প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জুলাই অভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি নিয়ে ৩০ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় আসামিপক্ষের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে বুধবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ অভিযোগ গঠন করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি দুই সদস্য হলেন— বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এর মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এ ঘটনার বিচারকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। এ মামলায় প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৭ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এ মামলার ৩০ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন ছয়জন। বুধবার সকালে তাদের অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য টাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ছয় আসামি হলেন— সাবেক এসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিল।
অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে আসামিদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
শুনানি শেষে তাদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আসামিদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। বলেন, বাকি ২৪ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার কাজ চলবে।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যায় ৩০ জনের সম্পৃক্ততা উঠে আসে। গত ৩০ জুন অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
১৩ জুলাই আবু সাইদ হত্যা মামলায় পলাতক ২৪ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসামিদের হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পলাতক এই ২৪ আসামির জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।
গত বছর জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন।
ওই দিন সারা দেশের মতো রংপুরেও শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন রাজপথে। সেখানে পুলিশ ও ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত) সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে যান। তার বুক ঝাঁঝরা করে দেয় পুলিশের বুলেট।
এ ঘটনার ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দাবানলে রূপ নেয় যেন। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা আরও বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এরপর ক্রমেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘাত বাড়তে থাকে।
কারফিউ দিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করেও শেখ হাসিনা সরকার আন্দোলন দমন করতে পারেনি। প্রাণহানিও বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ দিনের আন্দোলনে সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে বিজয় আসে ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাসহ মানবতাবিরোধী নানা অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
একই ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তখনকার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিচার চলছে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়। ওই মামলায় সাবেক আইজিপি এখন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি নিয়ে ৩০ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় আসামিপক্ষের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে বুধবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ অভিযোগ গঠন করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি দুই সদস্য হলেন— বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এর মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এ ঘটনার বিচারকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। এ মামলায় প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৭ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এ মামলার ৩০ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন ছয়জন। বুধবার সকালে তাদের অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য টাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ছয় আসামি হলেন— সাবেক এসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিল।
অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে আসামিদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
শুনানি শেষে তাদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আসামিদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। বলেন, বাকি ২৪ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার কাজ চলবে।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যায় ৩০ জনের সম্পৃক্ততা উঠে আসে। গত ৩০ জুন অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
১৩ জুলাই আবু সাইদ হত্যা মামলায় পলাতক ২৪ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসামিদের হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পলাতক এই ২৪ আসামির জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।
গত বছর জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন।
ওই দিন সারা দেশের মতো রংপুরেও শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন রাজপথে। সেখানে পুলিশ ও ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত) সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে যান। তার বুক ঝাঁঝরা করে দেয় পুলিশের বুলেট।
এ ঘটনার ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দাবানলে রূপ নেয় যেন। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা আরও বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এরপর ক্রমেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘাত বাড়তে থাকে।
কারফিউ দিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করেও শেখ হাসিনা সরকার আন্দোলন দমন করতে পারেনি। প্রাণহানিও বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ দিনের আন্দোলনে সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে বিজয় আসে ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাসহ মানবতাবিরোধী নানা অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
একই ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তখনকার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিচার চলছে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়। ওই মামলায় সাবেক আইজিপি এখন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
বিল্লালের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় সাতটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ বিভিন্ন অপরাধের ছয়টি মামলা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আড়িপাতার সরঞ্জাম কেনার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল, যা থেকে বোঝা যায় ভিন্নমত দমনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতেই এসব নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সকালে ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, দুপুরে ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিকালে ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং রাতে ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের সঙ্গে সোমবারের এ বৈঠককে এখন পর্যন্ত ‘সেরা বৈঠক’ মন্তব্য করে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শুধু সমন্বয়ই করবে না, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশীদারও হবে- স্পষ্ট এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি বড় একটি অগ্রগতি বলে আমি মনে করি।’
২ ঘণ্টা আগে