গ্রেনেড হামলা মামলা: আসামিপক্ষের ফের আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো আসামিপক্ষের আপিল শুনানি নিয়েছেন আদালত। শুনানি শেষ না হওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ফের এ মামলায় আসামিক্ষের শুনানি নেওয়া হবে।

বুধবার (২০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ শুনানির এ দিন নির্ধারণ করেন। এ দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের পক্ষে আজ শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এ মামলায় আসামিদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আসামিপক্ষের শুনানি শুরু হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ।

গত ১৭ জুলাই এ বিষয়ের ওপর আপিল শুনানি করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে দিন পেপারবুক থেকে পাঠ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ।

পরে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়। গত ৩১ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন একই বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়।

এ মামলায় পলাতকদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী) নিয়োগের আবেদন করেছিল আসামিপক্ষ। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে পলাতক মাওলানা তাজউদ্দিন আহমেদ ও হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত ১ জুন এ মামলায় তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।

ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভূঞা। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে এ বছরের ১৫ মে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এর আগে ১২ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলায় তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ওই সময় হাইকোর্ট জানান, এসব মামলার বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ। কারণ তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধেই লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দলটির ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। আলোচিত এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দুটি মামলারই রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে নিয়োগ, পদসংখ্যা ৩৮

২ ঘণ্টা আগে

আইপিডিসি ফাইন্যান্সে কাজের সুযোগ, পদসংখ্যা ০২

২ ঘণ্টা আগে

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ পায়নি ৫৭৬৫ জন

ভর্তির জন্য আবেদন করেছে করে ফি জমা দিয়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬২ জন শিক্ষার্থী। ভর্তির জন্য মনোনয়ন মনোনীত হয়েছে এ সংখ্যা মোট আবেদনকারী ৯৮ শতাংশ। বাকি ২ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনয়ন পায়নি। সারা দেশে ভর্তিযোগ্য কলেজের মধ্যে ৯৫ শতাংশ কলেজ ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পেয়েছে। বাকি ৫ শাতংশ একজন শিক্ষার্থীও

২ ঘণ্টা আগে

আ.লীগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতি ভিত্তিহীন: ভারত

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারতীয় মাটি থেকে বাংলাদেশবিরোধী কোনো কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বা আওয়ামী লীগের নামধারী কেউ এ ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত আছে— এমন কোনো তথ্য ভারত সরকারের কাছে নেই।

৩ ঘণ্টা আগে