প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
মানহানির মামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির বিচার শুরু
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আবু সাঈদসহ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের অন্য শহিদ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে ফেসবুকে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার পর সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে মানহানির মামলার বিচার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঊর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম সেফাতুল্লাহ।
আবু সাঈদসহ জুলাই অভ্যুত্থানের অন্য শহিদদের নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার অভিযোগে গত ৮ অক্টোবর তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলার আবেদন করেছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
মামলার আবেদনে বলা হয়, তাপসী তাবাসুম ঊর্মি গত ৫ অক্টোবর ফেসবুক পোস্টে আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন। ওই পোস্টের মাধ্যমে আবু সাঈদসহ আন্দোলনের অন্যান্য শহিদদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ঊর্মি আন্দোলনের একজন শহিদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ দিয়ে তার ‘অবমাননা’ করেছেন। এতে আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে বাদী আবু হাফ ‘ব্যথিত ও অপমানিত’ হয়েছেন।
মঙ্গলবার শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেন। মামলার বাদী সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নেন ও ১১ দিন কারাগারে ছিলেন। তাই এই মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে তার কোনো আইনি বাধা ছিল না। মামলায় অভিযোগ গঠনের যথেষ্ট উপাদান রয়েছে, তাই অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করছি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, আসামি মামলার কথিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে মামলার কথিত ঘটনা মিথ্যা। আসামি সেই সময়ে পারিপার্শ্বিক ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেছেন। দণ্ডবিধি অনুযায়ী মানহানির ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি নিজে এবং মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তার মা-বাবা বা নিকটাত্মীয় কেউ এই মানহানির মামলা করতে পারেন। এই মামলার বাদী শহিদ আবু সাঈদের বা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কোনো আত্মীয় নন। তাই বাদীর এ নিয়ে অভিযোগ করার আইনি কোনো ভিত্তি নেই।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় উর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারক।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি একই আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন ঊর্মি আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। একই সঙ্গে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন। একইসঙ্গে ঊর্মির জামিনও মঞ্জুর করেন।
লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে গত ৫ অক্টোবর এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
পরদিন ঊর্মিকে প্রত্যাহার করে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। পরে ৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই সময় জানানো হয়, ঊর্মির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
মানহানির মামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির বিচার শুরু
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আবু সাঈদসহ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের অন্য শহিদ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে ফেসবুকে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার পর সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে মানহানির মামলার বিচার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঊর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম সেফাতুল্লাহ।
আবু সাঈদসহ জুলাই অভ্যুত্থানের অন্য শহিদদের নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার অভিযোগে গত ৮ অক্টোবর তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলার আবেদন করেছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
মামলার আবেদনে বলা হয়, তাপসী তাবাসুম ঊর্মি গত ৫ অক্টোবর ফেসবুক পোস্টে আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন। ওই পোস্টের মাধ্যমে আবু সাঈদসহ আন্দোলনের অন্যান্য শহিদদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ঊর্মি আন্দোলনের একজন শহিদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ দিয়ে তার ‘অবমাননা’ করেছেন। এতে আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে বাদী আবু হাফ ‘ব্যথিত ও অপমানিত’ হয়েছেন।
মঙ্গলবার শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেন। মামলার বাদী সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নেন ও ১১ দিন কারাগারে ছিলেন। তাই এই মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে তার কোনো আইনি বাধা ছিল না। মামলায় অভিযোগ গঠনের যথেষ্ট উপাদান রয়েছে, তাই অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করছি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, আসামি মামলার কথিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে মামলার কথিত ঘটনা মিথ্যা। আসামি সেই সময়ে পারিপার্শ্বিক ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেছেন। দণ্ডবিধি অনুযায়ী মানহানির ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি নিজে এবং মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তার মা-বাবা বা নিকটাত্মীয় কেউ এই মানহানির মামলা করতে পারেন। এই মামলার বাদী শহিদ আবু সাঈদের বা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কোনো আত্মীয় নন। তাই বাদীর এ নিয়ে অভিযোগ করার আইনি কোনো ভিত্তি নেই।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় উর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারক।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি একই আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন ঊর্মি আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। একই সঙ্গে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন। একইসঙ্গে ঊর্মির জামিনও মঞ্জুর করেন।
লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে গত ৫ অক্টোবর এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
পরদিন ঊর্মিকে প্রত্যাহার করে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। পরে ৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই সময় জানানো হয়, ঊর্মির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত করার পর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফ
৬ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী এখনো অফিশিয়ালি কোনো নির্দেশনা পায়নি। তবে নির্দেশনা পেলে দায়িত্ব পালনে বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে সেনাসদর
৬ ঘণ্টা আগেধর্ষণ মামলায় আটক আলোচিত-সমালোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মামলার বাদীর (ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী) রেজিস্ট্রি কাবিননামার মাধ্যমে বিবাহ সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
৭ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, ‘আহত পুলিশ সদস্যদের দেখলাম। আল্লাহর রহমতে তারা ভালো আছে। এক কনস্টেবলের পায়ে ও এএসআইয়ের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কনস্টেবলের পায়ের গুলি রাতেই রিমুভ করা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। তাঁকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। আরেক জনের পেটের গুলি ৪৮ ঘণ্টার পর অস্ত্রোপচার করা হবে।’
৭ ঘণ্টা আগে