এ সুবিধাটি প্রত্যাহার করা হয়।
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সময় ভারত জানায়, এ কারণে ভারতের সীমান্ত দিয়ে পরিবহন করে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়বে না। তবে এর মাসখানেক পর ভারত নিজেই বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
প্রথম ধাক্কা আসে গত ১৭ মে। সে দিন বাংলাদেশে উৎপাদিত তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে স্থলবন্দর ব্যবহারে বিধিনিষেধ দেয় ভারত।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভারতের আমদানিকারকরা কেবল মহারাষ্ট্রের নবসেবা ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করতে পারবেন।
পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের স্থল কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস) বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী এলসিএস দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাবপত্র রপ্তানি করা যাবে না।
এরপর গত ২৭ জুন ভারত নতুন করে বিধিনিষেধ দেয় বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার ওপর। সে দিন বস্ত্র ও পাটজাত ৯ ধরনের পণ্য স্থলবন্দর ব্যবহার করে আমদানি নিষিদ্ধ করে দেশটি।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে— কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, পাটের একক শণ সুতা ও ওভেন কাপড়। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, এসব পণ্য কেবল নবসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।
সবশেষ আজ সোমবার (১১ আগস্ট) নতুন করে বস্ত্র ও পাটজাত চার ধরনের পণ্য স্থলবন্দর ব্যবহার করে আমদানিতে না করেছে ভারত। এগুলো হলো— পাট কিংবা অন্য কোনো ধরনের উদ্ভিজ্জ তন্তু থেকে উৎপাদিত কাপড়; পাট দিয়ে তৈরি দড়ি, রশি, সুতলি ইত্যাদি; অন্য তন্তু দিয়ে তৈরি দড়ি, রশি, সুতলি ইত্যাদি; এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ।
সবশেষ দুই বিধিনিষেধের (২৭ জুন ও ১১ আগস্ট) বিজ্ঞপ্তিতেই ভারত বলছে, এসব পণ্য ভারতের স্থলসীমা ব্যবহার করে নেপাল বা ভুটানে রপ্তানি করতে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য কোনো বাধা নেই। তবে নেপাল-ভুটানের মাধ্যমে আবার এসব পণ্য ভারতে পুনরায় রপ্তানি করা যাবে না।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভারতে। সে হিসাবে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে।
গত জুনে যেসব পণ্য স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতে পাঠানোতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসব পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় ছিল প্রায় ১৫ কোটি ডলার।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, একের পর এক যেসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানিতে স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেগুলোর প্রায় পুরোটাই ভারতে রপ্তানি করা হতো স্থলবন্দর ব্যবহার করেই। এখন সেগুলো সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে পাঠাতে হলে একদিকে সময় যেমন বেশি লাগবে, অন্যদিকে খরচও বাড়বে।
এ পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে বৈঠকের তাগিদ দিয়ে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) সভাপতি তাপস প্রামাণিক একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের সঙ্গে সরকারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। আমাদেরও পাটপণ্যের বিকল্প রপ্তানি বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
একই কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরাও। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এখন সরাসরি ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভাব ফেলেছে। এগুলো দ্রুত সমাধান করা দরকার। দুই পক্ষ যত দ্রুত সমাধানে পৌঁছাবে, ততই দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি উপকৃত হবে।
এর আগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেআবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িষ্যার উপকূলের অদূরে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িষ্যার উপকূল এলাকায় অবস্থান করছে
১২ ঘণ্টা আগেএতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোর
১২ ঘণ্টা আগে