খুনিদের বিচার হওয়ার আগে কীভাবে আ. লীগের নাম নেওয়া হয়, প্রশ্ন সারজিসের\n
আহতদের একজন বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপি কর্মসূচি পালন করলেও সেই কর্মসূচিতেই জামায়াত ও ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন) অনেকে ছিল। তারা বিষয়টি সারজিসকে জানাতে গেলে এনসিপির নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন এবং মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, সারজিস আলম বক্তৃতা করার সময় বৈষম্যবিরোধীদের একাংশ তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এ সময় সারজিসের পক্ষে এনসিপির নেতাকর্মীরা তাদের বিরোধিতা করলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে দফায় দফায় মারামারি হয় দুপক্ষের মধ্যে।
বগুড়ার কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক ও এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাকিব মাহাদী বলেন, সারজিস আলমের বক্তব্যের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কয়েকজন আমাদের অনুষ্ঠান পণ্ড করতে এসেছিল। তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈন উদ্দিন বলেন, কয়েকজন স্লোগান দিয়ে সমাবেশে গেলে আয়োজকরা তাদের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেন। পরে রাস্তায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও মারামারি। মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।